নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর।।

স্োরনাভ

মুক্তচিন্তার মানুষ

স্োরনাভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোদীর ভারত ও আমাদের গণতন্ত্র

২৬ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৪২

মোদীর বিচক্ষণতা ও অসীম সাহসীকতায় ভারতবাসী মুগ্ধ হয়ে ভোট দিয়েছে।
১. তিনি বাল্যকালে কুমির ভর্তি জলাশয় পাড়ি দিয়ে মন্দিরের ঘন্টা বাজাতেন কুমির রেসে হেরে যেত। (আত্মজীবনী কমিক্স বাল নরেন্দ্র)।
২.তিনি নোট বদলে দিয়ে একটা চমৎপ্রদ কাজ করেছেন, যাতে অনেকের সেই লেভেলে লাভ হয়।
৩. প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর নামের রাষ্ট্রদ্রোহিকে এম পি টিকেট দিয়ে সাহসিকতার কাজ করেন।
৪.শিশু আসিফা ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের বুকে আগলে রেখে হিন্দুত্ব বাদের পক্ষে কাজ করেন।
৫.জি ডি পি ভারতের ইতিহাসের সর্বনিম্ন হয়েও লোকেদের ভাষনে খুশি রাখেন।
৬.মাত্র ১২ দিনের একটিভ গোলা মজুদ থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানে কাক হত্যা করার সাহস দেখান।
৭. নিরাপত্তা ত্রুটিতে ৪৪ জন সৈনিক মারা গেলেও নিজের কারিশমায় এটাও সাফল্য বানিয়ে ফেলেন।
৮. অভিনন্দন নামের পাইলট ধরা খাইলেও তিনি সেটাকেও সাফল্য বানিয়ে ফেলেন।
৯.অনেক গুলো মিডিয়াকে ভরন পোষন দেন।
১০. ইতিহাসে সবচেয়ে বেশীসংখ্যক মামলার অভিযুক্তকে নির্বাচনের মনোনয়ন দেন।
১১. বেকারত্ব রেকর্ড ব্রেক করলে তিনি বেকারদের সিংগারা বানোর সুবুদ্ধি দেন।
১২. তিনি ইন্টারভিউতে দাবী করেন তিনি মেঘের তেলেসমাতি তৈরী করেন তাই রাডারে তার বিমান ধরে না। অনেকেই তাকে রাডার বাবা বলেন।
১৩. বুঝতে না পেরে ভারতের জাতীয় সংগীতের সময় তিনি হাটাহাটি করেন, সহজ সরল ব্যক্তি।
১৪. তিনি বেশ মজাদার কায়দায় ইংরেজী বলেন।
১৫. ল এন্ড অর্ডার সিচুয়েশন খারাপ হলেও তিনি ভুবন ভোলানো হাসিতে সেই কস্ট ঘুচিয়ে দিতে পারেন।
১৬. জীবনে একবার সংবাদ সম্মেলন করে কোনো কথা বলেন নাই, নিন্দুকেরা বলে তিনি কথার জবাব জানেন না।

তার ভুমিধ্বস জয়ে অভিনন্দন। তিনি নিজেও একজন অভিযুক্ত গনহত্যার আসামী। তার ভাই পার্টি লিডার অমিত শা ও তার বিরুদ্ধে চলমান বিচারের বিচারক হত্যা মামলার অভিযুক্ত। ভারতের কংরেস ও ভালো বিকল্প নয়, যদিও ভদ্র ভালো ক্যান্ডিডেটরা তেমন কেউ জয়ী হতে পারেনি, জয়ী হয়েছে ভয়ংকর অপরাধী আর সেবিব্রেটিরা।

বাংলাদেশের জন্য পরোক্ষ ভালো হয়েছে বেশ কিছু ব্যবসার বাজার বাংলাদেশে ঢুকবে, যেমন মাংশ, চামড়া অন্যান্য।

ভারতের ক্ষতি হয়ে গেল, এই জি ডি পি যদি থাকে আর চীনের জিডিপি যদি শুন্যতে নেমে আসে তবুও চীনকে ধরতে ভারতের ৫০ বছরের মত লাগবে যদিও অঞ্চলিক শত্রু থেমে থাকবেনা।

প্রতিবেশীরা এক এক করে চীনের হাতে চলে যাচ্ছে, তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই।

দ্যা হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদনে সৃস্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত ভারতের সৈন্য যুদ্ধের চেয়ে বেশী খুধা দারিদ্রে আত্মহত্যা করে মারা যায়, ভারত চীনের মিত্র রাশিয়া নির্ভর সামরিক শক্তি ক্ষয়িষ্ণু। কোন গোল বা ভিশন না থাকা এবং ভয়ংকর দুর্নীতি থাকায় ২০৩০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সামরিক শক্তি তাদের সামরিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে বেশ ভালো ভাবে।

আশিক্ষিত জনতার রাস্ট্রের জন্য ভোট একটা বাজে জিনিস, একটা ভালো অটোক্রেসি দরকার। বাংলাদেশে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হলে বাংলাদেশও পথ হারিয়ে ফেলবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বিশ্লেষন সুন্দর হয়েছে।

২| ২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

একে৪৭ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
তবে কিছু হজম করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।
:P

৩| ২৬ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Modi is our leader will remain our leader,damn care whoever thinks what
Indian market is lucrative to every country,chinese economy will be punished by usa in trade war,we will gain,let those ২০০ us companies to shift base in india from China.

৪| ২৬ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

একে৪৭ বলেছেন: @অরিন্দম চক্রবত্রী
দাদা, চায়না আর ইন্ডিয়ার পার্থক্যটা যে আপনার কথাতেই!
চায়না USA'র সম্পর্ক কখনোই সুখের ছিলো না।
চায়না USA'র ২০০ কোম্পানিকে ডেকে ডেকে আনেনি, USA'র ২০০ কোম্পানি তাদের প্রয়োজনে চায়নাতে গিয়েছে।
আর ইন্ডিয়া চাতক পাখির মতো বসে আছে "তারা যদি আসে!!!", ঠিক আপনার প্রফাইল পিকের মতোই।
:P

যত যুদ্ধই হোক, USA ওই চায়নাতেই ঘুরে ফিরে যেতে হবে।
চায়না USA'র সাথে ব্যবসা করে, আর USA ইন্ডিয়াকে ব্যবহার করে (বিনিময়ে ইন্ডিয়া কিছু দক্ষিনা পায় বই কি)।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Apnar sathe ami ekmot noi,sobai byabsa kore.
Shotrur shotru holo bondhu.
Apnarai amader niye eto chorcha koren,amader boyei geche apnader niye chorcha korte.
Nijeder dike takan,anonde thakun,amader niye na bhable cholbe.

৬| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Amar ektai uttor damn care.

৭| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Amar ektai uttor damn care.

৮| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: @ অরিন্দম চক্রবর্তী, আমরাও কাউকে কেয়ার করি না। আমরা এমন এক জাতি, যারা রক্তাক্ত যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা আপনাদের মতো মধ্যরাতে টেবিলে বসে দেশ ভাগ করে নিয়ে স্বাধীনতার অহঙ্কার করি না।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২৭

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Apnara dekhchen ekhono bogol baniye jachen,apnar ki bhabchen amra tate interested noi,amader desher80% lok janei na bangladeshe kobe election,interested o na,apnader dekha mone hoche amader deshta apnarai chalacchen.nijer choray tel din na.

১০| ২৭ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মোদী হচ্ছে তরল পদার্থের মতো, যে পাত্রে রাখা যায় সেই পাত্রেই আকার ধারণ করে | তাই সে নিজের স্বার্থে চীন, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া কাউকেই তৈল মর্দন করতে দ্বিধা করে না | মোদির তৈলবাজ নীতির কারণেই ভারতের অন্যদেশে জনশক্তি রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পথ প্রশস্থ হয়েছে যা ভারতীয়দের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে | এটা অন্য দেশের জনগণের কাছে যতই দৃষ্টিকটু লাগুক না কেন হতোদরিদ্র ভারতীয়দের কাছে এটি বিরাট কিছু | এদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এর আর কোনো বিকল্প নেই | আর ধর্মীয় উদ্মাদনা ব্যবহার করে যদি ভোটব্যাংক শক্ত করা যায়, মোদির মতো ধূর্ত নেতা সেই সুযোগই বা কেন হাতছাড়া করবে |

ভারতীয়দের জন্য করুনাই হয় - তাদের জনগণের এক বিশাল অংশ দুমুঠো ভাতের জন্য মোদির ছ্যাছ্যাড়ামিকেই সমর্থন করছে |

১১| ২৭ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

একে৪৭ বলেছেন: @ অরিন্দম চক্রবর্তী
কি যে বলেন দাদা!
ভারতের ৪র্থ সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরনের জায়গার কোন খোজখবরই ভারতের জনগন রাখে না???
এ কেমন কথা! না জেনে না শুনেই কেবলমাত্র টাকার গন্ধ পেলেই অজানার পথে পা বাড়ায় ভারতিয়রা???
আমরা অবশ্য এমনটা মনে করি না।

আর আমরা কেবল আপনাদের নির্বাচনই না, ইগান্ডাতে নির্বাচন হলেও একটু খোজ খবর রাখি বৈ কি। :)

আমরা কেবল উ‌ৎকৃষ্ট রুপে পা চাটতে পারি না।
যেভাবে পা চাটলে আমেরিকা থেকেও দক্ষিনা পাওয়া যাবে, আমেরিকার শত্রু রাশিয়া থেকেও দক্ষিনা পাওয়া যাবে।
:P

১২| ২৭ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: Apnara hazar chellaleo poriborton to kichui hobe na,trump o americar president thakbe,modio pm thakbe,apnar time ache chellan.
Apnara to amৃder pa chaten,seta bondho korun age.
La la korte korte lakh lakh log amader deshe ase,amra jai ki?

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @অরিন্দম চক্রবত্রী

সামনের পোস্টে গরুর রচনা লিখেন।


বাংলায় লিখতে পারবেন তো? আপনিতো আবার ভারতীয় আগে, বাঙালি পরে...:D

জয় চিরি রাম

১৪| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

একে৪৭ বলেছেন: @অরিন্দম চক্রবত্রী
একটু খোজখবর নেন দাদা!

"বাংলাদেশ ভারতের ৪র্থ সর্বোচ্চ রেমিটেন্স কামানোর যায়গা।"
UAE, USA, UK এর পরেই বাংলাদেশ!

বৈধ অবৈধ মিলিয়ে ১০লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে থেকে কাজ করে।
যারা এখানে থাকে, তাদের কি 'আমরা' বলতে মানুষ মনে হয় না?
এখানে কি গরু পাঠিয়েছেন আপনারা? 'গরু' দাদা???

আমরা বাঙ্গলি হলেও একটু দুষ্ট আছি। ;)
লা লা লা করতে করে বাইজি পাড়ায় আমাদের অনেকেই যায় দাদা, সেখানে যে রঙ বেরঙ্গের খোলা পেট ও *** নাচতে দেখা যায়!
তবে সেখানে কেউই থেকে যেতে পছন্দ করবে না, করেও না দাদা।
:P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.