নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সনেট কবি নিকের প্রথম সনেট- কবি সেলিম আনোয়ার

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৬



কবিতার ক্যানভাসে হৃদয় কথন
ফুটেউঠে। মায়াময় বিচিত্র রঙের
মুগ্ধতায় সম্মোহন বিস্তৃত; আকাশে
বিদ্যমান তারাদের মতন সুন্দর।
বর্তমান পাড়ি দেয় অতীত স্মরণে
ভবিষ্যৎ ডাকে আয় কালের কিনারে
স্বপ্ন চুড়ে পৃথিবীর এপ্রান্ত ওপ্রান্ত
কবিতায় আলপনা অদ্ভুত সর্বত্র।

মোহময় কথামালা হে কবি সেলিম
আনোয়ার, আপনার কবিতা সাজানো
ও গুঁছানো পরিপাটি দৃষ্টির প্রশান্তি।
অনন্তর মনভাবে রুচির বৈচিত্র
অফুরন্ত।পরিহারে কপট চরিত্র
অনুরূপ বাস্তবতা দেখিনি অনেক।

# কবিতার পাঠ সংখ্যাঃ ৩৪৮১, # লাইকঃ ১১, # প্রিয়ঃ ২
# মন্তব্যঃ ৪৬, # প্রতি মন্তব্যঃ ৪৯।

প্রতি মন্তব্য
১।
কলিমদ্দি দফাদার
কলিমদ্দি দফাদার কি করিয়া গেল
করিয়াতে? তারপর কোরিয়ান কন্যা,
কি করিয়া তার মন জয় করে ফেলে?
বিস্ময়ের ঘোরে মনে এ প্রশ্নটা জাগে।
উত্তরতো জানা নেই অনুমান করি,
কলিমদ্দি জাদুকর প্রেম জাদু জানে
কোরিয়ান কন্যা তাতে দেশ-জাতি ভুলে
কলিমদ্দি হাতে সফে মন প্রাণ তার।

আল্লাহর উপহার দাম্পত্যের জুটি
তারাদুই দু’জনার অবারিত প্রেমে
ঘরবাঁধে একসাথে হাসিখুশি মন।
ছবি দেখে মনে হয় স্বপ্নময় দেশে
তারা থাকে।তা’থাকুক, চিরকাল তারা
দুইমন এক হয়ে একামনা করি।

২।
সামিউল ইসলাম বাবু

মনে জাগে কত কথা দিতে তারে ভাষা
রাত দির এক করে ভাবে এক কবি
সামিউল ইসলাম বাবু মহাশয়
কবিতার আলয়েতে তিনি দীপ্তিমাণ।
মানবের যন্ত্রণায় কাঁদে কবি মন
ভারাক্রান্ত হৃদয়েতে ঘুরে চতুর্দিক
অনাচার দেখে পদ্যে করে প্রতিবাদ
প্রকৃতির রূপ কভু বর্ণে বিস্তারিত।

কবি মনে খেলা করে কত ভাবনার
ফুল দল রাশি রশি, হাসি প্রেমিকার
সে সবের ইয়ত্তা কি আছে কোন কালে?
আমাদের এ কবিও থাকে বিলক্ষণ
সুন্দরের নিরীক্ষণে নিজ ভাবনায়
অন্তরের অলিগলি সদা কায়মনে।

৩।
টুনটুনি

বিদ্যাকুঞ্জে টুনটুনি আত্মজা আমার
অবিরত সাফল্যের রেখেছো স্বাক্ষর
দয়াময় রেখেছেন খুশীর আবহে
শুকরিয়া করি তাঁর দানের নিমিত্তে।
সাফল্যের ধারা থাক বজায় তোমার
তার জন্য অব্যাহত থাকুক প্রচেষ্টা
তাহলেই আল্লাহর মিলবে সহায়
এভারেষ্ট শীর্ষে দেখ মানব পতাকা।

টুনটুনি টুনটুনে অঙ্কন নিমগ্ন
মোবাইলে গেম খেল, বলিনা কিছুই
তোমায়কে কি বলবে শাসনে তোমার?
প্রজাহয়ে তবু করি সামান্য মিনতি
সামঞ্জস্য করে চল আনন্দ দায়িত্বে
নতুবা যে দিতে হবে ভুলের মাশুল।

৪।
সাহিদা সুলতানা শাহী

মনকথা সব তার উদ্ভিদের সনে
এরা নাহি পাঁচকান করে কোন কথা
গুপ্ত কথা গুপ্ত থাকে সুরক্ষিত স্থানে
কথা করে বেচা-কেনা, এরা নয় সেটা।
প্রকৃতির শোভা মনে নিরন্তর এঁকে
সকলের মাঝে সেটি বিতরণ করে
মা-সাহিদা সুলতানা শাহী নিত্য দিন
ভাললাগে এসবের রুচিময় ভাব।

এ পৃথিবী চিরদিন থাকেনাতো কারো
ধ্রুবসত্য একথাটা মনে রেখে চলা
আজীবন সকলের কাম্য থাকা ভাল।
মঙ্গলের কীর্তিগড়া মানবের কাজ
পরিত্যাজ্য দানবীয় চরিত্রের নীতি
হে আত্মজা আমি চাই তুমি ভাল হও।

৫।
অর্ক
অর্ক তর্ক করব না দেখব শুধুই
প্রেম-প্রীতি নীতি কথা ছড়ানো ছিঁটানো
আপনার কবিতার কানন। যেথায়
প্রতিবাদী কন্ঠসর সবাক সর্বত্র।
অন্তরের ঝড়তোলা আলচ্য সূচির
অভ্যন্তরে আহবান, পিশাচ স্বভাব
প্রতিরোধে মানবের, সুতীব্র ভাষায়
উচ্চকীত আকুতি এ দমাও দানব।

দৃষ্টিতলে ধূসরতা বিরাজে এখনো
বিপ্লবীর দেখা নেই, কাতর মানুষ
অন্ধকারে আশাহত, দেখছে দূর্ভাগ্য।
নিরুপায় সর্বক্ষেত্রে বিষাক্ত জীবন
আশা-ভাষা স্তব্ধ সব নিরব রোধন
সমাধান তবু খোঁজে কবির কল্পনা।

৬।
মিঃ পাতলু

মিঃ পাতলু কবিতায় খুশী হয়েছেন
জেনে আমি সে রকম লিখি খুশী মনে
ছন্দ কথা কাজগেতে দিয়ে মনোযোগ
কি বলেন, তবে আমি ভাল করি কিনা?
না জনাব দমবার পাত্র আমি নই
কূ-লোকের কূ-বচনে , তারা কূ-বচনে
বেঁচে থেকে চিরকাল মরে তারপর।
আপনাকে মনে হয় জাতে অভিজাত।

আপনার পাশে থাকা লাগে বড় ভাল
অনেকেই প্রতিভায় টানে পিছনেতে
আপনার স্বভাবটা নয় সেরকম।
কূরুচির মানুষেরা হয় পিছা-মারা
তাতে মন দিয়ে কোন, জানি লাভ নেই
সকলের ভাল করা, বড় ভাল কাজ।

৭।
কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

প্রেমপথে আছে কত কন্টক বিস্তর
সে সকল পায়ে দলে প্রেমের উত্থান
ঘটে সব প্রেমিকের অন্তর সাম্রাজে,
তা’কিভাবে? জানা যায় কবির কথায়।
কালে কালে কত প্রেম দেখেছে জগত
হে নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন হে কবি
কবিতার ক্যানভাসে অনিন্দ সুন্দর
এঁকেছেন আপনি সে প্রেমর ভূবন।

প্রেমিকায় পড়ে দৃষ্টি প্রেমিক মনের
কি বেহাল উন্মাদনা কি চিত্র উদ্ভব
হয়ে থাকে, ফুটে সেটা কবিতা বৈচিত্রে।
দক্ষহাতে সে চিত্রের হয়েছে ধারক
দক্ষ এক কারিগর এ কবি নয়ন,
পাঠকের অন্তরেতে সুপ্রিয় সবার।

৮।
মিঃ মটু

মিঃ মটুর আগমন সামুর ব্লগেতে
শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাই সকলে।
মহাশয় এসছেন শেয়ারে নিজের
অভিজ্ঞতা আমাদের খুশির নিমিত্তে।
আপনার বন্ধুরাও উত্তম অনেক
আনন্দ ও বিনোদনে কাটাতে সময়
শান্তি আসে মনজুড়ে তাদের কাজেতে
অবসর যাপনেতে এ আসা সার্থক।

সামু ব্লগে আসে কত কুটিল চরিত্র
বিরক্তির উপলক্ষ্য বাড়াতে এখানে
অযাচিত কাজেকর্মে অশান্তি বাড়াতে।
আপনারা নন কেউ তেমন কুটিল
সেজন্যই এ আনন্দ মনের ভিতর
মটুদের দলে তাই সালাম জানাই।

৯।
ফেল কড়ি মাখ তেল

ফেল কড়ি মাখ তেল তৈলাক্ত বাঁশের
নীচ থেকে উপরেতে উঠছে। আবার
তর তর তরাসেতে নামছে, কি গুন
প্রতিভার বিনাশেতে, বিদেশী দালাল!
কতটাকা পেয়েছে সে অকামে, কে জানে?
ব্লগপাড়া বিচরণে নতুবা কি কাজেে
উগড়ায় গাপুলিয়ে বমির মন্তব্য?
এসকল দেশ শত্রু নিতান্ত জঘণ্য।

ফেল করে তেল মাখে কি বিজ্ঞ সে ভাবে
নিজমনে নিজেরেই, অথচ লাটিম
ভনভন করে ঘুরে আনন্দে উদ্বেল।
মনে মনে ভাবে সে যে কি বড় কি জ্ঞানী
কূৎসাও কূকথায়, নিকৃষ্ট চিন্তায়
থাক বাচা তই লয়ে প্রলয় পর্যন্ত।
১০।

শাহাদৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

দূর্নিবার ছুটে চলা ‘দূরন্ত’ এমন,
বাঁধভাঙ্গা ঢেউ যেন দূর্বার জোয়ারে
ভেঙ্গে চলে অবিরাম বাধার পাহাড়
কলমের তীক্ষ্মধার খোঁচায় প্রত্যহ।
সাহাদৎ হোসাইন সত্যের ছায়ার
মাঝে দেখি সেরকম দূরন্ত চরিত্র,
অভিপ্রায় চির যার অন্যায় বিনাশ
প্রতিকাজে, পরিস্ফুট মানব মঙ্গল।

ওহে প্রিয় গুণীজন ব্লগের পাতায়
আপনার উপস্থিতি আনন্দ নিলয়
গড়ে তোলে, মুগ্ধমনে সকলে তা’জানে।
কবিতার কথা মালা নিবন্ধ কানন
সমাজের মানুষের আচার-বিচারে
পরিপূর্ণ আপনার সৃষ্টির সম্ভার।

১১।
কবি এম আর তালুকদার

কবিতার কারিকুরি করেছি পরখ
প্রাণ ছোঁয়া কথামালা দৃষ্টির নন্দন
পরিপাটি সাজসজ্জা মুগ্ধতা মিশ্রিত
শোভাময় হয়েছে তা’ কবির যতনে।
মনছায়ে এম আর তালুকদারের
কবিতার বৃক্ষলতা বিস্তারে নিরন্ত
সে সকল মুগ্ধতার প্রেক্ষিত আসল
মনোযোগে পাঠকেরা পাবেন আনন্দ।

এক এক করে দেখি পাতায় পাতায়
কতকথা কতভাবে হয়েছে প্রকাশ
যেন সেথা মিশে আছে ভাবের সাগর।
দূর্নিবার সে কবিতা অমৃত সমান
কবি বলি সবিনয়ে লিখেন আপনি
এক দিন হয়তবা পাবেন স্বীকৃতি।

১২।
ওমেরা

ওমরা সতেজ মন ভাবনা দীগন্তে
ফিরিয়ে জানতে চায় কেন যে এমন
সভ্যতা বদলে যায় কূরুচি আবর্তে?
কেন যে আক্রান্ত তারা রিপুর তাড়নে?
কে দিবে উত্তর তারে? এখানে অচল
মনেরা পিছনে চলে, সম্মুখে আঁধার
কোথাও যায়না দেখা আলোর প্রদীপ
নিজেই নিজের ক্ষতি করছে মানুষ।

ওমেরা প্রদীপ জালে আলোক ছড়াতে
নিজের গল্পের ছলে নিয়ত এ দেখি
নিপূণ লেখায় তার নিজের দায়িত্বে।
পড়ন্ত সভ্যতা ধরে কতেকে টানায়
এখনো সভ্যতা আছে খাদের কিনারে
নতুবা পৃথিবী হতো জলন্ত নরক।

১৩।

কবি ভ্রমরের ডানা

ভ্রমরের ডানা, নেই উড়ে যেতে মানা
কবিতার ফুল দলে। যখন তখন
ঘুরে ঘুরে আহরনে ছন্দমৌ লুলুপে
গুন গুনে নৃত্য করে নিরাপদ ক্ষণে।
সঞ্চয়নে অতঃপর মৌভান্ডার খাঁটি,
কাব্যছন্দে পাঠকের মনতুষ্টি তরে
বিতরণে মর্মস্পর্শি কবিতার কথা।
আনন্দের শিহরণ জাগায় যে মনে।

ঢুলে ঢুলে পড়ে যাই, টলমলে পড়ে
আপনার কবিতার নিষ্কলুষ প্রেমে,
কবিতার দোলে দোলে মনে দোলা লাগে।
ভ্রমরের ডানা কবি ভ্রমরের সনে
মনে মনে গুণে গুণে গুণী কবি হয়ে
কবিতার খাঁতা তার বড় করে তোলে।

১৪।
চাঁদগাজী

গল্প আর রাজনীতি গাজীর বয়ান
কিছুক্ষেত্রে মন্তব্যের ঝালেতে বেঁহুস
পাঠকেরা ফোঁস ফাঁস করেন অনেকে
তেড়ে ফুড়ে আসে কেহ ধরতে আঁকড়ে।
চাঁদগাজী এসবের থোড়াই কেয়ার
কোনকালে করেছে কি? কেহ কি দেখেছে?
ধর্ম মর্ম বুঝে কম, বিজ্ঞানে অজ্ঞান
গাজীহীন ব্লগপাড়া নিতান্ত শীতল।

ছোট বড় গন্য নেই গাজীর বচনে
ধুয়ে দেয় সকলেরে কথায় কচলে
মহামান্য গুণীজন গাজীতে ‘বেকুব’।
গাজী দেখে বিশ্ব জোড়া বেকুব সাম্রাজ্য
বেকুবের সমারোহে ভরেছে জগত
গাজী বাক্যে বেকুবেরা কি ক্রুদ্ধ যে হয়!

১৫।
ব্লগ মাস্টারর

ইসলামের সেবা কল্পে নিহত হলেন
কবি ব্লগ মাস্টারর সামুর পাতায়,
নাকি অন্য হেতু আছে নিহত বিষয়ে?
সেকি কোন ব্যর্থ প্রেম? তালাসে গেলাম!
গিয়ে দেখি রাশি রাশি সুন্দর কবিতা
ঝরে ঝরে পড়ে আছে ফুলের মতন
লোভ লাগে তুলে নিতে দু’হাতে সকল
তৃপ্ত হলো পড়ে শেষে বিষন্ন হৃদয়।

ও মাস্টার বলেনতো দেখছি কি ভাই?
লজ্জাবতি কবিতারা আনন্দ আবেগে
লুটোপুটি খায় কত কবিতা কাননে?
সে কবিতা কুন্তলেতে পুস্পের সম্ভার
মুগ্ধতার ছায়া দেখে জলের ভিতর
আহা কিযে রূপবতি অচেনা সুন্দরী!

১৬।

মোস্তফা সোহেল

কবিতার সমারোহে ‘জীবন্ত বৈচিত্র’;
ফুটেউঠে ঝিকি মিকি তুলির আঁচড়ে
অবিরাম ছুটে চলা নদীর মতন
পর্বতের পদছুঁয়ে সাগরে গড়ায়।
মুগ্ধতার শিহরণ ছন্দের নন্দন
কাননের অলিগলি। কবির কবিত্বে
পরিস্ফুট একালের আবেগ তাড়িত
ভাললাগা গেঁথে আছে পরতে পরতে।

অনন্তের আকর্ষণে নিরন্ত লিখন
অনবদ্য কবি এক মোস্তফা সোহেল
অনুভুতি মনে যার সাজানো সকল।
সোন্দর্যের বিকিরণ সতেজ প্রাণেতে
স্তরে স্তরে অনুকাব্য, আবৃতি আনন্দ
গতিময় পদ্যপাঠে, আবেগ আপ্লুত।

১৭।

নাগরিক কবি

সভ্যতায় অসভ্যতা নিত্য দিন বাড়ে
মানুষের সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়ে সব
রিক্ত করে সেরা জীবে অহর্নিশ তারা
নাগরিক কবি ভাবে সে সবের কথা।
রাতদিন ভেবে কবি কূল নাহি পায়
ধুম্রজাল বিস্তারিত সব দিকে থেকে
সাগরের নীল জল সমস্যার দল
যত কমে বাড়ে আরো নব যোগ হয়ে।

খান্ত নাহি দেয় কবি ক্লান্তি কর কাজে
অসহায় ক্রন্দনেতে মন হয় ভারি
কবি মন তবু নাহি দমবার নয়।
কূ-কাজের মানুষের নেই মনে হুঁস
লুটে পুটে তারা সব চেটেপুটে খায়
যথাসাধ্য কবি এর প্রতিবাদ করে।

১৮।

ডঃ এম এ আলী

পৃথিবীটা যেন তাঁর হাতের মুঠোয়
পেয়েছেন মহোদয় ডঃ এম এ আলী,
সেই সাথে আমাদের দৃষ্টির কিনারে
এনেছেন সে পৃথিবী মমত্ব মায়ায়।
স্নেহে গড়া সুষমায় রত্নের আলয়
নেই কোন কমতির দৃষ্টান্ত সেথায়,
উত্তরের যাত্রা পথে সীমানা পেরিয়ে
চলেছেন নিরবধি আনন্দে অপার।

আমরাও দেখে ধন্য কৃতজ্ঞ নয়নে
তাঁর গড়া ব্লগবাড়ী সুচিত্রে দূর্লভ
আছে সেথা বিধাতার রহস্য সম্ভার।
অকৃপন কারুকাজ প্রত্যেক সৃষ্টিতে
বিস্ময়ের ঘোরে ফিরি দেখায় আবার,
দ্যেলতের আঙ্গিনায় আবদ্ধ দু’চোখ।

১৯।

কবি উম্মে সায়মা

অনুভূতি নীলাকাশে পাখা মেলে।আর
আবেগের পাখি গুলো বাতাসের শব্দে
উড়ে যায় অজানায়। খুঁজে ফিরে তারা
কবি উম্মে সায়মার স্মৃতিকথা সব।
জীবনের বাঁকে বাঁকে জমে আছে কত
সুখ-দূঃখ, যারা করে কলরব, ছুটে
অবিরাম।কবি ধরে সে সবের কানি,
টেনেআনি গাঁথে মালা কবিতায় তাঁর।

পাঠকেরা মনভরে কবি কথা পড়ে
জেনে যায় কবি মনে ভালবাসা কত
মানুষের জন্য গাঁথা; অমানুষে নয়।
কবি মনে আছে আরো আপনের টান
আর, মান অভিমান।সে সবের পরে
কবি মন নিত্য দিন উদ্ভাসিত হয়।

২০।

কবি ধ্রুবক আলো

ধ্রুবক আলোর চাই বিরাট ভান্ডার
হে কবি দিবেন কিনা তেমন আপনি?
দেখুন আঁধারে আজ পৃথিবী আঁধার
আলোক না হলে আর চলেনা হে কবি!
আপনি খাটেন জানি সকলে তা’দেখেে
আলোক সন্ধানী কবি আলোর সন্ধানে
ঘুরছে পৃথিবী জুড়ে গভীর প্রত্যয়ে
আমরা সাথেই আছি চলুক সন্ধান।

আশায় মানুষ বাঁচে হতাশা ঘুঁচিয়ে
আমরা কবিত্বে চাই পথের সে দিশা
উঠুক আকাশে চাঁদ আঁধারে পূর্ণিমা।
মানব কষ্টের হোক নির্মূল এবার,
মনুষ উঠুক জেগে পুরাতে সে আশা
জ্বলুক কবির হাতে আলোর মশাল।

২১।

কবি শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

অযথার কথা নয় যথাযথ কথা
বিষয়ের গভীরেতে, দৃষ্টিদানে তীক্ষ্ম,
তুলেআনে সুনিপুণ ছড়া কাব্য টানে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক কবি।
কত তাঁর মনোযোগ মানুষের মনে
চেতনার রাজ্য জুড়ে বিচরণ করে
একে একে দেখে যায় ভাব রত্ন সব
তারপর সে সকল কাব্যে গেঁথে নেয়।

অনবদ্য ছড়া তাঁর পাঠকেরা পায়
নিত্যদিন। সম্মোহন জাগে তাতে, আর
অতলেতে তারা সুখ তালাসেতে থাকে।
সমাজের নানা চিত্র দীপ্তিমান ছবি
কবি কাব্যে সুসজ্জিত অবিরত দেখি
দোয়াকরি কবি যেন সুখে থাকে চির।

২২।

কবি তোফায়েল আহমদ টুটুল

প্রতিভার পরিচয় সকলে মিলেনা
জহুরীর চোখ চিনে সঠিক রতন
তোফায়েল আহমদ টুটুল হে কবি
জহুরীর দেখা পেলে পাবেন স্বীকৃতি।
আল্লাহর স্মরণেতে থাকেন সর্বদা
তাঁর যদি দয়া হয় ভাগ্যের দুয়ার
এমনিতে খুলে যাবে অনেক সহজে
তাঁর দয়া অপেক্ষাতে আমিও যে আছি।

উপেক্ষায় কত রত্ন পায়নি কদর
অনেকেই পেয়েছেন মরন পরেতে
ভাগ্যগুণে অনেকেই আসেন নজরে।
কিকরার আছে আর মনুষ্যে করার
অপারগ জন বাঁচে প্রভুর কৃপায়
সে কৃপার সন্ধানেতে চলুক প্রচেষ্টা।

২৩।

ব্লগার অপরিচিত মানব শূণ্য

চেতনা নির্মল আর যুক্তিও তুখোড়
অসৎ চিন্তায় তোলে জ্বরের কাঁপন
ব্লগার অপরিচিত মানব শূণ্যের
লেখায় দেখেছি এর সুস্পষ্ট স্বাক্ষর।
এভাবে লিখুন তবে সভ্যতা নির্মাণে
এখানে অনেক চলে অকথা কূকথা
মনেতে মানুষ কেউ জঙ্গল সমান
যেথায় বশত করে পশুর স্বভাব।

মানুষে মানুষ করে মনুষ্য কথনে
আপনি তেমন বলে মানব দায়িত্ব
পালন করেন বলে আনন্দ অনেক।
হে সভ্য উদার চোখে সভ্যতা বিস্তারে
সবাই করলে কাজ ফলবে সুফল
চলুন সকলে করি সভ্যতা গঠন।
২৪।
কবি নতুন নকিব

ইসলামের নির্মল ছায়া সুশীতল
তার তলে বসে কবি নতুন নকিব
ভাবে পৃথিবীটা নয় কারো চিরস্থায়ী
নিরাপদ আবাসন নিশ্চিন্ত জীবন।
যখন তখন এসে আজরাঈলের
ফরমান, চুকে দিবে হেথাকার পাঠ।
বিনা প্রতিবাদে সবে যেতে হবে তার
ফরমানে সাড়া দিয়ে আসল নিবাসে।

কবির ভাবনা ঠিক শতভাগ খাঁটি
এখানে শুধুই মাটি কর্ম শেষে পাবে
সব কিছু ছেড়ে যাবে সব মুছাপির।
হায়রে মানুষ সব সত্য ভুলে কেন
অযথার পিছে সবে দলে দলে ফির?
শুধুই রবকে মান তবেই মঙ্গল।

বিঃদ্রঃ সেকালে আমি সেফ ছিলাম না। তথাপি ব্লগাররা আমার সাথে থেকেছে। সে জন্য ব্লগারদের প্রতি আমার মনভাব ছিল অন্য রকম।


মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কবিতা গুলোর বেশিরভাগই আগেই পড়া হয়েছে।আর কিছু পড়া হয়নি।লেখাটি প্রিয়তে রাখলাম পরে সময় করে পড়ে নেব।
আমাদের প্রতি আপনি কতটুকু আন্তরিক তা আপনার এই লেখা গুলোই প্রমান করে।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৬

সনেট কবি বলেছেন: আপনারাও যদি আমার পাশে না থাকতেন তাহলে হয়ত ব্লগের প্রতি আমার এতটা মোহ তৈরী হতোনা।

২| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সেফ হওয়ার আগের কবিতা। কী সুন্দর ভাবে আপনি ২৪ জনকে চিত্রিত করেছেন। লাইক দিলাম এবং প্রিয়তে রাখলাম।

অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩১

সনেট কবি বলেছেন: সেফ না থাকা অবস্থায় মন্তব্যের অনেক মূল্য থাকে। যারা সেফ নয় ব্লগারদের তাদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। তাহলে তারা মনবল হারাবে না।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১০

সনেট কবি বলেছেন:



পদাতিক চৌধুরীর পদব্রজে হাঁটা
দুনিয়াটা দেখবার নিরিবিলে চেয়ে
মনে মনে গুন গুন গান গেয়ে গেয়ে
সকলকে সে দেখায় করতে সামিল।
উড়াউড়ি যাত্রাপথে অহেতুক খাটা
যেন কি তৈলাক্ত বাঁশে কেউ উঠে বেয়ে
অগ্রসর গতি নেই ঘামে উঠে নেয়ে
সে জন্য এ পদাতিক হাঁটা হীরেঝিল।

পোষ্ট তার পড়ে মন প্রশান্তি অনেক
পেয়ে থাকে হররোজ নীতির তালিমে
কথা তাঁর অমৃতের মতন প্রত্যেক
পড়লে সে কথা মন জ্বালা যায় কমে।
ব্লগারেরা তাঁর থেকে জেনে সমাচার
জানে কত মানুষের কত কি আচর।

৩| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

অর্ক বলেছেন: নোবেল ডাম্বেল কদবেল কিছু একটা পুরষ্কার দেয়া হোক এই মহান সনেট জাদুকরকে। প্রিয় কবি, আপনাকে নিয়ে আমি তিনটি সনেট লিখেছি। অনুমতি দিলে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম?

ভরপুর শুভেচ্ছা।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: সনেট আপনিও লেখেন, এ আর নতুন কি?

৪| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সনেট কবি মনে আছে। আপনার সনেট কবি ব্লগ বেশ সফল হয়েছে। আর ও সফলতা লাভ করুন। আমাকে অনন্য উচ্চতায় আপনি নিয়ে গেছেন। এজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। এতটুকু বলতে পারি ইনশাআল্লাহ আমি আর নামছি না। উড়তে যখন শুরু করেছি শেষ সীমানা ছূয়ে দেবো। পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম। আমার জন্ম কবি নজরুলের জন্মদিনে। আমার মনে আছে।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: নির্বাচিত পাতায় আপনার চেয়ে কেউ বেশী আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।

৫| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবি সেলিম আনোয়ারের কবিতা পড়ার সময় আমার মনে হয়, বাংগালী মেয়েরা ভালোবেসে খালি দুরে সরে যায়, খালি দুরে সরে যায়।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৪

সনেট কবি বলেছেন: সব কিছুই অভাবের তাড়নায়। পেটের জ্বালায় প্রেম ভুলে যায়, কবির কি দোষ?

৬| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নির্বাচিতের কথা যখন বললেন । একটা কথা না বলে পারছিনা । এমন দিনও গেছে নির্বাচিত পাতায় আমার দুটি লেখা পাশাপশি অবস্থান করছে। অনেকের একমাসেও একটি নাই। সেজন্য সামহুয়ার ব্লগ কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

৥ চাদগাজী যারে কেউ কাছে পায় নাই সে তো দূরে সরে যাবেই।

এখন আর সরতে পারতেছে না। সুপারগ্লুর মত লেগে গেছে।
আরো দিন বাকী আছে । দেখেন কি অবস্থা হয়। সবই আপনাদের আশীর্বাদ।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি আপনি আপনার মত থাকতে চেয়েছেন, সেজন্য আপনার মাঝে স্বকিয়তা তৈরী হয়েছে, যা স্পষ্ট।

৭| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাহ!! চমৎকার। আপনি এতো গুণী কবিদের নিয়ে সনেট লেখলেন। পড়ে বেশ ভাল লাগলো। এভাবে ব্লগের সবাই যদি হন তাহলে ব্লগারদের লেখার মান বাড়বে, লেখতে উৎসাহ আসবে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: ব্লগারদের লেখার মান বাড়লে ব্লগারদের সময় ভাল কাটবে।

৮| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সনেট কবি স্বকীয়তার কথা যখন বলছেন এ কথা না বলে পারছিনা । রবীন্দ্র বলয় থেকে কবিরা অনেক দিন বেড় হতে পারেন নি। নজরুল সাম্যের গান গাইলেন বিদ্রোহী হলেন। আমি স্বকীয়তা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছি। এমনকি কারো প্রভাবে আমি যাতে প্রভাবিত না হই।অন্যের কবিতা পাঠ বিষয়টি বাদও দিয়েছিলাম ।রবীন্দ্র নজরুল বাদ দিলে বাকী কিছু থাকে না।ব্লা ব্লা ব্লা এরকম আরকি।

আমি নিজের ধারার কবি। সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। বাদ বাকী স্রষ্টা জানেন।

যারা আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করছি । :)

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১২

সনেট কবি বলেছেন: আপনার এ নিজেস্বতা যারা ধরতে পেরেছেন তারা আপনাকে মূল্যায়নও করতে জানে।

৯| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০২

প্রামানিক বলেছেন: আপনি অনেকের নামের সাথে আমার নামেও সনেট লিখেছেন। আপনি মেধাবি বটে। কবিতার জন্য অভিনন্দন।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৫

সনেট কবি বলেছেন: প্রিয় কবি এটা আমার এ নিকের প্রথম পোষ্টের প্রতি মন্তব্যের কবিতা। তবে আমরা আপনার ছড়া সাহিত্যে মুগ্ধ।

১০| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক সময় লাগলো।
তবু প্রতিটা লাইন পড়লাম।

ভালো লাগলো।

১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: কষ্ট করে পড়েছেন সে জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সনেট কবি আপনার মনটা অনেক বড়ো। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমার মতো নবীশকে এতো উপরে রাখলেন। আরো অনেক সিনিয়র ব্লগার আছে। তাদের নিয়ে লিখতে পারেন।

১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: অনেককে নিয়েই লিখেছি। কিন্তু আপনি সব রকম কবিতা লিখতে পারেন, যে ক্ষেত্রে আমি এখনো অনেক পিছিয়ে। কামনা করি স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে আপনার পরিশ্রম যেন স্বার্থকতা পায়।

১২| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: তখনও সেফ ব্লগারও হননি জেনে ভালো লাগলো।


১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

সনেট কবি বলেছেন: প্রথম পোষ্টে কি আর সেফ হওয়া যায়? তখন আমরা অনেকেই আন সেফ ছিলাম। এখন আমাদের সাথের অনেকেই সেফ। যারা সেফ হচ্ছে তাদের আনন্দ দেখছি এবং মজা পাচ্ছি।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ব্লগারদের নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা এক কথায় অসাধারণ।

১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: আপনাকে অনেক দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। আপনাকে খুব মিস করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.