নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসলো চুক্তির মুল পয়েন্ট কি ছিলো?

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭



অসলো চুক্তির (১৩ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ সাল ) মুল পয়েন্ট ছিলো: ইয়াসীর আাফাতের গেরিলা বাহিনী যুদ্ধ ছেড়ে একটি এডমিনিষ্ট্রেভিভ অথারিটিতে পরিণত হবে, তাদের নাম পিএলও থেকে পিএ ( প্যালেষ্টাইন অথারিটি ) হবে; তারা ইসরায়েল প্রশাসিত পশ্চিম তীর ও গাজার প্রশাসন চালাবে ৫ বছর; পিএ হচ্ছে ফিলিস্তিনের মানুষের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল ও ফিলিস্তিনীদের পক্ষ থেকে স্বীকৃত সংস্হা। পিএলও ইসরায়েলকে ১ টি স্বাধীন দেশ হিসেবে মেনে নিয়েছে; ২ জাতি পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করবে। ৫ বছরের মাঝে ২ জাতি বসে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে, সাথে সাথে পিএ ও ইসরায়েল একসাথে বসে উদ্ভুত সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।

ফিলিস্তিনের মানুষ রিফিউজী ক্যাম্প থেকে পশ্চিম তীরে ও ফিলিস্তিনের জন্য নির্ধারিত ভুমিতে ফিরে যাবে। ফিলিস্তিনী ভুমিতে থাকা ইহুদীদের সরায়ে নেয়া হবে। জেরুসালেম শহর ২ দেশের থাকবে; তবে ইহা স্বাধীন একটি শহর হিসেবে গণ্য হবে।

পিএলও'র গেরিলা যুদ্ধের অবসান করবে, যোদ্ধাদের পুলিশ বাহিনীতে নেয়া হবে ও অথারিটিতে চাকুরী দেয়া হবে; পুলিশ ব্যতিত কারো কাছে অস্ত্র থাকতে পারবে না। ফিলিস্তিনী ভুমিতে নতুন করে স্যাটেলমেন্ট তৈরি বন্ধ।

চুক্তিতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সই করে প্রধানমন্ত্রী ইয়াতজিক রবিন ( লেবার পার্টি ) ও ইয়াসীর আরাফাতের সন্মতিতে ফিলিস্তিন অথারিটির পক্ষে সই করেন মাহমুদ আব্বাস ( ফাতাহ )। চুক্তির মুল সমন্ময় করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন; চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ওয়াশিংটন ডিসি'তে । চুক্তির সময় ক্লিনটন ঘোষণা দেয় যে, রিফিউজীদের জন্য ঘর তৈরি করে দেবে আমেরিকা।

ওয়াশিংটনে চুক্তি সাইনের আগে ইয়াসীর আরাফাত ও ইসরায়েলের পিএম কয়েকবার নরওয়ের রাজধানীতে গোপনে আলোচনা করে। রবিন ছিলো মিলিটারী জেনারেল; সে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে অংশ নে্যা জেনারেল, যে সব সময় ফিলিস্তিন-বিরোধী ছিলো। সে ইসাসীর আরাফাতকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, এসব গেরিলা যুদ্ধ করে কখনো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করা যাবে না।

অসলো চুক্তিতে সই করার কারণে রবিন'এর সরকার মোটামুটি সমস্যার মাঝে পড়ে; অবশেষে, ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে, এক সন্ত্রাসী ইহুদী রবিনকে গুলি করে হত্যা করে। এদিকে পিএলও'র একটি অংশও আরাফাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে বেশ কিছু সময়; কিন্তু বড় বাধা আসে মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী সংস্হা হামাস ও ইসলামী জ্বিহাদ থেকে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ধ্রুপদ বলেছেন: লেখা ভালো হয় নাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি মাল্টিদের জন্য লিখি না; আপনি মালটি নিক খুলছেন প্রতি সপ্তাহে, আপনার জীবনটা অততার মাঝে ডুবে আছে সব সময়।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হামাসের মত কট্টরপন্থিরা অসলো চুক্তি পছন্দ করেনি।
কারণ যুদ্ধ করতে সবচেয়ে মজা।

বিনা পরিশ্রমে বিনা চাকরিতে অনেক অনেক টাকা অস্ত্র কিনতে টাকা, আরব ব্যবসায়ীরা অকাতরে টাকা দিচ্ছে। আমেরিকা ইউরোপ থেকেও প্রবাসীরা টাকা দিচ্ছে। শান্তি চুক্তি হলে তো টাকার স্রোত বন্ধ তাদের সব জারি জুরি বন্ধ।
অস্ত্রের ভয়ে নাগরিকরা বিপক্ষে ভোট দিতেও ভয় পায়। কেউ এদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে না কারণ টাকাতো পাচ্ছে সংসার চলছে চাকরি ছাড়াই।
আর আছে ইঁদুরের মত বংশবৃদ্ধি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



সন্ত্রাসীরা অনেক মুসলিম দেশকে ব্যর্থ দেশে পরিণত করেছে; বাংলাদেশেকও ভোগাচ্ছে; এরা কোনদিন কোন দেশ ও জাতি গঠন করেনি।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: নতুন কোন চুক্তি দরকার।যেটা উভয় পক্ষই মানবে।এখন সবার আগে দরকার যুদ্ধ বন্ধ করা।

০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



উভয় মানে কে কে?

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: ইসরায়েল আর প্যালেস্টাইনবাসী

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আগের চুক্তিটি ফিলিস্তিনের জন্য সঠিক ছিলো; ১৯৯৮ সালের মাঝে দেশ স্বাষহীন হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো; কিন্তু আরাফাত সময় মতো অস্ত্র কমাতে পারেনি, হামাস, ইসলামিক জ্বিহাদ মিলে ইণতেফাদা করতে করতে আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে যায়। এখন চুক্তি আসলে মৃত। জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লা গতকাল বাইডেনের সাথে মুল সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে; বাদশাহ বাইডেনকে অনুরোধ করেছে "ফিলিস্তিন" স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

চুক্তির নেড়েচেড়ে নতুন মোড়কে আনলেও কি দেশ পাওয়া সম্ভব?

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ঐ চুক্তিকে অকেজো করে দিয়েছে হামাস, ইসলামিক জ্বিহাদ এবং স্বয়ং পিএলও।

এবার আরবদেরদের থেকে নতুনভাবে প্রস্তাব আসছে, বিশ্বসের চাপও বেড়েছে; আমেরিকা ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য নিজের থেকেই হয়তো ফিলিস্তিন গঠন করবে।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অসলো চুক্তিতে যা ছিল তার চেয়ে কম দাবি করেও এখন ফিলিস্তানিরা পাচ্ছে না। অসলো চুক্তি ঐসময় মেনে নিলে এখন যা দাবি করছে তার চেয়ে বেশি পেতো।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আরাফাত বুঝেছিলেন যে, আজীবন গেরিলা যুদ্ধ করে সময় নষ্ট করেছিলেন; কিন্তু চুক্তিকে কার্যকর করার মতো শক্ত মনোভাব উনারও ছিলো না।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আরাফাত-রবিন শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন জরুরি ছিল।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রধান বাধা ছিলো হামাস ও তাদের সমর্থকরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.