নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জ্ঞান ও টেকনোলোজী বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করছে।

৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬



ধর্মগুলো একটি বিষয়ে একমত যে, সৃষ্টিকর্তা মানুষের জন্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তিনি কত শক্তিশালী, তিনি কত বড়? পৃথিবী কত বড়, ৫০০০ বছর আগের মানুষ ঠিক মতো তা' জানতো না; কলম্বাস আমেরিকা আবিস্কার করার আগে (১৪৯২ সাল), মানুষের কাছে আগের পৃথিবী আজকের পৃথিবীর থেকে অর্ধেক ছিলো! পৃথিবীর বিস্তার যত বড় হচ্ছিল, উহার সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষের ধারণাও বড় হচ্ছিল।

আমাদের দেশের ১ জন নিরক্ষর মানুষকে কিংবা প্রাইমারী স্কুলের ছোট বাচ্চাকে পৃথিবীটা যদি দেখাতে বলা হয়, মনে হয়, সে আকাশ ও দিগন্তে যা চোখে পড়ে, উহাকেই দেখাবে; আমাদের পায়ের নীচেরটা যে পৃথিবী ( গ্রহ ), ইহা দেখানোর সম্ভাবনা কম। তা'হলে, ৪/৫ হাজার বছর আগে, বেশীরভাগ মানুষই আজকের নিরক্ষর মানুষের মতো, মাথার উপরের আকাশ ও চারিদিকের দিগন্ত ব্যতিত, পায়ের নীচের গ্রহকে চিনতো বলে কি মনে হয়? মনে হয় না; অর্থাৎ তাদের কাছে পৃথিবীটা আসল গ্রহের তুলনায় ছোট ছিলো।

যখন পৃথিবীটা আজকের চেয়ে ছোট ছিলো; সেই পৃথিবী যিনি সৃষ্টি করেছিলেন, তিনি কিন্তু অনেক অনেক বড় ছিলেন, সন্দেহ নেই! কিন্তু তিনি কি তাদের কাছে মিলকি-ওয়ে সৃষ্টি করার মতো বড় ছিলেন? অবশ্যই না, কেননা, তখন কেহ জানতো যে, মিলকি-ওয়ে কত বড়! ৪/৫ হাজার বছর আগের ছোট পৃথিবীর স্রষ্টা থেকে, মিলকি-ওয়ের স্রষ্টাকে বিলিয়ন বিলিয়ন গুণে বড় হওয়ার দরকার ছিলো, না'হয় এত বড় গ্যালাক্সি কি করে সৃষ্টি করতে পারতেন? দেখছেন, মিলকি-ওয়ে গ্যালাক্সির কথা মানুষ যখন জানতে পারলেন, সৃষ্টিকর্তা কত বিলিয়ন গুণে বড় হয়ে গেলেন?

সেখানে থেমে গেলে ঝামেলা চুকে যেতো; এখন দেখা যাচ্ছে, ইউনিভার্সে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন বা তার চেয়েও বেশী গ্যালাক্সি আছে; এবার আরো বিলিয়ন গুণ শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তার কথা মানুষকে ভাবতে হচ্ছে। সেদিন ঢাকার আকাশে নাকি ১টি ব্ল্যাকহোল আবিস্কৃত হয়েছে, যা ৯০ বিলিয়ন সুর্যের সমান; এখন সৃষ্টিকর্তাকে আরো শক্তিশালী ও বড় করতে হবে, না'হয় অনুপাত মিলবেনা।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার বাড়ি থেকে আকাশ দেখা যায়?
আপনি রাতের আকাশের দিকে তাকান কখনো?

৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১২

সোনাগাজী বলেছেন:


তাকাই, কিন্তু চোখের সমস্যার জন্য রাতে তারাগুলোকে দেখিনা।

২| ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৃষ্টিকর্তাকে বড় হতে হয় না, তিনি বড় (অসীম) ছিলেন,
হড় আছেন, বড় থাকবেন অনন্তকাল।মানুষ তাঁকে নিয়ে
যত গবেষ্ণা করবে ততই তারা ক্রমাগতভাবে জ্ঞান,
বিজ্ঞান ও টেকনোলোজীর সাথে পরিচিত হবে!

৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:


অসীমের কিন্তু ডেফিনেশন আছে; সব অসীম সমান নয়। ১ জন শিক্ষিত মানুষ যত বড় কিছু কল্পনা করতে পারবেন, ১ জন বিদ্যাহীন মানুষের কল্পনাশক্তি অনেক ীিমিত হবে।

৩| ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সব ধর্ম সৃষ্টিকর্তাকে বড় করেই দেখে।

৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



অবশ্যই, সমস্যা হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার শক্তিকে আরো বড় করছে টেকনোলোজী ও মানুষের জ্ঞান।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিদিন আপনার মাথায় যা আসে তাই লেখেন।
যারা বড় চিন্তা করার বড় ভাবার তারা আগে থেকেই ভেবেছেন। অসীম মানে তাদের কাছে অসীম ছিল।
অল্পশিক্ষিত,নিরক্ষর কিংবা অন্ধ বিশ্বাসীরা অসীমকে সসীমের সীমানায় বেঁধে ফেলেছে, ফেলছে ও ফেলবে।
যারা ভাববার তারা এই ইউনিভার্স-এর সীমানা ছাড়িয়ে একাধিক বা সহস্রাধিক ইউনিভার্সের কল্পনায় বুঁদ হয়ে আছে। সবেতো শুরু মাত্র জ্ঞানী মানুষদের ভাবনায় অসীম অসীম-ই থাকবে।

৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার মাথায় যা আসে, আপনার মাথায় কি তা আসে?
৫০০০ বছর আগের জ্ঞানে যা অসীম ছিলো, আজকের জ্ঞানের অসীম আলাদা; সেজন্য মানুষ এই গ্রহে বসে অন্য গ্যালাক্সির কথা ভেবে বের করতে পারছেন।

৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



শক্তি, কাজ ও ক্ষমতার বেলায় অসীম বলতে কিছু নেই, উহা মাপ-যোগ্য।

৫| ৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মানুষ একসময় সৃষ্টিকর্তাকে বড় করতে করতে হাল ছেড়ে দিবে।

৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

৬| ৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজী সাব বলেছেন:
অসীমের কিন্তু ডেফিনেশন আছে; সব অসীম সমান নয়। ১ জন শিক্ষিত মানুষ যত বড় কিছু কল্পনা করতে পারবেন, ১ জন বিদ্যাহীন মানুষের কল্পনাশক্তি অনেক ীিমিত হবে।

সৃষ্টিকর্তাকে কি আপনি বিদ্যাহীন মানুষের সাথে তুলনা করেন? অসীমের কোন সীমা পরিসীমা নেই। সৃষ্টিকর্তাকে সীমিত গন্ডিতে বাঁধার চেষ্টা করা মূখ'তা।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:




সৃষ্টিকর্তাকে আমি কেন ১ বিদ্যাহীন মানুষের সাথে তুলনা করবো? আমি বলতে চাচ্ছি, ১ জন বিদ্যাহীন মানুষের অসীম ও জ্ঞানী লোকের অসীম সমান নয়।

৭| ৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবখানে বিবর্তনীয় ছোঁয়া লেগেছে, আজ থেকে ৫০/১০০ বছর আগের ধর্মীয় ব্যাখ্যা আর বর্তমান সময়ের ব্যাখ্যার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। খুব শীগ্রই হয়তো আমরা "বিজ্ঞানের আলোকে জ্বীন, ভুত, প্রেতাত্মার বিশ্লেষণ" দেখতে পাবো।
কবি বলেছেন- মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে মূর্খামিও নাকি সমান তালে বৃদ্ধি পাবে।
কবি যথার্থই বলিয়াছেন।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২০

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি বলেছেন, "কবি বলেছেন- মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে মূর্খামিও নাকি সমান তালে বৃদ্ধি পাবে।
কবি যথার্থই বলিয়াছেন। "

-দেখতে হবে কোন কবি বলছেন! জ্বীন, ভুত, প্রেতাত্মার বিশ্লেষণ হয়ে গেছে, এসব ভুল চিন্তার ফসল।

৮| ৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: শক্তি, কাজ ও ক্ষমতার বেলায় অসীম বলতে কিছু নেই, উহা মাপ-যোগ্য। -এইটা আপনার থিউরি?
আপনার হয়তো এইসব মাপার স্কেল আছে।
আমার মাথায় যা আসে, আপনার মাথায় কি তা আসে?- না আসেনা- তা আসবার নয়। আসলে দুজনে দুজনার কপি হতাম। তবে আপনার বয়সে কি হবে বলতে পারি না :)
৫০০০ বছর আগের জ্ঞানে যা অসীম ছিলো, আজকের জ্ঞানের অসীম আলাদা; সেজন্য মানুষ এই গ্রহে বসে অন্য গ্যালাক্সির কথা ভেবে বের করতে পারছেন। পাঁচ হাজার বছর আগের এই বিষয়ক কয়খানা পুস্তক পড়েছেন আপনি?( আমি একটাও পড়ি নাই।) সারা বিশ্বের সব প্রান্তের ক'জন মানুষের ধ্যান ধারণা লিপিবদ্ধ আছে?

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



৫ হাজার বছর আগের কোন লেখা আমি পড়িনি, হিন্দুধর্ম ও ইহুদী ধর্মের শুরু ছিলো ৫০০০ বছর আগে; সেখানে সেজন্য সবই রূপকাহিনী।

৯| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অসীম বা সসীম ধারনাগুলো মূলত মানব সৃষ্ট। মানুষ তার সীমিত চিন্তাধারা থেকেই বিষয়গুলোর অবতারণা করেছে বোঝার বা বোঝানোর সুবিধার্থে।

আমাদের সৌরজগতের অনেক কিছুই এখনো মানুষের অজানা, গ্যালাক্সি বা উইনিভার্স অনেক দূরের বিষয়। এ সম্পর্কে মানুষের "বেশীরভাগ" ধারনাই মূলত অবজারভেশন থেকে জানা কিন্তু বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রেই "পরীক্ষিত সত্য" নয়। "সময়" ধারনাও মানুষের জন্য প্রযোজ্য কারণ আমাদের গতি সীমিত। আলোর গতির চেয়েও দ্রুত কোন কিছু মানুষ এখনো আবিষ্কার করতে পারে নি, পারলে হয়তো আমরা "সময়ের" উর্দ্ধে থাকার চেষ্টাটা অন্তত করতে পারতাম। কিন্তু মানুষের বসবাস, এই পৃথিবীর নিজস্ব গতিও আলোর গতির চেয়ে অনেক কম তাই মানুষ সেটা (আলোর গতির উর্দ্ধে যাওয়া) কখনোই এই পৃথিবীতে বসে পারবে না। তাই আমি আপনি এই পৃথিবীতে ক্রমাগত বুড়ো হবই, সেটা ঠেকানোর কোন উপায় নেই। তাছাড়া জন্ম-মৃত্যু বলেও একটা বিষয় রয়ে যাচ্ছে্ই। বলার উদ্দেশ্য হলো, আমরা অনেক কিছুতেই "সীমাবদ্ধ", গতি বা আমাদের নিজস্ব জ্ঞানা কিংবা আমাদের শারীরিক অবকাঠামো, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি। এত সীমাবদ্ধতা নিয়ে মানুষের পক্ষে "অসীম" ধারনা প্রকৃত অর্থে বোঝা সম্ভব নয়।

কোরআনের ভাষ্যমতে, "তার সাথে তুলনা করার মতো কিছুই নেই" ১১২:৪। সে দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ যা ভাবতে পারে তা সৃষ্টিকর্তার পরিপূর্ণ আসল রূপ নয়, তাই সৃষ্টিকর্তার অসীম ধারণা কখনোই "মানুষ" হিসেবে পরিপূর্ণভাবে বোঝা সম্ভব হবে না। অন্য কোন প্যারালাল ইউনিভার্সে সেটা সম্ভব হলেও হতে পারে। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



মানুষ সৌর জগৎ সম্পর্কে আজ যা জানেন, মাত্র ৫০০ আগেও এর একবিন্দুও জানা ছিলো না; আজকে মানুষ বিশ্ব সম্পর্কে যতটুকু জ্ঞাত হয়েছেন, এর ফলে, ধর্ম আবিস্কার করা বন্ধ হয়ে গেছে। যারা গড়ে ২/৩ হাজার পুর্বে ধর্মআবিস্কার করেছেন, তাদের জ্ঞান আজকের স্তরে থাকলে, এসব ধর্ম আবিস্কার হতো না।

১০| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সৃষ্টি কর্তা ছাড়া কোন কিছুর সৃষ্টি অসম্ভব।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি বলছি, মানুষের নতুন নতুন আবিস্কারের সাাথে তাল রেখে সৃষ্টিকর্তা আগের থেকে বড় ও শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছেন

১১| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,




আপনি হয়তো মূল কথা এটাই বলতে চেয়েছেন যে, মানুষের জ্ঞান ও টেকনোলোজী দিন দিন যতো বড় হচ্ছে তাতে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা, শক্তির ব্যাপ্তি ততোই ধরা পড়ছে।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



সেভাবেও বলা যায়। আগে যারা কম জেনে সৃষ্টিকর্তাকে যত বড় ভেবেছিলেন, আজকের আলোকে উনি তার থেকে ট্রিলিয়ন গুণে বড়; আগের মানুষ সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে ঠিক পুরোপুরি জানতেন না

১২| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বিশ্বের বেকুব অংশ কখনই জানবে না যে, জ্ঞানী ভাগ কত কিছু জানে,বুঝে।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



তাই ঘটছে, আফ্রিকা জানে না, ইউরোপের মানুষ কেন এত ভালো আছে; আমরা জানি না, ইসরায়েল কেন উন্নত।

১৩| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরান সহ প্রধান ধর্মপুস্তকগুলো বলে "আসমান ও জমিন"
জমিন (পৃথিবী) ১ টা আসমান ৭ টা, অর্থাৎ জমিনের সম আয়তনের উপরে আসমান, তবে লেয়ার সংখায় ৭ টা ( বেশী না কমও না)

উপরে আসমান নীচে জমিন, কোরানে এভাবেই বার বার তুলনা হয়েছে।
বাস্তবে আসমান উপরে নয়। সর্বত্র দশ দিকেই। এটি মহাশুন্য, মানে কিছুই নেই। ৭ লেয়ার কেন, কোন লেয়ারই নেই।
আর বাস্তবে আসমানের সাথে ধুলিকনা সম জমিনের (পৃথিবীর) কোন তুলনাই হতে পারে না।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২২

সোনাগাজী বলেছেন:


আগের মানুষ যা যা দেখে ও জেনে, সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তাদের ধারণা দিয়েছে, সেসব দেখা জিনিষ ও বুঝা তো আমাদের চেয়ে কম ছিলো; ফলে, সব ব্যাপারে তাদের ধারণা কি সঠিক ছিলো?

১৪| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৭

তানভির জুমার বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি বলছি, মানুষের নতুন নতুন আবিস্কারের সাাথে তাল রেখে সৃষ্টিকর্তা আগের থেকে বড় ও শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছেন।

মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা হাজার হাজার বছর আগে যেমন বড় ও শক্তিশালী ছিল এখন তেমনই আছে ভবিষৎ এমন থাকবে। আপনাদের মত মানুষের সৃষ্টিকর্তা সময়ের সাথে পরিবর্তীত হতে থাকবে।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



হাজার বছর আগের মানুষেরা উনার যেসব সৃষ্টির জন্য উনাকে সর্বশক্তিমান বলেছে, আসলে তিনি উহার থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলুয়ন গুণ বেশী সৃষ্টি করেছেন; দেখা যাচ্ছে, আগের মানুষ তো উনার সম্পর্কে আমাদের চেয়ে কম জানতেন!

১৫| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৯

কামাল৮০ বলেছেন: মানুষের ধারনাতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব।বিশ্ব সম্পর্কে মানুষের ধারনা যত সম্প্রসারিত হবে সৃষ্টিকর্তার ধারনা ততটাই বড় হবে।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি বলতে চাচ্ছি, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সম্পর্কে আগের মানুষের জ্ঞান খুবই কম ছিলো, আগের মানুষ সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে অনেক কম জানতো, নিশ্চয়।

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বিশ্বাসের পৃথিবী পৃথিবীর চেয়ে অনেক ছোট ছিল, এখন কিছিটা বড় হয়েছে, ভবিষ্যতে আরো বড় হবে। নতুন কোন ধর্ম আবিষ্কার কিংবা প্রচলন না হওয়ার পেছনে এটা একটা বড় কারণ। মানুষের কল্পিত জগৎকে কোন ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগুরু, ঈশ্বর অতিক্রম করতে পারেনি বলে ধর্ম বিশ্বাস বিজ্ঞানের কাছে হাস্যকর হয়েছে। ধর্মের বুলি মানুষকে আত্মতৃপ্তি দিলেও বাস্তবে কিছুই দিতে পারে না।

ভালো থাকুন।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মগুলো রাজনীতির সাথে তাল মিলাতে পারছে না ও কিছু চরম বিভক্তর ( ক্যাথহোলিক, প্রটেষ্টেন্ট, ব্যাপটিষ্ট, সুন্নী, শিয়া, ওহাহাবী, আহমেদিয়া, হিন্দুদের বর্ণ প্রথা) সৃষ্টি করছে নাগরিকদের মাঝে; ইহার পেছনে কারণ হচ্ছে, আগের দিনের মানুষ "হোমোজিনিয়াস সমাজ"এর রোডম্যাপ দিতে পারেনি; তাদের অত জ্ঞান ছিলো না।

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনা গাজী বলেছেন:
সৃষ্টিকর্তাকে আমি কেন ১ বিদ্যাহীন মানুষের সাথে তুলনা করবো? আমি বলতে চাচ্ছি, ১ জন বিদ্যাহীন মানুষের অসীম ও জ্ঞানী লোকের অসীম সমান নয়।

মানুষ কখনোই অসীম নয়। সবার সীমাবদ্ধতা আছে।
তবে কারো পরিসর বড় কারো কম।
কুয়াকে কুয়ার ব্যাঙ সমুদ্র ভাবতেই
পারে তবে নদীর ব্যাঙ এর ভাবনা আরো
একটু বড় যদিও সে সমুদ্রের গভীরতা
বুঝবেনা কিছুতেই।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমরা একই কথা ভাবছি, বলার সময় ভাষার কারণে একটু আলাদা মনে হচ্ছে।

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জ্ঞান ঈশ্বরকে ছাড়িয়ে যাবে।
পৃথিবী ধ্বংসের আগে মানুষ জেনে যাবে- ঈশ্বর বলে কেউ নেই। কখনও ছিলো না।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



দেখা যাক, ঈশ্বরের ভক্তরা কতটুকু মানুষকে বুঝাতে পারে

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার জানামতে সৃষ্টিকর্তার সাথে আগের যুগের মানুষের খুব ভাল লবিং ছিল যেমন- কেউ তাকে দেখেছে, কেউ তার সাথে কথা বলেছে, কেউ সরাসরি তার দরবারে গিয়ে দেখা করেছে, কেউ তার খুব ভাল বন্ধু, কেউ তার বাবা, আবার কেউ কেউ নিজেকেই সৃষ্টিকর্তা বলে দাবী করেছেন ইত্যাদি। এছাড়াও পুর্বের যুগের কোটি কোটি ধর্মগুরুদের সাথে সৃষ্টিকর্তার সরারসরি কানেকশন ছিল মোবাইল ফোন ছাড়াই তারা সৃষ্টিকর্তার সাথে মেসেজ আদান প্রদান করিতেন, নানা বিধি নিষেধ আরোপ করিতেন সামাজের উপর স্রষ্টার নির্দেশ হিসেবে। এ সকল কারণে পূর্বের যুগের স্রষ্টার ক্ষমতাও ছিল অনেক বেশি, মানুষের দৈনদৈনিক কাজে তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপ করে নানান করসাজি দেখতেন, যেমন- উরন্ত ঘোরা, উরন্ত রথ, বাতাসে/ পানিতে হঁটা, মৃতকে জীবন দান, আগুন পানি করা, পানি আগুন করা, সাগর দ্বীখন্ডিত করা, লাঠিকে সাপ বানানো, মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকে এক মুহুর্তেই সুস্থ করে দেয়া, মহুর্তেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে প্রতিপক্ষদের দমন, সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধী (ফেরেশতা) পাঠিয়ে যুদ্ধে জয়লাভে সহয়তা করা ইত্যাদি এমন হাজারো মিরাকলের কথা শুনতে পাই পূর্বের সবগুলো ধর্মতত্বে, যা বর্তমান সময়ে হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না।
সতরাং বর্তমান সময়ে সৃষ্টকর্তার ক্ষমতা মোটেও বাড়েনি বরং লোপ পেয়েছে কারণ এসব কার্যক্রমের কোনটিই আমরা আর দেখি না বা কেউ দাবী করে না।
উপরোক্ত কার্যক্রমের যে কোন একটি কার্যক্রমও যদি বর্তমান সময়ের কোন সভ্য সামাজের মানুষ দাবী করে তাহলে নিশ্চিতভাবেই তাকে মানিসক হাসপাতেলে প্রেরণ করা হাবে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় বর্তমান মনবসমাজে সৃষ্টিকর্তার প্রভাব ব্যাপক আকারে লোপ পেয়েছে।
আগে যেমন এখানে সেখানে স্রষ্টাকে বা তার নিদর্শন দেখা যেতো, যেমন গাছের ডালে, মেঘের আড়ালে, পাহাড়ের চুড়ায়, গুহায়, পর্দার আড়ালে, সাগরে মাঝে আরও কত কি। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধির যত উন্মেষ ঘঠেছে, স্রষ্টার ক্ষমতাও তত লোপ পেয়েছে এবং তার নিদর্শনও তত দুরে সরে গেছে এখন আর স্রষ্টকে কেউ গাছের ডালে, মেঘের আড়ালে, পাহাড়ের চুড়ায় খুজে বেড়ায় না তাকে এখন মানুষ পাঠিয়ে দিয়েছে, দূর কোন গ্যালাক্সিতে বা শত সহস্র আলোক বর্ষ দুরের কোান এক গ্রহে।
এক সময় মানুষ হয়তো স্রষ্টাকে তাড়িয়ে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বাইরে পাঠিয়ে দিবে, যখন এই ব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় সবকিছু ব্যখ্যা করতে আমাদের আর কোন স্রষ্টার প্রোয়োজন হবে না।

ওহ বাই দ্যা ওয়ে, আরেকজন কবি বলেছেন - সর্বপ্রথম মানুষ স্রষ্টার ধারণা পায় যখন মানবজাতির প্রথম এক বোকা মানুষের ও প্রথম এক চালাক মানুষের সাক্ষাত হয়, তখন উক্ত বোকা মানুষটি চালাক মানুষটির কাছ থেকে সর্বপ্রথম স্রষ্টার ধারণা পায়।

০১ লা জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



এখন কেহ বলছে না যে, উনার সাথে কথা হয়েছে।

২০| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৪

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: সৃষ্টি কর্তার বিশালতা পরিমাপ করার জ্ঞান মানুষকে দেয়া হয়নি।

০১ লা জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



সব মানুষ তো সমান না; একজন নিরক্ষর চাষীকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ধারণা দেয়া কঠিন হবে; কিন্ত একজন শিক্ষক উহা সহজেই বুঝতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.