নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর।।

স্োরনাভ

মুক্তচিন্তার মানুষ

স্োরনাভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইগ নোবেল! হাসি-তামাশায় অনুপ্রেরণা খোঁজা থেকে প্রতিবাদের ভাষা।

১৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:২৭


নোবেল ,খুব সম্ভবত পৃথিবীর র্মযাদাপূর্ন পুরষ্কার গুলোর প্রধান । এই পুরষ্কার নিয়ে টানাহেচড়াও কম হয়না । সুইডেন থেকে নোবেল আমেরিকাতে পৌছাইছে । যাই হোক আমার আলচ্য বিষয় আলাদা ।

বড় বড় আবিষ্কার করতে গিয়ে যারা ঘোড়ার ডিম বানিয়ে ফেলেন তাদের জন্যে "ইগ নোবেল" নামে ঠাট্টা মসকরার আরেকটি পুরষ্কার চালু আছে । পুরষ্কার প্রাপ্তদের অনেকই বেশ সানন্দে এই পুরষ্কার নিতে আসেন। এছাড়া প্রতিবাদ হিসেবেও ইগ নোবেল দেয়া হয়।

১৯৯১ সালে ‘অ্যানালস অব ইম্প্রবাবল রিসার্চ’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক মার্ক আব্রাহামস এই নোবেলের প্রচলন করেন।

আগে ইগ নোবেলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হতো ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি হলরুমে। কিন্তু বর্তমানে এটি দেওয়া হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান্ডার্স হলে।

বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১০টি পুরস্কারে দেওয়া হয় প্রতিবছর। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সত্যিকারের নোবেলের ক্ষেত্রগুলো- ফিজিকস, ক্যামেস্ট্রি, ফিজিওলজি/ মেডিসিন, শান্তি ও সাহিত্য। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ- এসব বিষয়েও দেওয়া হয় ‘ইগ নোবেল’।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি হাস্যরসে পরিপূর্ণ থাকে। প্রতিবারই অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি বাচ্চা মেয়ের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘এসব বন্ধ করো! আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি!’

অনুষ্ঠান শেষ হয় ‘যদি আপনি পুরস্কার না পেয়ে থাকেন, এবং বিশেষ করে যদি পেয়ে থাকেন, আগামীবারের জন্য শুভকামনা’- এই কথাটির মাধ্যমে।

২০১৩ সালে শান্তিতে ইগ নোবেল জিতেছে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাসনেকো ও দেশটির পুলিশ বাহিনী। জনসম্মুখে হাততালি দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে আইন বানানোয় প্রেসিডেন্ট এই 'সম্মান' পেয়েছেন। হাততালি দিলে অন্যের শান্তি নষ্ট হতেই পারে। ফলে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ আইন করার জন্য প্রেসিডেন্ট সাহেব একটা হাততালি পেতেই পারেন। প্রসংগত বেলারুশ ইউরোপের একমাত্র স্বৈরতন্ত্র যা রাশিয়ার ছত্রছায়ার পালিত।

তবে বেলারুশের পুলিশ এককাঠি সরেস। নতুন এই আইনে তারা হাততালি দেওয়ার অপরাধে এমন একটা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার কিনা একটি হাতই নেই!
বাংলাদেশের ও অনেক প্রাইজ জেতার মত কাজ আছে। যেমন নাহিদ সাহেব কে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

(কলিন রস্টোন সিদ্ধ ডিম থেকে কাঁচা ডিম তৈরীর অপ্রয়োজনীয় মেশিন আবিস্কার করে ২০১৫ তে ইগ নোবেল হঁকান।)

ইগ নোবেল এওয়ার্ড এর মটো হচ্ছে- আগে হাসো, পরে ভাবো। যেমন ২০১৬ সালের ইগ নোবেল পিস প্রাইজ আমেরিকা আর কানাডার যেসব গবেষক জিতেছেন তাদের রিসার্চ টপিক ছিলো- 'On the Reception and Detection of Pseudo-Profound Bullshit.' আরেকজন ইগ নোবেল সাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছেন তার আত্নজীবনীর জন্য। তার জীবনীর বিষয়বস্তু ছিলো মৃত মাছি আর প্রায় মৃত মাছি সংগ্রহের আনন্দের উপর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।


মজার বিষয় হৈল , ইগ নোবেল প্রাপ্তদের অনেকেই আবার প্রকৃত নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন ।
এমন কোন সফল বিখ্যাত ব্যক্তি পাওয়া কঠিন যিনি কিনা কোন বাধা বা বিদ্রুপ সহ্য করা ছাড়াই সফল হয়েছেন।

আমাদের অনেক বাংলাদেশীদের কাম হৈল কেউ কিছু করতে চাইলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা আর সমলোচনা করা । অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এই ছাড়া করার মত কাজ এইদেশে অবশিষ্ট নাই । মানুশ তো মেশিন না যে এক কিকে ষ্টার্ট হবে দু এক বার বিফলতা আসতেই পারে ।
যাদের এমন স্বভাব রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে ডুব দিলে দেখা যাবে তাদের সকলেই অসফল , অসহায় এবং প্রতিকূল জীবন যাপন করছেন ।
গ্লানীময় জীবনধারার মাঝে বেঁচে থাকতে থাকতে তারা জীবনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন ।
এমন মানসিক অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ঐসব মানসিক বিকার গ্রস্থ লোকেদের প্রয়োজন সকলের একটু সহযোগীতা ।
সকলের জীবন আনন্দময় হউক ।
শুভকামনা ।।

ছবি ও তথ্যসুত্র ঃ প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, রয়টার্স, বিবিসি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: বেশ ভালো লিখছেন।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

স্োরনাভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

স্োরনাভ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ মজার তথ্য জানালেন ভাই।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

স্োরনাভ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.