![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শিল্পী, সাহিত্যিক কিংবা সাংবাদিকের মতো আমারও দুটি চোখ আছে।আমারও আছে মুখ কান এবং অনুভূতি। আনন্দে উল্লাস কিংবা ব্যথায় কাতর হওয়া পর্যন্ত সব কিছুতেই আছে অসম্ভব মিল। তারপরও কোন একটা ঘটনাকে আমি যেভাবে দেখছি অন্য একজন ও সেভাবেই দেখে তিনি যখন তার দৃষ্টিভঙ্গিটাকে লেখার মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরেন এবং দিনের পর দিন লিখে যান তখনই মনে হয় তাঁদের সাথে আমাদের পার্থক্যটা নেহায়েতই কম নয়। আমরা ভাবি কিন্তু প্রকাশ করতে পারি না। আর যারা এ কাজে পারদর্শী হন তাদের কেউ শিল্পী,সাহিত্যিক বা সাংবাদিক হন। অনেক দিনের চর্চায় তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হন।আলোচিত কিংবা সমালোচিতও হন। রাজনীতিবিদরাও যা ভাবেন তা প্রকাশ করতে পারেন।আবার যে কোন কথার নব ব্যাখ্যার মাধ্যমে সব কিছু নিজের মতো করে ভোগ করতে পারেন।ইদানীং এইসব রাজনীতিবিদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায় না।তবে শিল্পী,সাহিত্যিক এবং সাংবাদিকদের সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রশ্নে এখনও মানুষ আবেগি হয়।একটি টক শো কে কেন্দ্র করে যে আলোচনার ঝড়, তার শুরুটা পত্রিকায় যেভাবে পড়েছি ইউটিউবের ভিডিওতে দেখেছি তার চেয়েও ন্যাক্কারজনকভাবে।যেখানে শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে আইভির তুইতোকারী সবাই বেশ উপভোগ করেছেন।আর এই সুবাদে প্রকৃত ঘটনা না লেখায় নব ব্যাখ্যাকারীগন গোলাম মোরতজার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে চলেছেন । আমি/ আমরা বিশ্বাস করতে চাই এর আগে পরে আরো অনেক কথা আছে যা ভিডিওটিতে নেই। যেমনটি গোলাম মোরতজা নিজেও স্বীকার করেছেন এবং একাত্তর টিভি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছেন ঘটনার পুরোপুরি প্রকাশ করতে। আর যদি তাই থেকে থাকে তাহলে সাংবাদিক হিসেবে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করার দায় তিনিও কখনোই এড়াতে পারেন না।
©somewhere in net ltd.