![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পক্ষ থেকে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার জনকে যথাক্রমে বেসিক আইসিটি, টপ-আপ, ফিউচার লিডার এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করছেন অনেক তরুণ-তরুনী। ঘরে বসে নারীদের জন্য ঝুঁকিহীন কাজ হলো ফ্রিল্যান্সিং। লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই প্রকল্প থেকে অনেক বেকার ঘরে বসে কিভাবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে বিদেশী মুদ্রা অর্জন করতে পারে, তা শেখানো হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ঠিক কত টাকা আয় করতে পারে, তা নির্ভর করে তার দক্ষতার ওপর। সাধারণত প্রতিমাসে কাজের ধরনভেদে ৩০ হাজার থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। সম্প্রতি, সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তরুণরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়িয়ে নিজেদের আয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। বৃহত্তর ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত মোট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ৫৬০ জন। এর মধ্যে সফলভাবে আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত হয়েছেন ৪৮৫ জন। বৃহত্তর ঢাকার বিভিন্ন জেলায় তাদের সম্মিলিত আয় ৪১ হাজার ৫৭৯ ডলার বা টাকার অঙ্কে ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৩২০ ঢাকা। ফ্রিল্যান্সারদের ব্যক্তিগত এই আয়ের পরিমাণ দিনে দিনে বাড়ছে। নারীর পাশাপাশি পুরুষও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য বদল করছে। তাদের মধ্যেই একজন রাজবাড়ির কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তফা চৌধুরী তামিম। ছোটবেলা থেকে প্রযুক্তির প্রতি ভালবাসা থেকে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখত সে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সে এখন পুরোপুরি একজন ফ্রিল্যান্সার। নিজের বেকারত্ব ঘুচিয়ে সংসারে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে তার আউটসোর্সিং দক্ষতা। প্রশিক্ষণ মানুষের সামর্থ্য বাড়িয়ে দেয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাত খুব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং আশা করা যায় সামনে অনেক বেশি সুযোগ আসবে। তরুণদের হাত ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে যাবে। স্বাধীনভাবে উপার্জন করে ভাল থাকার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে ভাল মাধ্যম। তরুণরা বিদেশী মুদ্রা আয় করে নিজেরা ভাল থাকার পাশাপাশি দেশকে ভাল রাখতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এই তিনটি বিষয়ে ৫০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা যদি মাসে ২৫০ ডলার করে আয় করতে সক্ষম হন তাহলে তারা একটি চাকরির সমমানের আয় করবে। এভাবেই এগিয়ে যাবে যুব সমাজ এবং সোনার বাংলা গড়তেও সহায়তা করবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সোহানী বলেছেন: আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং শব্দটার গভীরতা অনেক বেশি আর এ সত্যটা বুজেছি বাইরের পশ্চিমা দেশে যেয়ে। বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা.... ভারতীয়রা বিলিয়ন ডলারে ইনকাম করে নিচ্ছে আর আমরা দেখছি তাকিয়ে তাকিয়ে.....
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি কত আয় করেছেন? ১ টাকা, ২ টাকা