নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের কন্ঠস্বর

শুধু আওয়াজ নয়, চিৎকার চাই....

সময়ের কন্ঠস্বর

বর্তমান সময়ের কন্ঠস্বর

সময়ের কন্ঠস্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইন জুড়ে ধর্ষন আর ধর্মান্তরকরনের খবরে তোলপাড়...

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০২

যারা এখনো মুখ দিয়ে সমানে মেয়েদের বেপর্দা থাকাকে ধর্ষনের পরোক্ষ কারন বলে দাবি করতেছেন, তাদেরকে দূর্বা জাহানের একটা স্টেটাসের কিছু অংশ ডেডিকেট করলামঃ



"তোমার কয়েকইঞ্চি যন্ত্রের কোন দোষ নাই?সব দোষ আমার উচুনিচু শরীরের?

যেসব ছেলেরা দেখেনা তারা দেখেনা ভদ্রই থাকে, দৃষ্টিতে শ্রদ্ধা থাকে আর যারা দেখে তারা ঘরের মা বোইনের সাইজ চিন্তা কইরাও হাত মারে ।

আমি কালকে সন্ধ্যায় যখন আড্ডা দিয়া ফিরছি বাসে আমারে রেইপ কইরা ফালায় রাখলে সবাই মনেহয় এইটাই কইতো দূর্বা শরীর দেখায় বেড়াইসে বলে রেইপ হইছে । যে মেয়েটা আজকে মারা গেছে কেউ তার প্রিয়মানুষরে ঐখানে চিন্তা কইরা দেইখেন । ডঃ সাজিয়া কিন্তু পর্দা করতো, তবুও তাকে রেপ করে মেরে ফেলছিল ।



সুশীলদের কথা ছাড়ান দিলাম ।



সমস্যা আমার শরীরে না সমস্যা তোমার দৃষ্টিভঙ্গিতে!”



এই ধরনের ঘটনা গুলো ঘটে, কিছু দিনের জন্য সামান্য তোলপাড় হয় তারপর আবার আমরা সব ভুলে গিয়ে অবচেতন মনে আরেকটা ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। ধর্ষনের শক্ত শাস্তি, বিচার নিয়ে রাজপথে কখনোই কোন বড় ধরনের আন্দোলন হয় না, প্রতিবাদ হয় না, ধর্ষনের ঘটনা গুলো যেন একটা ট্যাবু' এটাকে যতটা চেপে যাওয়া যায় ততই ভালো।

বাংলাদেশে এত এত নারী সংগঠন, মহিলা পরিষদ ইত্যাদি ইত্যাদি সেই সব সংগঠনের জ্বালাময়ী নারী নেত্রীরাও শুধু 'নারীর প্রতি সংহিসতা রোধ' নামের গোলটেবিল বৈঠক করেই কাজ শেষ করে, ধর্ষন নামের এই জঘন্য অপরাধের যে পর্যাপ্ত শাস্তির বিধান নেই দেশে সেই বিষয়ে তাদের তেমন কোন আগ্রহ নেই।



এই ভাবে আর কতদিন চলবে? কতদিন আমাদের বাচ্চারা, বোনেরা স্কুলে পড়তে গিয়ে,রাত শেষে কাজ করে বাসায় ফিরতে গিয়ে এই ধর্ষনের শিকার হবে? কতদিন তাকেই প্রমান করতে হবে যে সে ধর্ষিতা? এটা কেমন বিধান, কেমন বিচার?

অতি সুশীল কেউ কেউ আবার বলে এইসব ঘটনা এভাবে স্টেটাস দিয়ে শেয়ার দিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে আরো অপদস্থ হতে হচ্ছে। একজন তো বলেই বসলেন, সে যদি আমার পরিবারের কেউ হত, অতি সমবেদনা মুলক স্টাটাস কমেন্ট দিয়ে সারা বাংলাদেশকে জানানোর পর আমার পরিবারের আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকতো কি?" অপরাধী আর তার পরিবার সমাজে বুক ফুলায়া ঘুরবো আর ভিকটিম তার পরিবার সহ সুইসাইড খাইবো? কি চমতকার নীতি! এই নীতির কারনেই তো শতকরা ৮০% রেপের খবর কেউ জানতে পারে না। পরিবার থেকে চেপে যায় মান সম্মানের ভয়ে, সমাজের জুজুর ভয় দেখায়া চাপায়া রাখা হয় ঘটনাটা। এইসব প্রাচীন ধ্যান ধারনা ছাড়েন ভাই। এমন একটা সমাজের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে ধর্ষকের পরিবারকে সামাজিক বয়কট করা হবে, কেউ সেই ধর্ষকের সাপোর্ট দিবে না।



আমরা বাঁচতে চাই নামক ইভেন্টের ব্যানারে মানববন্ধন করেছিলাম আমরা সংসদ ভবনের সামনে, ধর্ষকের ফাঁসী চাই এই শ্লোগান নিয়ে। সব মিলিয়ে ২০০ লোকও হয়নি। তারপরেও দাঁড়িয়ে ছিলাম দিনভর। পুলিশ খেদিয়ে দিয়েছে, একটু সরে গিয়ে আবার দাঁড়িয়েছি। অনলাইনের পরিচিত মুখেরা অনেকেই ছিলেন, আবার অনেকেই ব্যাক্তিগত রেষারেষি থেকে বের হতে না পারায় আসেন নি। যাইহোক, যেটা বলতে চাচ্ছিলাম, ইভেন্ট খোলাটাই বড় কথা না, বড় হল সচেতনতা। মানুষ যখন ধর্ষক আর ধর্ষিতার মানবিক পরিচয় ভুলে গিয়ে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, তখন আসলে সঠিক বিচার আশা করা অনুচিত।

মাননীয় আদালত আপনাদের ধর্ষন সংক্রান্ত বিচারের এই প্রহসন আমি মানি না। জানি আমার কোন ক্ষমতা নেই, আমি শুধু বলতেই পারি, আমি তাই বলেই যাবো.......ধর্ষন এক ধরনের হত্যা, মানুষের মনকে হত্যা, তার শরীরকে হত্যা। আমদের দেশের হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যেহেতু মৃত্যুদন্ড তাই আমি সেই সর্বোচ্চ শাস্তিটাই চাই ধর্ষকের।

ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে এই প্রমান দেবে ধর্ষিতা; এই বর্বর নিয়মের অবসান চাই........ধর্ষকই প্রামাণ করবে সে ধর্ষন করে নাই.......

ধর্ষিতা বা ধর্ষণের চিত্র নয় ! ....এবার ধর্ষকের বর্ণনা চাই ...চাই চাক্ষুষ সর্বোচ্চ শাস্তি ...চাই ধর্ষকের সবধরনের তথ্যের পূর্ণ বিবরণ ....



আমাদের বোঝা উচিত ধর্ষকের ধর্ম নেই, কোন গোত্র নেই.....সে কোন মানুষ্য প্রজাতির মধ্যে পরে না। এই প্রজাতির ধ্বংস চাই আমি........

ওর জন্যে মানবতা শব্দটা প্রযোজ্য নয়, ও একটা নরাধম পশু। জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরকে যেভাবে মেরে ফেলা হয় দয়ামায়া উপেক্ষা করে, তেমনিভাবে ধর্ষকের ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে বিচার করা উচিত। আর এটা যে শুধু আদালতেই করতে হবে, তা নয়। সামাজিকভাবে ধর্ষকের উদ্দেশ্যে নিরঙ্কুশ ঘৃনা ছড়িয়ে দিতে হবে। কোন ধর্ষক যেন পরিবার, সমাজ, রাজনৈতিক দল বা যে সংগঠনই হোক না কেন, সেখানে আত্মগোপনের সুযোগ খুজে না পায়।....

শুধুমাত্র একটা ধর্ষককেই ঝুলাতে পারলেই হবে ,আমি পরখ করে বলতে পারি আমাদের দেশে ধর্ষণ ৮৫ % কমে যাবে....আর এই যে আমাদের সম্মলিত পদক্ষেপ সবার ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে এখন.. তাই এই সময়টায় মধ্যেই এই ধর্ষককে একটা শাস্তি দিয়ে একটা প্রচলন শুরু করার পারফেক্ট সময়...

.সবাইকে বলব যার যার জায়গা থকে ধর্ম বর্ণ বিবেধ ভূলে গর্জে উঠুন....কোনো মেয়ে যেন ভুলেও আর বুঝে না এ দেশে মেয়ে হয়ে জন্ম হওয়া পাপ!!!!!বার বার আর যেন আমাদের দেশের মা বোনদের প্রতি অবজ্ঞার অপমানের চোখে দেখার সাহস না পায় কোনো কাপুরুষ .....



জানি না এই ইভেন্টটা কতদূর সামনে যাবে। তবে আশা করি এই ইভেন্টের জন্য হলেও আমাদের মাঝে কিছুটা সচেতনতা বাড়বে।



শেয়ার করুন। ছড়িয়ে দিন। আওয়াজ তুলুন। এখানে কোন লীগ বিএনপি নাস্তিক আস্তিক নেই। আছে ধর্ষনের স্বীকার কিছু শিশু আর তাদের আর্তনাদ।



শেয়ার করুন-



ইভেন্ট লিংক: Click This Link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

শুভ জািহদ বলেছেন: আপনি কি আজ ধর্ষিত হয়েছেন? =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৭

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: হ্যাঁ, আমার মা-বোন যখন পথে-ঘাটে ধর্ষিত হয় তখন আমার নিজেকেও ধর্ষিত মনে হয়। আর তাই ধর্ষনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যখন অংশ নেয় বিবেকবান মানুষেরা, আমি তখন তাদের সাথে সঙ্ঘতি জানিয়ে পোস্ট দেই।

দেশে যত ছাগু আছে তারা যদি খাসীকরনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে, তখন আপনি খাসীকরনের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েন, আমি সেই পোস্টে মন্তব্য করতে যাবো না, "আপনি কি আজ খাসী হয়েছেন?"

২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৮

সেফানুয়েল বলেছেন: @ শুভ জাহিদ-> ভাই আপনি কি আজ কোন পুরুষ কর্তৃক ধর্ষনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন? যদি উত্তর না হয় তাহলে ধর্ষিত হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করতে চেষ্টা করুন। তার পর কমেন্টসে আসুন। দুঃখিত...

কারও সেন্টিমেন্ট নিয়ে কখনও মজা করতে নেই। তাতে আপনার ভিতরের বিকৃত মানসিকতার প্রকাশ ঘটে।

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১০

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: বিকৃত মানসিকতা কি আর ঢেকে রাখা যায়! এরাই হল সেসব মানুষ যারা কিনা পথে-ঘাটে প্রতিনিয়ত আমাদের মা-বোনেদের চোখ-কান-মুখ দিয়ে ধর্ষণ করে।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪০

নাম বলবো না বলেছেন: ১ নাম্বার কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে সামুতে মানুষের সাথে সাথে শুয়রের বাচ্চাও ব্লগিং করে, হতাশ না হয়ে পারছিনা।

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: এরাই হল সেসব মানুষ যারা কিনা পথে-ঘাটে প্রতিনিয়ত আমাদের মা-বোনেদের চোখ-কান-মুখ দিয়ে ধর্ষণ করে।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

রাজীব দে সরকার বলেছেন: @লেখক, ভাই মনের মতো একটা লেখা
অনেক অনেক ধন্যবাদ

@শুভ জাহিদ, মাথা ঠিক আছে তো?

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৯

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা থাকল।

শুভ জাহিদ এর মাথার ঠিক নেই। কোন কালেই ছিল না। এরাই হল সেসব মানুষ যারা কিনা পথে-ঘাটে প্রতিনিয়ত আমাদের মা-বোনেদের চোখ-কান-মুখ দিয়ে ধর্ষণ করে।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

ঐশীকা বলেছেন: ঈই জন্যই তো এই দেশে ১৭ মাস বয়সী মেয়ে (বাচ্চা বলা যায় না তাই না......) রেইপড হয়, তাও মেয়েদেরি দোষ, কারন মেয়ে তো...
আপনি হয়তো বূঝছেন বা লিখছেন, কিন্তু আমি বলতে পারি এই দেশের শতকরা ৮০% মানুষই মনে করে সব মেয়েদেরি দোষ, কেঊ ঘটনার দোষীদের বিচার চায় না, সবাই দেখে কে রেপ হল, বিশাল মজার ব্যাপার তো...
আমাদের মা বোনেরা দেশে নিরাপদ না, তবে এমন দিন আসবে যখন এই মেয়েগূলোই এমন কিছু করা শুরু করবে যে এই শুয়োরের বাচ্চা গুলো পালিয়ে কূল পাবে না...

ভালো থাকবেন...

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: ঐশিকাদি, জানেন, মাঝে মাঝে পুরুষ হয়ে জন্মেছি বলে খুব লজ্জা হয়, খুব। ওই ধর্ষক পশুগুলোর সাথে আমার বাহ্যিক কোন পার্থক্য নেই, আমার ধর্ষিতা বোনগুলো সেই জানোয়ারদের প্রতি যে ঘৃনা নিয়ে তাকায়, আমার প্রতিও ঠিক একই ঘৃনা নিয়েই তাকাবে। এ মুখ আমি কোথায় লুকাই, এ লজ্জা আমি কি দিয়ে ঢাকি।
রেপের ঘটনাগুলোকে "মজার ব্যাপার" করে তুলেছে আমাদের মিডিয়া। যেখানে ধর্ষকের পরিচয় থাকে গোপন, ধর্ষিতার পুরো পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়, ধর্ষনের রগরগে বর্ণনা ছাপান হয়। ধর্ষণের খবর গুলোর প্যাটার্ন দেখলে আপনি ধরতে পারবেন না আপনি কি খবর পড়ছেন নাকি বাজারের চটি বইয়ের কাহিনী পড়ছেন। এই ব্যাপারটা যতদিন ঠিক না করা হবে ততদিন ধর্ষন কমান যাবে না।
তবে এমন দিন আসবে যখন এই মেয়েগূলোই এমন কিছু করা শুরু করবে যে এই শুয়োরের বাচ্চা গুলো পালিয়ে কূল পাবে না...
আমিও অপেক্ষা করে আছি সে দিনের....

ভালো থাকবেন দিদি আপনিও। শুভকামনা থাকল।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

আতা2010 বলেছেন: মেয়েদের আসল শত্রু হল মেয়েরা।নাহলে কি করে ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা একজন মেয়ে হয়ে অন্য এক মেয়ের যৌন নির্যাতনকারীকে জামিন দিতে পারে???
অভিযুক্ত ওই জারজের জামিন প্রার্থনা করে আবেদন করেন তার আইনজীবী নপুংসক জারজ তাপস চন্দ্র দাস। আর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাংলাদেশের নারীজাতির কলঙ্ক সাবরিনা নামের এক গনিকা মহিলা ওর জামিন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায়

পুরান ঢাকার সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের এক ছাত্রীকে (১৬) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক বাসুদেব কুমার রায়কে (৩৮) জামিন দিয়েছেন আদালত।
Click This Link

আমার মনে হয় বাংলাদেশের নারীজাতির কলঙ্ক সাবরিনা নামের এক গনিকা মহিলার নিজের রেট !!!!!!!!!!! পাঁচ হাজার টাকা !!!!!!
নাহলে কি করে সে নিজে একজন মেয়ে হয়ে অন্য এক মেয়ের ধর্ষককে জামিন দিতে পারে ???????????

কয়েকদিন আগে একটি হিন্দু মেয়ের ধর্ষণ ও কথিত ধর্মান্তরকরণ নিয়ে ফেসবুক/ ব্লগ উল্টে ফেলা হলেও আজ খবর হওয়া এই ধর্ষক হিন্দুটিকে নিয়ে কেউ কিচ্ছু বলবে না।

ইন্সেস্ট সম্পর্কের দ্বারা জম্ম নেয়া হিন্দুরা পান থেকে চুন খসলে ধুতি তুলে ফালাফালি শুরু করে দেয়, কিন্তু মুসলমানরা হিন্দু শিক্ষকদের ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনায় কোন উদ্বেগ প্রকাশ করছে না।

হিন্দু দের বড় বেশি পাখা গজাইছে। চিরতরে ধ্বংস হবার পূর্ব লক্ষন এটা ।

আমাদের বাংলাদেশের মুসলমানদের চামড়া কি গণ্ডারের চামড়াকেও হার মানিয়েছে????????????????? আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা আর কত কাল এই হিন্দু জারজদের দ্বারা নির্যাতিত হব ?????????????

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৯

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: আতা সাহেব, আপনার এতবড় কমেন্টের জবাবে শুধু একটা কথাই বলব, আপনি আমার এ লেখাটার মুল উদ্দেশ্য ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। ধর্ষন যে খারাপ কাজ সেটা সবাই জানে, সে জন্য সময় নষ্ট করে এখানে পোস্ট দিতে হয় না। আমার এ পোস্টের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রথমত, ধর্ষনের পেছনে কিছু অতিবুদ্ধির লোক সবসময়ই মেয়েদের দায়ী করে থাকেন। তাদের এ ধরনের মানষিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
দ্বিতীয়ত, অনেকেই ধর্ষকের শাস্তির কথা চিন্তা করার আগে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন অধিকাংশ সময়। তাদের এ আচরনের প্রতিবাদ করা।

আপনি আপনার কমেন্টে এ দুটো কাজই করেছেন। আপনার অঙ্গুলি স্পষ্টতই মেয়েদের দিকে এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের দিকে। তাই আপনাকে বলবো আমার পোস্টটা কষ্ট করে আরেকবার পড়ে দেখেন।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আমরা জাতিগত ভাবে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমরা আরেকজন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান হারাচ্ছি খুব দ্রুত। সামাজিক অবক্ষয়, সুস্থ বিনোদনের অভাব, সংস্কৃতির চর্চার অভাব, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বেকারত্ব, সব কিছুকেই দায়ী মনে হয় আমার কাছে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে।

একজন ধর্ষকের ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া একটা অন্যতম বড় কারণ।

প্রচন্ড কষ্ট। নিজেকে মেরুদন্ডহীন মনে হয় মাঝে। দেশের নির্যাতিতা মেয়েদের জন্য কিছুই করতে পারছি না।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: জানেন, মাঝে মাঝে পুরুষ হয়ে জন্মেছি বলে খুব লজ্জা হয়, খুব। ওই ধর্ষক পশুগুলোর সাথে আমার বাহ্যিক কোন পার্থক্য নেই, আমার ধর্ষিতা বোনগুলো সেই জানোয়ারদের প্রতি যে ঘৃনা নিয়ে তাকায়, আমার প্রতিও ঠিক একই ঘৃনা নিয়েই তাকাবে। এ মুখ আমি কোথায় লুকাই, এ লজ্জা আমি কি দিয়ে ঢাকি।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন: @আতা2010, ইন্সেস্ট সম্পর্কের দ্বারা জম্ম নেয়া হিন্দুরা ...
ভাই কথাটা বুঝলাম না
যদি আপনার জ্ঞান দিয়ে আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন ভাই

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২০

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: ভাই কি আর বলবো, ইংরেজরা দু'শো বছরে আমাদের একটা জিনিসই শিখিয়েছে, তা হল জাতিগত বিভেদ। দেশের অধিকাংশ লোক এখনও এই সংকীর্নতা থেকে মুক্ত না। সে শিক্ষাও সমাজ আমাদের দেয় না। আমরা নিজেদের মাঝে বিভেদ খুঁজে সুখ পাই। মাঝখান দিয়ে সুযোগ সন্ধানীরা তাদের আখের গোছায়, ধর্ষকেরা জামিন পেয়ে যায়। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি, আর নিজেদের ভেতর ঝগড়া চালিয়ে যাই।

৯| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

সেফানুয়েল বলেছেন: @আতা-> ভাই আপনাকে সুবিনয়ে বলতে চাই যে ধর্ষকদের আসলে কোন ধর্ম নেই। আপনি একতরফা ভাবে হিন্দুদের দোষারোপ করতে পারেন না। অনেক মাদ্রাসার হুজুরদের দ্বারাও তো কোরআন শরীফ পড়তে এসে অনেক মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে। তাই বলে কি আমি সমস্ত মুসলিম ভাইদেরকে দোষারোপ করবো? তার বিপরীতে ভালো হুজুরেরাও তো আছেন। তেমনিভাবে একজন হিন্দু শিক্ষক বাসুদেব কুমার রায় কখনও সমস্ত হিন্দুদের আদর্শ হতে পারেন না। কিছু মনে করবেন না একটা কথা বলি যদিও আমি নিজে হিন্দু না... আপনার মতো মন মানসিকতার লোকেরাই আমাদের দেশের নৈতিক অধঃপতনের জন্য দায়ী। যারা শুধুমাত্র এক পক্ষেরই দোষ খুজে বেড়ান। আপনারা ধর্ষক নয় বরং ধর্ষিতাকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই বেশী আগ্রহী।
সেই শিক্ষক বাসুদেব কুমার রায় যদি সত্যিই ধর্ষক হয় তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তিই কামনা করছি। কোন মেয়েকে ধর্ষন করার মধ্যে কোন পৌরুষত্ব নেই।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২২

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ন একমত। গুছিয়ে বলার জন্যে ধন্যবাদ!

ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।

১০| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৫

গেস্টাপো বলেছেন: ভারতের ধর্ষণ রোগ বাংলাদেশেরও মাঝেও দেখি ব্যাপক হয়েছে।পুরো বাংলাদেশের ধর্ষণের ব্যাপারে বলতে গেলে বলতে হয় ৯০% বাংলাদেশে ধর্ষণে ছাত্রলীগের হাত আছে।আসলে আমার মতে ধর্ষণ একটি ভারতের কালচার।ভারত যেমন চলন্তবাস,চলন্ত বিমানে ধর্ষণের রেকর্ড করছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও তাদের একমাত্র অনুচর আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো তাই ই করছে।ভারতের প্রেতাত্মা বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপেছে।অবশ্য ধর্ষণে পুরো পৃথিবীতে আওয়ামী লীগ আর ভারত এগিয়ে আছে।এটা তাদের সংস্কৃতি।যেমনটি আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশারাফ সাহেব বলেন "আমরা ঐতিহাসিকভাবে ভারতীয়"

তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ আগে আওয়ামী লীগকে বর্জন করুন।কেবলমাত্র তখনি "আমরা ঐতিহাসিক ভাবে ভারতীয়" এবং "আমরা ঐতিহাসিকভাবে ধর্ষক" এ ধরনের তকমা গুলো আমাদের কপাল থেকে মুছে যাবে

বাংলাদেশে ধর্ষণের কিছু পরিসংখ্যান দিলাম আমি।সব শিক্ষক দ্বারা ছাত্রি ধর্ষণ(প্রতিটা ধর্ষক পুরুষ হিন্দু হওয়াতে আওয়ামী হিন্দু লীগ সরকার এদের কোন বিচারই করে নাই)

১. ভিকারুননিসার পরিমল জয়ধর ও তার সহযোগী অরুণ চন্দ্র বর্মন। (উল্লেখ্য, ভিকারুননিসা বনশ্রী শাখায় ছয়জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় যাদের সবাই হিন্দু)।
২. সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুলের রতন কুমার পাল।
৩.লোহাগড়া তৈয়ব আশরাফ প্রা: বিদ্যালয়ের সুবোধ কান্তি পাল,
৪. কুমিল্লার স্কুলশিক্ষক সুভাষ চন্দ্র,
৫.মাগুরা মহম্মদপুর স্কুলের ভজন কুমার পাল,
৬.ঢাকা জুরাইন এলাকায় সমীর ও শুভ,
৭.চিতলমারী বাগেরহাটের টুটুল রায় প্রমুখ।
৮. মানিকগঞ্জে এক ১৩ বছরের মুসলিম বালিকাকে হিন্দু যুবকেরা অপহরন করে নিয়ে যায় এবং মাথায় সিঁদুর দিয়ে মুক্তিপন আদায় করে
৯. আমিন বাজারে শিক্ষক আলক বাবু দ্বারা মুসলিম মেয়ে ধর্ষণ
১০. ঝালকাঠিতে শিক্ষক রনজিৎ নট্ট দ্বারা ক্লাস ৫ এর মেয়ে ধর্ষণ
১১.পাবনার শিক্ষক অলোকবাবু দ্বারা মুসলিম ছাত্রি হয়রানি


এবং এর সর্বশেষ সংস্করণ হচ্ছে মহান শিক্ষক বাসুদেব কুমার দ্বারা মুসলিম ছাত্রী(১৬ বছর) ধর্ষণ :)



২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

সময়ের কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনি কি জানেন, আপনার এই পরিসংখ্যান চরম ভাবে হাস্যকর?? চাইলেই নিউজ পেপার ঘেঁটে এর চাইতে বেশী ধর্ষনের পরিসংখ্যান বের করা সম্ভব, যেখানে ধর্ষক ভদ্রলোকটি(!) ধর্মে মুসলিম এবং ভিকটিমরাও মুসলিম?! আতা সাহেবকে যা বলেছি আপনাকেও তাই বলব, আপনি আমার এ লেখাটার মুল উদ্দেশ্য ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। ধর্ষন যে খারাপ কাজ সেটা সবাই জানে, সে জন্য সময় নষ্ট করে এখানে পোস্ট দিতে হয় না। আমার এ পোস্টের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রথমত, ধর্ষনের পেছনে কিছু অতিবুদ্ধির লোক সবসময়ই মেয়েদের দায়ী করে থাকেন। তাদের এ ধরনের মানষিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
দ্বিতীয়ত, অনেকেই ধর্ষকের শাস্তির কথা চিন্তা করার আগে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন অধিকাংশ সময়। তাদের এ আচরনের প্রতিবাদ করা।
ধর্ষকের ধর্মবিশ্বাস কি বা সে কোন দল করে, সেই বিতর্কে না গিয়ে বরং সকল ধর্ষককে একই মাপকাঠিতে বিচার করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.