নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি।

Md Ashraful Alam Sourov

Md Ashraful Alam Sourov › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যাচেষ্টা কেন?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫



"জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন বার বার স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তির টার্গেট?
রাখে আল্লাহ, মারে কে! "

আপনি একবারও ভেবে দেখেছেন কি,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ওপর কেন বারবার সন্ত্রাসী হামলা হয়?
কারা এই হামলাকারী, কাদের এই উদ্দেশ্য?
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কিংবা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ওপর কেন কখনো প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা হয় না?
১বার নয়,২বার নয় এ পর্যন্ত ১৯ বার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন বর্তমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
কথায় বলে, ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে’।শেখ হাসিনা প্রতিবারই মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন।

আপনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা সুশীল সেটা বড় কথা নয়।
বড় কথা হলো আপনি একটু ভেবে দেখুন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কেন বারবার ভয়াবহ সব সন্ত্রাসী হামলার টার্গেট হতে হচ্ছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের পরে আজ অবধি আর কোনো রাজনীতিবিদকে বাংলাদেশে এভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়নি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করছে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত হিসেবে সামনে থেকে মুশতাক, ফারুক এদের দেখেছি। কিন্তু ঘটনার নেপথ্যে ছিল সেই পরাজিত শক্তি। তারা মনে করে ৭১'এর পরাজয়ের প্রতিশোধ সম্পূর্ণ হবে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে হত্যা করতে পারলে। তাই তারা বার বার বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া সন্তান শেখা হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশের জন্য ১৯৮১ সাল একটি টার্নিং পয়েন্ট। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের হাল ধরেন তিনি। এরপর থেকে একদিকে চলছে দেশ গড়ার সংগ্রাম আরেকদিকে চলছে শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেয়ার অপপ্রয়াস।
সম্ভাবনার যে বিশাল সূর্যকে ১৯৭৫ এ শত্রুরা ম্লান করে দিয়েছিল, সেই সূর্যই যেন ১৯৮১ সালে নতুন সম্ভাবনায় একটু একটু করে জাগতে শুরু করল। ১৯৭৫ এ বিদেশে থাকায়, আল্লাহর রহমতে বেঁচে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা পরিকল্পনায় সবুজ সংকেত প্রদানকারী সামরিক শাসক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান টানা ছয় বছর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আসতে দেননি। কত নির্মম সে সময়! শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। না জানি সেদিন, কত কষ্ট আর দুঃখ ভরা মন নিয়ে বাংলার জমিনে পা রেখেছিলেন তিনি!
এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয়ের সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মী নূর হোসেন মারা যান। শেখ হাসিনাকে হত্যার বড় চেষ্টা চালানো হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। তিনি জনসভা করতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে মিছিলে হামলা হয়। তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেদিন প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী নিহত হন।
১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শেখ হাসিনা তখন ওই বাসাতেই থাকতেন। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রিনরোডে তিনি ভোটকেদ্রে পরিদর্শনে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর পান্থপথে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বোমা হামলা চালানো হয়। তখন দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় কার্জন হল থেকে অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। এই বোমা গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত জনসভাস্থল।
২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতকচক্র সেখানে বোমা পুঁতে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ তা উদ্ধার করে।

২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়াতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে জামায়াত–বিএনপি চক্র ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে তার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে জামায়াত-বিএনপির ঘাতক চক্র।
আজ ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় শেখ হাসিনা কোনোমতে প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতা-কর্মী প্রাণ হারায়। আহত হয় শত শত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী।
১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ৭৫' এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত হিসেবে সামনে থেকে মুশতাক, ফারুক এদের দেখেছি। কিন্তু ঘটনার নেপথ্যে ছিল সেই পরাজিত শক্তি। তারা মনে করে ৭১'এর পরাজয়ের প্রতিশোধ সম্পূর্ণ হবে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে হত্যা করতে পারলে। তাই তারা বার বার বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া সন্তান শেখা হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে।
যে কারণে জাতির পিতা ও তাঁর চার সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল, সে একই কারণে শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা চলছে।
কুচক্রিমহল মূলত ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়।
এই সন্ত্রাসীরা জানে, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ আবার মুখ থুবড়ে পড়বে।
একটি অকার্যকর জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত হবে।
১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীরা একই শক্তির। তারা আর কেউ না পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র এজেন্ট বিএনপি-জামায়াত চক্র। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এখনো লড়াই করে যেতে হচ্ছে। তারা চায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে থামিয়ে দিতে। তারা চায় বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে।
তাই বাংলাদেশকে স্থবির করে দিতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যাচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.