নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সজীব

unlucky

সামসজীব

unlucky person

সামসজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবেসে কাউকে ভালোবাসতে নেই!!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৯

অজয়ের উওেজনায় হাত পা কাঁপছে।যেই মেয়েকে দেখছে সেই মেয়েকে ভালো লাগছে।বার বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হচ্ছে।একের পর এক মেয়ে পছন্দ করে যাচ্ছে।এত মেয়ের ভীড়ে কার সাথে প্রেম করবে বুঝে উঠতে পারছে না।অজয় নিজের মনকে বুঝ দিচ্ছে সারা জীবনের জন্য সঙ্গী খুঁজতে একটু সময় দিতে হবে।ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখছে।

তুমি কি আমাকে খুঁজছ?



অজয় পিছনে ঘুরে দেখে মেয়েটি তাকে প্রশ্নটি করেছে।আমি তোমাকে খুঁজব কেন?আমি জানি তুমি প্রেম করার জন্য সঙ্গী খুঁজছ?এমন প্রশ্নে অজয় অবাক হয়েছে মেয়েটি বুঝতে দিবে না।আমি মেয়েদের খুঁজি না।মেয়েরা আমাকে খুঁজে।আমার মত হ্যান্ডসাম ছেলে কোথায় পাবে।



মেয়েরা আমার জন্য পাগল।এখন তুমি প্রেম করার জন্য আমার পিছু নিয়েছ।তোমার মত ক্ষ্যাতের সাথে কোন মেয়ে প্রেম করবে না।আমি যদি ক্ষ্যাত হই তুমি পেতনি।তোমার মত ড্যাম স্মার্ট ক্ষ্যাতের সাথে উচিত হয়নি এই বলে মেয়েটি(অপরাজিতা)চলে যায়।



বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটি দুজনের খারাপ কাটল।অপরাজিতা মেয়েটি স্বভাব ছিল এমনই।হঠ্যৎ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে অবাক করে দেয়া।আজ প্রথম বারের মত ব্যর্থ হল।



কিছু দিনের মধ্যে অপরাজিতা ও অজয় ভালো বন্ধু হয়ে যায়।বন্ধু থেকে প্রেমিক যুগল।দুরন্ত কিশোরের মত তাদের পদযাত্রা ।কখনো অভিমান কখনো কান্না কখনো হাসির শব্দ বাতাস পৌছে দিত ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে।দুজনের দিনগুলো ভাল কাটছিল।

দিনটি ১৪ই ফেব্রুয়ারি।অজয় ১১৪টা গোলাপ কিনেছে।অপরাজিতাকে চমকে দেয়ার জন্য।



হ্যালো অজয় তুমি কোথায়?কেন?দ্রুত হাসপাতালে আস।কি হইছে?অপরাজিতার অবস্থা খুব খারাপ।

গত বছর অপরাজিতার ক্যান্সার ধরে পড়ে।কত দিন বাঁচবে ডাক্তাররা সময় বেঁধে দিয়ে ছিল।সেই সময় শেষ হতে দুই দিন বাকি আছে।এই নির্মম সত্যটি শুনতে হল ফিমার কাছ থেকে।অপরাজিতাকে I C U রুমে রাখা হয়েছে।অজয় ডাক্তাতারদের অনুরোধ করেও অপরাজিতাকে দেখতে পেল না।



অজয়ের দু চোখে অশ্রু ধারা।প্রতিটি অশ্রু বিন্দু সাক্ষী দিচ্ছে প্রেমহীন জীবনের যাএা শুরু।পর্দা কাঁপান সিনেমার শেষ দৃশ্যের মুগ্ধ দর্শক অজয়।কিংবা বড় বড় করে স্কিনে লেখা উঠবে না এই গল্পের চরিএ স্থান বিষয় বস্তু পুরোটা কাল্পনিক।কারো সাথে মিলে গেলে তা কাকতালিয় ঘটনা।



কিছু ক্ষণ পর কান্নার শব্দে হাসপাতাল ভারি হয়ে উঠল।হাউ মাউ কান্না বা শত প্রার্থনা ধরে রাখতে পাড়েনি অপরাজিতাকে।ধরে রাখতে পাড়েনি এক টুকরো শাশ্বত প্রেমের আবেদন।



ভালোবেসে কাউকে ভালোবাসতে নেই।ভালোবাসতে নেই পৃথীবিকে।না হলে জীবনের খুব কাছ থেকে দেখতে হবে অপরাজিতা নামের ব্যর্থ নামকরন।অজয়ের জীবনে পরাজয়ের গল্প।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.