![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন অবিবাহিত যুবককে বিয়ের আগে সর্ব প্রথম স্বর্ন ক্রয় করার জন্য টাকা জমা করতে হয়। কারণ স্বর্ণ ছাড়া আজকাল বিয়েই হয় না। বর যতই গরীব হোক না কেন তাকে স্বর্ণ দিতে হবে। এটাই আজকাল সিস্টেম হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দাম বৃদ্ধির কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের অবিবাহিত যুবকেরা স্বর্নের দোকানে প্রবেশ করতেও ভয় পায়। দাম বৃদ্ধির কারনে তাদের পক্ষে ৪/৫ ভরি স্বর্ন ক্রয় করাও সম্ভব নয়। কনের জন্য একটি গলার হার কিনতে ও ৩/৪ ভরি স্বর্নের প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে দেন-মোহরের টাকার পরিমানটাও অনেক অনেক বেশী ধায্য করা হয়। তালাকের পরিমার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বরপক্ষকে টেনশনের রাখার জন্য মুলত এর প্রধান কারণ। বরপক্ষের ডিমান্ডের উপর অনেক সময় মোহরানা উঠা-নামা করে। বরপক্ষের ডিমান্ড কম হলে মোহরানার পরিমানও কম হয়। তাই মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের উচিত কম ডিমান্ড করে কম মোহরানা ধার্য করে বিয়ের কার্য সম্পাদন করা। কিন্তু আজকাল কে শুনে কার কথা। বর-কনে উভয়পক্ষের দর কষাকষির কারনে দুই পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়।
আমরা কি পারি না একটু কম খরচ করে বিয়ে অনুষ্টান করতে?
সমাধান ছেলে পক্ষ থেকেই হতে পারেঃ
পাত্রী পছন্দ হওয়া মাত্রই বলে দিন আমাদের কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। শূধুমাত্র ১০০ অথবা ২০০ জন অতিথি নিয়ে আপনার বাড়ীতে গিয়ে আপনার মেয়েকে ঘরে তুলতে চাই। কোন আসবাবপত্র ও দেয়ার দরকার নেই। এই রকম প্রস্তাব পেলে কন্যার পিতা আলহামদুলিল্লাহ বলে অবশ্যই বলতে বাধ্য হবে "আপনারা খূশী হয়ে একটা মানসম্মত দেন-মোহর ধার্য করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন।"
মধ্যবিত্ত পরিবারের লক্ষ লক্ষ অবিবাহিত যুবক বিয়ে নিয়ে টেনশনে আছে। বিয়েতে দুই পক্ষের দাবী-দাওয়ার কাছে তারা অসহায়। বিয়ের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তাদের বয়স বেড়ে যায়। অন্যদিকে অর্থের অভাবে ঘরে বিবাহ যোগ্য কন্যা রেখে পিতা-মাতারা টেনশনে থাকে।
বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে বরপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে তারপর কন্যা পক্ষ ও এগিয়ে আসবেন। অমুকের বিয়েতে কি দিয়েছে না দিয়েছে সেই দিকে না তাকিয়ে আপনারা কম খরচে কিভাবে বিয়ের অনুষ্টান করবেন সেই চিন্তা করার সময় এসেছে।
আগের দিনের সেই গোলা ভরা ধান-পুকুর ভরা মাছ-গোয়াল ভরা গরু আর নাই। তাই বর্তমানে বিয়ের এই সিস্টেমকে পরিবর্তন করার জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসা উচিৎ। যুব সমাজই পারে সমাজ পরিবর্তন করতে। সমাজের বাজে কালচারকে পরিবর্তন করতে।
হে অবিবাহিত যুবক ভাইয়েরা মনে রাখবেনঃ——————
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি।
লোভ থেকে যার জন্ম।
আর লোভ মানুষকে কখনো
প্রকৃত সুখ দিতে পারে না।
তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটিকে ঘৃণা করতে শিখতে হবে।
ইসলামে যৌতুকের কোন স্থান নেই।
এটি ভিনদেশি কালচার।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার লেখাটা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। আমি আমার বিয়েতে এক টাকার ও কোন জিনিস নেইনি। শুধু মেয়ের বাসায় পরার ১ সেট কানের দুল নিয়ে আমার ঘরে এসেছে। আমি তাকে ফুল ১ সেট গয়না দিয়েছি বিয়ের পরে। অতি সামান্য মোহরানায় আমার বিয়ে হয়েছে। আপানার চিন্তার মতো আর আমার কার্যের মতো যদি সবাই এগিয়ে আসতো তাহলে দেশের সামান্য হলেও সমস্যার সমাধান হতো। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
দি সুফি বলেছেন: শূধুমাত্র ১০০ অথবা ২০০ জন অতিথি নিয়ে আপনার বাড়ীতে গিয়ে আপনার মেয়েকে ঘরে তুলতে চাই।
১০০-২০০ জন! আমিতো চিন্তা করে রাখছি ২০ জন নিয়ে যাব!
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
শিপু ভাই বলেছেন:
শূধুমাত্র ১০০ অথবা ২০০ জন অতিথি নিয়ে আপনার বাড়ীতে গিয়ে আপনার মেয়েকে ঘরে তুলতে চাই। কোন আসবাবপত্র ও দেয়ার দরকার নেই।
আমাদের পরিবারে এই তরিকায় বিয়ে শাদি হয়।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
পথহারা নাবিক বলেছেন: ১৪ জন বিয়েতে যাওয়া সুন্নত!
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
গোবর গণেশ বলেছেন: এই সমস্যায় ১০০% জর্জরিত একজন হতভাগ্যের লেখাটি পড়ার দূর্ভাগ্য হয়েছে। আমার ইচ্ছেতে কোন খাদ নেই, শুধুমাত্র প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে কথা তুলি না।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভালো পোস্ট। যৌতুক বন্ধের জন্য জনসচেতনতা তৈরির চেস্টার পাশাপাশি বিয়ের খরচ কমানোর জন্যেও সচেতনতা তৈরি করা দরকার।
এক বছর আগে আমার বিয়ের সময় কনে পক্ষকে বলা হয়েছিলো একটা সুতাও যেন উপহার হিসেবে দেয়া না হয় আমাকে। বিয়ের দেন-মোহর ঠিক করা হয়েছিলো ৬ লক্ষ টাকা। বউভাতের নিমন্ত্রনের কার্ডেও আমরা লিখে দিয়েছিলাম কোন প্রকার উপহার সামগ্রী গ্রহন করতে অপারগ আমরা। কোন গিফট্ নেয়া হয়নি কারো কাছ থেকে। আমরা জানি যে গিফট্ দেয়ার সামর্থ্য সবারই আছে, তারপরও গিফট্ কেনার বিরক্তি থেকে মুক্ত রাখতে চেয়েছি আমরা অতিথিদের। তারপরও অতিথিদের একজনের কাছে অপমানজনক লেগেছিলো কার্ডে লেখা কথাটা, তাতে আমাদের কিছু যায়-আসেনি। বিয়ের অনুস্ঠান আমরা করেছি খুবই সাধারনভাবে একটা অখ্যাত কমিউনিটি সেন্টারে। যে খরচ বেঁচে গেছে, সেটা দিয়ে বিয়ের পর থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম হানিমুনে, এতে টাকার সদ্বব্যবহার হয়েছে বলে মনে করি আমি। বড় অনুস্ঠান করে আসলে জাতে ওঠা যায়না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০১
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ধন্যবাদ!
আমি চেষ্টা করেছিলাম!