নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুস্হ মানুষ মৃত্যুর কথা বললে আমার মাথা গরম হয়ে যায়।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮





ব্রুকলীনে ৬০০ গজের মাঝে ৫টি বাংগালী মসজিদ; একটি খুবই বড়, ৪ তালা বিশিষ্ট, এক সময় এপার্টমেন্ট বিল্ডিং ছিলো; সন্দ্বীপের লোকেরা কিনে বাড়ীটাকে মসজিদে পরিণত করেছে; ইহার প্রেসিডেন্ট আমার পরিচিত, হাশেম সাহেব, ব্যবসায়ী মানুষ। এখানে সারা বছরই বিশ্বের অনেক দেশ থেকে তাবলীগ জামাতের লোকজন এসে কয়েকদিন থাকে। দলে যদি ডাক্তার ইন্জিনিয়ার, প্রফেসর, ইত্যাদি থাকে হাশেম সাহেব আমাকে ডাকেন; এক সময় আমি এদের বক্তব্য শুনতে যেতাম।

এদের মাঝে আমি যেই মিলটা দেখেছি, সেটা হলো, এরা কথার শুরুতে মৃত্যুর প্রসংগ দিয়ে শুরু করে: "ভাই, আমাদের সবাইকে তো একদিন মরতে হবে; ভাই, মৃত্যুর সাধ সবাইকে নিতে হবে।" আমি ইহাতে খুবই বিরক্ত হই; আসলে, আমি রেগে যাই। আমি সব সময় ভাবি, এরা মানুষের সুন্দর জীবন নিয়ে কথা বলতে পারে না কেন? আমেরিকার মতো দেশে বাস করে, সুন্দর জীবন নিয়ে কবিতা লেখে না কেন?

আমেরিকায় অনেক বাংগালী ইন্জিনিয়ার, ডাক্তার, শিক্ষক বেশ ভালো করেছেন; এদের থেকে কেহ তাবলীগে এলে হাশেম সাহেব অনেকটা জোর করেই আমাকে নিতে চান; সম্প্রতি আমি যেতে চাই না; এরা সবাই, একই সুরে একই কথা বলে; আমার কাছে ভালো লাগে না। করোনার আগে এক সন্ধ্যায় উনি টেলিফোন করলেন উনার অফিসে একটু চা খেতে যেতে, ডিনারের কথা আমাকে বলেন না, তা'হলে আমি যেতে চাহি না, উনারা দেরীতে ডিনার করেন। আমি চেষ্টা করলাম না যাবার জন্য; তখন তিনি জানালেন যে, আমার পরিচিত একজন প্রফেসর এসেছেন, প্রফেসর আমাকে দেখতে চান, গেলাম।

আমি যখন প্রবেশ করলাম, প্রফেসর তখন কিছু লোকজনের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন; বেশ কিছু লোকজন একত্রিত হয়েছেন; প্রফেসর বেশ পরিচিত, নিউজার্সির রাটগার্স ইউনিভার্সিটিতে উনি শিক্ষক হিসবে যোগ দেয়ার সময় আমি ওখানে পড়ছিলাম; তিনি আমার শিক্ষক নন, আমার চেয়ে ২/৩ বছরের বড় হবেন; পরে প্রফেসর হয়েছেন; উনার অফিসে ও ক্যাফেটেরিয়ায় কথা হতো। আজকে উনার আলোচনা শেষে চা পরিবেশন করা হচ্ছে; প্রফেসর আমার পাশে এসে বসলেন, কিছুক্ষণ কথা হলো; এরপর উনি ধর্মের প্রসংগ টানলেন।

শুরুতে উনি বললেন, "ভাই, আমরা সৃষ্টির সেরা, কিন্তু এরপরও আমাদেরকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে।"
আমি উনার দিকে চেয়ে আছি; উনি থেমে গেলেন। বললেন,
-আমি কি কোনভাবে আপনাকে অসন্তষ্ট করলাম।
-জ্বি, করেছেন।
-কিন্তু আমি যা বললাম ইহা তো সত্য?
-আমি এটা অনেক আগের থেকেই জানি, আপনি নতুন কিছু বলেননি; সক্রেটিস, আলেকজান্ডার, চেংগিস খান, নিউটন, যখন বেঁচে নেই, কেহ বেঁছে থাকবে না; ইহা নিয়ে নতুন করে আপনি কি বলবেন? আপনার সাথে দেখা হলো, কথা হলো; কোনদিন জীবন সম্পর্কে আপনি নতুন কিছু বলতে পারলে আমাকে জানাবেন, কথা হবে।

আমি বিদায় নিয়ে চলে এলাম। ঘন্টা'খানেক পর, হাশেম সাহেব টেলিফোন করে স্যরি বললেন। তারপর বললেন,
-আমি তো এসব লোকজন থেকে মৃত্যুর এই বাক্যটা প্রতিদন শুনি, তারপর ভুলে যাই; উনারা বলতে চায় বলুক; আপনি মন খারাপ করেন কেন?
-আপনি শুনেন, ২ পয়সা দাম দেন না; আমি প্রফেসর, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তার ও অন্য প্রফেশানেলদের জ্ঞানের মুল্য দিই, এখানেই পার্থক্য। যারা মৃত্যু ইত্যাদি নিয়ে কথা বলে, ওদেরকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন, এবং আমাকে ডাকার দরকার নেই।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যারা লিখতে জানেনা গালি এবং নোংরা ট্যাগিং তাদের একমাত্র হাতিয়ার।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




ব্লগিং বেশ সমস্যার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, লেখক কমে গেছে; লেখার নামে অপ্রয়োজনীয় বিষয় আসছে ব্লগে।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু ব্লগ তো হিংসা বিদ্বেষ মারামারি গালাগালি করার জায়গা নয়। এদের এখানে কে ঢুকিয়েছে? এখানে সবাই ভদ্র সোসাইটি বিলং করে। বস্তি আসলে তো পরিবেশেটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



সোস্যাল মিডিয়ায় সমাজের প্রতিফলন ঘটবে, ইহাই স্বাভাবিক।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

বিটপি বলেছেন: সামু ব্লগে আপনাকে, হাসান কালবৈশাখী আর কলাবাগান১ এর লেখা দেখে আমার ধারণা হয়েছিল আমেরিকায় বসবাসকারী বেশিরভাগ বাঙালি বুঝি আপনাদের মত মেন্টালিটিরই মানুষ। আপনার এই লেখাটা পড়ে আমি এখন কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষও তাহলে আছে।

যারা আপনাকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে চায়, তারা কি আপনাকে চেনেনা? আপনার ব্লগ পড়েনি, বা আপনার সাথে কথা বলে আপনার মেন্টালিটি বোঝেনি?

০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি যে ব্লগিং করি, তা' আমার ঘনিষ্ট ৭ জন বন্ধুও জানেন না, আমার স্ত্রী জানেন। ধর্মপ্রাণ বলতে কিছু নেই, সব ধর্মই একটি আদি সমাজ ব্যবস্হার কালচার ও ট্রেডিশন; সভ্যতার এক পর্যায়ে ধর্ম এসেছিলো, এক পর্যায়ে উহা থাকবে না।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চল্লিশের পরে যে মানুষ শরীরের কোনো
সমস্যা ছাড়া ঘুম থেকে ওঠে, সে মানুষ
জীবিত নয়, সে মৃত মানুষ!

০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

সোনাগাজী বলেছেন:


গড় বাংগালীর শারীরিক সমস্যা দেখা যেতো ৬০/৭০ বছরের পর, এখন উহা ৪০ এসে গেছে? ইহার সমাধান বের করতে হবে।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আপনার সৎকার ধর্মের অনুযায়ী চান?

০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:


অবশ্যই, সৎকার করা সাধারণ জ্ঞানের বিষয়, ইহাতে ধর্ম কর্ম থাকার কথা নয়, ইহা মানুষের জ্ঞানের সাথে যুক্ত।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

প্রফেসর,ইন্জিনিয়ার,ডাক্তার ও অন্য প্রফেশানেলদের সাথে কথা বলে আপনার রাগ হয়নি,এমন হয়েছে কখনো?

০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি সুযোগ পেলে প্রফেশনালদের বক্তব্য শুনে থাকি, ভালো লাগে; ধর্মের কথায় প্রফেশনালিজম নেই; ফলে, উহা ইন্টারেষ্টিং হয় না কখনো।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: আমেরিকায় ওভার স্পিড ড্রাইভ করলে ফাইন আছে, রাস্তায় নামলে সেটা সবার মনে থাকে।
জীবনে ফাউল করলে জীবন শেষে তার পানিসমেন্ট আছে, সেটা মাওরা মনে রাখতে চাই না, তাই বার বার মনে করিয়ে দেয়া লাগে।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



জীবনে ফাউল কিছু করলে, সেটার জন্য বিচার ব্যবস্হা আছে, বিচার হচ্ছে। রূপকথার জগতে বাস্তবে কিছুই নেই, আছে শুধু রূপকথা।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৮:০৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: এম বি এস খাশগী কে মেরেছে, ইয়েমেনে লাখ লাখ মানুষ মেরেছে। বুশ ইরাক, আফগানিস্তানে লাখ লাখ মানুশ মেরেছে, পুতিন ইউক্রেনে মারছে।
এদের বিচার কোন দেশের কোন আইনে হবে?

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৮:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:


এই ধরণের বিচার হয়েছে ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর। কিন্তু মানব ইতিহাস বলছে যে, জাতিতে যু্দ্ধ হয়ে আসছে সামান্য মানুষের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে; যারা এই ধরণের মারাত্নক ভুল করছে, মানব সমাজ তাদেরকে ছেড়ে দেয়নি।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৮:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:




মৃত্যুর পর বিচারের ব্যবস্হা থাকলে, জীবিত অবস্হায় বিচারের অধীনে আনা হতো না।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কে কোন উপায়ে তাঁর স্রষ্টা কে ভালোবাসে ও ডাকে তা শুধু সে নিজেই জানে।
কেউ ধর্মে বিশ্বাস না করতেই পারে।ভকে ধর্ম মানবে আর কে মানবেনা তা কি অন্য কেউ নির্ধারণ করার অধিকার রাখে?

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১১:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:


বিশ্বের ৮০% মানুষ কোন না কোনভাবে ধর্ম মানেন। আবার বিশ্বের ৯৫% দেশ ধর্ম অনুসারে দেশ চালায় না;কারণ, ধর্ম হচ্ছে এমন একটি জীবন ব্যবস্হা, যা আদি ও প্রাচীন।
সব ধর্মেই চাকুরীরত মানুষ আছে, যারা মানুষকে ধর্মে নেয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু বিশ্বে কোথায়ও একজন মানুষ কাউকে ধর্ম পালনে বাধা দেয়ার জন্য চাকুরী পায় না।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৭

নিমো বলেছেন: গাঁজা বাবাদের ব্যবসাই হচ্ছে পরলোক নিয়ে যা মৃত্যুর ভয় ছাড়া জমবে না। আপনি বরং blackrock, State Street Corporation, The Vanguard Group এসব মৃত্যুব্যবসায়ীদের নিয়ে লিখুন। গাঁজা বাবাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১১:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:




সঠিক, Blackrock, State Street Corporation, The Vanguard Group সম্পর্কে ব্লগারদের জানার অনেক কিছু আছে। আপনি লিখুন।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ধমে' কোনো যবরদস্তি নেই; ইচ্ছা হলে মানবে না হলে না মানবে।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১১:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকায় প্রায় সব ধর্ম আছে, মুসলমানরাও এখানে অনেক বিনিয়োগ করছে; আমেরিকা চায় মানুষ ধর্ম নিয়ে থাকুক; এখানে সবার ফ্রি চয়েস আছে।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কারো বড় লেখা এখন আর পড়িনা,
শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করি।

আগে মানুষ পাঁচশত, হাজার
বছর বাঁচত। এখন বড় জোর
একশত বছর। গড় আয়ূ কমছে
তাই চল্লিশেই বুড়া।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১১:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আগে কোন কোন অন্চলের মানুষ গড়ে বেশী বেঁচেছে; তবে, গড় আয়ু আজকের চেয়ে অনেক অনেক কম ছিলো; কোন মানুষ ১৪০ বছর বাঁচেনি হয়তো। বাংলাদেশে খাবারকে বিষাক্ত করে ফেলেছে; ফলে, মানুষ, কম বয়সে মারা যাচ্ছে।

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১০:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'যারা মৃত্যু নিয়ে কথা বলে তাদেরকে ডাক্তারের কাছে নিে যাবেন, আমাকে ডাকার দরকার নেই'.... এই কথাটি উপলব্ধি করার গেয়ান হাশেম সাহেবের থাকার কথা না। সারা জীবন সাইন্স, টেকমোলি এবং সাহিত্য পড়ে বাঙালি হয় মূর্খ। এসব অধ্যাপক, ডাক্তার আমেরিকায় কেন? আফগানিস্তানে যাক। অধ্যাপনার পাশাপাশি তাবিজ বিক্রি করবে।

ভালো থাকুন।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১১:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:




নিউইয়র্কে প্রচুর বাংগালী পরিবারের ছেলেরা মাদ্রাসায় যাচ্ছে; এদের ভবিষ্যত কি বলা মুশকিল।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকাতে মাদ্রাসা তে পড়ে কি চাকরী/বাকরী করবে...? যেখানে আমেরিকাতে ভারতীয় বংশদ্ভুত ছেলে/মেয়েরা জ্ঞান/গরিমায় এগিয়ে গিয়ে বড় বড় কর্পোরেশন এর সিইও/বড় পদে কাজ করছে, সেখানে আমেরিকাতে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত মাদ্রাসায় ছেলে/মেয়েরা কি সেই কর্পোরেশন গুলিতে কোন কাজ পাবে?

০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব ছেলেরা দ: আফ্রিকাওতে যাচ্ছে উচ্চ-শিক্ষার জন্য, আমার মনে হয়, এরা ইমাম ইত্যাদি হবে মাত্র।

০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব ছেলেরা দ: আফ্রিকাতেও যাচ্ছে উচ্চ-শিক্ষার জন্য, আমার মনে হয়, এরা ইমাম ইত্যাদি হবে মাত্র।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৯

কালো যাদুকর বলেছেন: আমি জানি আপনি নাশুধু অনেকেই মৃত্যুর কথাশুনতে চান না। আপনি কি কখনো জানার চেষ্টা করেছেন কেন বক্তৃতার শুরুতেই একথা বলা হয়?

আমি যতো টুক জানি সেটা হল বক্তা দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে এটা করে থাকেন।অবশ্য বিখ্যাত বক্তারা নানান উপায়ে মানুষের মনযোগ আকর্ষণেরচেষ্টা করেন। টেড টাক এ রকম অনেক উদাহরণআছে।
সাধারণ ভাবে বলা যায় ডাক্তার ই্জিনিয়ার এরা ভাল বক্তা নন। ব্যতিক্রমঅবশ্যআছে।q

০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:


ইহা নিশ্চয় কাজ করে, না'হয় এরা মৃত্যুর কথা দিয়ে শুরু করবে কেন! আমি ভালোবাসি, জীবনের কথা শুনতে

১৬| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মকদের তো নতুন কোনো কথা নেই। এরা কোরআন হাদিসের বাইরে কিছু বলতে পারবে না।

০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



কোরান হাদিস জানা লোকদের সংখ্যা আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, পাকিস্তানে বেশী।

১৭| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: তাবলীগ জামাত, জামাতে ইসলাম ও চোরমনাই ও পাড়া মহল্লার মৌ-লোভী পন্থী যারা আঁছে তাদের প্রাথমিক কথাবার্তার শুরুই এমন এরা এইভাবেই ট্রেইনআপ। এদের ধারনা এই ভাবে বললে মানুষ দুর্বল হয়ে।যাবে তারপর তাদের কার্যসিদ্ধি করতে বেশি সময় লাগবে না। আর এদের কার্যসিদ্ধি হলো এদের কে অর্থনৈতিক ভাবে মজবুত করতে আমাকে আপনাকে হাতিয়ার বানানো।

আমি তখন ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। আমার বাসায় হঠাৎ করে কিছু বোরকা ওয়ালীর আগমন বেড়ে গেলো। তার নিচ তালায় বসে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আলোচনা পর্যালোচনা চালাতে লাগলো, ওই সেইম তাদের শুরু হতো কথা মৃত্যু দিয়ে শেষ হতো তাদের অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের পন্থ্যা দিয়ে। আমি নিজের কানে শুনেছি তারা আমার মা কে বলছে স্বামীর পকেট থেকে তাবলীগের জন্য টাকা সরালে গুনা হয় না প্রয়োজনে এর জন্য মিথ্যা কথা বলাও জায়েজ। মুস্টির চাল নামে এরা প্রতি সপ্তাহে বস্তা ভরে চাল মাথায় করে নিয়ে যেত। তাদের কান্ডকারখানা আমি সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সহ্য করে তিন সপ্তাহের সময় আমার মা কে আমি স্পস্ট জানিয়ে দেই এরা যেন আর না আসে। স্বাভাবিক ভাবে আমার মাতাশ্রী আমাকে ধমক দিয়ে থামানোর চেস্টা করে আমি তার পরের সপ্তাহ নিজে এদের কে না আসার জন্য বলে দেই এবং তাদের ভন্ডামী যেন আমার বাড়ির আসেপাশে না করে তারজন্য সাবধান বানী।শুনিয়ে দেই সেই দিন থেকে আমার উপরে তাবলীগ জামাতের মহিলা গ্রুপ খেপে আছে। আমার ভবিষ্যৎ যে খুব খারাপ তা আমার মা কে বোঝানোর চেস্টা করতে অপচেষ্টা করার সাহস দেখালে আমি লাঠি নিয়া মারতে নেমে যেতাম। ব্যাস তাদের আনাগোনা একদম বন্ধ। চেস্টা যে করে নাই তা না অনেক চেস্টা করছে সেই গল্প অনেক লম্বা।

০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকায় এরা (সব ধর্মের লোকেরা ) অনেক সুযোগ পায়, এরা সুযোগ সন্ধানী।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: মাথার ভেতর বেশ কিছু লেখা জমে আছে। অথচ লিখছি না।

০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



কম লেখেন, মেয়েদের সময় দেন।

১৯| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
নিউইয়র্কে প্রচুর বাংগালী পরিবারের ছেলেরা মাদ্রাসায় যাচ্ছে; এদের ভবিষ্যত কি বলা মুশকিল।


বাংলাদেশে আগে পড়ালেখায় অমনোযোগী , দুস্টু , কথা শোনে না , দরিদ্র ..... এইধরণের ছেলেদের বাবা মা মাদ্রাসায় দিতো। কিন্তু বর্তমান চিত্রপট ভিন্ন।
অনেক শিক্ষিত , সম্ভ্রান্ত বাবা মা বাচ্চাদের মাদ্রাসায় পড়তে চাচ্ছে , ঝুঁকছে !
কারণ কি বলে আপনার মনে হয়।
গত ২০ বছরে মানুষ অনেক ইন্টারনেট ঘাঁটছে , নিউজ দেখছে , ব্লগ পড়ছে , মুক্তমনা পড়ছে , ধর্মকারী পড়ছে , মাদ্রাসার অপকর্ম দেখছে ..... তারপরেও কেন?
আপনি নিউইয়র্কের কথা বললেন , ওটা আমার জানা ছিল না। আগামী ১০ বছরে চিত্রটা আরো বদলে যাবে। মাদ্রাসার দিকে ঝুঁকবে। আমার সেটাই মনে হচ্ছে।

০৫ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা বেদুইনে পরিণত না হওয়া অবধি থামবে না।

নিউইয়র্কে বেশ শিক্ষিত পরিবারের ছেলেদের দেয়া হচ্ছে কোরান মুখস্হ করতে, ছেলেমেয়েদের দেয়া হচ্ছে ইসলামিক স্কুলে, যেখানে পড়ালখার মান নীচু। মেয়েদের বেলায় করা হচ্ছে, যাতে বাংগালী সমাজের বাইরে কাউকে বিয়ে না করে।

২০| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যেসব কুয়োর ব্যাং মেইনস্ট্রিমের সাথে মিশতে পারে না তারাই এইসব নিয়ে পড়ে থাকে। আমিতো ভাবতাম শুধুমাত্র ডিভি পার্টি রা এরকম হয়। এখন দেখছি প্রফেসররাও এইসব শুরু করেছে। এদের কথা শুনতে যাওয়া মানে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করা। কোন কাজ না থাকলে নিজের ঘরে বসে ফার্নিচার মোছা ও এরচেয়ে ভালো।

০৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:




ম্যানেজমেন্টের পিএইচডি, বই লিখেছে হাদিসের উপর; মাদ্রাসার পিএইচডি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.