নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ ফারহান সাদিক

ব্লগার

মোঃ ফারহান সাদিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনলাইনে টিন সার্টিফিকেট খোলার সঠিক নিয়ম

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৪

বর্তমানে টিন (TIN) সার্টিফিকেট এর ব্যবহার অনেক আংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য টিআইএন বা টিন সার্টিফিকেট অতি প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংক লোন বা সরকারি বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা নিতে বা কর পরিশোধ করতে টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক করা হয়। যে অনুযায়ী টিন সার্টিফিকেট তৈরি করা যায় খুব সহজে। আমাদের দেশের নাগরিকগনের আয়কর নিবন্ধন বা টিন সার্টিফিকেট করা থাকলে তারা বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। একজন ব্যক্তি কেবল মাত্র একটি টিন সার্টিফিকেট বা আয়কর নিবন্ধন করতে পারবেন। একজন ব্যক্তির নামে একাধিক টিন সার্টিফিকেট করা সম্ভব নয়। তাছাড়া আয়কর নিবন্ধন বা টিন সার্টিফিকেট একবার করা হয়ে গেলে যে কোন সময় নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে লগইন এর মাধ্যমে আয়কর নিবন্ধন বা টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যায়। এখানে ব্যক্তিগত ভাবে বা কোন কোম্পানির নামে কিভাবে আয়কর নিবন্ধন বা টিন সার্টিফিকেট করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে চলুন জেনে আসি টিন সার্টিফিকেট বলকে কি বুঝায়?
টিন সার্টিফিকেট বলতে কি বুঝায়?
টিআইএন (TIN) এর পূর্ণরূপ হলো “ট্যাক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নাম্বার”। ১২ ডিজিটের এই নাম্বারটি হলো একটি বিশেষ নাম্বার যার মাধ্যমে করদাতাকে সহজে শনাক্ত করা যায়।মূলত টিন সার্টিফিকেটে করদাতা আয়কর শনাক্তকরন নম্বরটি বহন করে থাকে। সবশেষে বলা যায় আয়কর শনাক্তকরন নাম্বারটির জন্য যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে তা মূলত একজন করদাতার পরিচয়পত্র। আর এই পরিচয় পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার করদাতা শনাক্ত করে থাকে।

টিন সার্টিফিকেট কেন করা হয়ে থাকে?
একজন করদাতার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি চালু করেছে। বর্তমানে টিন সার্টিফিকেট করা থাকলে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংক লোন বা সরকারি বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা নেওয়া জন্য টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তাছাড়া বাংলাদেশে নাগরিক যদি কোন ব্যবসায় শুরু করতে চায় তার জন্য টিন সার্টিফিকেট আবশ্যক। আবার বাড়ি তৈরি করার জন্য রাজুক থেকে অনুমতি পত্রের প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রেও টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। যদি কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠাণ সরকারি কাজ পাওয়ার জন্য আবেদন করে এবং এই আবেদনপত্র যাচাই করার সময় টিন সার্টিফিকেট বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে কোন ব্যক্তি যদি জাতীয় সঞ্চয়পত্র বা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে চায় সেক্ষেত্রে আবেদনের সাথে টিন সার্টিফিকেট জমা প্রদান করতে হয়।

টিন সার্টিফিকেট কখন করতে হবে?
যদি আপনার বার্ষিক আয় ৩৫০,০০০ টাকার বেশি হয়, তাহলেই আপনাকে আয়কর দিতে হবে। আর আয়কর প্রদান করার জন্য আপনাকে টিন সার্টিফিকেট করে নিতে হবে। অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করার জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

১. জাতীয় পরিচয়পত্র

২. নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার

৩. কোম্পানীর ক্ষেত্রে আরজেএসসি নাম্বার

মূলত এই তথ্যগুলো টিন সার্টিফিকেট বা আয়কর নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হয়।

আনলাইনে টিন সার্টিফিকেট খোলার সঠিক নিয়ম:
অনলাইনে বর্তমানে ই-টিন রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে টিন সার্টিফিকেট পেতে পারেন। ই-টিন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রথমে আমাদেরকে উল্লেখিত লিংকটিতে প্রবেশ করতে হবে। secure.incometax.gov.bd/Registration
তারপর যথাক্রমে স্টার মার্ক গুলো পূরণ করতে হবে। এতে করে আপনি e-TIN সাইটটিতে নিবন্ধিত হয়ে যাবেন। তারপর সাইটটিতে পূনরায় লগইন করে প্রবেশ করুন। এরপর New Registration Selection করুন। Taxpayer's Status/করদাতার ধরন a)* এখান থেকে করদাতা তাদের নিজ নিজ ধরন সিলেক্ট করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.