নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডায়েরীর পাতাগুলো.........

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি

সোনারবাংলা

আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।

সোনারবাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবারের কর্তাটি যদি হারাম উপার্জন করে তাহলে তার বউয়ের উচিত প্রতিবাদ করা

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

স্বামীকে হারাম উপার্জন থেকে বিরত রাখার উপায়ঃ



রাসুল (সাঃ) এর একটি হাদীসে আছে "কোন ব্যক্তি যদি এক লোকমা হারাম খাবার তার মুখে তুলে নেয় তাহলে চল্লিশ দিন তার দোয়া কবুল হয় না।" আমরা প্রতিদিন নামায পড়ছি, দান-সাদকা করছি, আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে দু'আ করছি, গুনাহ থেকে মাফ চাইছি। এখন প্রশ্ন হলো আমরা কি হালাল উপার্জন করছি? যদি দুর্ণিতি-চুরি করে, মানুষকে ঠকিয়ে, ওজনে কম দিয়ে অর্থ উপার্জন করি তাহলে সেই অর্থ দিয়ে আপনি বড় বড় দালাল-কোঠা তৈরী করতে পারেন, পরিবারকে নিয়ে রাজকীয় ভাবে বসবাস করতে পারেন। দামী দামী খাবার খেতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর দরবারে এই উপার্জিত অর্থ কোন কাজে আসবে না। যদি না আপনি হালাল উপার্জন করেন।



পরিবারের কর্তাটি যদি হারাম উপার্জন করে তাহলে তার বউয়ের উচিত প্রতিবাদ করা, স্বামীকে হারাম উপার্জন থেকে বিরত রাখা, প্রয়োজনে বাধ্য করা। প্রশ্ন হলো বর্তমানে কয়জন বউ তার স্বামীকে হালাল উপার্জন করতে বলে? বেশীর ভাগ বউরা তাদের স্বামীকে বেশী বেশী অর্থ উপার্জন করার জন্য প্রেসারে রাখে। আর স্বামী বেচারাও বউয়ের প্রেসারে পড়ে বউকে হাসি-খূশীতে রাখতে গিয়ে কোন এক সময় দুর্নিতিতে পা বাড়ায়। ছেলে-মেয়েদেরকে দামী দামী স্কুলে পড়ানোর জন্যও অনেকে দুর্নিতি করে অর্থ উপার্জন করে।



একমাত্র ধার্মিক বউরা তাদের স্বামীকে হালাল উপার্জন করতে সাহায্য করতে পারে। স্বামী যদি হারাম উপার্জন করে তাহলে তাকে কোরআনও হাদীসের বানী শুনিয়ে এই কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। স্বামীর যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকার কথা স্বামীকে বললে কোন স্বামী হারাম পথে পা বাড়াবে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বোঝার তওফিক দান করুন।



আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ যারা অনুসরণ করে রাসুলের (সাঃ), যে উম্মী নবী, যার গুনাবলী তারা নিজেদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদের সৎ কাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। (সুরা আল আরাফ, আয়াত ১৫৭)



হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন। রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন,”হে আনাস! তুমি তোমার উপার্জন পবিত্র (হালাল) করো তা হলে তোমার দোয়া কবুল হবে।” কোন ব্যক্তি যদি এক লোকমা হারাম খাবার তার মুখে তুলে নেয় তাহলে চল্লিশ দিন তার দোয়া কবুল হয় না।”

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

নাসরীন রহমান বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছেন। ইসলাম সুন্দর ও হালাল জীবিন যাপনের কথা বলে। আমরা সবাই সেটা জানি। কিন্তু কিছু কিছু স্ত্রীদের কারণে স্বামীরা অবৈধ রোজগারে বাধ্য হয়। পাশের বাড়িতে BMW গাড়ি আছে, তাই বলে কী আমিও BMW গাড়ি কিনব? আমার যতটুকু সামর্থ রয়েছে আমি সেটি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকব। এতে করে আপনি বেহেস্তে প্রবেশের পথ তৈরি করে রাখছেন। আপনার নামাজ, রোজা, হজ্ব, জাকাত আল্লাহের দরবারে কবুল হবে।আমাদের লোভ সংযত করতে হবে।এ দুনিয়া ক্ষণিকের দুনিয়া। পরকালের জীবন সারা জীবনের জন্যে। এটাও আমরা জানি। সুন্দর জীবন যাপন করতে আমাদের হালাল রোজগার করতে হবে।স্ত্রীদের বুঝাতে হবে না হয় বাধ্য করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.