নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত বিস্তারিত না-ই জানলেন...

স্বপ্নতরী (রাজু)

আমি সামাজিক জীব http://facebook.com/sopnotory1 আমার সামাজিক যোগাযোগ প্রকল্প।

স্বপ্নতরী (রাজু) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইক কেনার আগে...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

নতুন মটরবাইক কিনবেন ভাবছেন? বাইক কেনার আগে যে কয়টি বিষয় দেখা জরুরী তা নিন্মরূপ...



১. বাইকের ধরনঃ বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাইক পাওয়া যায়। যেমনঃ স্পোটস বাইক, সুপারমোটো রেসিং বাইক, স্কুটার, সুপার স্কুটার, নরমাল বাইক। আমাদের দেশের যুবকরা সাধারনতঃ মাসল টাইপ স্পোর্টস্ বাইক পছন্দ করে থাকে। বাইক ভিন্ন ভিন্ন সিসি এর হয়ে থাকে। বেশি সিসি'র বাইকে জ্বালানী খরচও বেশি হয়ে থাকে। আপনার ব্যাবহারিক প্রয়োজনমাপিক এবং অর্থনৈতিক সামর্থের হিসেবে বাইক সিলেক্ট করতে পারেন।





২. শরীরের সাথে সামঞ্জস্যতাঃ চালকের শাররীক ঘঠনের উপর ভিত্তি করে বাইক পছন্দ করা উচিত। যেমন হিরো হাংক কিংবা ইয়ামাহা এফজেড উচু এবং ওজনী বাইক। স্থুলাকায়/বেঁটে শরীরের কেউ যদি তার শাররীক সামঞ্জস্যতার চেয়ে বড় বাইক কিনেন তবে তা সড়ক দুর্ঘটনা এবং দীর্ঘমেয়াদী কোমর/মেরুদন্ড ব্যথার কারন হতে পারে।



৩. বাইকের সিটঃ বাইক কেনার পুর্বে অবশ্যই বাইকে বসে দেখুন আপনি কতটা কমফোর্ট ফিল করছেন। কিছু বাইকের সিট হাইট এ্যডজাস্ট করা যায় - দেখে নিন সিট এ্যডজাস্ট করার পর আপনার কাছে তা আরামদায়ক লাগছে কিনা? http://cycle-ergo.com/ সাইট থেকে আপনার শাররীক ঘঠনের সাথে বাইকের সিট এ্যাডজাষ্টমেন্ট, হাটুর স্বাস্থসম্মত অবস্থান সহ নানা তথ্য দেখে নিতে পারেন।



৪. বাতাস নিরোধক যুক্ত নাকি সামনে খোলা বাইকঃ বর্তমান সময়ের বাইকগুলোতে বাতাস নিরোধক স্বচ্চ প্লাস্টিক তেমন একটা দেখা না গেলেও এটি একটি গুরত্বপুর্ন বিষয়। বিশেষ করে আমাদের দেশের মত প্রতিকুল আবহাওয়ার দেশে অনেক মানুষ হাওয়া/ধুলা বালি থেকে নিজেকে বাঁচাতে এটি ব্যবহার প্রয়োজনীয়।



৫. এক্সট্রা ব্যাগঃ এটা সত্য যে বাইক হবে ঝামেলাহীন সিম্পল। কিন্তু মাঝে মাঝে বাইক দিয়ে আমারা বাজার করা বেড়াতে যাওয়া সহ নানা পারিবারিক গুরুত্বপুর্ন কাজ করে থাকি। তাই বাইক কিনতে লক্ষ্য রাখতে এটি কতটা ব্যাগেজ ফ্রেন্ডলী। অর্থাৎ ব্যাক্তিগত মালামাল পরিবহনে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যময়।



৬. স্টাইলঃ বাইকের আউটলুক বর্তমান সময়ে অন্য সব ইসু্যর চেয়ে গুরত্বপুর্ন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। দেখতে সুন্দর বাইকের জন্য অনেকে কিনতে বেশি টাকা খরচ এবং অস্বাভাবিক মেনটিনেন্স খরচ কে গায়ে মাখেন না। যেহেতু বাইক বছর বছর পাল্টানো সহজ কথা নয় তাই কিনতে সাময়িক অসুবিধায় পড়লেও একবারে মনের মত বাইকটি কেনা শ্রেয়।



৭. শব্দঃ বাইকের "ভদ্র রকম শব্দ" এবং পরিচ্ছন্ন হর্ন থাকা একটি জরুরী বিষয়। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে উচ্চ শব্দের ইঞ্জিন শব্দ দূষনের কারন হতে পারে। তাই এ বিষয়টি লক্ষ্যনিয়। অনেকে আবার সাইলেন্সার পাইপের বাঁশি খুলে শো-অফ করার চেষ্টা করেন; এটি অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে। যত্রতত্র হর্ন এবং উচ্চ শব্দের হর্ন থেকেও বিরত থাকা উচিৎ।



৮. মুল্যঃ সুন্দর একটি বাইক আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু এ স্বপ্ন অবশ্যই সামর্থ্যের ভিতর থাকা শ্রেয়। সামর্থ্য অনুযায়ী আপনার বাজেটের মাঝে সেরা বাইকটি পছন্দ করুন।



৯. জ্বালানী সাশ্রয়ীঃ "আমার বড় সড় একটি বাইক আছে!" এমন অহংকারের কোন যৌক্তিকতা নেই। কারন হাতি কিনলে হাতির খোরাক জোগান দেবার মত অর্থনৈতিক সামর্থ্য না থাকলে বন্ধু-বান্ধবের কাছে হাত পেতে নিজেকে ছোট করতে হবে। তাই বাইক কিনার সময় অবশ্যই জেনে নেবেন বাইকটির "মাইলেজ" কেমন?



________

লিখাটি আমাদের পার্টস্ দোকান ডট কম এর ফেইসবুক পেইজে প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.