নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার মৃত্যু নিয়ে ব্যবসায়ীর রূপকথা

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩



ইহা আমার এলাকার ১জন মোটামুটি বড় ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে বেড়াতেন আমার সামনেই!

লেখায়, আমি উনার আসল নাম ব্যবহার করবো না, উহাকে হাজার হাজার মানুষ চেনেন, ছদ্মনাম দিচ্ছি আমজাদ। উনি আমার এলাকার মানুষ, নিউইয়র্কে ব্যবসা করতেন, এখন জীবিত নেই; আমার সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিলো; পারিবারিকভাবে আমাদের যাওয়া আসা ছিলো।

আমজাদ সাহেবের বাবার অনেক বয়স হয়েছে, দেশে থাকেন, এক সময় মসজিদের ইমাম ছিলেন। বাবা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে; উনারা ২ ভাই দেশে গেলেন; ১ সপ্তাহের মাঝে বাবার মৃত্যু হলো; ২ ভাই ফিরে এসেছেন, আমি দেখা করতে গেছি, আরো অনেকে এসেছেন। বিকেলে খাবার টেবিলে ১৫/১৬ জন মানুষ খাচ্ছেন, আমজাদ সাহেব উনার বাবার মৃত্যুর সময়টা নিয়ে কথা বলছেন:

বাবা হাসপাতালের ৪ তলায় এক কেবিনে, আমরা ২ ভাই প্রায় সময়ে বাবার কেবিনে; বাবার তেমন হুঁশ নেই। মৃত্যুর আগের রাত, আনুমানিক ২টার দিকে বাবার হুঁশ এলো, তিনি উঠে বসলেন, এবং আমাদের ২ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন:
-বাবারা, দরজায় ১ জন মানুষ এসেছেন, তিনি কাজে এসেছেন, উনাকে ভেতরে আন, তোমরা বাহিরে গিয়ে অপেক্ষা কর।

আমজাদ সাহেবের ছোটভাই (অবসর প্রাপ্ত মেজর ) দরজা খুলে দেখেন একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে; মেজর দৌঁড়ে রুমে এসে বাবার ব্যবহারের কাঠের লাঠি নিয়ে দ্রুত বেরুলো। লম্বা করিডোরে দৌঁড়ের শব্দে আমাজাদ বাহিরে গিয়ে দেখে মেজর একজন লোককে তাড়া করছে, লোকটা অনেক লম্বা, জোব্বা-পরা, নিমেষে সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে গেলো। মেজর ফিরে এসে বললো:
-ইহা ছিলো আজরাইল ফেরেশতা।

বাবা বললেন,
-তোমরা ভালো কাজ করনি, উনি দায়িত্ব পালন করতে এসেছিলেন, তোমরা অকারণ বাধা দিয়েছ।

পরেরদিন বাবার অবস্হা অনেক ভালো, পরিবারের লোকজন সারাদিন উনার সাথে; আমরা ২ ভাই বাবার সাথে কেবিনে থাকার জন্য রাত ১১:৫০'এ রওয়ানা দিলাম গাড়ীতে। রাস্তা ফাঁকা, ড্রাইবার নীরবে গাড়ী চালাচ্ছে, ছোট ভাই ঝিমাচ্ছে; নিউইয়র্ক থেকে ম্যানেজার কল দিয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত কথা হলো ৫ মিনিট; হাসপাতালে পৌঁছতে আমাদের ১২/১৩ মিনিট সময় লেগেছে। বাবার কেবিনে গিয়ে দেখি, আমাদের পরিচিত ডাক্তার ও নার্স মা'কে শান্ত্বনা দিচ্ছেন; মা কাঁদছেন নীরবে; ছোট বোন নীরব হয়ে বসে আছে। বাবাকে ঢেকে দিয়েছে চাদর দিয়ে। ডাক্তার বললো যে, রাত ১'টার দিকে বাবার মৃত্যু হয়েছে, সবাই আমাদের ২ ভাইকে ফোন করেছে, টেলিফোন বন্ধ পেয়েছে। আমি টেলিফোনে সময় দেখলাম, রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে আমরা কেবিনে ঢুকেছি।




মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্টের পক্ষে ব্লগার মহাজাগতিক ভালো বলতে পারবেন।

উনারা দুই ভাই মিথ্যা বলছেন অতি সচেতন ভাবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা অনেক রূপকথা বলতে পারেন সহজেই।

ধর্মীয়চিন্তাকে কিছুটা আধুনিকতা দেয়ার চেষ্টা করছেন মহাজাগতিক।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

রাজীব নুর বলেছেন:
আপনার জন্য।
ছবিটা অনেক দিন ধরে রেখে দিয়েছি। দেই, দিচ্ছি করে- আর দেওয়া হচ্ছিলো না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:




অদ্ভুত সুন্দর! ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভুতের গল্প বলতে অনেকে ভালবাসে কিন্ত নিজের বাবার মৃত্যূ নিয়ে এই জাতীয় গল্প কেউ ফাদতে পারে তা অবিশ্বাষ!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা সৃষ্টিশীল জাতি।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানুষ একটা ভুল/মিথ্যা বারবার বলতে বলতে, মিথ্যাটাকেই সত্য বলে মনে করে। এটা এক ধরনের রোগ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি অনেক সময় আজগুবি গল্প বলার সময় আমাকে সাক্ষী মেনে বলতেন; উনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি, বয়সে আমার চেয়ে কিছুটা ছোট ছিলেন। কোথা থেকে কিভাবে একটা ষ্টেনগান যোগাড় করেছিলেন, সেটা নিয়ে যুদ্ধ এলাকা থেকে বেশ নিরাপদ দুরত্বের গ্রামে হেঁটে বেড়াতেন; কোন গ্রুপের সাথে ছিলেন না।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনি কি রাতে ঘুমান না? এত রাতে সামু ব্লগে করেন টা কি?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি গড়ে ৬/৭ ঘন্টা ঘুমাই। আমি ব্লগিং ভালোবাসি।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




এই গল্প শুনে খেলাঘর কি বুঝলো সেটা যদি একটু বুঝিয়ে বলে।
দেখি কোন মর্মোদ্ধার করতে পারি কিনা!!!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ভুল ও মিথ্যা রূপকথার অবতারণা করে, বাংগালীরা মানব জীবনকে লজিক্যাল ভাবনার পথ থেকে ভুল পথে নিয়ে যায়।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




যেই ভদ্রলোক এ কথা বলেছেন, উনি সম্ভবত ব্লগার মহাজাগতিকের মতো কল্পনাপ্রবণ।

আরেকটা হতে পারে পিতৃশোক থেকে সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত ছিলো, তাই মাথায় এলোমেলো ধরণের একটা ভাবনা কাজ করে এবং পরবর্তীতেও উনি সেটাই বিশ্বাস করতে থাকেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



সম্ভব।

কিন্তু যাদের মাথায় লজিক্যাল ভাবনা আছে, তারা কিছু বলার আগে চিন্তা করে বলে থাকেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:




আমার পোষ্টের উপরে ২টি পোষ্ট আছে; দেখেন, উনি কি জেনে, কি ভেবে, এসব গার্বেজ এখানে ঢালছেন!

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমি দুই বার পড়েও ঠাহর করতে পারতেছিনা আসল ঘটনা কি? দয়া করে কেউ সাহায্য করলে বাধিত হবো।

১.
ক) বাবা হাসপাতালের ৪ তলায় এক কেবিনে। (বিস্তারিত লোকেশন জানতে পারলে ভালো হত)
খ) মৃত্যুর আগের দিন রাত ২ টার দিকে বাবা হুঁশ এলো, তিনি উঠে বসলেন, এবং আমাদের ২ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন: -বাবারা, দরজায় ১ জন মানুষ এসেছেন, তিনি কাজে এসেছেন, উনাকে ভেতরে আর, তোমরা বাহিরে গিয়ে অপেক্ষা কর।
{মনে করি সেদিনের তারিখ ১ জানুয়ারী, মৃত্যুর আগের দিন। }

গ) আমজাদ সাহেবের ছোটভাই (অবসর প্রাপ্ত মেজর ) দরজা খুলে দেখেন একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে; মেজর দৌঁড়ে রুমে এসে বাবার ব্যবহারের কাঠের লাঠি নিয়ে দ্রুত বেরুলো। লম্বা করিডোরে দৌঁড়ের শব্দে আমাজাদ বাহিরে গিয়ে দেখে মেজর একজন লোককে তাড়া করছে, লোকটা অনেক লম্বা, জোব্বা-পরা, নিমেষে সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে গেলো। মেজর ফিরে এসে বললো:
-ইহা ছিলো আজরাইল ফেরেশতা।

{মনেকরি এদিনের তারিখ ২ জানুয়ারী, মুত্যুর দিন}
ঘ) পরেরদিন বাবার অবস্হা অনেক ভালো, পরিবারের লোকজন সারাদিন উনার সাথে; আমরা ২ ভাই বাবার সাথে কেবিনে থাকার জন্য রাত ১১:৫০'এ রওয়ানা দিলাম গাড়ীতে। রাস্তা ফাঁকা, ড্রাইবার নীরবে গাড়ী চালাচ্ছে, ছোট ভাই ঝিমাচ্ছে; নিউইয়র্ক থেকে ম্যানেজার কল দিয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত কথা হলো ৫ মিনিট; হাসপাতালে পৌঁছতে আমাদের ১২/১৩ মিনিট সময় লেগেছে। বাবার কেবিনে গিয়ে দেখি, আমাদের পরিচিত ডাক্তার ও নার্স মা'কে শান্ত্বনা দিচ্ছেন; মা কাঁদছেন নীরবে; ছোট বোন নীরব হয়ে বসে আছে। বাবাকে ঢেকে দিয়েছে চাদর দিয়ে। ডাক্তার বললো যে, রাত ১'টার দিকে বাবার মৃত্যু হয়েছে, সবাই আমাদের ২ ভাইকে ফোন করেছে, টেলিফোন বন্ধ পেয়েছে। আমি টেলিফোনে সময় দেখলাম, রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে আমরা কেবিনে ঢুকেছি।

এখন আমার প্রশ্ন, রাত ১১:৫০ রওনা দিলেন গাড়ীতে। ১২/১৩ মিনিট লাগলো। (১১:৫০ + ১৩ = ১২: ০৩ ঘটিকা) উনারা যদি রাত ১২টার দিকে পৌঁছেন, সেক্ষেত্রে রাত ১ টায় (ভবিষ্যৎ) মারা গেলেন কেমনে? ধরে নিলাম দুই ভাইয়ের টেলিফোন আজরাইল নিজ ক্ষমতায় বিকল করে রেখেছে। দুই জন মানুষ রাত ২ টা ২০ মিনিটে কেমনে কেবিনে ঢুকলেন? আজরাইল দুই ভাইকে আড়াই ঘন্টা এলোমেলো করে দিলো?

আমারে কেউ পানি পড়া দ্যান।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



রূপকথায় মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব হিসেবে তুলে ধরেন।

উনার বাবার মৃত্যু হওয়ার সময় কেবিনে উনার মা ও বোন উপস্হিত ছিলেন; আমাদের গ্রামের একজন এমবিবিএস ডাক্তার সেই রাতে ডিউটিতে ছিলেন, তিনি মৃত্যুর পরপরই আসেন। আমজাদ সাহেব ও উনার ছোট ভাই মৃত্যুর সময় ওখানে ছিলেন না। আমি পরে আমজাদ সাহেবের স্ত্রী থেকে জেনেছিলাম যে, আমাদের সামনে আমজাদ যা বলেছিলেন, উহা সঠিক নয়।।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:




কিন্তু যাদের মাথায় লজিক্যাল ভাবনা আছে, তারা কিছু বলার আগে চিন্তা করে বলে থাকেন।

মানুষ যখন মানসিকভাবে বিভ্রান্ত থাকে বা অবসেশন রোগে ভোগে, তখন যে এলোমেলো ভাবনা কাজ করে, সেটার ওপর তার কন্ট্রোল থাকে না। লজিকতো অবশ্যই না।

এই ভদ্রলোকের কি হয়েছিলো জানিনা কিন্তু এরকম রোগী আমার জানার মধ্যে দুইজনকে দেখেছি।


০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



সম্ভব।
উনি এসএসষি পাশ করেননি; কিন্তু আমেরিকায় এসে, এক ইয়েমেনী মেয়েকে বিয়ে করে ছোট একটা ব্যবসার মালিক হয়েছিলেন; পরে তিনি ব্যবসাকে অনেক বড় করে ফেলেন; ব্যবসার সাফল্যের সাথে উনি নিজের রূপকথাগুলোকে সমান অনুপাতে বাড়ায়েছিলেন; উনার স্ত্রী ( বাংগালী মেয়ে, ইয়েমেনের মেয়েটি উনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ) হাসতেন এসব ব্যাপার নিয়ে; তবে, স্বামীর এই সমস্যা নিয়ে কথা বলতেন না।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আজরাইলকে লাঠি দিয়ে ধাওয়া দেয়া ঠিক হয় নাই মেজর সাহেবের। ওনাকে কাছে ডেকে বুঝিয়ে বললে হয়তো আজরাইলের মনটা নরম হত।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



কল্পকাহিনীর কথক সেভাবে ভাবেননি; উনি ব্যক্তিগত জীবনে শক্তিতে বিশ্বাস করতেন।

একবার উনাকে বাংলাদেশে, পাহাড় থেকে অন্যায়ভাবে পাথর সংগ্রহ করার কারণে এরেষ্ট করা হয়েছিলো নিজের থানায়; উনার গ্রামের লোকেরা (৬০০/৭০০ লোক ) ঢাকা-চিটাগং রোডে বিরাট গর্ত কাটার শুরু করেছিলো ( বেগম জিয়ার ২য় টার্মে ); থানার দারোগা উনাকে ছেড়ে দেয়। উনি সেদিনই ভারতে হয়ে আমেরিকা চলে আসেন।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বাঙালী আজরাইল হলে লুঙ্গি পড়া থাকতো।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মীয় অলৌকিকে আজরাইল আরবী পোশাকে থাকার কথা

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার পোষ্টের উপরে ২টি পোষ্ট আছে; দেখেন, উনি কি জেনে, কি ভেবে, এসব গার্বেজ এখানে ঢালছেন!

খেলাঘর একটু আগে লজিক্যাল ভাবনার কথা বললো।

সেভাবে যদি বলি, পোষ্টগুলো গার্বেজ This is your opinion.
Some other people may think in different way.
তাদের কাছে এসব পোষ্টের গ্রহনযোগ্যতা থাকতে পারে।

কমিউনিটি ব্লগে সব ধরণের লেখক পাঠক থাকবে। এটা মেনে নিয়ে আমরা এখানে আসি।
ভালো না লাগলে আমরা অবশ্যই সেটা বলতে পারি। সমালোচনাও করবো কিন্তু সংযত হয়ে।

খেলাঘরের কমেন্ট এক্সেস থাকলে সেই পোষ্টে যদি গার্বেজ শব্দটা ব্যবহার করতো, আর লেখক যদি সেনসিটিভ হয়, মাস্ট কমপ্লেইন করবে, শুরু হবে আবার কনফ্লিক্ট!

আমি এসব কেনো বলি? কারণ খেলাঘর এমন কিছু যেন না করে, যাতে তাকে নিয়ে কেউ কমপ্লেইন করতে পারে।


০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



কম্যুনিটি ব্লগে সব ধরণের লোক আসবে, কিন্তু সব ধরণের লেখা আসতে পারবে না।

এসব ভাবনার কারণে আমাদের মানুষ লাঠি নিয়ে আজরাইলকে তাড়া করছে, আর ভারতীয়রা ১৫ লাখ কিলোমিটার দুরে স্পেস ক্রাফটকে স্হাপন করছে।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০২

নতুন বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: কিন্তু যাদের মাথায় লজিক্যাল ভাবনা আছে, তারা কিছু বলার আগে চিন্তা করে বলে থাকেন।
মানুষ যখন মানসিকভাবে বিভ্রান্ত থাকে বা অবসেশন রোগে ভোগে, তখন যে এলোমেলো ভাবনা কাজ করে, সেটার ওপর তার কন্ট্রোল থাকে না। লজিকতো অবশ্যই না।এই ভদ্রলোকের কি হয়েছিলো জানিনা কিন্তু এরকম রোগী আমার জানার মধ্যে দুইজনকে দেখেছি।


সমাজে অনেক মানুষই আছে যারা যখন গল্প করে তখন অনেক কিছুই বাড়িয়ে বলে।

অনেকেই কিন্তু সচেতন মনে করেন না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আমাদের মানুষেরা দেশের সমাজে কিছুতেই আধুনি বিশ্বের সাথে চলার মতো করে গড়ছে না। তারা জেনেশুনে ইহাকে পেছনে টেনে ধরে রেখেছে।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




Sorry I object.
মানুষ লাঠি নিয়ে আজরাইলকে তাড়া করছে এমন ভাবনার লোক যেমন আছে, আবার আমাদের অনেক মেধাবী বাংলাদেশিরা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে।

ভারতীয়রা ১৫ লাখ কিলোমিটার দুরে স্পেস ক্রাফটকে স্হাপন করছে।
I feel proud of them.

সেই ভারতেই আবার এখনও লাখো লাখো রমণী শিবলিঙ্গ পূজা করে।
শিবলিঙ্গ পূজা কি, I don't want to explain to you.
Extreme levels of religious superstition.

সব ধর্মের, সব জাতিরই কমবেশি কুসংস্কার আছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



শিবলিংগ পুজা টা সম্পর্কে মেয়েদের মানসিকতা আমি জানি না।

তবে, আমি নিউইয়র্কে একটি আমেরিকান সফটওয়ার কোম্পানীতে চাকুরী করেছিলাম কয়েক বছর; এক ভারতীয় ব্যবসায়য়ী পরিবার উহা কিনে নেয়; ক্রমেই ওদের সিংগাপুর অফিস থেকে ভারতীয় প্রোগ্রামাররা আসার শুরু করলো, ৬০ ভাগ মেয়ে, ৪০ ভাগ পুরুষ; সবাই গণেশ পুজারী; ওরা অফিসের কম্প্যুটারের উপর গণেশের মুর্তি রাখতো; সীটে বসে ২/৩ মিনিট চোখ বুজে পুজা করে কাজ শুরু করতো। প্রিয়া নামের ১টা মেয়ে ছিলো, আমার কাজের সাথে সে জড়িত ছিলো; একদিন আমি বললাম, "গণেশটা আমি নিতে পারি?" সে সাথে সাথে আমাকে দিয়ে দিলো; পরদিন নতুন ১টা রাখলো নিজের কম্প্যুটের উপর। ধর্ম নিয়ে ওরা বেশ সহজ।

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৪

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ খুবই একটা অস্থির জীবন জাপন করে তারা সব সময়েই একটা নিশ্চয়তায় থাকে।

মন স্থিন না থাকলে নতুন কিছু করার মতন ভাবনার সময় হয় না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:




অনিশ্চয়তা জাতিকে গ্রাস করে ফেলেছে।
যাদের ক্ষমতা আছে, তারা সব কিছু ফেলে দিয়ে জাতির সম্পদ ডাকাতী করে, ভবিষ্যতকে কিছুটা স্হিতিশীল করতে গিয়ে জাতিকে ঢুবিয়ে দিয়েছে।

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




১৪ নং মন্তব্য ১২ নং প্রতিমন্তব্যের রিপ্লাই।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:




আমাদেরসকল ধরণের মিডিয়াকে কন্ট্রোল করার দরকার ছিলো যাতে জাতীয় সংস্কৃতি, শিক্ষা ও মিডিয়ায় যেন গার্বেজ ঢুকতে না'পারে।

১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আজরাইলকে লাঠি দিয়ে ধাওয়া দেয়া ঠিক হয় নাই মেজর সাহেবের। ওনাকে কাছে ডেকে বুঝিয়ে বললে হয়তো আজরাইলের মনটা নরম হত। =p~ =p~

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি কি ফান করলেন, নাকি আসলে সেই রকম কিছু ভেবেছেন বলা কঠিন!

১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১২

কামাল১৮ বলেছেন: এটাই কালক্রমে সত্য ঘটনা হিসাবে পরিগণিত হবে।পুরনো অনেক সত্য ঘটনা এভাবেই সত্যে পরিণত হয়েছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বাবার মৃত্যুর অল্প সময়ের মাঝেই উনার মৃত্যু হয়েছে। উনি কিন্তু নিজের এলাকায় মেজবান দিয়ে বাবাকে নিয়ে কিছু অলৌকিক ঘটনা বলেছিলেন; যেহেতু বড় ব্যবসায়ী, উহার কথা শোনার মতো অনেক লোকজন ছিলেন।

১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এখনও আমাকে চিনলেন না !!!

তবে যাই হোক পুলিশের সাথে যেমন পিটাপিটি করতে নাই। একই কথা আজরাইলের সাথেও বাড়াবাড়ি করতে হয় না। ধাওয়া না দিয়ে ধরে বেঁধে রাখলেই চলতো। কিন্তু মেজরদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। সারা জীবন লেফট রাইট করতে করতে ঝাকানি খেতে খেতে মাথার বুদ্ধি হাঁটুতে নেমে আসে। আমাদের আর্মির বন্ধুদের এই কথা বললে ভাব দেখায় খুব মজা পেয়েছে কিন্তু মনে মনে খুব রাগ করে।

ব্লগে আর্মির কেউ থাকলে দয়া করে এটাকে জোকস হিসাবে নিবেন। এটা শুধু মজা করার জন্য বললাম। :) আর্মির লোকেরা খুব জোকস পছন্দ করে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:




মিলটারী অফিসারদের বেলায় আপনার ধারণা সঠিক; না'হয়, এরশাদ কিভাবে মিলিটারীর সাপোর্ট পেয়েছিলো!

২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মিরোরডল বলেছেন: আরেকটা হতে পারে, পিতৃশোক থেকে সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত ছিল, তাই মাথায় এলোমেলো ধরণের একটা ভাবনা কাজ করে এবং পরবর্তীতেও উনি সেটাই বিশ্বাস করতে থাকেন। আমারও তাই মনে হয়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:


সম্ভব।

তবে, উনি অলৌকিক কিছু একটা ধারণার সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩০

কলাবাগান১ বলেছেন: @মিরোরডল,
তারা শিব, গনেশকে পুজাও করে আবার মংগল গ্রহে যাবার রকেটও বানায়, আর আমাদের দেশের আউটকাম তো দেখতেই পাচ্ছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা জানে না, ভারতীয়রা কিভাবে বিশ্বের আইটি ফিল্ড দখল করে নিয়েছে।

২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্বহীনতা থাকলে উনারা মারা গেলে এমন অবসাদে ভোগে অনেকে। তখন এই ধরণের গল্প পাতে অনেকেই। আবার অনেকে নিজের অক্ষমতাকে ঢাকতে বাবা মাকে অনেক বড় করে দেখাতে অবচেতন মনে এসব কল্প কাহিনী বানায়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের মানুষজন সৎ নন।

২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উনি এইসব গল্পফেঁদে নিজেকে উচ্চমার্গিয় কিছু বোঝাতে চাচ্ছেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি নিজ চেষ্টায় শুন্য থেকে শুরু করে অনেক কিছু করেছিলেন, কিন্তু সেটা বলার মাঝে কিছু সমস্যা ছিলো; তাই অলৌকিক কিছু নিয়ে ভাবের সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।

২৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব আধি ভৌতিক গল্প যারা করতে আসে তাঁরা কি জানে না, আপনি আধুনিক চিন্তার মানুষ। কুসংস্কারের মাঝে আপনি নেই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি জানতেন; তারপরও উনি ভুল কথা বলতেন আমার সামনে।

২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




কলাবাগান১ বলেছেন: @মিরোরডল,
তারা শিব, গনেশকে পুজাও করে আবার মংগল গ্রহে যাবার রকেটও বানায়, আর আমাদের দেশের আউটকাম তো দেখতেই পাচ্ছি।


I absolutely agree.

বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু খুবই স্লথ গতিতে।
নিজের দেশকে ছোট করছি না কিন্তু বলতেই হয়, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক অনেক পিছিয়ে আছে। ভারত সমগ্র বিশ্বে একটা পরিচিত দেশ একনামে সবাই চেনে তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে। I feel proud of them.

১২ নং কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে খেলাঘর যখন তাদের সাথে তুলনা করলো, তার উত্তরে আমি বলতে চেয়েছি, সেরকম একটা
উন্নত দেশেও শিবলিঙ্গের পূজা হয়। তারমানে ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার সব জায়গাতেই কম বেশি আছে। আর সেখানে বাংলাদেশের কেউ যদি দেখে আজরাইল লাঠি নিয়ে দৌড়াচ্ছে I'm not surprised to hear this story :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের মানুষের যা উন্নতি হওয়ার কথা ছিলো, উহা ব্যুরোক্রেটরা, সরকার ও কিছু ব্যবসায়ী মিলে দখল করে নিয়ে।

২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




বাংগালীরা জানে না, ভারতীয়রা কিভাবে বিশ্বের আইটি ফিল্ড দখল করে নিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াতেও আইটি সেক্টর লিড করছে ভারতীয়রা।
আরও ভালো লাগে দেখতে তাদের মেজররিটি কাভার করছে মেয়েরা।

ভারতীয়দের যে বিষয়টা আমার কাছে ভালো লাগে এবং মনে হয় এটাই তাদের উন্নয়নের মুলমন্ত্র সেটা হচ্ছে তাদের নিজেদের মধ্যে একাত্মবোধ। এটা এখানে চাইনিজদের মাঝেও দেখি। ভারতীয় এবং চাইনিজ নিজেদের মাঝে খুব সাপোর্টিভ। যে দুর্বল তাকে সবাই টেনে তোলে।

আমাদের সমস্যা স্বার্থপরতা, অসততা প্রতিহিংসা, অলস। নিজেও করবে না, অন্যকেউ করলেও তাকে টেনে নামাবে।
তারপরও আশাবাদী সময়ের সাথে নিশ্চয়ই পরিবর্তন আসবে একদিন কিন্তু সেই একদিন কবে, জানি না।



০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের গত ৫২ বছর যেভাবে গেছে, ইহা ছিলো দোযখে সময় কাটানোর সমান; দেশের পরিস্হিতিতে, ইডিয়টরা সামনের সারিতে ও দলে বড়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.