![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টি ২০ বিশ্বকাপের "চার ছক্কা হই হই গানের ফ্লাশ মব" গিনিস বুকে নাম লিখাবে অচিরেই।
এই ফ্লাশ মব টি আরো একটি কারনেও গিনিস বুকে আসতে পারে। আর তা হলো একই ফ্লাশ মবের সর্বাদিক রেপ্লিকা (ফটোকপি) তৈরির কারনে।
বাংলা ছবি ডিজিটাল হবার পরও ফাইট থেকে "ডিসুয়া! ডিসুয়া!! ওওইক ডিসুয়া!!!" সরাতে পারেনি আমাদের পরিচালকরা, ঠিক তেমনি চার ছক্কা হই হই ভিডিও এর নির্দিষ্ট একটি ফরম্যাট থেকে কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে আসতে পারেনি। আমরা আজ আমাদের ফ্লাশ মবের রেসিপিতেও উক্ত ফরম্যাট এর বাহিরে যাবো না। শতহলেও আমাদের "নিজস্বতা" বলে কিছু নেই। আমরা সব চুরি বিদ্যায় এক - আমাদের চিন্তা চেতনাও ধার করা (হুজুগ শব্দটি মনে হয় অন্য কোন ভাষায় এতটা অর্থপুর্ন নয়!)
রেসিপিঃ
১. প্রথমে একটি মেয়ে দিয়ে ডান্স শুরু হবে।
২. চায়ের দোকান থেকে ভরা চায়ের কাপ অথবা সিঙারা পেলে ২/৩ জন দৌড় শুরু করবে (যদিও তারা দৌড়ে এসে ডান্স যুক্ত হবেনা, কিংবা কোথায় উদাও হয়েছে তাও আমরা দেখতে পারবো না।)
৩. রিকশা থেকে লাফ দিয়ে আরো ২ জন দৌড় দিবে।
৪. হলি খেলার মত নানান রঙের পাউডার আকাশের দিকে ছুড়ে দিবেন।
৫. সাইকেল কিংবা হোন্ডর সামনের চাকা উপরের দিকে উঠাতে পারে ডান্স গ্রুপে এমন কেউ থাকলে ভালো।
৬. শুটিং স্পট হবে কোন চৌরাস্তা (ওভারব্রিজ থাকলে ভালো হয় - কিছু দর্শক উপরে থাকতে পারবে - দেশের জনসংখ্যার যে অবস্থা!)
৭. ফ্লাশ মবটি দেখতে ঠিক মিউজিক ভিডিওর মত হবে (অর্থাৎ অপরিচিত কিছু লোক হঠাৎ কোন পাবলিক প্লেসে নাচবে না। বরং সকালের কিছু সিন, দুপুরের কিছু সিন এমনকি সন্ধ্যার কিছু সিন কেটে কুটে ভিডিও এডিটের মাধ্যমে ফাইনাল প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে।)
৮. এত কিছু বলা লাগে নাকি ভাই? যে কোন একটা ফ্লাশ মব দেখলেইতো পেয়ে যাবেন রেসিপি। কারন এখন পর্যন্ত বাজারজাত করা সব গুলোইতো এক রকম!!!
পরিশেষঃ
হুজুগের বাংলাদেশ - হুজুগি আমাদের দেশ।
©somewhere in net ltd.