নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত (সৌকপ)

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত

আমি আসলে কেউ নই ।

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

টোপ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

গল্পটা পুরোপুরি আমার লেখা নয়। সম্ভত ক্লাস ফোর এর ঘটনা । আমি ছিলাম সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাব্লিক স্কুলে। আমাদের বাংলা সেকেন্ড পেপারের স্যার ছিলেন শামস উদ্দীন আল মামুন স্যার । স্যার একদিন আমাদের একটা গল্প বলেছিলেন । গল্পটা খুব ভাল লেগেছিল। তারপর থেকে বহুদিন চেষ্টা করেছি খুজে পেতে, গল্পটা কার??

কিন্তু আমার ব্যর্থতা , আমি পাইনি। তাই আজ ঐ প্লট থেকে নিজেই লিখে ফেললাম নিজের মত করে।
তাই আজকের গল্পটা আমার নয়। ঐ লেখকের, যার নাম আর কেউ জানলেও, আমি আজও জানতে পারি নি।







টোপ

লেখার খাতাটা নিয়ে বসতেই কলিং বেলটা বেজে উঠলো ।
“ধূর মানুষ আসার আর সময় পেল না” বিরক্ত মুখে উঠে গেলেন সুবিস্ময় সাহেব।
দরজা খুলতেই পরিচিত মুখ।
“আরে হাফিজ যে, এস এস। তা আজকে কি নিয়ে এলে ??”
হাফিজ এই এলাকার পোস্টম্যান । যুবক ছেলে । ১৭ কি ১৮ বছর বয়েস। বাবার মৃত্যুতে পুরো সংসারের দায়ভার ওর ওপর পড়েছে । তাতে কি ? দিব্যি হাসিখুশি।
“স্যার, আজকে পার্সেল এসেছে। কি আছে না দেখে কিন্তু যাচ্ছিনে।”
“তা কত্থেকে এল ??”
“কাঞ্চনডাঙা থেকে ।”
কাঞ্চনডাঙা নামটা শুনতেই বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো ।
এটা কি সেটা যেটার কথা আমি ভাবছি ??
“মুখটা কালো হয়ে গেল যে স্যার?”
“আগে খোলো, তুমিই খোলো। যা ভাবছি যদি তা হয় তাহলে একটা গল্প বলব তোমায়। সময় হবে তো ?”
“আপনার গল্প, তার আবার সময় ? কয়দিন লাগবে বলুন, একাধারে বসে থাকব। কোন সমস্যা নেই।”

প্যাকেটটা খুলল হাফিয। ভেতরে দেখা গেল এক জোড়া বুট জুতো। সাথে এক টুকরো কাগজ।
“কি লেখা আছে ??পড় তো, হাফিয।”
পড়লো হাফিয।
“প্রিয় সুবিস্ময় বাবু,

আশা করি ঐ দিনগুলোর কথা আপনি ভোলেননি । হ্যাঁ , আমি ঐ দিনগুলোর কথাই বলছি। আপনি তো জানেন , আমার বয়েস ৫০ এ পড়ল এবার। জমিদারীর দায়ভার আমি কিছু রাখতে চাচ্ছিনে নিজের কাঁধে । কিন্তু দায়িত্ব ছেড়ে দেবার আগে যার যার পাওনাটা তো বুঝিয়ে দিতে হবে। তাই আপনার পাওনাটা আপ্নায় দিলাম। হাজার হোক, মানুষ কাকে বলে তা তো আপনিই আমায় শিখিয়েছিলেন।

ইতি

মৃত্যুঞ্জয় সিংহরায় চৌধুরী।”

হাফিযের পড়া শেষ হলে সে দেখতে পেল তার সামনের হাসিখুশি মানুষটার চোখে সৃতিচারনের ছায়া পড়েছে। সে আর কিছু না বলে চলে গেল। ফিরে এল সন্ধ্যায়। ডিউটি শেষে সুবিস্ময় সাহেবের প্রতিশ্রুত গল্পটা আদায় করতে এসেছে সে।

বাসায় ঢুকতেই সুবিস্ময় বাবুর ডাক শোনা গেল।

“আরে হাফিয যে , তা ঐ সময় চলে গেলে কেন ??”

“আপনার চোখের ভাষা বলে দিচ্ছিল, আপনি আমার গল্পটা তৈরি করছিলেন, তাই ডিস্টার্ব করলে নিজেরই ক্ষতি হত।”

“তা যা বলেছ, মাঝে মাঝে মনে হয়, তুমি কলম ধরলে কথা সাহিত্যিকের খ্যাতিটা তোমার কপালেই এসে জুটতো ।”
চা নাস্তা শেষে বসলেন সুবিস্ময় চৌধুরী, পাশে হাফিয।

“আজ থেকে প্রায় বছর পঁচিশ আগের কথা। আমি তখন বিশ বছরের টগবগে তরুন । পত্রিকায় গল্প লিখে পেট চালাই। নামডাক মাত্র হচ্ছে। এমন সময় একদিন এক চিঠি এসে হাজির। তা এমন চিঠি আমি আগে কখনো পাইনি।

“কি লেখা ছিল চিঠিতে ?”
বলতে লাগ্লেন সুবিস্ময় সাহেব,

চিঠিটা লিখেছিলেন মৃত্যুঞ্জয় সিংহরায়, কাঞ্চনডাঙার জমিদার। লিখলেন,
‘প্রিয় সুবিস্ময় বাবু,
আপনার লেখাগুলো আমি পড়েছি। খুবই ভাল লাগে, বিশেষ করে শিকার কাহিনী গুলো। তবে আমার মনে হয় আপনার ব্যক্তিগত ভাবে শিকারে যাবার অভিজ্ঞতা নেই। তাই আপনাকে আমি আমন্ত্রন জানিচ্ছি। কদিনের মধ্যেই আমি শিকারে যাবার পরিকল্পনা করেছি । আমাদের এখানে অনেক বাঘ আছে, তাই আপনাকে নিয়ে বাঘ শিকারে জেতে চাই। আপনার লেখাও উন্নত হবে, আমিও ভাল সঙ্গী পাব।

ইতি মৃত্যুঞ্জয় সিংহরায়’

এ ছিল আমার কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতন। দুদিনের মাথাতেই আমাকে দেখা গেল কাঞ্চনডাঙার রেলস্টেশনে। আমাকে রিসিভ করতে পাঠানো হয়েছিল জমিদার সাহেবের ব্যক্তিগত গাড়িটা । ঘন্টাখানেক পাহাড় আর বন বাদারের মধ্যে দিয়ে চলার পর জমিদার বাড়িতে এসে পৌঁছলাম। গাড়ি থেকে নামতেই এক লোক এসে মালপত্র নিয়ে গেল। আরেকজন আমাকে নিয়ে গেল হলঘরে। জমিদার সাহেব আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন । আমাকে দেখেই দাঁড়িয়ে গেলেন, আর সাদর সম্ভাষন জানালেন তিনি। কিন্তু তার মাঝে কোথায় যেন একটু কমতি লাগলো আমার কাছে।

আর আসল কথা তো বলাই হয়নি। জমিদার সাহেবের বয়স খুব বেশি হলে ২৫ হবে । বাবার মৃত্যুর পর জমিদারী হাতে পান, তা তখন প্রায় ৩ বছর হল । আর শরীরের যে গড়ন, আমি বুঝলাম, ইনাকে দিয়েই বাঘ শিকার সম্ভব।

“তা আসার সময় কোন কষ্ট হয়নি তো ?”
“না, মোটেই না, বরং ট্রেনের ক্লান্তিটা আপনার গাড়িতে ঘুমিয়ে কাটিয়ে নিয়েছি।”

“তাহলে খাওয়া দাওয়া হয়ে যাক ? তারপর আপনাকে নিয়ে রিসোর্ট টা দেখাতে বেরিয়ে পড়ব ভাবছি। ”
“আর বাঘ ?”
“হবে হবে, মাত্র তো এলেন।”
ঐদিন দুপুরের খাবারে থাকা হরিণের মাংসের স্বাদ আমার মুখে আজও লেগে আছে । ঐদিন পুরো বিকালটা জমিদার বাবুর সাথে ঘুরে কাটালাম। উনি বিলেত থেকে পড়াশুনা করে এসেছেন। আর সাহিত্য পড়তে অনেক ভাল লাগে। বইএর প্রতি আলাদা ভালবাসা আছে বলে উনার সাথে আমার সম্পর্কটা ঘনিষ্ঠ হতে খুব সময় লাগলো না। রাতের খাবারের পর উনার লাইব্রেরিতে নিয়ে গেলেন। বইয়ের সংগ্রহ দেখে আমার তো মাথায় হাত। বলেই বসলাম,
“দেখুন, আপনার কিছু হয়ে গেলে, বা জমিদারী ছেড়ে দিলে, আমাকে বইগুলো দিয়ে যাবেন”
এমন কথা তিনি মনে হয় আর কখনো শুনেন নি। ২ সেকেন্ড চুপ করে থেকে হো হো করে হেসে উঠলেন। পরদিন সকালে উঠে জমিদার সাহেব কে পেলাম না। তিনি আমার আগেই উঠে ভ্রমনে বেড়িয়ে গেছেন । তাই ঐ দিনটার বেশির ভাগই আমার কাটল লাইব্রেরিতে । বিকেলে তিনি ফিরে এলেন ।
“আজ রাতে বাঘ শিকার।”
পেছন থেকে কথাটা আসাতে আমি আতকে উঠে হাতের চাএর কাপটা প্রায় ফেলেই দিচ্ছিলাম।
“আপনার পরীক্ষা নিলাম মশাই, আত্মা আরো বড় করতে হবে, এতটুকুতেই আতকে উথলে বাঘের ডাক শুনে তো ভিরমি খাবেন ।”
বলেই হেসে উঠলেন ।
“তা মশাই ওটা সারাবার জন্যই তো এলাম। আপনি যদি সারাতে না পারেন, তাহলে আপনাকে ডাক্তার হিসেবে খুব একটা ভালো বলতে পারবোনা কিন্তু।”
আমি এ ছাড়া আর কিছু বলার জন্য খুজে পেলাম না।

সন্ধ্যায় আমি আর জমিদার সাহেব বনের ভেতর উনার করে রাখা মাচাটাতে পৌঁছলাম ।
রাত নামলো, গভীর হতে লাগলো। অনেকটা দূরে একটা ছাগলের আওয়াজ শুনা গেল।
“এই বাঘের তল্লাটে ছাগল কি করছে বলুন তো ?”
“আরে ওটা আমার পেতে রাখা টোপ। নইলে বাঘ কি আর এদিকে এমনি তে আসবে ?”
মাঝরাতের দিকে বাতাসে এক বিশ্রী বোটকা গন্ধ পাওয়ার সাথে সাথে সচকিত হয়ে উঠলেন মৃত্যুঞ্জয় বাবু।
“এটা বাঘের গায়ের গন্ধ ।” দূর থেকে ঐ হলুদ রঙের ঝলক আমার চোখে পড়ল। আর ছাগলটার কান্না । এক সময় আওয়াজটা থেমে গেল।
“খাচ্ছে।” বললেন তিনি।
তিনি বন্দুক তুলে নিশানা করলেন সময় নিয়ে। বুমমম।
বিকট আওয়াজ তুলে বুলেটটাকে ছুঁড়ে দিল বন্ধুকটা । একটা চিৎকার । ঐ রাতের পর, মানে সকালে বেলা ঐ জায়গাটাতে গেলাম আমরা। একটা বাগ মরে পড়ে আছে।

“অহ এই ব্যপার ।”
“কি ব্যপার ?”
“বাঘেরা শিকার করে ঐ জায়গায় বসে খায় না। টেনে অন্য জায়গায় নিয়ে গিএ খায়। কিন্তু কাল বাঘটা তার বাচ্চা নিয়ে বেড়িয়েছিল । বাচ্চাটাকে শিকার শিখানোর জন্য। তাই এখানে বসেই খাওয়া শুরু করেছিল। আর আমার গুলিতে তাই বাচ্চাটা মরেছে । মা টা পালিএ গেছে। বাচ্চাটা বেশি আওয়াজ করছিল, তাই আমি এটার অবস্থান লক্ষ্য করেই গুলি করেছিলাম।”
“সে কি?? আওয়াজ করছিল ?? আমি তো কিছুই শুনিনি ??”
“মশাই, আপনি হলেন লেখক, আর আমি শিকারি”
“হুম, বুঝলাম।”
বাড়িতে ফিরলাম বেলা ১০ টার দিকে, খাওয়া দাওয়া সেরে বিশ্রাম। বিকেলে ঘুরতে বেরলাম। ঘুরতে ঘুরতে এক বাড়ির কাছে এসে আমাকে দাঁড়াতে বলে তিনি ভেতরে গেলেন। কিছুখন পর বেরিয়ে এলেন,

আমি বললাম, “কি হল ??”
“বেচারা গরীব, তাই কিছু সাহায্যের ব্যবস্থা করে আসলাম । আর আজ রাতে কিন্তু আবার বেরোব। ”
“মানে কি ??”
“মা টাকে মারতে হবে না? নইলে তো আবার লোকালয়ে এসে ঝামেলা পাকাবে ।”

সন্ধ্যার দিকে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। আমরা তার খানিক বাদেই বেরোলাম, পৌঁছলাম আরেকটা মাচায়।
“এই মাচাটাকে পুরানো মনে হচ্ছে? শ্যাওলা পড়ে আছে ।”
“এটা আমার বাবা বানিয়েছিলেন , এখানে বসে তিনি প্রায় ২৫ টা বাঘ শিকার করেছেন ।”
“তাই নাকি ? টা আজকের টোপটার আওয়াজ শুনছি না যে?”
একটু চমকে গেলেন মনে হল।
“ঘুমিয়ে আছে বোধ হয়। তাছাড়া আজকের টোপটা একটু দূরে পেতেছি ।”
আর কোন কথা না বলে তিনি বন্দুক নিয়ে মাপঝোকের কাজেই লেগে গেলেন। কান পেতে বাতাসের আওয়াজ শুনলেন, গন্ধ নিলেন, পুরাপুরি প্রস্তুত।

আজকেও মাঝ রাত্তিরের দিকে ঐ গন্ধ পাওয়া গেল। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিলো, তা বেশ দূরে । আজকে কেন যেন, তিনি আর দেরি করতে চাচ্ছিলেন না, গন্ধটা পাওয়া মাত্রই বন্দুকটা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি বন্দুকে নিশানা ঠিক করছেন, আর আমি গতকালের মতন ঐ হলুদের ঝলক দেখার আশায় উকি ঝুঁকি মারতে লাগ্লাম।
কিন্তু ঐ মাচাটা যে পিচ্ছিল ছিল, তা আর আমার মনে ছিল না। একটু বেশি সামনে জেতেই পিছলে পড়ে যাবার যোগাড়। পড়েও গেলাম। কিন্তু একটা শক্ত হাত এসে আমাকে ধরে ফেলল। ঠিক সেই সময়েই একটা কান্না শোনা গেল, কিন্তু একি? আজকের কান্নাটা ছাগলের না, অনেকটা মানুষের বাচ্চার মতন লাগছে।

মরিয়া একটা ভাব দেখা গেল জমিদার সাহেবের চোখে মুখে। আমাকে বাম হাতে ধরেছিলেন তিনি। আর ডান হাতে ঐ ভারী বন্দুকটা নিয়ে গুলি ছুঁড়লেন, বিকট একটা আওয়াজ শোনা গেল, বন্দুকের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৃত্যুঞ্জয় বাবু পেছনে ছিটকে পরে গেলেন মাচাটার আরেক কোনায় । আর তারই টানে এক ঝটকায় আমিও উঠে পড়লাম মাচার উপর, মাচার কোনায় থাকা গাছটার সাথে মাথা ঠুকে গিয়েছিল জমিদার সাহেবের। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে লাগলো। তবুও তিনি কোন রকমে উঠে দাঁড়ালেন, আজকে আর সকালের অপেক্ষা না করে দউড় দিলেন বাঘটা যেদিকে এসেছিল ঐদিকে।
আমিও অনুসরন করলাম তাকে। গিয়ে যা দেখলাম তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

প্রকান্ড একটা বাঘ মরে পড়ে আছে। কিন্তু তার থেকে আশ্চর্যের যে জিনিস যা দেখলাম, তা হল, মৃত বাঘটির পাশে পড়ে আছে ৭-৮ মাস বয়সের এক মানব শিশু।

যা বোঝার তা বুঝে নিলাম, মৃত্যুঞ্জয় সিংহরায় আজ তার টোপ হিসেবে মানব শিশু ব্যবহার করেছেন। তার পরিপুর্ন ক্ষমতা দেখাবার জন্য।

মাচাটাও করেছেন টোপ থেকে অনেক দূরে। কিন্তু তাই বলে মানব শিশুর টোপ ??

“এটা কি ?”
“আজ বিকেলে যে লোকের ঘরে গেছিলাম, তার ছেলে। বেচারার অনেক বাচ্চা কাচ্চা। এতোগুলোর সংসার নিজে চালাতে পারে না । তাই কিছু টাকা দিয়ে ........................”

আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে শরীরের যতটুকু শক্তি ছিল, তার সবটা দিয়ে ঘুষি মারলাম উনার মুখে । আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে ঐ জায়গা থেকে সরাসরি চলে গেলাম রেলস্টেশনে। রাতের কোন গাড়ি ছিল না। সারা রাত বসে থেকে সকালের ট্রেনে বাড়িতে ফিরলাম। কদিনের মাথায় আমার ফেলে আসা জিনিসপত্র গুলো পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

অনেক্ষন ধরে নিবিষ্ট মনে শুনলো হাফিয। তারপর বলল,

“ওটা কি ঐ বাঘের চামড়ার জুতো ছিল ?”
“হ্যাঁ।”
“কোথায় ওগুলো ?”
“ঐ বাক্সে।”

“আমি নিয়ে গেলাম।” বলল হাফিয।
“কোথায় ?”
একটা অমায়িক হাসি দিয়ে বলল,

“ওগুলো ফেরত পাঠাতে হবে না ?? ”

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

ডরোথী সুমী বলেছেন: দারুণ লাগলো। যদিও একটু বড় হয়ে গেছে। ভাল থাকুন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন গল্পটা। +
বাঘের টোপ হিসেবে ছাগশিশুর বদলে মানব শিশু, ভাবতেও গা টা শিউরে উঠে!
হাফিযের শেষ কথাটা গল্পে একটা অনন্য মাত্রা যোগ করেছে।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২৮

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। তখনও ইন্টারনেটে সব পেতাম না। তাই নিজের ভালোলাগা গল্পটাকে নিজের মতন করেই লিখার চেষ্টা করেছিলাম।

পরে অবশ্য আসল লেখাটা খুঁজে পেয়েছিলাম। নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের , একই নামে লেখা, "টোপ"

https://www.chintasutra.com/2016/09/টোপ-॥-নারায়ণ-গঙ্গোপাধ্যা/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.