![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বয়স ৭/৮ হবে তখন। নানার বাড়ী বেড়াতে গেছি আম্মুর সাথে। তখন টক অব দ্যা টাউন ছিলো "মুনির এর ফাঁসি" (পুরা মনে নেই - তবে সম্ভবত স্ত্রীকে খুন করার কারনে এই লোকটির ফাঁসির হুকুম হয়)।
একই সময়ে মুস্তফা মনোয়ার স্যারের শিশুশিক্ষামুলক একটা পাপেট শো বিটিভিতে দেখানো হতো। ওই অনুষ্ঠানে কাগজ কেটে কিভাবে মানুষের অবয়ব বানাতে হয় তা শিখানো হলো। আমি চরম আনন্দে কাগজ কেটে কেটে মানুষ বানালাম। হঠাৎ মাথায় এলো মানুষের ওই অবয়বকে রশি দিয়ে টাঙিয়ে দেই...
তাই করলাম। আর শরীরটার উপর ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে লিখলাম "মুনিরের ফাঁসি"।
এই দৃশ্যটি আমার নানাদের মসজিদের হুজুর দেখে ফেললেন। ঈমানী দায়ীত্ব মনে করে "মুর্তি বানানোর অপরাধে" কিছু উত্তম মাধ্যম দিলেন। সামনে আমার নানা-আম্মা এবং অন্য কয়েকজন মুরুব্বীও ছিলেন। তারা কেউ কিছু বললেন না। বিষয়টি আমার ছোট্র মনকে প্রতিবাদী করে তুললো। আমি ওই অবস্থায় হঠাৎ হুজুরের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দৌড় দেই।
কিছুক্ষন পর আম্মার সামনে এলাম। আম্মা ধমক শুরু করলেন। অন্যান্য কথার মাঝে একটা কথা আমার আজো মনে পড়ে, তা হলো "হুজুরের সাথে বেয়াদপী করেছিস্ তোর আর কখনো আরবী পড়া হবেনা।"
তার পর অবশ্য আমার আর কোরআন শরীফ পড়া হয়নি। আমি নোয়াখালী জিলা স্কুলে প্রভাতী শাখায় ভর্তি হলাম। যখন অন্যরা গলা পাটিয়ে আলিফ-বা-তা পড়ছে আর আমি স্কুলের ব্যাগ কাঁন্দে ছড়িয়ে ক্লাসের দিকে ভাগছি...
আচ্ছা সত্যিই কি হুজুরের লাঠি কেড়ে নেয়ার শাস্তি স্বরূপ আমার কোরআন শিক্ষা হয়নি?
পুনশ্চঃ হেফাজতে ইসলামের সব সমর্থকের হয়তো আমার মায়ের মত "গুরুভক্তি" তে অঘাদ বিশ্বাস এখনো আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কেউ নেই?