![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“দুনিয়ার সবকিছুর ভান্ডার এবং রক্ষক হল আমাদের স্মৃতি”- আমার কথা নয়, রোমান দার্শনিক সিসেরোর বাণী এটা, যা গ্রন্থিত রয়েছে তাঁর “দ্যা ওরাটোরে” রচনায়। সেই প্রাচীন সময়ে স্মৃতিশক্তির প্রয়োজনীয়তা ছিল বটে, কিন্তু বর্তমানকালে তার প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমাদের মনোযোগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। একটার বেশি কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিশক্তির বারোটা বেজে যাচ্ছে। আর শুধু একজন-দুইজনের না, আমাদের সবার স্মৃতিশক্তিই খারাপ হয়ে যাচ্ছে একসাথে!
জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের তুলনায় আশি বা নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া ১৮-৩৮ বছর বয়সীদের মাঝে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশ প্রবল। আজ সপ্তাহের কি বার, তাদের চাবি কোথায় রাখা হয়েছে, দুপুরের খাবার খাওয়া এমনকি গোসল করতে ভুলে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় এদের মাঝে! এটা সত্যি যে যেকোনো বয়সে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া শুরু হতে পারে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আমাদের জীবনে। ছোটবেলায় সংক্ষেপে পড়া মনে রাখার জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করতাম আমরা, যেমন “বেনীআসহকলা”, কিন্তু এই কৌশলগুলো শুধু ছেলেবেলায় ফেলে আসার জন্য নয় বরং প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্যেও এগুলো বেশ কার্যকরী। জেনে নিন এক্ষেত্রে কি কি কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে!
মনশ্চক্ষুর ব্যবহার করুন
আপনার মনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুর ছবি মনে রাখার চেষ্টা করুন। তথ্য হিসেবে মনে না রেখে এসবের ছবি কল্পনা করে নিন। ৬৫ শতাংশ মানুষ অবচেতনভাবেই এই কাজটি করে থাকে কিন্তু সচেতনভাবে এই কৌশল ব্যবহার করলে আপনার স্মৃতি আরও প্রখর হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি চারটার সময়ে একটা মিটিং থাকে তাহলে তার সাথে মনে রাখুন আপনার পছন্দের চার-সদস্যের কোনও মিউজিক ব্যান্ডের ছবি! এখন শুনতে শিশুতোষ মনে হলেও এটা ঠিকই কাজে আসবে।
মস্তিষ্কের চর্চা করুন
সুডোকু বা ক্রসওয়ার্ড জাতীয় খেলা ব্যবহার করে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখুন সব সময়। গবেষকদের তৈরি করা “লুমিনোসিটি” নামের কিছু খেলা আছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারিরা। এগুলো মস্তিষ্কের ওপর ঠিক কিভাবে কাজ করে তা জানা না থাকলেও দেখা গেছে, ১০ ঘণ্টা ব্যবহারে এগুলো ব্যবহারকারীর স্মৃতিশক্তি ৯৭ শতাংশ উন্নতি করতে পারে। সিসেরোর পদ্ধতি ব্যবহার করুন
এই পদ্ধতির আরেকটি নাম হল মেমোরি প্যালেস। দারশনিক সিসেরো দ্যা ওরাটোরে রচনায় এর উল্লেখ করেন এবং রোমানদের মাঝে এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল। এ পদ্ধতিটি হল এই রকম- চিন্তা করুন আপনি আপনার পরিচিত এবং মুখস্থ একটি জায়গার ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সেটা হতে পারে আপনার অতি পরিচিত বেডরুম। কোনও একটি বিষয় (কোনও মুখ, সংখ্যা বা তথ্য) মনে রাখতে চাইলে মনে মনে আপনার বেডরুমের কথা চিন্তা করুন এবং যে কোনও একটি স্থানে ওই বিষয়টিকে স্থাপন করুন। এরপর যখন আবার সেটা মনে করার দরকার হবে তখন আবারও আপনার বেডরুমের কথা মনে করুন এবং সেই বিষয়টিকে কোথায় স্থাপন করেছিলেন সেটা ভাবুন। প্রথম প্রথম হয়ত এই পদ্ধতি ব্যবহারে কোনও কিছু মনে রাখা কঠিন হবে কিন্তু একবার অভ্যাস হয়ে গেলে এর ব্যবহারে আশ্চর্য উন্নতি হবে আপনার স্মৃতিশক্তির।
বেকার-বেকার পদ্ধতির ব্যবহার
এটা হল একটা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা যেখানে দুই দল মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়। তাদের এক দলকে একটি মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয় তিনি পেশায় একজন বেকার (রুটি-প্রস্তুতকারক)। ওপর দলকে একই মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয় তার নাম বেকার। পরবর্তীতে আবার যখন তাদেরকে এই ছবি দেখান হয়, তখন প্রথম দলের মানুষরা মনে করতে পারেন ওই ব্যক্তির পেশা। কিন্তু যাদেরকে বলা হয়েছিল ওই ব্যক্তির নাম বেকার, তারা তুলনামুলকভাবে কম মনে রাখতে পেরেছেন। এর কারণ কি? এর কারণ হল, পেশা যখন বেকার, তা জানার পর পরই মস্তিষ্কে ওই পেশার সাথে জড়িত ছবি (রুটি তৈরি, রান্নাঘর, অ্যাপ্রন) এসে পড়ে এবং ওই তথ্যের সাথে ছবি থাকায় তা পুনরায় মনে করা সহজ হয়। এই পদ্ধতিতে আপনিও কোনও তথ্য মনে রাখতে হলে তার ব্যাপারে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু ছবি মনে করতে পারেন। ফলে এগুলো স্মৃতিতে থাকবে ভালোভাবে। ছোট একটা ঘুম দিন
আমরা মনে করি ঘুমালে হয়তো কিছুটা কাজের ক্ষতি হয়। কিন্তু মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন তাকে বিশ্রাম না দিলেই বরং স্মৃতিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কাজের ক্ষতি হবে। NASA তাদের এক গবেষণায় দেখে যারা বিকেলে একটু বেশি সময় এভাবে ঘুমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিচ্ছেন তাদের স্মৃতি ভালো থাকে। ২০০৮ সালে fMRI ব্যবহার করে আরেক গবেষণায় জানা যায়, যারা বিকেলের দিকে একটু ঘুমিয়ে নেন তাদের চাইতে যারা সারদিন টানা কাজ করেন তাদের ভুলে যাবার প্রবণতা বেশি হয়।
মনোযোগ দিন
কোনও বিষয় মনে রাখতে হলে তার প্রতি মনোযোগ দিতেই হবে। অথচ এখন আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় এতসব উপায়ে যে এই সাধারন কাজটা করতেই আমাদের কষ্ট হয়ে যায়। মনোযোগ না থাকলে একটু একটু করে আমাদের স্মৃতিশক্তি খারাপ হয়েই যাবে অনিবার্যভাবে তাই কনকিছু মনে রাখতে চাইলে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে চেষ্টা করুন।
“আমাদের ভুলে যাওয়ার প্রবনতাই বলে দেয় আমরা কত ব্যস্ত,” বলেন জেল্ডি এস. ট্যান। Beth Israel Deaconess Medical Center এর মেমোরি ডিজঅর্ডার ক্লিনিকের এই ডিরেক্টর রিডারস ডাইজেস্টকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই কথা। “আমরা যখন মনোযোগ দিচ্ছিনা তখন আমাদের গড়ে তোলা স্মৃতি খুব একটা শক্ত হচ্ছে না এবং পরে তা মনে করতে গিয়েও আমাদের সমস্যা হচ্ছে”।
ধ্যান করুন
অনেক বেশি তথ্যের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে আছে আপনার মন? প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারেন এই সমস্যা। GRE পরীক্ষার্থীদের ওপরে পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ধ্যানের মাধ্যমে তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। ২০১২ সালে MIT এর গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্কে এমন একটি সার্কিট আবিষ্কার করেন যার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি সংরক্ষণ সম্ভব হয়। আর যখন মনোযোগ ভাল থাকে তখনই এই সার্কিট সর্বোত্তম ফলাফল দেয়।
সূত্রঃ http://www.deshebideshe.com
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
গাড়িয়াল ভাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
শায়মা বলেছেন: আমার স্মৃতিশক্তি এমনিতে বেশ ভালো! কোন কথা, ফোন নাম্বার বা মানুষের নাম, জায়গা আমি সহজে ভুলিনা! তবে আমি একবার প্রচন্ড রেগে যাবার কিছু মুহুর্তের মধ্যে একজন সুপরিচিত মানুষকে আমার চোখের সামনে দেখেও চিনতে পারছিলামনা কয়েক সেকেন্ড! এই ঘটনা আমার লাইফে আরও দুইবার ঘটেছে!
কি ভীষন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ভাবতে গেলেও আমার ভয় লাগে!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
গাড়িয়াল ভাই বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভাল লাগল,ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২
আলাপচারী বলেছেন: ভীষণ দরকারী রে ভাই। হ্যা, কি যেন বলছিলাম? ও হ্যা, ভীষণ ঝাল তরকারী। - এই হোল আমার অবস্থা।
দেখি উদ্ধার পাই কিনা।
লেখার জন্য কিন্তু কোরবানীর গরুর তরকারী খাওয়াবো। বাড়ীতে দাওয়াত।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৭
গাড়িয়াল ভাই বলেছেন: দাওয়াত দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি উপকারি পোষ্টের জন্য।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৭
গাড়িয়াল ভাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমার স্মৃতিশক্তি অনেক ভাল
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
গাড়িয়াল ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার স্মৃতিশক্তি মিশ্র। অনেক কিছু দারুণ মনে থাকে। আবার অনেক কিছু ভুলে যাই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
গাড়িয়াল ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাল থাকুন।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
এম ই জাভেদ বলেছেন: ইদানিং অনেক কিছু মনে থাকেনা আমার।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার কাজে লাগবে। আমি প্রায়ই বাসা থেকে বের হবার পর দেখি মোবাইল, ঘরি, ব্যাগ, মানিব্যাগ এরকম টুকটাক জিনিষ নিতে ভুলে যাই। এছারা ছাতা হারানো একটা বিশাল সমস্যা।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস একটা শেয়ার
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
জুন বলেছেন: আমার একসময়ের প্রখর স্মৃতি শক্তি মনে হয় কিছুটা কমে আসছে
আপনার টিপসগুলো কাজে লাগবে ।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ...... চমৎকার পোস্ট!!!
পিলাচ.......
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
অবিনাশী অন্ধকার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য!
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। ভাল লাগল।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: আমার স্মৃতি শক্তি এক সময় অনেক প্রখর ছিল। আমার স্কুল, কলেজের টিচার'রা অনেক প্রশংসা করতো। কিন্তু কিভাবে যেন পচা হয়ে গেসে! মেডিটেশনের পদ্ধতিটা অনেক পছন্দ হল।
শুভেচ্ছা জানবেন,
ঈদ মোবারক।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৫
রইসউদ্দিন গায়েন বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য!