নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজমল হক (আজম)

আজমল হক (আজম) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আযান ও ইকামত (নামায পড়ার সহিহ পদ্ধতি জানুন এবং জানান)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৩

আযান ও ইকামত (নামায পড়ার সহিহ পদ্ধতি জানুন এবং জানান)

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَأَذَٰنٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ ٣﴾

“আর আল্লাহ ও তার রাসূলের পক্ষ থেকে আযান” সূরা তাওবা: (৩)



আযানের পূর্বে অযু করা সুন্নাত (তিরমিযী ১ম খন্ড ৫০ পৃঃ);



হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) সহ একদল সাহাবী একই রাত্রে আযান ও ইকামতের স্বপ্ন দেখেন পরদিন সকালে ওহির মাধ্যমে প্রত্যাদিষ্ট হলে রাসুল (সঃ) তা সত্যায়ণ করেন এবং বিল্লাল (রাঃ) কে সেই মর্মে আযান দিতে বলেন (আবু দাউদ হাঃ নং ৬৫০);

«فإذا حضرت الصلاة فليؤذِّن لكم أحدكم وليؤمَّكم أكبركم».

যখন নামাযের সময় হয় তখন তোমাদের মাঝে কেউ যেন আযান দেয় (বোখারী, মুসলিম, মেশকাত ৬৬ পৃঃ);



আযান শুনে শয়তান ৩৬ মাইল দূরে পলায়ন করে (মুসলিম, মেশকাত ৬৬ পৃঃ);



যে ব্যক্তি খালিশ দিলে আযানের জওয়াব দিবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজীব হয়ে যায় (মুসলিম, মেশকাত ৬৬ পৃঃ)



ওমর ইব্‌ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‎‎ বলেছেন: “যখন মুয়াজ্জিন বলে: الله أكبر الله أكبرُ، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: الله أكبر الله أكبرُ، যখন মুয়াজ্জিন বলে: أشهد أن لا إله إلا الله অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: أشهد أن لا إله إلا الله যখন মুয়াজ্জিন বলে: أشهد أن محمدًا رسول الله، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: أشهد أن محمدًا رسول الله، যখন মুয়াজ্জিন বলে: حيَّ على الصلاة، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: لا حول ولا قوة إلا بالله، যখন মুয়াজ্জিন বলে: حي على الفلاح، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: لا حول ولا قوة إلا بالله، যখন মুয়াজ্জিন বলে: الله أكبر الله أكبر، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: الله أكبر الله أكبر، যখন মুয়াজ্জিন বলে: لا إله إلا الله، অতঃপর তোমাদের কেউ অন্তর থেকে বলে: لا إله إلا الله، সে জান্নাতে প্রবেশ করবে” মুসলিম: (৩৮৫)



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের‎‎ বলেছেন: “যে ব্যক্তি আযান শ্রবণ করে বলে:

«اللهم ربَّ هذه الدعوة التامة، والصلاة القائمة، آتِ محمدًا الوسيلة والفضيلة، وابعثه مقامًا محمودًا الذي وعدته»

কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফায়াৎ বৈধ হয়ে যাবে” বুখারি: (৬১৪)



«أُمِرَ بلال أن يشفع الأذان ويوتر الإقامة، إلا الإقامة»

রাসুল (সঃ) বিল্লাল (রাঃ) কে আযানের কলেমা দু’দু বার ও একামতের কলেমা এক এক বার করে বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তবে قد قامت الصلاة،قد قامت الصلاة، ব্যতীত” (বোখারী ১ম খন্ড ৮৫ পৃঃ)



আযানের নিয়ম হচ্ছেঃ

«الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، حيَّ على الصلاة، حيَّ على الصلاة، حيَّ على الفلاح، حيَّ على الفلاح، الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله»،

ফজরের আযানে حي على الفلاح বলে বলবে:

«الصلاةُ خيرٌ مِنَ النوم، الصلاةُ خيرٌ من النوم»؛

ইকামতের‎ নিয়ম হচ্ছে:

«الله أكبر، الله أكبر، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، حيَّ على الصلاة، حيَّ على الفلاح، قد قامت الصلاةُ، قد قامت الصلاة، الله أكبر الله أكبر، لا إله إلا الله».

ইকামতের বাক্যগুলি এক একবার এর আরও দলিল দেখুন (মিশকাত ২য় খন্ড হাঃ ৫৯০ বাংলা অনুবাদ মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী এমদাদিয়া লাইব্রেরী চকবাজার ঢাকা; মিশকাত মদ্রাসার পাঠ্য আরাফাত পাবলিকেশন্স ২য় খন্ড হাঃ ৫৯০; বাংলা অনুবাদ বোখারী মাওলানা আজিজুল হক হামিদিয়া লাইব্রেরী চকবাজার ঢাকা ১ম খন্ড হাঃ ৩৭১; সহীহ আল বোখারী আ; প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৫৬৮, ৫৭০, ৫৭১ ও ৫৭২; সহীহুল বোখারী তাওঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৫৭৪, ৫৭৬-৫৭৮; মুসলিম শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৭২২, ৭২৩; তিরমিযী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ১৯৩; জামে তিরমিযী মাওলানা আব্দুন নুর সালাফী ১ম খন্ড হাঃ ১৮৬);



ওয়াজিব আযান, আর দ্বিতীয় আযান দ্বারা উদ্দেশ্য ইকামত । কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‎‎ বলেছেন:

«بين كل أذانين صلاة، بين كل أذانين صلاة»، قال في الثالثة: «لمن شاء».

“প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে সালাত আছে, প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে সালাত আছে” তৃতীয়বার বলেন: “যে ইচ্ছা করে” (বুখারি: ৬২৭; মুসলিম: ৮৩৮)



«إذا نُودي للصلاة أدبر الشيطان له ضُراط حتى لا يسمع التأذينَ،فإذا قُضِيَ النداءُ أقبل حتى إذا ثُوِّب للصلاة أدبَرَ،حتى إذا قُضِيَ التَّثْويبُ أقبلَ حتى يَخطُرُ بين المرء ونفسه،يقول له: اذكر كذا واذكر كذا لما لم يكن يذكر من قبل،حتى يظلَّ الرجلُ لا يدري كم صلى».

“যখন সালাতের আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান বাতকর্ম করতে করতে পিছু হটতে থাকে, যেন সে আযান শুনতে না পায়। যখন আযান শেষ হয় নিকটবর্তী হয়, যখন ইকামত আরম্ভ হয় সে পিছু হটে, ইকামত শেষ হলে সে আগমন করে এবং ব্যক্তি ও তার অন্তরের মাঝে বিভিন্ন কথা ও ভাবনার উদ্রেক করে, সে বলে: এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, ইতিপূর্বে যা কখনো তার মনে হয়নি। এক সময় এমন হয় যে, সে সালাতের রাকাত সংখ্যা ভুলে যায়” (বুখারি: ৬০৮; মুসলিম: ৩৮৯)



মসজিদে প্রবেশ



আমিই তোমার পালন কর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ (ত্বোয়া হাঃ আয়াত ১২);



জুতা অপবিত্র হলে অবশ্যই খুলতে হবে, জুতা পাক পবিত্র হলে তা পরে নামায হবে- নবীজী (সাঃ) দু’ভাবে নামায পড়েছেন খালি পায়ে আর সেন্ডেল পায়ে (আবু দাউদ, কেতাবুল সালাহ ২৪০ হাঃ নং ৬৫৩ পৃঃ);



মসজিদে যাওয়ার পথে দু’আঃ আল্লাহুম্মাজ আল ফী কালবী নুরাওঁ ওয়া ফী বাসারী নূরাওঁ, ওয়া ফী সাময়ী নূরাওঁ, ওয়া আই ইয়ামিনী নূরাওঁ, ওয়া আঁই ইয়াসারী নূরা । ওয়া ফাওক্বী নূরাওঁ, ওয়া তাহতী নূরাওঁ, ওয়া আমামী নূরাওঁ, ওয়া খালফী নূরাওঁ ওয়াজ আল্‌লী নূরাওঁ ওয়া ফী লিমানী নূরা, ওয়া আসাবী ওয়া লাহমী ওয়া শা’রী ওয়া বাসারী নূরা, আল্লাহুম্মা আ’তিনী নূরাওঁ ওয়া আ’যিম লী নূরা ।(মুসলিম, হিসনুল মুসলিম ১৭ পৃঃ)



মসজিদে প্রবেশের দু’আঃ আঊযু বিল্লাহিল আযীম, ওয়া বি অজহিহিল কারীম, ওয়া সুলত্বানিহিল ক্বাদিম মিনাশ শায়তানির রাজিম । বিস্‌মিল্লাহি ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসুলিল্লাহ । আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা ।(মুসলিম, হিসনুল মুসলিম ১৮ পৃঃ);



বের হওয়ার দোয়াঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা মিন ফাযলিকা (মুসলিম, মেশকাত ৬৮ পৃঃ)



মহিলারাও মসজিদে যেতে পারবে



যখন তোমাদের স্ত্রীরা মসজিদে যেতে চায় বাঁধা দিওনা (বুখারী ১ম খন্ড সালার বিভিন্ন বৈশিষ্ট ৮৪ অধ্যায় হাদিস নং ৮৩২);



রাতেও মহিলাদের মসজিদে যেতে দাও (বুখারী ১ম খন্ড সালার বিভিন্ন বৈশিষ্ট ৮০ অধ্যায় হাঃ নং ৮২৪);



তোমরা মসজিদের ভিতরে মহিলাদের জায়গাটা কেড়ে নিওনা (মুসলিম ১ম খন্ড বুক অফ সালাহ ১৭৭ অধ্যায় হাঃ নং ৮৯১);



পুরুষদের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রথম সারি আর খারাপ শেষের সারি । মহিলাদের শ্রেষ্ঠ শেষের সারি আর খারাব প্রথম সারি (মসলিম ১ম খন্ড বুক অফ সালাহ ১৭৫ অধ্যায় হাঃ নং ৮৮১)



জানাতে পারেন-

৬) ইকামতে কাদ্বকামাতিস সালাহ ব্যতিত অন্য বাক্যগুলোও আযানের মত বলা এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল জানাবেন ।

৭) মহিলারা মসজিদে যেতে পারবে না এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল জানাবেন ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৬

খাইয়া কামনাই বলেছেন: জাযাকাল্লাহূ খাইরান

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

আজমল হক (আজম) বলেছেন: আপনাকে আমার আন্তরিক মুবারকবাদ ।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

অলিভার বলেছেন: ভাই আল্লাহ আপনার উপর রাজি খুশি হয়ে যান। আমিন।
আমাদের জন্যও দোয়া করবেন। লেখাটিউ পড়ে আমল করা সহজ হয়ে গেল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

আজমল হক (আজম) বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খায়রান ।
নীচের লিঙ্কটি ক্লিক করে এর ভিতরের সবগুলো লিঙ্ক ক্লিক করে ধারাবাহিক ভাবে পড়তে পারেন ।
Click This Link (pls click & read)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.