![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ । জীবনের ইচ্ছা বা স্বপ্নগুলো বা ভাবনাগুলো হয়তো বা কোনদিন বাস্তবে রূপান্তরিত করতে করতে পারবো তাই আমি ব্লগ লিখে আমার ইচ্ছা/স্বপ্নগুলো/ভাবনাগুলো প্রকাশ করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ
একজন যোগ্য শিক্ষক সমাজে কতটুকু দরকার তা বলে বুঝানো খুব কঠিন। সবার প্রথমে প্রশ্ন যোগ্য শিক্ষকের যোগ্যতা কি?
১। শিক্ষকের পাট দান হবে এমন হবে যেন একজন কিছু বুঝেনা তারপরও সে বুঝতে পারবে যে শিক্ষক কি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। তারসাথে হল কি পড়াছি, কেন পড়াছি। তার প্রায়গিক দিক কি। বুঝানো সময় উদাহরণ গুলো এমন হতে হবে আমদের সমাজে প্রতিদিন ঘটে। আর তা সম্ভব প্রচুর পড়াশুনা করা আর বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যা গুলো সমাধান করা
২। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রধান দুটি দায়িত্ব তা পাট দান এবং গবেষণা করা বা গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা।
৩। শিক্ষককে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে যেন তাঁর স্টুডেন্টরা অধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে।
৪। শিক্ষকদের আরেকটি গুন থাকা উচিত সুডেন্টদের মন রীড করতে পারা এবং কে কোন দিকে ভাল সেদিক টা খেয়াল করা সেই অনুযায়ী তাকে কিছু বলা।
৫। সব সময় অপডেট থাকা সব বিষয়ে।
৬। যতটুকু পারা সমাজের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা। যদিও শিক্ষাদান একটি সমাজ এর এই উন্নতির জন্য।
কিন্তু উপরের কথাগুলো শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেই কোন ভাবেই বুঝা যাবে না। তাই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যভাবে ভাবে ভাবতে হবে। বাংলাদেশে অন্য সব চাকরি নিয়োগের পদ্ধতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ। তা আমরা জানি। আর তাই তাদের আজকের সমাজে তাদের মূল্যয়ন কম হচ্ছে কারণ অন্যসব চাকরির জন্য একজন চকরির প্রার্থীর রাত দিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
এবার প্রশ্ন হল কিভাবে তা সবচেয়ে কঠিনতর পরীক্ষার করা যায়।
১। সবার প্রথমে বিয়য় অবশ্যই ভাল রেজাল্ট করেতে হবে। কিন্ত প্রশ্ন হল শুধু রেজাল্টের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া কতটা যুক্তিক তা ভাবতে হবে। কারণ আমাদের প্রশ্নপত্রের মান কেমন সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। যদিও এখানে প্রশ্ন “এই প্রশ্নতো সবার জন্য প্রযোজ্য” কিন্তু এই প্রশ্নপত্র শুধু আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে সুডেন্টের জন্য প্রযোজ্য তা কি বিশ্বমানের প্রশ্ন হচ্ছে? আর সমাজে একটা কথা আছে যে প্রথম হবে সে শিক্ষক হিসাবে নিযোগ পাবে। আর যেই সুডেন্ট বছর প্রথমে থেকে জীবনের অন্যসব কাজ বাদ দিয়ে শুধু বইপত্র নিয়ে পড়ে থাকবে সেতো ভাল রেজাল্ট করবেই। তাই আমি বলতে চাই। রেজাল্টের জন্য একটা পয়েন্ট ধরতে হবে।
২। রেজাল্টের সাথে সাথে আরকেটা উদ্যোগ নিলে ভাল হয় তাহল পড়াশুনা ফাকে ফাকে বিভিন্ন রকম বিয়য় ভিত্তিক পরীক্ষা আয়োজনা করা বা বিভিন্ন বিষয়ের উপর সবার সামনে আলোচলা করবে সেই সাথে তাকে এই বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হবে। আরে সেখানে তাকে নম্বর দিতে হবে । আর তা নিয়োগের সময় মূল্যায়ন করতে হবে।
কিন্তু তাঁরপর প্রশ্ন রয়ে যায় সে কি শুধু অই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সে পড়াশুনা করছে। না, তাহলে আন্তর্জাতিক পরীক্ষার ব্যবস্থার করতে হবে। আর সেখানে বাংলাদেশ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মিলে একটি পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। আর এখানে অবশ্যই মার্কিং সিস্টেম থাকবে এবং তা নিয়োগের সময় বিবেচনা হবে।
৩। আর তাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভাল হতে হবে এবং সেই সাথে অবশ্যই গণিতে ভাল হতে হবে। এর জন্য আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা আছে । যেমনঃ IELTS, GRE এবং TOFEL। এখানে একটা প্রশ্ন থাকতে পারে যে “ এগুলো পরীক্ষার জন্য টাকা লাগে আর এই টাকা কে দিবে। তাই এর জন্য সুডেন্ট ভর্তি পর থেকে কিছু টাকা নেওয়া হবে এই উদ্দেশ্য এবং কিছু টাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করবে। আর এই স্কোর নিয়োগের সময় মূল্যায়ন করতে হবে। আর সব স্টুডেন্ট এই পরীক্ষায় অংশ নিবে।
৪।আরেকটা বিষয় হল তাকে একটি পরিকল্পনা দিতে হবে কেন সে শিক্ষকতায় আসতে চায়? আর এই পরিকল্পনা মূল্যায়ণ কতে হবে।
৫।আরেকটা বিষয় হল গবেষনা। এই বিষয় নিয়ে আমার প্রশ্ন হল “ একটা স্টুডেন্ট গবেষনার কি বুঝে?”
৬। অন্যন্য কারিকুলাম যার জন্য সে পুরস্কার পেয়েছে।যেমনঃ বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ............।
বি. দ্র. আমার ভাবনা চিন্তায় অনেক ভুল থাকতে পারে কারণ আমার জ্ঞান খুব সীমিত। তারপরও আমি এই গুলো বিষয়ে বলার কারণ আমার সামনে যখন একজন শিক্ষককে নিয়ে অবমূল্যায়ন করা হয়। আমার খুব কষ্ট হয়। তাই আমি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি, আপনারা যারা এই বিষয়ের সাথে জড়িত এর একটা সুষ্ঠ সমাধান খুজে বের করুন। তাতে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিয় যে পদ তাঁর একটা সমাধান হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
চলন বিল বলেছেন: নাহ ঠিক আছে ভালো লিখেছেন