নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত বিস্তারিত না-ই জানলেন...

স্বপ্নতরী (রাজু)

আমি সামাজিক জীব http://facebook.com/sopnotory1 আমার সামাজিক যোগাযোগ প্রকল্প।

স্বপ্নতরী (রাজু) › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরাতন মটরবাইক কেনার আগে যেসব বিষয় বিবেচনা করা দরকার

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

পুরাতন মটরবাইক কেনার আগে যেসব বিষয় বিবেচনা করা দরকার...



তো আপনি ব্যবহৃত মোটর সাইকেল কিনতে চাইছেন? যদিও নতুন বাইক কেনার চেয়ে পুরাতন বাইক কেনা একটু বেশি পরিশ্রমের - তবুও আমাদের অনেকে স্বাধ এবং স্বার্ধের সামঞ্জস্য আনতে পুরাতন বাইক কিনে থাকি।



আপনি মটরবাইক জগতে নতুন কিংবা আপনার কালেকশান বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত বাইক কিনতে চান তাহলে নিন্মের বিষয়গুলো আপনার জানা জরুরীঃ



১. আপনার বাইকের ধরন নির্ধারন করুনঃ

বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ধরনের মটরবাইক পাওয়া যায়। যার মধ্যে ক্রুজ, স্পোর্টস্ বাইক, স্কুটার এবং টওরিং বাইক উেল্ল্যখযোগ্য।



প্রত্যেক বাইকের মেইনটিনেন্স খরচ এবং জ্বালানী খরচ এ পার্থক্য থাকে। যেমন স্কুটি তুলনামুলকভাবে স্পোর্টস্ বাইকের তুলনায় অনেক জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং এক্সিডেন্ট প্রবনতা কম। আমাদের দেশে স্কুটি নারীদের বাহন মনে করলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানান আকারের স্কুটি পুরুষরাও ব্যবহার করে থাকে।



২. কোথায় / কার কাছ থেকে কিনবেন?

বাইক কেনার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন কার কাছ থেকে কিনলে আপনি আইনি বেড়াজালে পড়বেন না। দেশের বাজারে কাগজপত্র ছাড়া "টানা গাড়ী" নামে পরিচিত যেসকল বাইক কিনতে পাওয়া যায় তা কিনা থেকে বিরত থাকুন। যদিও এটি অনেক সাশ্রয়ী কিন্তু এ ধরনের বাইক কিনে মহা ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা এমনকি পুরা টাকা হারিয়ে জেলও খাটতে হতে পারে (যদি চুরি হওয়া বাইক কিনেন - তবে আপনার হাতে ওই বাইক পাওয়া গেলে আপনিই চোর বলে সাব্যস্ত হবেন)। কোন ব্যাক্তি থেকে মোটরবাইক কেনার সময় অবশ্যই ওরিজিন্যাল কাগজপত্র বুঝে নিবেন।

অপরদিকে অনেক এজেন্সি রিকন্ডিশনড বাইক নিজস্ব গ্যারান্টি সহকারে বিক্রি করে থাকেন। এটি নিরাপদ এবং তাদের কাছ থেকে আপনি পার্টস্ সহ সকল সুবিধাদি সহজে পাবেন।



৩. বাইক ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করুন।

• বাইক কেনার সময় আপনার মাথায় যত্ত প্রশ্ন আসে তা বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করুন।

• কোন একজন অভিজ্ঞ বন্ধু এবং একজন মেকানিক সাথে নিয়ে বাইক দেখতে যাওয়া উচিৎ।

• ভালো করে দিখে নিন বাইক এক্সিডেন্ট খাওয়া অথবা ডেন্টিং করা কিনা?

• বাইক যে ব্যাক্তির হাতে ছিলো তার বাইকের প্রতি যত্নশীলতা কতটুকু ছিলো তা দেখুন।

• "এখন কোন রকম একটা কিনে নেই" এমন চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দিন। কারন বাইক কিনা যতটা ঝামেলার - বিক্রি করতে যাওয়াও কম ঝামেলার নয়। তাই বাইকটি সহজেই পরিবর্তন করে ফেলবেন এমন ভাবনা অমুলক!



৪. টেষ্ট ড্রাইভ করুন।

বাহ্যিক দিক মোটামুটি পছন্দ হলে লম্বা একটি টেষ্ট ড্রাইভ নিন। বাইক সম্পর্কে আপনার ধারনা কম থাকলে টেষ্ট ড্রাইভে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ বন্ধু কিংবা টেকনিশিয়ান লোক দিয়ে করাবেন।



৫. অন্যন্য বিষয় সমুহঃ

ক. বাইকটির সার্ভিস হিস্টোরী জেনে নিন। সময় মত ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, সবগুলো সার্ভিস সময়মত করা হয়েছিলো কিনা? বাইকের কি কি নষ্ট ছিলো/আছে তা স্পষ্ট হওয়া আপনার জন্য জরুরী।

খ. অপরিচিতো/স্বল্প পরিচিতো কারো কাছ থেকে মোটরবাইক খরিদ করবেন না।

গ. দাম সম্পর্কে বার্গেইন করতে সংকোচ বোধ করবেন না। কারন আজকে কিনে কালকে বিক্রি করলেও তা "পুরাতন"।

ঘ. অর্থ লেনদেন করতে দু'একজন স্বাক্ষী কিংবা লিখিত নিতে ভুলবেন না।





____

অনুবাদঃ partsDokan.com

তথ্যঃ সংগ্রহ।

অনুরোধঃ দয়াকরে লেখা চুরি করবেন না। কপি করলে ক্রেডিটে partsDokan.com লিখতে ভুলবেন না।

অন্যের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দিয়ে নিজেকে চোর সাব্যস্ত করা থেকে বিরত থাকুন।



________________________

পোষ্টটিতে আপনার মুল্যবান মন্তব্য প্রদান করুন। আপনাদের পথ প্রদর্শন আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মোটরসাইকেলের ব্যাপারে আগ্রহ কম। তবে শেয়ার করায় ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.