নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর।।

স্োরনাভ

মুক্তচিন্তার মানুষ

স্োরনাভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী মুহাম্মদের সাথে মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ইসলামের অজানা তথ্য।

১০ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৪




ইসলামের নবী মুহাম্মদ এর শিশু তিনটি পুত্র এবং চারটি কন্যা ছিল। দাসী মারিয়া আল-কিবতিয়া এক পুত্র জন্ম দেন এছাড়াও মুহাম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা বিনত খয়ল্লিদ বাকি সন্তান জন্মদেন। নবী মুহাম্মাদ তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটেও অনেক স্ত্রী অনুরাগী ও সন্তান বৎসল ছিলেন।নবী মুহাম্মাদ ছিলেন খাদিজার তৃতীয় স্বামী। ইব্রাহীমের মাতাকে তিনি বিবাহ করেননি।

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন নবীর ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন, আল্লাহ নবী মুহাম্মদের পালিত পুত্রের সাবেক স্ত্রীর সাথে তালাক হওয়ার পর নবী যখন তাকে বিবাহ করতে লজ্জা পাচ্ছিলেন, তখন তার লজ্জা ভেংগে আল্লাহ পাক সয়ং নবী মহাম্মাদ এবং জয়নাবের বিয়ে পরিয়ে দেন। (সুরা আহজাবঃ আয়াত ৩৭, আল কুরান)

এছাড়া যখন জয়নাবের সাবেক স্বামী যায়েদকে যায়েদ বিন মুহাম্মদ ডাকা হত, যয়নাবের স্বামী হিসেবে নবী মুহাম্মাদ বিব্রত বোধ করতেন, তখন আল্লাহ পাক আয়াত নাজীল করেন যায়েদ কে এখন থেকে মুহাম্মাদের পুত্র বলে ডাকা যাবেনা। (সুরা আহজাব আয়াতঃ ৪০, আল কুরান)। সকলেই তখন তাকে যায়েদ বিন হারেসা ডাকতে শুরু করলেন।

আল্লাহ পাক নবী মুহাম্মদ এর ব্যক্তিগত জীবনের ছোট ছোট বিষয়ে আয়াত নাজীল করেছেন যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, এতে পরিস্কার হবে নবী মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট কত প্রিয় ছিলেন।

আমরা একটু এক নজরে দেখে নেই নবী মুহাম্মাদের সন্তানদের নাম। তারপর আলোচনায় ফিরে যাচ্ছি।

নবী মুহাম্মদের সন্তান হলেন ঃ

১.ফাতেমা বিন মুহাম্মদ

২.রুকাইয়া বিন মুহাম্মদ

৩.জয়নব বিন মুহাম্মদ

৪.উম্মুল কুলসুম বিন মুহাম্মদ

৫.ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ

৬.আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ

৭.কাসিম ইবনে মুহাম্মদ


নবী মুহাম্মদের ঘটনা বহুল নবুয়ত জীবনের প্রথম দশ বছর মক্কা বিজয়ের আগে আল্লাহ পাক সবর করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর শেষ ১৩ বছর বেশ শক্তিমত্তার সাথে কাফের দের মোকাবেলা ও হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া নানা যুদ্ধজয়ে আল্লাহ পাকের গায়েবি মদদ ছিল বলে ধারনা করা হয়।

এছাড়া তিনি দাসী মারিয়া কিবতিয়ার ঘরে বেশী রাত কাটাতেন বলে, আয়েশা ও হাফসা রুষ্ট হন, তারপর তিনি দাসী মারিয়া কিবতিয়ার ঘরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়াতে আল্লাহ মনঃক্ষুণ্ণ হন এবং আয়াত নাজীল করেন
"হে নবী! আল্লাহ্ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন আপনি তা নিষিদ্ধ করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সস্তুষ্টি চাচ্ছেন; আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (সুরা আল তাহরীম আয়াত ১, আল কুরান)। অতঃপর তিনি আবার দাসী মারিয়া কিবতিয়ার ঘরে গেলেন।

আয়েশা যখন মরুভূমিতে বানুল মুস্তালিক যুদ্ধ তে যাওয়ার পথে সোনার হার হারিয়ে ফেলেন সোনার হার খুজতে গিয়ে কাফেলার সাথে যেতে পারেননি, কিছুক্ষণ পর হার খুজে পেয়ে তিনি কাফেলা খোজার চেষ্টা না করে মরুভুমিতেই ঘুমিয়ে যান। ঘটনাচক্রে একজন ঘুমকাতুরে সাহাবি সাওয়াফ বিন মুয়াত্তাল ভুল বশত ঘুমিয়ে থাকেন ঠিক ঐ যায়গায় এবং তিনিও কাফেলার সাথে যেতে পারেননি, তারা মরুভুমিতে একাকী থেকে যান। পরবর্তীতে কাফেলার সাথে যোগ দিলে আব্দুল্লা ইবনে উবাই এর নেতৃত্বদানে সহ অন্যরা কুৎসা রটাতে থাকে, ইবনে উবাই ক্ষমতা বান হওয়ায় অন্যদের বেত্রাঘাত করা হয়, উবাইকে ছেড়ে দেয়া হয় এতে উমার রুষ্ট হন।

আলী আয়েশার তালাক ও বিচার চান, তবে আয়েশাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিলেও পরবর্তীতে আল্লাহ অহী পাঠান সুরা নুরে(আয়াত ১১ -২০) আয়শা নির্দোষ শিকার তা জানিয়ে দেন। এই ঘটনার রেশে নবী মুহাম্মাদের ইন্তেকালের পর আলী ও আয়েশার মধ্যে যুদ্ধ হয় যা প্রথম ফিতনা বা উটের যুদ্ধ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে আলী ও আয়েশা দুজনেই আততায়ীর হাতে নিহত হন।

(আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আম্মার (রাঃ) কূফার (মাসজিদের) মিম্বরে দাঁড়ালেন এবং তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) - ও তাঁর সফরের কথা উল্লেখ্য করলেন। এরপর তিনি বললেন, তিনি (‘আয়িশাহ (রাঃ)) দুনিয়া ও আখিরাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পত্নী। কিন্তু বর্তমানে তোমরা তাঁকে নিয়ে ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২০)
সহিহ বুখারি।)

আয়েশা ছিলেন এক তেজস্বী মহিয়সী নারী, তিনি খেলাফতের মসনদে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।

মুহাম্মাদের চাচা আবু লাহােবর পাপী স্ত্রী কবলেলন, ‘আমরা আশা
করিছ তোমার ভেতেরর শয়তান তোমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।’ সেটি ছিল বাণী নাজেল বিঘ্ন হবার সময়কালীন ঘটনা। সে-সময়
নবী এতটাই নিরাশ আর বিপর্যস্থ ছিলেন যে, পাহাড় চূড়া থেকে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন।
ধারণা করা হয় ওহী নাজিলে বিঘ্ন ঘটেছিল, তখন আল্লাহ সুরা দোহা নাজিল করেন।

শপথ পূর্বাহ্নের, [ সুরা দুহা ৯৩:১ ]

শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, [ সুরা দুহা ৯৩:২ ]

আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি। [ সুরা দুহা ৯৩:৩ ]

যখন নবীকে বলা হচ্ছে আপনী যা শোনাচ্ছেন তা প্রাচীন উপকথা, তাওরাত ও ইনজিলের থেকে নেয়া, আমরা আগে থেকেই জানি, আল্লাহ অহী পাঠালেন, সুরা ফুরকান ঃ

৪.) যারা নবীর কথা মেনে নিতে অস্বীকার করেছে তারা বলে, এ ফুরকান একটি মনগড়া জিনিস, যাকে এ ব্যক্তি নিজেই তৈরি করেছে এবং অপর কিছু লোক তার এ কাজে তাকে সাহায্য করেছে। বড়ই জুলুম ও ডাহা মিথ্যায় তারা এসে পৌঁছেছে।



৫.) বলে, এসব পুরাতন লোকদের লেখা জিনিস- যেগুলো এ ব্যক্তি লিখিয়ে নিয়েছে এবং তা তাকে সকাল-সাঁঝে শুনানো হয়।

উম্মে শারিক যখন নবি মুহাম্মাদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন , আয়েশার প্রবল বাধায় সুরা আহজাবের আয়াত নাজিল হয়। (আহজাব ৫১-৫২) যে মুমিন নারী নবীর নিকট নিজেকে সমর্পণ করে তাকে ভোগ করা নবীর জন্য বৈধ।

মহীয়সী নারী আয়েশা বলেন, (সহী বুখারী ভলিউম ৭ বুক ৬২ নাম্বার ৪৮)," হে নবী আপনার ইচ্ছা পূর্ণ করতে আল্লাহর একদমই দেরী হয় না"।

আল্লাহপাক এমন অনেক কাজেই নবী মুহাম্মাদের সাথে ছিলেন, এবং ওহী নাজিল হয়েছে। আমাদের সবাইকে আল্লাহ পাক উত্তম বুঝ দান করুন। আমিন।



মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

সনেট কবি বলেছেন: অবিশ্বাসীদের অবিশ্বাসের সুবিধার্থে হয়ত আল্লাহ কিছু ঘটনার ব্যবস্থা করেছেন। তবে এগুলো বিশ্বাসীর বিশ্বাসে ব্যঘাত ঘটায় না। মহানবির (সাঃ) সবচেয়ে বড়গুণ ছিল সত্যবাধীতা, আমানত দারীতা, দৃঢ় মনবল। তাঁর গুণগুলোর ক্ষেত্রে অন্যকেহ তাঁর ধারে কাছেও ছিল না। আর গুণের কারনেই আল্লাহ তাঁকে বাছাই করেছেন। আর যার দ্বারা বড়কোন কাজ হয় তাঁর জন্য বিশেষ ছাড়তো থাকেই। কাজেই বিশ্বাসীরা বাস্তবতার আলোকে বিশ্বাসী।

১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

স্োরনাভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনি ঠিক লিখেছেন। আপনারর সাথে একমত।

২| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রত্যাশাহীন নতুন জীবন...
ছেড়ে দিলাম সব দাবী দাওয়া চাহিদা
বাউল হতে চাই এবার

১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

স্োরনাভ বলেছেন: ভাই কেমন আছেন? আমার ও বউল হওয়ার একটা বাসনা আছে।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

নাইক্যডিয়া বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট লিখার উদ্দেশ্য নিয়ে মনে নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে।
''নবী এতটাই হতাশ আর বিপর্যস্ত ছিলেন যে পাহাড়ের চূড়া থেকে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন''
এই তথ্য কোথায় পেলেন? রেফারেন্স কি?

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

স্োরনাভ বলেছেন: রেফারেন্স ছাড়া তো লিখিনাই, সুরা দুহার তাফসীর পড়ুন। আল কুরানের ৯৩ তম সুরা। ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

আহলান বলেছেন: নবী (সাঃ) এর সম্পর্কে এক সুতা পরিমান নেগেটিভ/সন্দেহজনক বক্তব্যও প্রকাশ করা অনুচিত ...এটা এডমিনের বোঝা উচিৎ

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

স্োরনাভ বলেছেন: মুহাম্মাদ নিয়ে সন্দেহ নাই, কুরান বলেছে তিনি চড়িত্রবান। কুরান থেকে রেফারেন্স দিলাম প্রতিটা প্যরায়! আপনার কুরান নিয়ে সন্দেহ হয়? নাউজবেল্লা।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

আবু সায়েদ বলেছেন: বিতর্কিত লিখা, ভুল-উপস্থপনা ও তথ্য-বিভ্রাট ও এলোমেলো।
হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে সঠিকভাবে সম্বোধন করাও হয় নাই।

লেখকের উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ।

১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

স্োরনাভ বলেছেন: মুহাম্মদ কে কি নামে ডাকব? আরবরা মুহাম্মদকে মুহাম্মদ বলেই ডাকত। মক্কা বিজয়ের পর তিনি যখন বড় রাজা হলেন, কুরানের বানী আসল তাকে উচ্চস্বরে আর নাম ধরে না ডেকে যেন নবী মুহাম্মদ ডাকা হয়। আমি জানতাম এই রকম বলবেন, কুরানের বানীকে তথ্য বিভ্রাট বলছেন? প্রতিটি প্যরায় রেফারেন্স দেয়া আসে। কোন লাইনে তথ্য বিভ্রাট করেছি লিখেন, এই পোষ্ট ডিলেট করে দিব যদি দেখাতে পারেন।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

ক্স বলেছেন: আপনার দেয়া কিছু তথ্য একেবারেই সন্দেহজনকঃ
১ আল্লাহ পাক স্বয়ং নবী (স) এর বিয়ে পড়িয়ে দেন।
২ তিনি দাসী মারিয়া কিবতিয়ার ঘরে বেশি রাত কাটাতেন, তার মানে তিনি তার স্ত্রীদের প্রতি ন্যায়বিচার করতেন না (নাউযুবিল্লাহ)
৩ আয়েশা (রা) আততায়ীর হাতে নিহত হন - এই তথ্য আপনি পাইলেন কই?
৪ঃ তিন নম্বর মন্তব্যে নাইক্যডিয়া যা বললেন, তাতে আপনার উদ্দেশ্য নিয়ে আসলেই সন্দেহ আছে।

নাস্তিকেরা রাসূলের (স) চরিত্র হনন করতে আয়েশা ও জয়নাবের রেফারেন্স টানে। আপনিও এগুলো নিয়ে কচকচ বেশি করেন।

১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

স্োরনাভ বলেছেন: সাইডে রেফারেন্স দেয়া আসে, দয়া করে দেখে নেন। কুরান পড়েন তো নাকি? আয়েশা আর যয়নবকে ভুলে যাইতে হবে? কেন ভুলে যাব?

৭| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

খনাই বলেছেন: প্রায় পনেরোশো বছর আগের আগের ঘটনা নিয়ে লিখবেন আর বিশ্বাসযোগ্য রেফারেন্স দিতে পারবেন না কিন্তু তার পরেও দাবি করবেন মুক্তচিন্তার মানুশ ! হয় পড়াশুনা করুন এসব বিষয়ে না হয় মুক্তচিন্তার মানুশ দাবি করার ভণ্ডামিগুলো বাদ দিন | ও আরেকটা কথা, এত বছর ধরেও 'মানুশ' বানান ভুলটা করে যাচ্ছেন ! আপনার পড়াশোনার অবস্থাতো বেশি ভালো না মনে হচ্ছে ! নিজের ব্লগে 'মানুশ' বানান ঠিক করুন আর পড়াশুনা করুন | তারপরে এই সব বিষয়ে লিখুন দয়া করে | এগুলো অনেক কঠিন বিষয় | পড়াশোনা না করে যা ইচ্ছে কবিতা লেখার মতো লেখার বিষয়তো এগুলো না |

১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

স্োরনাভ বলেছেন: কোন কিছু না পাইয়া বাংলা ব্যাকরণ ক্লাস নিয়া নিলেন জনাব, ১৫০০ বছর ধরে যেই বই বদলায় নাই সেই বই থেকেই রেফারেন্স দিসি।
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لَا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آَذَانٌ لَا يَسْمَعُونَ بِهَا أُولَئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولَئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ (الأعراف: 179 )

আমি অনেক জিন ও মানুষকে দোজখের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্তর রয়েছে, তারা তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা তারা দেখে না আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শুনে না, তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত, বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। (সুরা আরাফ:১৭৯)

প্রতিটা প্যরায় কুরানের রেফারেন্স দেয়া আসে। কুরান বিশ্বাস করেন তো?

৮| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

কানিজ রিনা বলেছেন: ধীক্কার ছারা আর কিছু বলার নাই। কত কত
মহারতী চোদ্দশ বছর ধরে নবী মোহাঃ সাঃ
কোরআন হাদীস ভুল উপমা দিয়ে কলংকর
বই বানিয়েছে সবই আবর্জনার স্তুপ। তাই
উদ্দেশ্য প্রনোদিত চাটুকারীর ধীক্কার জানাই।

১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

স্োরনাভ বলেছেন: নাউজবেল্লা!!! ভুল উপমা না আপা, আপনি কুরান বুঝে পড়েন নাই, সুরা আহজাব আর সুরা নিসা পড়ুন, কুরান বিশ্বাস করেন তো নাকি? প্রতিটা প্যরায় কুরান ও সহীহ হাদিস দেয়া আছে।

৯| ১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

খনাই বলেছেন: আপনি লিখেছেন :
এছাড়া তিনি দাসী মারিয়া কিবতিয়ার ঘরে বেশী রাত কাটাতেন বলে, আয়েশা ও হাফসা রুষ্ট হন, তারপর তিনি দাসী মারিয়া কিবতিয়ার ঘরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়াতে আল্লাহ মনঃক্ষুণ্ণ হন এবং আয়াত নাজীল করেন "হে নবী! আল্লাহ্ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন আপনি তা নিষিদ্ধ করছেন কেন? (সুরা আল তাহরীম আয়াত ১, আল কুরান )

বলেনতো কুরআনের রেফারেন্স দিয়েছেন IভালোI এখন আমার প্রশ্নের একটা উত্তর আর মাত্র একটা রেফারেন্স দিন দেখি আপনার ওপরের মনগড়া কথার সপক্ষে I

সূরা তাহরীমের এই আয়াত (১) রাসূলের অন্য ঘটনার ব্যাপারে নাজিল হয়েছে I এ'নিয়েতো অনেক তাফসীর আছে ,স্কলারদের লেখা আছে I বোঝাই যাচ্ছে আপনি পড়েন নি অথবা ইচ্ছে করেই নোংরামি করেছেন (আমার হাতের কাছেই একটা তাফসীর এখনই আছে | খুবই বিখ্যাত তাফসীর I সেটাতেও আবার দেখলাম I দেখি আমি যা জানতাম সেটাই লেখা আছে I এটা আপনি যা বলেছেন সে ঘটনার সাথে সম্পর্কিত না I কোন ঘটনা সেটা আমি বললাম না I আপনি কষ্ট করে পরে নিলেই জানবেন আপনার মিথ্যেটা কোথায়) I আপনি এই ঘটনার রেফারেন্স ইচ্ছা করলেই চেক করতে পারতেন লেখাটা পোস্ট করার আগে কিন্তু মনে হয় ইচ্ছে করেই করেননি ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলার জন্য I কুরআনতো বলেনি যে সূরা এত তাহরিমের আয়াত আর আপনি যে ঘটনার কথা বলেছেন সেটা সম্পর্কিত I তাহলে কোন রেফারেন্সে আপনি বললেন সূরা তাহরীমের (আয়াত ১) আর হজরত মারিয়া কিবতির ঘটনা সম্পর্কিত ? আপনার কথার রিলায়েবল রেফারেন্স যদি থাকে সেটা আমাদের জানান তাহলেই বুঝবো আপনি মিথ্যে মনগড়া কথা বলেন নি I নইলে সেটাই বুঝতে হবে I আমি শুধু এই একটাই রেফারেন্সই জানতে চাইলাম I আপনার লেখায় এমন অনেক কথাই আছে যা আপনারা মন গড়া (বা কোনো তীব্র ইসলাম বিদ্বেষীর লেখা থেকে নেওয়া) কিন্তু সেগুলোকে আপনি কুরআনের আয়াতের সাথে সম্পর্কিত করতে চাইছেন কোনো রেফারেন্স ছাড়াই I পরে সেগুলো মেনশন করা যাবে I

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

স্োরনাভ বলেছেন: এত ত্যনা পেঁচাইলেন, আপনার কি তাফসীর সেটাই লিখলেন না

তাফসীর দেখুন ঃ
বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যহ নিয়মিতভাবে আসরের পর দাঁড়ানো অবস্থায়ই সকল স্ত্রীর কাছে কুশল জিজ্ঞাসার জন্যে গমন করতেন। একদিন যায়নব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে একটু বেশি সময় অতিবাহিত করলেন এবং মধু পান করলেন। এতে আমার মনে ঈর্ষা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল এবং আমি হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার সাথে পরামর্শ করে স্থির করলাম যে, তিনি আমাদের মধ্যে যার কাছে আসবেন, সেই বলবেঃ আপনি “মাগাফার” পান করেছেন। (মাগাফীর এক প্রকার বিশেষ দুৰ্গন্ধযুক্ত আঠাকে বলা হয়।) সেমতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ না, আমি তো মধু-পান করেছি। সেই বিবি বললেনঃ সম্ভবত কোন মৌমাছি মাগাফীর বৃক্ষে বসে তার রস চুষেছিল। এ কারণেই মধু দুৰ্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুৰ্গন্ধযুক্ত বস্তু থেকে সযত্নে বেঁচে থাকতেন। তাই অতঃপর মধু খাবেন না বলে কসম খেলেন। যয়নব রাদিয়াল্লাহু আনহা মনঃক্ষুন্ন হবেন চিন্তা করে তিনি বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্যেও বলে দিলেন। কিন্তু সেই স্ত্রী বিষয়টি অন্য স্ত্রীর গোচরীভূত করে দিল। ফলে এ আয়াত নাযিল হয়। [বুখারী: ৪৯১২, ৫২৬৭, ৬৬৯১, মুসলিম: ১৪৭৪] কোন কোন বর্ণনায় আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন দাসীর সাথে থাকতেন বিধায় আয়েশা ও হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা রাসূলকে এমনভাবে কথাবার্তা বললেন যে, রাসূল সে দাসীর কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, ফলে এ আয়াত নাযিল হয়। [নাসায়ী: ৭/৭১,৭২, নং ৩৯৫৯, দ্বিয়া আল-মাকদেসী: আল-আহাদিসুল মুখতারাহ: ১৬৯৪, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৪৯৩]

আরেকটি তাফসীর দেখুন ঃ
নবী করীম (সাঃ) যে জিনিসকে নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন তা কি ছিল? যার কারণে মহান আল্লাহ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা রয়েছে, যা সহীহ বুখারী ও মুসলিম ইত্যাদিতে বর্ণিত হয়েছে। ঘটনা হল, তিনি যয়নাব বিনতে জাহশ্ (রাঃ)র কাছে কিছুক্ষণ থাকতেন এবং সেখানে মধু পান করতেন। হাফসা এবং আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহুমা) স্বাভাবিকতার অধিক সময় তাঁর সেখানে থাকার পথ বন্ধ করার জন্য ফন্দি আঁটলেন যে, তাঁদের কারো কাছে যখন তিনি আসবেন, তখন তাঁরা বলবেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি ‘মাগাফীর’ খেয়েছেন? আপনার মুখ থেকে ‘মাগাফীর’এর গন্ধ আসছে। (‘মাগাফীর’ এক প্রকার গাছের মিষ্ট আঠা, যা খেলে মুখে এক প্রকার গন্ধ সৃষ্টি হয়।) সুতরাং তাঁরা পরিকল্পনা অনুযায়ী তা-ই করলেন। উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘আমি তো যয়নাবের ঘরে কেবল মধু পান করেছি। এখন আমি শপথ করছি যে, আর কখনও তা পান করব না। তবে এ কথা তোমরা অন্য কাউকে বলো না।’’ (বুখারীঃ সূরা তাহরীমের তফসীর) সুনানে নাসাঈর বর্ণনায় এসেছে যে, তা ছিল একটি ক্রীতদাসী যাকে তিনি নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন। (সুনানে নাসায়ী ৩/৮৩)

পক্ষান্তরে কিছু অন্য আলেমগণ নাসাঈর এ বর্ণনাকে দুর্বল গণ্য করেছেন। এর বিশদ বর্ণনা অন্যান্য কিতাবে এইভাবে এসেছে যে, তিনি ছিলেন মারিয়া ক্বিবত্বিয়া (রাঃ)। যাঁর গর্ভে নবী করীম (সাঃ)-এর পুত্র ইবরাহীম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একদা হাফসা (রাঃ) র ঘরে এসেছিলেন। তখন হাফসা (রাঃ) ঘরে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের (নবী (সাঃ) ও মারিয়া ক্বিবত্বিয়ার) উপস্থিতিতেই হাফসা (রাঃ) এসে যান। তাঁকে নবী (সাঃ)-এর সাথে নিজের ঘরে নির্জনে দেখে তিনি বড়ই নাখোশ হলেন। নবী (সাঃ)ও এ কথা অনুভব করলেন এবং তিনি হাফসা (রাঃ) কে খোশ করার জন্য কসম খেয়ে মারিয়া ক্বিবত্বিয়া (রাঃ) কে নিজের উপর হারাম করে নিলেন। আর হাফসা (রাঃ) কে তাকীদ করলেন যে, তিনি যেন এ কথা অন্য কাউকে না বলেন। ইমাম ইবনে হাজার প্রথমতঃ বলেন যে, এ ঘটনা বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যা একে অপরকে বলিষ্ঠ করে। দ্বিতীয়তঃ তিনি বলেন যে, হতে পারে একই সময়ে উভয় ঘটনাই এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হয়েছে। (ফাতহুল বারী, সূরা তাহরীমের তাফসীর) ইমাম শওকানীও এ কথার সমর্থন করে উভয় ঘটনাকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন। এ থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আল্লাহর হালাল করা জিনিসকে হারাম করার অধিকার কারো নেই। এমন কি রসূল (সাঃ)-এরও ছিল না।

প্য প্য পি পি পু পু প্যং প্যং।

১০| ১০ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনাকে প্রথম কমেন্টে কোন কড়া কথা বলার ইচ্ছা নাই!
যদিও বেশীর ভাগ পাঠক আপনার বিরোধীতা করছে!!


আপনার এই পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য কি??

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩১

স্োরনাভ বলেছেন: কড়া কথা বা হুমকি ধামকী, হামলা মামলা কে ভয় করিনা বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশে ইসলাম হেফাজত করা সহজ, আলোচনা করা কঠিন। আমার ইসলাম আলোচনা করার ইচ্ছা।

১১| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২২

পিকো মাইন্ড বলেছেন: পোস্টে ঘাপলা আছে। নিজ স্বার্থ চরিতার্থে মুনাফিকরা খেয়ালখুশি মতো কুরআন শরীফের আয়াতকে ব্যবহার করে। এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। কুরআন শরীফের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা, রাসূলের (স.) নাম নেওয়ার পর সালামের অনুপস্থিতিসহ রাসুলের (স.) উপর অপবাদ (আত্মহত্যার কাল্পনিক কাহিনী) দেয়া প্রভৃতি বিষয় পোস্টের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সবাই আলেমগণের পরামর্শ নিন।

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

স্োরনাভ বলেছেন: কোনটা ভুল দুই একটা মেনশন না করে ঢালাও মন্তব্য করবেন না জনাব। দয়া করে আলেমগনের পরামর্শ নিন, সেই পরামর্শ এখানে লিখুন, আমি জানার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।

১২| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১

সনেট কবি বলেছেন: যে সময়ের কথা আপনি তুলে ধরেছেন সে সময়ে এ সবের অবস্থা নেতিবাচক ছিলনা। এখন সেটা নেতি বাচক হয়েছে। আর জীবন চলার তথে অনেক ঘটনাই ঘটে, সব নিয়ে আলোচনা দরকারী বিষয় নয়। আল্লাহ যাদের পথ ভ্রষ্ট করতে চান, তাদেরকে পথ ভ্রষ্ট করার মত কিছু বিষয় থাকা জরুরী বলেই এমন কিছু আছে।

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

স্োরনাভ বলেছেন: আপনার কথা আমার খুব ভাল লেগেছে, আপনি বিবেচনা করে কথা বলেন, যুক্তি দেন, আর উপরে দেখেন সকলে অনুভূতি নিয়ে কথা বলছে। নিশ্চয় আল্লাহ এবং তার রাসুল সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তিনি সকল যুগের জন্যই আদর্শ।

আল্লাহ তাআলা বলেন-‘নিশ্চয় নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং দিন ও রাতের পরিবর্তনে এবং মানবজাতীর উপকারার্থে সমুদ্রবক্ষে জাহাজ সমূহের চলনে এবং আসমান থেকে আল্লাহ তাআলা যে বারি (পানি) বর্ষণ করছেন তাতে, যা দ্বারা পৃথিবীকে মৃত্যুর পর জীবিত করেন এবং জীব-জন্তুকে যে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাতে এবং বায়ুর যাতায়াত করাতে এবং আসমান ও জমিনের মধ্যে আল্লাহ তাআলার অনুগত হয়ে মেঘমালার গমনাগমনে সত্যিই বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে বহু জলন্ত নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬৪)

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনার নাম সর্নভ না সর্নব?

@"সে-সময়নবী এতটাই নিরাশ আর বিপর্যস্থ ছিলেন যে, পাহাড় চূড়া থেকে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন।"
-- এটা কি মনগড়া বয়ান...? X(

@" আমার ইসলাম আলোচনা করার ইচ্ছা।"
--ইসলাম সম্পর্কে আপনি ঠিকমত জানেন তো? নাকি বাংলা কোরআন, হাদিসের তর্জমা পড়ে ইসলামী চিন্তাবিদ সেজেছেন? ব্লগে কিন্তু আরেকটা চিন্তাবিদ আছে!


একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্নঃ আপনার পড়াশোনা কত দুর?

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

স্োরনাভ বলেছেন: দেখুন নবী মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন, পড়াশুনা নিয়ে আপনার আস্ফালন আমার ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। সুরা দোহার তরজমা পড়েন। অনুভূতি এত বেশী থাকলে আলোচনা জমে উঠে।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১০

সনেট কবি বলেছেন: আয়েশার (রাঃ) সাথে তাঁর দৈহিক সম্পর্কে আয়েশার (রাঃ) শারিরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়নি। কিন্তু অনেকে এমন দৈহিক সম্পর্কের পর সঙ্গিনীকে মেরেই ফেলে। কাজেই এ ক্ষেত্রে তাঁকে আদর্শ না মেনে উপায় নেই। বহু গামিতার ক্ষেত্রে অনেকেই সঙ্গিনীদের মন রক্ষা দরকার মনে করেনা কিন্তু সঙ্গিনীদের মন রক্ষা দরকার মনে করতেন, এ ক্ষেত্রেও তিনি আদর্শ। সঙ্গিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে তাকে ত্যাগ না করার ক্ষেত্রেও তিনি আদর্শ। আর পালিত পুত্র যে পুত্র নয় সে কথা পরিস্কার হওয়া দরকার ছিল। প্রত্যেকে নিজের বুঝকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে এর আলোকে তার অন্যের বিপক্ষে অনেক কথাই বলা সম্ভব!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৬

স্োরনাভ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, পালিত পুত্র, পুত্র নয়। যায়েদ কে যায়েদ বিন মোহাম্মদ ডাকা হত এটা জাহেলী নিয়ম। পালিত পুত্র কন্যা নিয়ে অনুভূতি ঠিক নয়।
তাফসীর সুরা আহজাব
নবী করীম (সাঃ) যে জিনিসকে নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন তা কি ছিল? যার কারণে মহান আল্লাহ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা রয়েছে, যা সহীহ বুখারী ও মুসলিম ইত্যাদিতে বর্ণিত হয়েছে। ঘটনা হল, তিনি যয়নাব বিনতে জাহশ্ (রাঃ)র কাছে কিছুক্ষণ থাকতেন এবং সেখানে মধু পান করতেন। হাফসা এবং আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহুমা) স্বাভাবিকতার অধিক সময় তাঁর সেখানে থাকার পথ বন্ধ করার জন্য ফন্দি আঁটলেন যে, তাঁদের কারো কাছে যখন তিনি আসবেন, তখন তাঁরা বলবেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি ‘মাগাফীর’ খেয়েছেন? আপনার মুখ থেকে ‘মাগাফীর’এর গন্ধ আসছে। (‘মাগাফীর’ এক প্রকার গাছের মিষ্ট আঠা, যা খেলে মুখে এক প্রকার গন্ধ সৃষ্টি হয়।) সুতরাং তাঁরা পরিকল্পনা অনুযায়ী তা-ই করলেন। উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘আমি তো যয়নাবের ঘরে কেবল মধু পান করেছি। এখন আমি শপথ করছি যে, আর কখনও তা পান করব না। তবে এ কথা তোমরা অন্য কাউকে বলো না।’’ (বুখারীঃ সূরা তাহরীমের তফসীর) সুনানে নাসাঈর বর্ণনায় এসেছে যে, তা ছিল একটি ক্রীতদাসী যাকে তিনি নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন। (সুনানে নাসায়ী ৩/৮৩)

পক্ষান্তরে কিছু অন্য আলেমগণ নাসাঈর এ বর্ণনাকে দুর্বল গণ্য করেছেন। এর বিশদ বর্ণনা অন্যান্য কিতাবে এইভাবে এসেছে যে, তিনি ছিলেন মারিয়া ক্বিবত্বিয়া (রাঃ)। যাঁর গর্ভে নবী করীম (সাঃ)-এর পুত্র ইবরাহীম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একদা হাফসা (রাঃ) র ঘরে এসেছিলেন। তখন হাফসা (রাঃ) ঘরে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের (নবী (সাঃ) ও মারিয়া ক্বিবত্বিয়ার) উপস্থিতিতেই হাফসা (রাঃ) এসে যান। তাঁকে নবী (সাঃ)-এর সাথে নিজের ঘরে নির্জনে দেখে তিনি বড়ই নাখোশ হলেন। নবী (সাঃ)ও এ কথা অনুভব করলেন এবং তিনি হাফসা (রাঃ) কে খোশ করার জন্য কসম খেয়ে মারিয়া ক্বিবত্বিয়া (রাঃ) কে নিজের উপর হারাম করে নিলেন। আর হাফসা (রাঃ) কে তাকীদ করলেন যে, তিনি যেন এ কথা অন্য কাউকে না বলেন। ইমাম ইবনে হাজার প্রথমতঃ বলেন যে, এ ঘটনা বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যা একে অপরকে বলিষ্ঠ করে। দ্বিতীয়তঃ তিনি বলেন যে, হতে পারে একই সময়ে উভয় ঘটনাই এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হয়েছে। (ফাতহুল বারী, সূরা তাহরীমের তাফসীর) ইমাম শওকানীও এ কথার সমর্থন করে উভয় ঘটনাকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন। এ থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আল্লাহর হালাল করা জিনিসকে হারাম করার অধিকার কারো নেই। এমন কি রসূল (সাঃ)-এরও ছিল না।

তাফসীরে দেখা যাচ্ছে নবী পত্নীদের নবীর প্রতি অভিযোগ ছিল।

সুরা আহজাব আয়াত ২৮ তাফসীরঃ
বিভিন্ন দেশ জয়লাভ করার পর যখন মুসলিমদের অবস্থা পূর্বের তুলনায় কিছুটা সচ্ছল হল, তখন মুহাজির ও আনসারদের স্ত্রীদের দেখাদেখি মহানবী (সাঃ)-এর স্ত্রীগণও খোরপোষের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবী জানালেন। নবী (সাঃ) যেহেতু বিলাসহীন জীবন-যাত্রা পছন্দ করতেন, সেহেতু স্ত্রীদের এই দাবীতে বড় দুঃখিত হলেন এবং এক মাসের জন্য স্ত্রীদের নিকট থেকে আলাদা হয়ে একাকী বাস করলেন। অবশেষে আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন। উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সর্বপ্রথম তিনি আয়েশা (রাঃ) -কে উক্ত আয়াত শুনিয়ে তাঁকে তাঁর সংসারে থাকা ও না থাকার ব্যাপারে এখতিয়ার দিলেন এবং বললেন, নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে পিতা-মাতার পরামর্শ নিয়ে যা করার করবে। আয়েশা (রাঃ) বললেন, আপনার বিষয়ে পরামর্শ করব তা কি করে হয়? বরং আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে পছন্দ করি। অন্য সকল স্ত্রীগণও এই একই মত ব্যক্ত করলেন এবং কেউ নবী (সাঃ)-কে ত্যাগ করে পার্থিব প্রাচুর্য ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিলেন না। (সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা আহযাব) সেই সময় নবী (সাঃ)-এর সংসারে নয়জন স্ত্রী ছিলেন; পাঁচজন ছিলেন কুরাইশ বংশের। আয়েশা, হাফস্বা, উম্মে হাবীবা, সাওদা ও উম্মে সালামা (রাঃ) এবং এ ছাড়া বাকি চার জন হলেন; সাফিয়্যা, মাইমুনা, যায়নাব ও জুওয়াইরিয়া (রাঃ) । অনেকে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে পৃথক হয়ে যাওয়ার এখতিয়ারকে ত্বালাক বলে গণ্য করেন। কিন্তু এ কথা সঠিক নয়। সঠিক মাসআলা এই যে, এখতিয়ার দেওয়ার পর যদি স্ত্রী পৃথক হয়ে যাওয়াকে বেছে নেয়, তাহলে অবশ্যই ত্বালাক হয়ে যাবে। (আর তা হবে ত্বালাকে রাজয়ী; ত্বালাকে বায়েনাহ নয়, যেমন কিছু উলামার মত।) আর যদি স্ত্রী পৃথক হয়ে যাওয়াকে বেছে না নেয়, তাহলে ত্বালাক হবে না। যেমন নবী (সাঃ)-এর স্ত্রীগণ পৃথক না হয়ে তাঁর সাথে থাকাকে বেছে নিয়েছিলেন। অথচ এই বেছে নেওয়াকে ত্বালাক গণ্য করা হয়নি। (বুখারীঃ ত্বালাক অধ্যায়, মুসলিম)

আমি সহি হাদিস আর কুরান ছাড়া রেফারেন্স দিচ্ছি না।

১৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

আলআমিন১২৩ বলেছেন: বাজে একটা লিখা।Editorial Board এসব বাজে লিখাকে প্রকাশিত হওয়া থেকে বিরত রাখবেন আশা করি।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৩

স্োরনাভ বলেছেন: কোথাও কোন ভুল আছে?

১৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাদের নিয়ে বড় চিন্তা হয় :(

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:২০

স্োরনাভ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫২

সনেট কবি বলেছেন: নারী সমাজ স্বামীর বহুগামীতা কখনো পছন্দ করে না। তথাপি স্বামীর বহু স্ত্রী থাকলে তাদের মাঝে অসমতা পছন্দ করে না। এ জন্য সূরা নেসার ৩ নং আয়াতে আল্লাহ অসমতার ক্ষেত্রে এক স্ত্রীর কথা বলেছেন। এখন এ ক্ষেত্রে যেহেতু নবির (সাঃ) প্রতি অভিযোগ সেহেতু সাধারণ এ থেকে অভিযোগ মুক্ত থাকা অসম্ভব। সাকুল্যে আল্লাহ এক স্ত্রী থাকাকে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু একাধীক স্ত্রী হারাম করেননি। কারণ এক স্ত্রী আবার স্বামীর চাহিদা পূরণে অপারগ হলে একাধীক না থেকে উপায় নেই। এখন নবি (সাঃ) মডেল হয়ে দেখিয়েছেন সমস্যাটা কি? এখন সমস্যা বুঝার পর উম্মতের এমন ঝামেলায় না জড়ানো উত্তম যদি তারা শান্তিতে থাকতে চায়। আর শান্তি না চাইলে অধিক স্ত্রী গ্রহণ করে সেই সাথে অশান্তিও গ্রহণ করতে পারে। আর অশান্তি অনিবার্য, কারণ স্বয়ং নবি (সাঃ) এটা থেকে রেহাই পাননি।
অনেকে বলেন সূরা নেসার ৩ নং আয়াত ইয়াতিম মেয়ে সম্পর্কে। কিন্তু ইয়াতিম হলেও তারা নারী। হাদিস কোরআন মিলিয়ে দেখলে বুঝা যায় একাধিক সে যেই হোক তাতে সমস্যা থেকে বাঁচা যায় না। কাজেই শান্তি চাইলে শুধুমাত্র একজনে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ কি বুঝাতে চেয়েছেন সেটা মানুষ না বুঝলে আর কিছু করার থাকে না। তবে আল্লাহ একাধীক হারাম করেননি, কারণ তাহলে নারীরা পুরুষদের নিয়ে খেলা করতো। একাধীক হালাল থাকায় তারা চাপের মাঝে থাকে। সাকুল্যে একাধীক স্ত্রী শতকরা হারে খুব কম। নারীরা এ বিষয়ে শর্ত করে নিতেতো আল্লাহ মানা করেননি। আর নারী তার স্বামীকে নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ না রাখতে পারা তার অযোগ্যতা। তা’ছাড়া বহু গামিতা কোন ধর্ম বা মতে নিষিদ্ধ আছে? এর অনুমোদনতো সকল মতেই রয়েছে। তো এ ক্ষেত্রে ইসলামকে রঙ্গিন করার মানে কি?

১১ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:০২

স্োরনাভ বলেছেন: বহুগামিতা যে ক্ষতিকর তা নবীর জীবনী থেকে জানার দরকার নেই, আদিকাল থেকে সবাই জানে। আরবদের বহুগামিতা তখনো ছিল এখনো আছে কিছুই বদলায় নাই। অন্যকোন ধর্ম গুরু, গড ম্যান বা তার ছেলের বহুগামিতার কথা শোনা যায় নি।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

নাইক্যডিয়া বলেছেন: কৈলাম রেফারেন্স দেন আর কৈলেন সুরা আদ দ্বোহা'র তাফসির পড়েন !!!
এইটা হৈলো কিছু?

''বহুগামিতা যে ক্ষতিকর তা নবীর জীবনী থেকে জানার দরকার নেই, আদিকাল থেকে সবাই জানে। আরবদের বহুগামিতা তখনো ছিল এখনো আছে কিছুই বদলায় নাই। অন্যকোন ধর্ম গুরু, গড ম্যান বা তার ছেলের বহুগামিতার কথা শোনা যায় নি।''

শেষবেলায় চান্দুর বুজুরুকি বাইর হৈয়া গ্যাছে। হজরত সুলাইমান(আঃ) এর কয়জন বিবি ছিলো? হজরত ইব্রাহিম(আঃ) এর কয়জন? শ্রী কৃষ্ণের কয়জন গোপী ছিলো জানেন?

এনিওয়ে, নিজাম মন্ডলের প্রশ্নের উত্তর না দিলেও বুঝা যায় আপ্নের পড়াশুনার দৌড়। তর্কই বৃথা।
মডু'র কুনুভাবেই উচিৎ হয় নাই এই ফালতু পোষ্টারে ১ম পেজে এক্সেস দেয়ার। সামু'র স্ট্যান্ডার্ডটা বিবেচনায় রাখা উচিৎ ছিলো। মত প্রকাশের উদারতার চাইতে মাত্রা এবং মান জরুরী।

১১ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

স্োরনাভ বলেছেন: আপনি নাস্তিক নাকি? সুরা দোহার তাফসীর রেফারেন্স মানেন না। প্রতিটা প্যরায় প্যরায় রেফারেন্স দিলাম। আপনি কে আপনার পরিচয় কি? সোলাইমান, ইব্রাহীম এর সাথে হিন্দু দেবতার তুলনা করায় আমার অনুভুতিতে আঘাত লেগেছে।

ব্যক্তিগত বিষয়ে খোজাখুজি করছেন? শেষ মেষ লজ্জা পাবেন না তো? blackmetal80 আমার ফেসবুক আই ডি, চলেন পরিচিত হই আপনি কি কি করেছেন, আপনার চোদ্দ পুরুষে কে কি করেছে, আর আমি কি করেছি, টেক্সট করুন, আপনাকে ধন্যবাদ।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩

নাইক্যডিয়া বলেছেন: রেফারেন্স মানে বুঝেন মিয়া?
তাফসীর জীবনে কয়টা পড়ছেন? কোন তাফসীরে লিখা আছে রাসুলুল্লাহ স. আত্মহত্যা করার কথা ভাবছিলেন?

ঠিক কৈছেন, বিরাআআআট লজ্জা পাইছি আপ্নের ঢোল পিটান দেইখ্যা। আইডি ভিসিটের রুচীই গ্যাছেগা.............

এইখানে বেবাক আবালেরাই পুলাপাইনা গোয়ার্তুমি করে পেত্থম পেত্থম। বিশুও করতো, মোস্তফা ভাইও করতো। এরপর মডু লাত্থি মাইরা বাইর কৈরা দেয়। এই হৈলো ইতিহাস.......................

২০| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮

নাইক্যডিয়া বলেছেন: কিবোর্ডের F5 এর উপড় ইয়াত্ত চাপ দিলে চলে? ভাইঙ্গা যাইবোতো !

২১| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১১

সনেট কবি বলেছেন: কোন ধর্ম বা মত বহুগামিতা নিষিদ্ধ করেনি। ইসলামও করেনি। এখানে সব এক কাতারে। ইসলাম আল্লাহ কেন্দ্রীক। তো আল্লাহর কোন গামিতা নেই। মহানবি (সাঃ) আল্লাহর বার্তা বাহক। তাঁকে তিনি উত্তম চরিত্রের ঘোষণা দিয়ে দেখিয়েছেন বহু স্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন উত্তম চরিত্রও ফ্যাসাদে পড়েন। কাজেই মানুষ ভাবুক তারা কি করবে? কিন্তু ‘ফা ওয়াহিদাতুন - শুধুমাত্র একজন’ বলে আল্লাহ তাঁর মনভাব জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর নবির (সাঃ) বহু স্ত্রী তিনি বারণ করেননি বহুত্বের সমস্যার ব্যবহারিক দেখানোর জন্য।

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০১

স্োরনাভ বলেছেন: তিনি বহু বিবাহ করেছেন, শিশু বিবাহ করেছেন, পালিত পুত্রের বধু বিবাহ করেছেন, এগুলো মরালিটির পরিপন্থী। কোন কিছু দিয়েই মহামানবের এমন কাজ যাষ্টিফাই করা সম্ভব নয়, শুধু অনুভূতি ছাড়া। তিনি মেডিটোরিয়ান এর তীর দখল করেছেন সেখান থেকে দাসী ধরে এনে ভোগ করেছেন, এবং সাথীদের বিলিয়েছেন, সহী বুখারী হাদিস মতে তার ৪ জন যৌনদাসী ছিল। অবশ্য নিন্দুকেরা আরো বেশী বলেন। যৌনদাসীর ঘরে তার একটি বাচ্চা ছিল। সেই সুন্দরী যৌনদাসী নিয়ে কুরানের আয়াত নাযিল হয়েছে ভেবে দেখুন।( সুরা আহজাব আয়াত ২৮)

যুদ্ধ বন্দি নারীদের যৌন দাসী বানানোর আদেশ আল্লাহ পাক দিয়েছেন(২৩ঃ৬ ৪ঃ২৪ আল কুরান) আল্লাহ এত নিষ্ঠুর কেন হলেন, তারাও তো কারো মা বোন, যাদের ধরে আনা হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের কেমন লাগার কথা? ঐ নারীরা যুদ্ধ তে হয়ত আংশ ও নেন নি শুধু তাদের গোত্র কিংবা পুরুষেরা হয়ত নিয়েছিল।

দয়ার সাগর আল্লাহপাক মদ, জুয়া, সুদ হারাম করলেন, কিন্তু দাস প্রথা খানা বন্ধ করলেন না। বিশেষ দুঃখ হচ্ছে যৌনদাসী নিয়ে।
আসলে ব্যবহারিক দেখানোর জন্য তো আরবে শত বছর ধরে বহুগামিতা চলে আসছে, উনার এটা বন্ধ করা উচিত ছিল বৈকি!

২২| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এতক্ষনে বুঝিলাম খোঁয়াড়ের বরাহ ,ব্লগের ধরায় নামিয়া আসিয়াছে ! বিচির যন্ত্রনা সহ্য না হইলে স্তালিনের কাছ হইতে নিদান লইতে পারেন ! X(

পোস্ট রিপোর্টেড। সোলেমানি ব্যান চাই ! X((

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

স্োরনাভ বলেছেন: অনুভূতিতে আঘত লেগেছে?

২৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সাব্বাস পাগলা 8-| সূরা আন-নাস কুরআনের১১৪ নম্বর এবং সর্বশেষ সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।এর ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু'আওবিযাতাইন ,আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা, নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।
সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে যায় এবং সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)- এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সে কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন ।

1. শপথ পূর্বাহ্নের,
2. শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়,
3. আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং আপনার প্রতি বিরুপও হননি।
4. আপনার জন্য পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।
5. আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
6. তিনি কি আপনাকে এতীমরুপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।
7. তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
8. তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন.
9. সুতরাং আপনি এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না;
10. সওয়ালকারীকে ধমক দিবেন না,
11. এবং আপনার পালন কর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।
বগ

এখানে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কোন দোষ দেখছি না।জাদুতুমার করলে এখনো মানুষের মাথা উল্টাপাল্টা কাজ করে।

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১১

স্োরনাভ বলেছেন: নবী মুহাম্মাদকে যেভাবে যাদু করসে, জনাব ডোলান্ড ট্রাম্পকে সেভাবে জাদু করে আবার ডি ভি লটারীটা চালু করি চলেন। খামাখাই এত লোক মুক্তিযুদ্ধ করল, টিক্কা আর ইয়াহিয়া রে যাদু করলেই কাম হইত, যতসব আকাইম্মার দল।

২৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: তাহা লাগিয়াছে ! খোঁয়াড়ে থাকিলেই ভালো হইত ! অন্তত বিচির ব্যাথার চিকিৎসা লইতে পারিতেন ! সামুতে আসিয়া বিচি প্রদর্শনের প্রয়োজন দেখিনা ! পাঁঠাদের জন্য আলাদা খোঁয়াড় আছে অন্তর্জালে। সেইখানে বছরব্যাপী এক্সজিবিশন করিতে পারেন !

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

স্োরনাভ বলেছেন: আপনার ভাষা খুবই খারাপ, আপনার বাবা মা ও কি এই ভাষাতে কথা বলেন নাকি বন্ধু বান্ধব থেকে শিখেছেন?

২৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার ভাষা খারাপ মানুষের জন্য খুবই খারাপ ! ভালো মানুষের জন্য মধু ! যে মানুষ নবী সা. কে নিয়া অবমাননাকর পোস্ট দিতে পারে , তাহার চেয়ে খারাপ মানুষ আর কে আছে !!

ভাষা মানুষ শিশুকালে বাবামায়ের কাছে শেখে , কোন বাবা মা ই সন্তানকে খারাপ কিছু শেখায় না ! আপনার বাবা মা কি নবী সা. এর অবমাননা শিখাইয়াছেন ?

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

স্োরনাভ বলেছেন: কোন বক্তব্যে নবী মোহাম্মাদের প্রতি অবমাননা মনে হল দয়া করে উল্লেখ করুন। আমি প্রতিটি ঘটনা কুরান থেকে লিখেছি, বলুন কোরানের কোন আয়াতটি আপনার অনুভূতিতে আঘাত দিল। অনুভূতি বেশী বলে আপনি কুরান আবমাননা করবেন?

২৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কোরানের কোন আয়াত আমার অনুভূতিতে আঘাত করেনি ! আপনার পোস্টের ভাষা নবী স. , সাহাবী রা., উম্মুল মুমেনিন রা. সকলের জন্যই বেয়াদবিমূলক ! কোরানের আয়াতের ব্যাখ্যা করার কোনরকম প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতাই আপনার নাই ! যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন তাহাও আপত্তিকর ! মন্তব্যে যে প্রতিউত্তরগুলো দিয়াছেন তাহাও ! ধর্মীয় বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা ব্যাতিত এধরণের পোস্ট প্রসব করা আবালের ননসেন্স রাইম ছাড়া আর কিছু নহে !

আপনার মনে প্রশ্ন থাকিলে মিরপুরে আল মার্কজুদদাওয়াহতে মাওলানা আব্দুল মালিকের কাছে চলিয়া যান অথবা তাহার পত্রিকা আল কাউসারে প্রশ্ন করুন !

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

স্োরনাভ বলেছেন: স্টুপিডিটি অন্য কোথাও ফলান। তাফসীর সহী বুখারী ও মুসলিম থেকে দিয়েছি। বাগভী আর নাসায়ী তাফসীর করেছেন, আমি তাফসীর করব কিভাবে? কারো কাছে যাওয়ার দরকার নাই আমি নিকেই তাফসীর সহ কুরান পড়ি মালিকের চেয়ে বড় মাওলানার তাফসীর পড়ি । মোহাম্মাদ কে "নবী মোহাম্মাদ" বলে সন্মান দিয়েছি।

২৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ওরে পাগলা তোমার অনেক কিছু শিখতে এখনো বাকী আছে । এখানে একটা কথা তোমার জানা দরকার তখনকার যুগ ছিল
সত্যের যুগ তখন এখনকার মত ভন্ডদের খাওয়া ছিলনা। :)

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২০

স্োরনাভ বলেছেন: এখন আমি যদি বলি ডানা ওয়ালা ঘোড়ায় ঘুরে বেড়িয়েছি, আমাকে সবাই পাবনা পাঠাব। এখন ভন্ড বেড়ে গেছে তাই কেউ বিশ্বাস করেনা।

২৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনি তাফসীর যেখান হইতেই করুন , এনালাইসিস করিয়া যে উপসংহারে আসিয়াছেন উহা পাঁঠাদের উপসংহারই হইয়াছে ! তফসীরের দোষ নাই , দোষ তো যে চশমা দিয়া আপনি তাফসীর দেখিয়াছেন উহা পাঁঠাদের !!

স্টুপিডিটি কে করিতেছে উহা মন্তব্যগুলোতেই পরিষ্কার ! মগজে কিছু থাকিলে বহু আগেই টের পাইতেন !

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

স্োরনাভ বলেছেন: ধন্যবাদ। আল্লাহ পাক উত্তম বুঝ দান করুন।

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

স্োরনাভ বলেছেন: আপনার চশমার তাফসীর পেশ করুন। আমি জানতে আগ্রহী। যতগুলো আয়াত আলোচনা করেছি তার প্রতিটির তাফসীর।

২৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



নিছক ধর্মীয় বিদ্বষ ছড়ানোর জন্যই কি এত কষ্ট করে এই পোস্ট? যাক, তবু ধন্যবাদ দিলাম, কষ্ট করে এত কিছুর আয়োজন করেছেন বলে। কিতাবাদি তো মোটামুটি না ঘেটে এটা সম্ভব হয়নি।

পোস্ট এবং বিজ্ঞ ব্লগারগনের মন্তব্যসমূহ পাঠান্তে নিতান্ত বাধ্য না হলে আপনার এই পোস্টে মন্তব্যে আসার ইচ্ছে ছিল না। আপনার সদয় বিবেচনার জন্য-

১. ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের পরে দরুদ ও সালাম পাঠ করা সাধারন ভদ্রতা হিসেবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেরই জানা। আপনি কি ইহা অবগত নন? তাকে এভাবে উপস্থাপন করে ব্লগারদের অন্তরে কেন আঘাত দিলেন?

২. প্রিয় নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের পূর্বে 'মহা' শব্দটি যোগ করে তাঁকে 'মহানবী' বলাতেও ঘোর আপত্তি থেকেই আপনার ইসলাম বিদ্বেষের লেবেল অনুমান করা যায়। নিচে দেয়া লিঙ্কের পোস্টের ৭ নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য। সেখানে সনেট কবিকে সম্মোধন করে আপনি কি বলেছিলেন, আশা করি নিশ্চয়ই মনে আছে। না থাকলে দেখে আসুন আরেকবার। এই লেবেল নিয়ে আবার ব্লগারদের প্রতিবাদমূলক মন্তব্যগুলোতে নিজের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথা বলেন কিভাবে? বলি, রাসূলের নামের প্রতি সম্মান দেখালে, তাঁর নামের পূর্বে 'মহা' শব্দটিও যাদের অনুভূতিতে আঘাত করে, তাদের আবার ধর্মানুভূতির প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? উদ্দেশ্যই যাদের অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা, তাদের মুখে এসব কথা কি আদৌ মানায়? ডাহা মিথ্যে আওড়াতে একটুও মুখে আটকায় না? না কি সব ব্লগারদের বোকা ভেবে এই রাজ্যের চালাক ঠাওরান কেবল নিজেকে?

নাস্তিকদের হত্যা করা এবং ইসলামি আইন প্রসংগ

৩. আপনার উল্লেখিত প্রায় প্রতিটি বিষয় বিতর্কিত। বিতর্কিত বিষয়গুলোর আলোচনায়, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবীগন রাদিআল্লাহু তাআ-লা আনহুম, উম্মুল মুমেনিন রাদিআল্লাহু তাআ-লা আনহুন্না যাদের কথা উল্লেখ করেছেন, তাদের সকলের জন্যই অসম্মানজনক এবং অসৌজন্যমূলক ও অসংলগ্ন ভাষা প্রয়োগ - পোস্টটিকে দৃষ্টিকটু করে তুলেছে। এটা কেন করতে গেলেন? আপনার উদ্দেশ্য যদি মহতও হয়ে থাকতো, তবু এই একটি কারনে বিতর্ক উস্কে দেয়ার দায় থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেন না।

পরিশেষে অনুরোধ করছি, দয়া করে এসব অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকুন। ধর্মের পেছনে লেগে লাভ কী, ভাই? আসুন, নিজের কাজ নিজে করি। ভাল লাগলে আপনি ধর্ম মানুন। না লাগলে এড়িয়ে যান। আপনাকে তো কেউ ধর্ম মানতে বাধ্য করছে না। যাদের ভাল লাগে, তারা ফলো করছেন, করতে দিন। আপনার মনে চায় না, আপনি না করে থাকুন। বিভ্রান্তি, বিদ্বেষ আর বিভেদ ছড়িয়ে কী লাভ?

আপনার কল্যান কামনা করছি।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

স্োরনাভ বলেছেন: পবিত্র কুরান ও তাফসীরের কোন ভুল না ধরে বাই পাস হয়ে গেলেন কেন?
ধন্যবাদ কুরান নিয়ে আলোচনা না করে কল্লা ফেলার হুমকীর জন্য।
আপনি আসল মুমিন।

৩০| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: যুদ্ধবন্দী মহিলাদের কোননা কোন পরিবার ভুক্ত করে দেওয়া হতো। তারা দাসী হিসেবে বিদ্যমান থাকতো। তখনকার পৃথিবী দাস প্রথা উচ্ছেদের পর্যায়ে ছিলনা। দাস আজাদ বা মুক্ত করার পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে এর উচ্ছেদ প্রক্রিয়া ইসলামই শুরু করে। শিশুদের বিয়ে ছাড়া ভোগ করে লোকেরা মেরে ফেলে, না মেরে কি করা যায় মহানবি (সাঃ) সেটা দেখিয়েছেন। পালিত পুত্রের বউ বিয়ে করে মহানবি (সাঃ) বুঝালেন এটা অবৈধ নয়। তো পালিত পুত্রতো পুত্রই নয় তাতে আপনি কি সমস্যা দেখলেন। সব মানুষের মর্জি অনুযায়ী তৈরীকৃত কোন বিধান কি আপনি পেয়েছেন? আমি নাস্তিকদের বলেছিলাম আমাদের বিধি ভাল নয়। তো ভাল বিধির দৃষ্টান্ত কি? এরচেয়ে ভাল বিধি পাওয়া না গেলে এটা মানতে সমস্যা কি? তো আপনার অপছন্দের বিষয় গুলোর কিছুই ইসলামে ফরজ নয়। যার এসব ভাল লাগবেনা সে এসব থেকে দূরে থাকলেইতো হয়ে গেল।
আমার পর্যবেক্ষণ হলো ইসলামের চেয়ে উত্তম বিধি আর কোথাও নেই। তো নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। কেউ যদি এর চেয়ে উত্তম কিছু হাজির করতে পারে তবে না হয় সেটা গ্রহণ বা বর্জনের বিষয় মানুষ ভাবতে পারে।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

স্োরনাভ বলেছেন: আপনার মন্তব্যেই কেবল যুক্তি খুজে পেলাম, এবং কনভেনসিং আলোচনা হচ্ছে।

দাস প্রথা উচ্ছেদ আল্লাহর ক্ষমতার বাইরে ছিল, তা জানা ছিল না। নবী দাস প্রথা বিলুপ্তের জন্য দোয়া করেন নি? দোয়া করলেই আল্লাহ কবুল করে নিতেন, দাস দের জন্য শুধুই আফসোস। আপনার সাথে অন্যান্য বিষয়ে একমত।

৩১| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

এ আর ১৫ বলেছেন: শ্রী কৃঙ্ষের বউয়ের সংখ্যা ছিল ১৬০০০ এর উপরে , সে যুগে ক্ষমতাবানদের বহু বিবাহ একটা সাধারন ব্যপার ছিল এবং মহা নবী (সা: ) সাহাবারা তাকে বহু বিবাহ করার জন্য উৎসাহিত করেছিলনে । গনিমতির মাল দাসীর সাথে যৌনচার করা সে যুগে বৈধ ছিল । বিবি আয়েশা (রা: ) বয়স তার বিবাহের সময় ৬ ছিল না এবং এই সংক্রান্ত হাদিসটি কয়েক শত বৎসর আগে ভুল বলে প্রমাণীত হয়েছে , যদি ও ভুল হাদিসটি এখন বহাল তবিয়তে হাদিস গ্রন্থে অবস্থান করছে এবং সমালোচকদের সমালোচনা করার সুযোগ সৃষ্ঠি করেছে । আমার জানা মতে জনাব সনেট কবির তো জানার কথা ঐ হাদিসে উল্লেখিত বয়সটি ভুল ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে বিয়ের সময় বিবি আয়েশা (রা: ) বয়স ১২ থেকে ১৬ মধ্য ছিল । ধন্যবাদ

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

স্োরনাভ বলেছেন: ৪:৬ , ৪:২১ , ৩০:২১ ও ২৫:৭৪ আয়াতগুলো পড়ে দেখতে পারেন।

৩২| ১১ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখক পবিত্র কোরান থেকে অনুবাদ করে রেফারেন্স দিয়েছে।
খোদ কোরানের আয়াত কিভাবে অনুভূতিতে আঘাত করে?

প্রতিটি ধর্মে, ধর্মগ্রন্থে কিছু না কিছু অন্ধকার দিক আছে। এসব এডমিট করেই ধর্মগুলো সচল আছে।
এতদিন হুজুররা তেলাওয়াতের সময় এর অর্থ অস্পষ্ট ভাবে বা বাদদিয়ে যেত। ইন্টারনেট আসার পর কিছু কৌতুহলি পাঠক প্রশ্ন তুলছে। আর অন্ধবিশ্বাসিরা যারা কোরান সুধু আবৃতি বা মোগস্ত হাফেজ হয়ে গেছে, কিন্তু এরা কখনো এসবের অর্থ জানতে চায় নি। এখন হঠাৎ জেনে আস্তাকফেরুল্লা নাউজুবিল্লা বলে আতঙ্কিত হচ্ছে।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

স্োরনাভ বলেছেন: আমি কেবল কুরানের কয়েকটা আয়ত নিয়ে আলোচনা করেছি, এরা কি কুরান ও বিশ্বাস করেনা?

৩৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

নাইক্যডিয়া বলেছেন: পোষ্টদাতা নিজের ফেসবুক আইডি দিয়ে সামুর নীতিমালার সুস্পষ্ট লংঘন করেছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেবার জন্যে মডুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

৩৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

নাইক্যডিয়া বলেছেন: @টারজান০০০০৭ঃ বরাহ শাবকের বিচির জ্বালার ট্রিটমেন্টের লিগা ভুতের গল্লির কুনু তুলনা নাইক্যা ;)

৩৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

নাইক্যডিয়া বলেছেন: এই যে বরাহসোনামনি, যাও মুত্রমনায় গিয়া ল্যাদাওগা। এইটা সামু, বাংলা ভাষার বৃহত্তম বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম। এর ওজন বুঝতেই তোমার আরো ১০বার খোঁয়ারে পয়দা হৈতে হৈবো। বিগশট মহারথীরা সব আইলে স্রেফ গ্যাং রেপ হৈয়া যাইবা সোনা।
লিখা, কমেন্ট রিপ্লাই, উপস্থাপনা ব্লগিংশৈলিতে আরো অনেক উন্নতির প্রয়োজন। আগে হোক, পরে আইসো। নাইলে অবেলায় সুলেমানি ব্যানড হৈয়া যাইবা...................

৩৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই কালবৈশাখী,

পোস্টটি দয়া করে ভালভাবে মনযোগ দিয়ে পড়ে তারপরে এমন মন্তব্য করুন। লেখক কুরআনের আয়াতের যে রেফারেন্স দিয়েছেন, মিলিয়ে দেখুন তো, তার উল্লেখিত আয়াতের বঙ্গানুবাদের সাথে আয়াতের প্রকৃত অর্থের মিল আছে কি না। আমি সবগুলো দেখি নি। শেষের দিকের একটি রেফারেন্স, যা ৫ নং ক্রমিকে উল্লেখিত হয়েছে, সেটাতে সূরাহ আল আহযাবের ৫১, ৫২ নং আয়াতের কথা বলা হয়েছে। আদতে, সূরাহ আলআহযাবের ৫১ এবং ৫২ নং আয়াতের অর্থের সাথে লেখকের উক্তির কোনো সাদৃশ্য পেলাম না। তারপরেও আপনি আকেবার মিলিয়ে দেখতে পারেন। এখানে দু'টি আয়াত মূল আরবিসহ অনুবাদ উল্লেখ করা হল-

تُرْجِي مَن تَشَاء مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَن تَشَاء وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَ ذَلِكَ أَدْنَى أَن تَقَرَّ أَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَا آتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي قُلُوبِكُمْ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَلِيمًا

''আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।'' সূরাহ আলআহযাব, আয়াত-৫১

لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاء مِن بَعْدُ وَلَا أَن تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَاجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ رَّقِيبًا

''এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।'' সূরাহ আলআহযাব, আয়াত-৫২

লেখকের পোস্টে সর্বশেষে যে ইমেইজটি যুক্ত করা হয়েছে সেখানে আল কুরআনের সূরাহ আল কাহাফের ২৯ নং আয়াতের রেফারেন্সে তিনি যা উল্লেখ করেছেন, তা মূলত: ২৯ নং আয়াতের পুরো বঙ্গানুবাদ নয়। সম্ভবত: আয়াতের এই অংশটুকু দিয়ে নাস্তিকতা জায়েজের কুরআনী দলিল বানানোর একটি সুপ্ত উদ্দেশ্য তার মনে থেকে থাকতে পারে। আর এমনিতেও একটি আয়াতের পুরো বক্তব্য পরিহার করে, অংশবিশেষের খন্ডিত অর্থগ্রহন করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনে হয়। এতে করে, আয়াতের মূল অর্থ বিকৃতভাবে উপস্থাপন কিংবা অনুধাবনের সুযেগ সৃষ্টি হয়, যা কাম্য নয়। আলোচ্য আয়াতের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। এই আয়াতের প্রথমাংশে আল্লাহ পাক বিশ্বাস করা কিংবা না করার সুযোগ দিয়েছেন। আর মূলত: যারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না, তাদের নির্মম পরিনতি বর্ননা করা হয়েছে আয়াতের শেষাংশে। লেখক কৌশলে আয়াতের তার পক্ষে যায়, এমন অংশ উল্লেখ করেন, বাকি অংশ পরিহার করেন কেন?

যাচাই এবং অবগতির জন্য পুরো আয়াত এবং অর্থ উপস্থাপন করা হল-

وَقُلِ الْحَقُّ مِن رَّبِّكُمْ فَمَن شَاء فَلْيُؤْمِن وَمَن شَاء فَلْيَكْفُرْ إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا وَإِن يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاء كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوهَ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءتْ مُرْتَفَقًا

''বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক। আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের কে পরিবেষ্টন করে থাকবে। যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় এবং খুবই মন্দ আশ্রয়।'' সূরাহ আল কাহাফ, আয়াত-২৯

৩৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

স্োরনাভ বলেছেন: জী জনাব, দাসী নিয়েই আলোচন করছিলাম, কুরান ও সহী হাদিসের আলোকে, ধন্যবাদ।

৩৮| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার ২৯ নং কমেন্টের কোথায় কোন্ লাইনে আপনাকে হুমকি দেয়া হল, দয়া করে একটু ধরিয়ে দিলে খুশি হতাম।

কমেন্ট না পড়ে উল্টাপাল্টা প্রত্যুত্তর দেন কেন?

৩৯| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন:.....আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের কে পরিবেষ্টন করে থাকবে। যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। কত নিকৃষ্ট পানীয়.............

এ হে হে হে ! পুঁজের ন্যায় পানীয় ! আমার তো পড়েই গা ঘিন ঘিন করছে!! ব্লগে অশালীন ,অভব্য এবং নিকৃষ্ঠ ভাষা ব্যবহার থেকে আমাদের সবার বিরত থাকা উচিত!

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০২

স্োরনাভ বলেছেন: হা হা হা ভাই ভাল বলেছেন, সহমত। এই পোষ্টের কমেন্টে আসে হুমকিদাতা, অনুভূতি সম্পন্ন মানুশ, আর দুই জন অতি শিক্ষিত উনারা সম্ভবত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স পড়ান। আর হ্যা যারা ফিজিক্স পড়ান উনারা বেশী অনুভূতি ওয়ালা।

৪০| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩১

খনাই বলেছেন: "প্য প্য পি পি পু পু প্যং প্যং" এটা মনে হয় কোনো হিন্দি গানের কথা? গানের তালে নিশ্চই কিছু নর্তন কুর্দনও সেরে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই আমাকে জোশ একটা উত্তর দিয়ে লা জবাব করে দেবার আনন্দে? খুশি হয়েছি আপনার প্রতি উত্তরে | কারণ আপনি নিজেই তার মধ্যে দিয়ে প্রমান করে দিয়েছেন যে আপনার সম্পর্কে আমার ধারণাটা সঠিক (পড়াশোনা করা দরকার আপনার ইসলাম নিয়ে লেখার আগে I আর ইসলামের বিরোধিতা করতে বুদ্ধিবৃত্তিক ভন্ডামি করেন সত্য চাপা দিয়ে মুক্তমনা দাবি করে!)I

এখন আপনার লেখার যে পয়েন্টে আমি দ্বিমত করেছিলাম আর তা নিয়ে আপনি যে উত্তর দিয়েছেন সেটা নিয়ে কয়েকটা কথা বলি I আমি বলেছিলাম সূরা আত তাহরীমের এক নাম্বার আয়াতটা (যেটা আপনার লেখার ইম্পরট্যান্ট একটা অংশ)হজরত মারিয়া কিবতি (রাঃ) সম্পর্কে ছিল না I অন্য ঘটনা সম্পর্কে ছিল I আমি একটা তাফসীরের কথাও বলেছিলাম রেফারেন্স হিসেবে (পরে বলছি কোন তাফসীর সেটা) I ইসলামের ক্লাসিকাল তাফসীরকারী যারা আছেন যেমন ইবনে কাসির উনি কিন্তু সূরা তাহরীমের এক নং আয়াতের তাফসীরে হজরত মারিয়া কিবতির সাথে কোনো সম্পর্কের কথা বলেন নি এ'ব্যাপারে I ইবনে কাসীরের তাফসীর দেখতে পারেন যে কোনো সময়ে I বিখ্যাত তাফসীরে জালালাইন-এ মাওলানা জালালুদ্দিন (রঃ) বলেছেন ইমাম সুয়ূতী (রঃ), ইমাম আসবাব (রঃ), ইমাম নববী এবং তফসীরে মা' আরিফ -এর লেখক এই আয়াতের সাথে মধু না খাওয়া সম্পর্কিত একটি ঘটনার কথাকেই উল্লেখ করেছেন I আমি যেই তাফসীরের কথা বলেছিলাম সেটা মদিনা মুনাওয়ারা-র দারুস সালাম থেকে প্রকাশিত মাওলানা শাফির তাফসীর মারেফুল কুরআন I যাতে তিনিও মধু সম্পর্কিত ঘটনার কাৰণেই সূরা তাহরীমের ১ নং আয়াত নাজিল হয়েছে বলে বলেছেন (প্যাচানো ত্যানাটা খুলে দিলাম কিন্তু) তাফসীরে জালালাইনে খুব পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে হজরত আয়িশার (রাঃ) বর্ণনা ছাড়া আর যে হাদিসগুলো আছে সূরা তাহরীমের ১ নং আয়াত সম্পর্কে সেগুলোর সনদ সহীহ নয় | প্রাপ্ত দলিলের ভিতিত্তে ইমাম নববীও (রঃ) জোরালো ভাবে বলেছেন মধু সম্পর্কিত বর্ণনাই সূরা তাহরীমের আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সম্পর্কিত হজরত মারিয়া কিবতিয়ার (রাঃ) কোনো ঘটনায় সেটা নাজিল হয়নি) I ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী বলেছে যদিও মধু সম্পর্কিত কারণে সুরা তাহরীমের আয়াত নাজিল হবার কারণ সম্পর্কিত হাদীসগুলোর দলিলই বেশি সহীহ ও নির্ভরযোগ্য তবুও কোনো কাৰণে কিছু স্কলার সেটার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেন (তাফসীরে জালালাইন ) I এখন আমি সুনানে নাসাঈ থেকেই সহীহ একটি হাদিস বলছি:

হাসান ইবন মুহাম্মদ জা'ফরানী (রহঃ) ... উবায়দ ইবন উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ যয়নব বিনত জাহাশ (রাঃ) এর কাছে অবস্থান করতেন এবং তাঁর কাছে মধু পান করতেন, আমি এবং হাফসা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, তিনি আমাদের যার কাছেই আসবেন, সেই বলবেঃ আপনি 'মাগাফীর' পান করেছেন। (মাগাফীর এক প্রকার বিশেষ দুর্গন্ধযুক্ত আঠাকে বলা হয়)। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাদের একজনের কাছে প্রবেশ করলে যা বলার সিদ্ধান্ত ছিল তা বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি যয়নব বিনত জাহাশ-এর কাছে মধুই তো পান করলাম এবং বললেন, আর কোন দিন তা করব না। অর্থাৎ মধু পান করব না। এ কারণে নাযিল হলঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) "হে নবী! আল্লাহ্‌ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য হারাম করেছেন কেন? (إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ) "তোমরা উভয়ে যদি তওবা কর" এটা আয়িশা (রাঃ) এবং হাফসা (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেনঃ (وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) "যখন নবী তার একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপন করলেন" এটা তার উক্তি 'আমি মধু পান করেছি এবং আর করব না।' এর পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে (নাসাঈ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নং৩৯৬০) I

আপনি আমার কমেন্টের উত্তরে বিরাট করেই কিন্তু সেই ঘটনা সম্পর্কে স্কলারদের মধ্যে দ্বিমত আছে সেটার কথা বলেছেন I এটা সত্যি I আপনি নিজেইতো বুখারী শরীফের হাদিসের কথা বলেছেন যাতে হজরত আয়িশার (রাঃ) বর্ণনাতে মধু খাবার ঘটনার কাৰণে আয়াতটা নাজিল হয়েছে সেটার কথা আছে I আপনি সম্ভবত সুনানে নাসাইয়ের ৩৯৬০ নাম্বার হাদিসটাও জানতেন I তাহলে আপনার দ্বিমতের কথাটা জানা থাকার পরেও আর সূরা তাহরীমের আয়াতটা হজরত মারিয়া কিবতির ঘটনার সাথে সম্পর্কিত না তেমন একটা সহীহ হাদিসের অস্তিত্ব থাকার পরেও কেন মূল লেখায় শুধু হজরত মারিয়া কিবতির (রাঃ) কথা বললেন স্কলারদের দ্বিমতের কথাটা না বলেই I রাসূলকে (সাঃ) বির্তকিত করতেই তাই না ? আপনি বারবার বলছেন যে কুরআন হাদিসের রেফারেন্স ছাড়া কিছু বলছেন না তাহলে বুখারী শরীফের এই সহীহ হাদিসটা আপনি কেন উল্লেখ করলেন না (ধরে নিলাম আপনি নাসাইয়ের ৩৯৬০ হাদিসটা জানতেন না যদিও এ’রকম একটা সেনসিটিভ বিষয়ে লিখতে গেলে এই ধরণের অজ্ঞতা গ্রহণযোগ্য নয় )? আমি এই পয়েন্টটা না তুল্লে আপনিতো সেগুলো বলতেন না, তাই না ? এটাই হলো আপনাদের মুক্তমনা ভন্ডামি I ইসলামের বিরোধিতা করতে মিথ্যা/ প্রশ্নবিদ্ধ তথ্যকেও সত্যি হিসেবে চালিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না I যেটা আপনার সহযোগী স্বর্গতো থেকে শুরু করে দেশ থেকে বিতাড়িত সব মুক্তমনারাই করেছে আগে আর আপনারা সেই উত্তরাধিকার সযত্নে লালন পালন করে চলেছেন I

পনেরোশো বছর আগের কোনো ঘটনা সম্পর্কে কিছু লিখতে গেলে একজন গবেষকের মনন চাই I আর গবেষণার ক্ষেত্রে নিউট্রালিটি সবচেয়ে প্রথম কথা I আর পড়াশোনা করতেই হবে | আপনার সেগুলো ঠিক আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হবার কোনো কারণ নেই এই চূড়ান্ত একপেশে লেখা থেকে I

১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:০০

স্োরনাভ বলেছেন: এইবার ভাল্লাগসে জনাব, আপনি দয়া করে আপনার তাফসীর জানিয়েছেন। আসলে আমি "হযরত মারিয়া কিবতিয়া রাঃ" নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী, বাংগালী মুসমানেরা জানেই না এই নামে একজন মহীয়সী নারী আসে যিনি নবী মোহাম্মাদের যৌনদাসী ছিলেন।

৪১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

স্োরনাভ বলেছেন: গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [6982] অধ্যায়ঃ ৯১/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
…..এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয়। আর কিছু দিনের জন্য ওয়াহীও বন্ধ থাকে। এমনকি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থার কারণে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এমনকি আমরা এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পর্বতের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাবার জন্য একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন। যখনই নিজেকে ফেলে দেয়ার জন্য পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন, হে মুহাম্মাদ! নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল। এতে তাঁর অস্থিরতা দূর হত এবং নিজ মনে শান্তিবোধ করতেন। তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন। ওয়াহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘ হত তখনই তিনি ঐরূপ উদ্দেশে দ্রুত চলে যেতেন। যখনই তিনি পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে আগের মত বলতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.