![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
আমাদের মুসলিম পরিবারে বিয়েতে কনে তার বরকে স্বর্নের আংটি পরিয়ে দেয়। এই রেওয়াজ বহু বছর ধরে চলে আসছে। শুধু বরকে নয় বরের বোন জামাইদেরকেরও স্বর্নের আংটি উপহার দেয়া হয়। আমরা কি জানিনা স্বর্ন ব্যবহার পুরুষদের জন্য হারাম? আসুন, পুরুষের জন্য স্বর্ন ব্যবহার হালাল না কি হারাম কয়েকটি হাদিস থেকে জেনে নিইঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, “ নবী (সাঃ) সোনার আংটি পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।” (বুখারী- আদাবুয যিফাফ-২১৪)
আলী (রাঃ) বলেন,“রাসুল (সাঃ) আমাকে সোনার আংটি পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।” (তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ,ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৫৬,‘পোষাক’ অধ্যায়)
আবু হুরায়রা (রাঃ বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের কড়া বা আংটি পরানো পছন্দ করে, সে যেন তাকে সোনার কড়া বা আংটি পড়ায়।” (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪০১, বাংলা মিশকাত হা/৪২০৫)
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) এক লোকের হাতে সোনার একটি আংটি দেখলেন। তিনি তা খুলে নিয়ে নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি আগুনের টুকরো হাতে রাখতে চাইলে এই আংটি হাতে রাখতে পারে।’ (মুসলিম, আলবানী, আদাবুয যিফাফ ২১৫ পৃষ্টা)
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,‘আমার উম্মতের যে ব্যক্তি সোনা পরিধান করবে, আল্লাহ তার প্রতি জান্নাতের সোনা হারাম করে দিবেন। (আহমাদ, আদাবুয যিফাফ ২২২ পৃষ্টা)
যায়েদ ইবনু আকরাম (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘স্বর্ণ ও রেশমী বস্ত্র আমার উম্মতের নারীদের জন্য বৈধ এবং পুরুষের জন হারাম।’ (সিলসিলা ছাহীহা হা/১৮৬৫/৩০৩০)
উপরোক্ত হাদিসগুলো পড়ে আমরা জানতে পারিঃ
পুরুষের জন্য স্বর্ন ব্যবহার হারাম। তাই বিয়েতে বরকে স্বর্নের আংটি পরিয়ে দেয়া জায়েজ নয়। স্বর্ণের আংটির পরিবর্তে হাত ঘড়ি পরিয়ে দেয়া যেতে পারে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
সোনারবাংলা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
ইউরো-বাংলা বলেছেন: স্বর্ণের আংটির রেওয়াজ অনেক পুরানো, এটা পরিবর্তন হবার সম্ভবনা নাই।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আহলান বলেছেন: পরানো হয়, ব্যবহার করা হয় .....
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৯
ভোরের সূর্য বলেছেন: কনে তার বর কে আংটি পড়িয়ে দেয় এই রেওয়াজ আমি প্রথম শুনলাম হতে পারে কোন কোন জায়গায় আছে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসলে বর তার কনেকে আংটি পড়িয়ে দেয়। এবং ছেলেকে আংটি পড়িয়ে দেয় কনের বাবা,মা বা গুরুজনের কেউ।
যাইহোক একটু পিছনের দিকে যাই। আসলে আমাদের পূর্বপুরষ বা ভারতবর্ষের মানুষ ছিল সনাতন ধর্মের। ১৩০০ সালে দিকে পারস্য থেকে ভারতের দক্ষিন দিক দিয়ে মুসলিম সাম্রাজ্যের সূচনার পর থেকেই এদিকে ইসলাম ধর্মের প্রচলন শুরু হয় যার ফলে আমাদের মধ্যে মিক্সড কালচার রয়ে গেছে।তাই পুরষদের সোনা পড়ার প্রচলটা আমরা পুরপুরি ত্যাগ করতে পারিনি। এবং পুরোপুরি মুসলিম সংস্কৃতি ধারণ করতে পারিনি তাই এই অবস্থা।
তবে হ্যা অবশ্যই সোনা পরার সাথে সাথে ইসলামে ছেলেদের সিল্ক পরাও হারাম।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
শীলা শিপা বলেছেন: এটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরও বেশি কথা শুনা লাগে... ভাবতেই ভাল লাগে যে আমাদের পরিবারে এখনো এই নিয়ম টা এড়িয়ে চলা হয়!!!
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
নতুন বলেছেন: একটা প্রশ্ন যদি ছোট্ট একটা আংটি ছেলেরা হাতে দেয় তবে সমস্যা কি?
মানে ছেলেরা যদি অহংকার প্রকাশের জন্য সোনা না পরে তবে কি খুবই সমস্যা??
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
মুদ্দাকির বলেছেন:
দারুন সুন্দর পোষ্ট, সবার জানা উচিৎ বিষয় গুলো।
বিশেষ করে সিল্কের কাপড় পড়াটা যেন খুব স্বাভাবিক। সব ছেলেরাই দেখি সিল্ক পড়তে চায়, বুঝেই না যে ব্যাপারটা কতটা গুরুতর !!!! ঈদের দিন বাড়ীতে বলেন আর বাইরে বলেন এমন পুরুষ লোক কমই পাবেন যারা সিল্কের পাঞ্জাবী পাড়ে নাই!!!
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: উপকারী পোষ্ট
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: শুধু বরকে কেন ভাই সকল প্রাপ্ত বয়স্ক (ইসলামের বিধিবিধান যার উপর ফরজ) পুরুষের জন্যই হারাম।