![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে বিনিয়োগ খাতও এখন অনেক বেশি সম্ভাবনাময়। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নতির রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। আমরা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। সম্প্রতি কুয়েতের সরকারপ্রধানের সফরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে চারটি পৃথক চুক্তি এবং একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাণিজ্য, সামরিক, ঋণ সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি চারটি উভয়ে দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে কুয়েতের আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা কুয়েতের বাজারে আরও বেশি পরিমাণে পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিতে পারেন। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি ছোট রাষ্ট্র হলেও জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশ। দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হলে সেখানে আমাদের জনশক্তি রফতানির বাজার সম্প্রসারিত হতে পারে। দেশটি বাংলাদেশে বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে, বিশেষত অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জঙ্গীবাদীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ তৎপরতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও কুয়েত একযোগে কাজ করলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্ক একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে। কুয়েত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। পরীক্ষিত এই বন্ধুত্বের নিদর্শনে নব্বইয়ের দশকে কুয়েতের সার্বভৌমত্ব যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছিল, কুয়েতের স্বাধীনতা যখন অস্তমিত, তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানও ছিল জোরালো। কুয়েতের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা এবং পুনর্গঠনের প্রয়োজনে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের আওতায় বাংলদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সম্প্রতি সম্পাদিত চুক্তির সুফল লাভ যাতে দ্রুত হয় সে ব্যাপারে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কুয়েত শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণতর হলে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবশ্যই তা বড় অবদান রাখবে। সেই লক্ষ্যে পেশাদারি ও দেশপ্রেমবোধ নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
©somewhere in net ltd.