![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিনা প্রমাণে যা দাবি করা যায়, বিনা প্রমাণে তা প্রত্যাখ্যানও করা যায়- খ্রিস্টোফার হিচেন্স
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
প্রথমেই একটি কথা বলিঃ প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে টাকার মালিক হওয়ার জন্য ব্যাংক ডাকাতির প্রয়োজন হয় না। দু'নম্বর অনেক রাস্তায় কাড়িকাড়ি টাকার মালিক হওয়া যায়। প্রমাণ; প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়া এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার দুই ছেলে, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। তারা ভাঙ্গা সুটকেস ও ছেড়া গেন্জি দেখিয়ে দেশে-বিদেশে কত টাকার মালিক হয়েছেন তা সঠিকভাবে হিসেব করতে হয়তো কয়েক মাস সময় লাগবে।
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
""ইতিহাসের কুখ্যাত কতিপয় চক্রান্তকারীর সীমাহীন ছলনাময় চক্রান্তের কারণে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতির অপবাদ রটানো হয়েছিল এবং তা এখনো ক্ষেত্রবিশেষে বার বার বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। আসলে সেদিন কী ঘটেছিল? প্রত্যক্ষদর্শী সেই বিএনপি নেতা বিএনপির মন্ত্রী টুকু, তার বর্ণনায় জীবন্ত হয়ে উঠেছিল প্রেক্ষাপটটি।
শেখ কামাল সেদিন আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েক বন্ধুকে নিয়ে। রাত তখন আনুমানিক ৯টা কি সাড়ে ৯টা। আজকের বেঙ্মিকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান যিনি কিনা শেখ কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, ফোন করলেন হঠাৎ করেই। অর্থাৎ সেই রাতে। জানালেন নতুন একটি ভঙ্ ওয়াগন কোম্পানির মাইক্রোবাস কিনেছেন। টেলিফোনের এ প্রান্তে শেখ কামাল খুশিতে লাফ দিয়ে উঠলেন এবং সালমান রহমানকে অনুরোধ করলেন গাড়িটি একটু পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য নতুন গাড়িতে চড়ে ঢাকা শহরটি একটু চক্কর দেওয়া। অনুরোধমতে গাড়িটি এলো রাত আনুমানিক ১০টার দিকে। উপস্থিত বন্ধুরা শেখ কামালকে প্রস্তাব করলেন পুরান ঢাকার চিনুর বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ানোর জন্য। যেই কথা সেই কাজ, শেখ কামাল আরও দু-তিন বন্ধুকে ফোন করলেন এবং ফোন করলেন বিএনপির মন্ত্রী টুকুও। তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেন। কিন্তু নতুন ভঙ্ ওয়াগন গাড়িতে চড়া এবং চিনুর বিরিয়ানির লোভ সামলাতে পারলেন না। বললেন যাওয়ার সময় এলিফ্যান্ট রোডে তার বাসার সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়ার জন্য। রাত সাড়ে ১০টায় এলিফ্যান্ট রোড থেকে তাকে তুলে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা কাকরাইল, জোনাকী সিনেমার সামনের রোড দিয়ে ফকিরের পুল হয়ে গুলিস্তান এবং গুলিস্তান হয়ে বংশাল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। অর্থাৎ রাতের নিরিবিলি ঢাকায় নতুন গাড়িতে চড়ার আনন্দ উপভোগ। এভাবেই তারা কাকরাইল মোড় পর্যন্ত এগোলেন। বিপত্তি বাধল মোড় পার হওয়ার পরই। এই বিপত্তি নিয়ে কিছু বলার আগে তৎকালীন রাজনীতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু না বললেই নয়।
বঙ্গবন্ধু সরকারকে সমূলে বিনাশ করার জন্য যেসব দেশি-বিদেশি প্রবল প্রতিপক্ষ কাজ করছিল তাদের মধ্যে মরহুম সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টি বা নকশালেরা অন্যতম। এরা মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ডে থেকে অপতৎপরতা চালাত। তখনকার নকশালীদের গুম, হত্যা, ডাকাতির বীভৎস রূপ এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। অন্যদিকে জাসদ নামক রাজনৈতিক দলটির গণবাহিনীর তৎপরতা ছিল আরও ভয়াবহ। তারা রাজনীতি করত জাসদের নামে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাত 'গণবাহিনী'র নামে এবং অপপ্রচার চালাত 'গণকণ্ঠ' নামে তাদের মালিকানায় প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে। আজকের মাননীয় মন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু, মহাজোটের এমপি মঈনউদ্দিন খান বাদল প্রমুখ ছিলেন জাসদ গণবাহিনীর লিডার, যাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি সমূলে বিনাশ করা। জাসদ গণবাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পর ঢাকার অলিগলিতে বের হয়ে পড়ত এবং খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, অপহরণের মাধ্যমে সরকারকে অচল করার অপপ্রয়াস চালাত। সরকারও সর্বশক্তি দিয়ে এদের দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। রক্ষীবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ টিম সারা রাত গণবাহিনীর গুণ্ডাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাত। বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমদ তখন পুলিশের কয়েকটি টিম পরিচালনা করতেন। গণবাহিনী এবং নকশালদের দমন করার জন্য এসপি মাহবুবের টিমগুলোর আবার পরিচিতি হতো টিম লিডারের নামানুসারে, একটি টিমের নাম ছিল 'কিবরিয়া বাহিনী'। আমরা যে রাতের কথা বলছি সেই রাতে কাকরাইল পল্টন এলাকায় টহলের দায়িত্বে ছিল এই কিবরিয়া বাহিনী। তারা সাদা পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় প্রাইভেট গাড়িতে ঘুরত মূলত গণবাহিনী বা নকশালীদের ধরার জন্য। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই চ্যালেঞ্জ করত এবং ক্ষেত্রবিশেষে গুলি চালাত।
শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা যখন কাকরাইল মোড় পার হলেন তখন সামনে একটি প্রাইভেট কারে কয়েকজন সশস্ত্র লোককে দেখতে পেলেন। তারা মনে করলেন প্রাইভেট কারটি হয়তো গণবাহিনীর গুণ্ডাদের বা নকশালীদের। মাইক্রোবাসটি প্রাইভেট কারের চেয়ে উঁচু এবং উজ্জ্বল হেড লাইটের কারণে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা গাড়ির আরোহীদের দেখতে পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে গাড়ির আরোহী সাদা পোশাকধারী পুলিশের কথিত কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোবাসের উচ্চতার কারণে ভেতরের আরোহীদের দেখতে পাচ্ছিলেন না। কাকরাইল মোড় পার হয়ে শেখ কামালদের গাড়ি যখন নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ অতিক্রম করছিল তখন তাদের তারুণ্যময় অ্যাডভেঞ্চারে পেয়ে বসল। তারা মনে করলেন সামনের গাড়িটি গণবাহিনী বা নকশালীদের। ভুলে গেলেন চিনুর বিরিয়ানির কথা। ভাবলেন কোনোমতে যদি ওই সন্ত্রাসীদের ধরা যায় তাহলে সারা দেশে হয়তো একটি ধন্য ধন্য রব পড়ে যাবে। তারা গাড়িটি ধাওয়া করলেন। রাত তখন ১১টা। অন্যদিকে প্রাইভেট কারে বসা কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোবাসের আরোহীদের মনে করলেন গণবাহিনীর সন্ত্রাসী। পুলিশের গাড়ি হঠাৎ মতিঝিল থানার মধ্যে ঢুকে পড়ল। তাদের অনুসরণ করে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরাও মতিঝিল থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়লেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে লাগলেন মাইক্রোবাসে বসা শেখ কামাল ও তার বন্ধুদের ওপর। সবাই মারাত্দক জখম হলেন কেবল বিএনপির এই নেতাটি ছাড়া। এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনী যখন বুঝতে পারল আসল ঘটনা তখন আহতদের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। বঙ্গবন্ধু পরিবার তখন জানে না ঘটনা সম্পর্কে। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বিএনপি নেতাটি ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ঢুকে শেখ জামালকে খবরটি দিয়ে পুনরায় ঢাকা মেডিকেলে চলে এলেন।
পর দিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু ডেকে পাঠালেন বিএনপির মন্ত্রী টুকুকেও। তিনি যখন পেঁৗছালেন তখন বঙ্গবন্ধু খাচ্ছিলেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী খাবার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতাকে খাওয়াচ্ছিলেন। ছেলের বন্ধুর দিকে তাকিয়ে তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন-ভদ্রলোকের ছেলেরা কি রাত ১১টার সময় বাইরে বের হয়। ব্যস! আর যায় কোথায়! শেখ কামালের বন্ধুটি ভয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করলেন। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করলেন তার ছেলের বন্ধুর মানসিক অবস্থা। আর কিছু বললেন না। শুধু হুকুম করলেন- এই বস, হাসু ওকে ভাত দে। ওই দিনের খাবারের মেনু ছিল শাক, ডাল আর কৈ মাছ। নেতাটি ভীতসন্ত্রস্ত এবং বিহ্বল হয়ে খাওয়া শুরু করলেন। কিন্তু গিলতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করলেন এবং আজকের প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বললেন- হাসু, ও তো শুধু শাক খাচ্ছে। মাছ খাচ্ছে না। ওকে মাছ খেতে বল। জননেত্রী শেখ হাসিনা জানতেন যে তার ভাইয়ের এই বন্ধুটি মাছের কাঁটা বেছে খেতে পারেন না। তাই তিনি উত্তর করলেন_ ঠিক আছে, আমি ওর মাছের কাঁটা বেছে দিচ্ছি। ""
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
(
শেখ কামালকে “ব্যাংক ডাকাত” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার একটা চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ১৯৭৪ সাল থেকে এই প্রচারণার শুরু। আমিও এই প্রচারে বিভ্রান্ত ছিলাম দীর্ঘদিন। আমি নিশ্চিত এই লেখার পাঠকদের অনেকে এখনো বিশ্বাস করেন, দলবল নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে শেখ কামাল গুলিবিদ্ধ হন। সুযোগ পেলেই বিএনপি নেতারা, এমনকি বেগম খালেদা জিয়া নিজেও শেখ কামালকে ‘ব্যাংক ডাকাত’ বলে থাকেন। জাতীয় সংসদের সাম্প্রতিক কার্যবিবরণীতেও তাদের এমন বক্তব্য পাওয়া যাবে।
এ নিয়ে মেজর জেনারেল মইন তার “এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য : স্বাধীনতার প্রথম দশক” বইতে স্বাধীনতাত্তোর অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্য দেন। তিনি লিখেন, ১৯৭৩ সালের বিজয় দিবসের আগের রাতে ঢাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, সিরাজ শিকদার তার দলবল নিয়ে এসে শহরের বিভিন্নস্থানে হামলা চালাতে পারেন। এ অবস্থায় সাদা পোশাকে পুলিশ গাড়ি নিয়ে শহরজুড়ে টহল দিতে থাকে। সর্বহারা পার্টির লোকজনের খোঁজে শেখ কামালও তার বন্ধুদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ধানমন্ডি এলাকায় বের হন। সিরাজ শিকদারের খোঁজে টহলরত পুলিশ মাইক্রোবাসটি দেখতে পায় এবং আতংকিত হয়ে কোনো সতর্ক সংকেত না দিয়েই গুলি চালায়। শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা গুলিবিদ্ধ হন। গুলি শেখ কামালের কাঁধে লাগে। তাকে তখনকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।জেনারেল মইন তখন ৪৬ ব্রিগেডের অধিনায়ক। বিজয় দিবসে মানিক মিয়া এভিনিউতে সম্মিলিত সামরিক প্যারেড পরিচালনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সালাম নেন। জেনারেল মইন লিখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব অত্যন্ত গম্ভীর ও মলিন মুখে বসে ছিলেন। কারো সঙ্গেই তেমন কথা বলেননি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জেনারেল মইন বইতে লিখেন, ওইদিন শেখ মুজিব তার সঙ্গেও কথা বলেননি। ‘৭২ সাল থেকে অনেকবারই তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু এতোটা মর্মাহত কখনো তাকে আগে দেখেননি। মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীর এডিসি শেখ কামালও জেনারেল মইনের ঘনিষ্ট ছিলেন। প্যারেড শেষে মইন পিজিতে যান শেখ কামালকে দেখতে। হাসপাতালে বেগম মুজিব শেখ কামালের পাশে বসেছিলেন। মইন লিখেন, প্রধানমন্ত্রী তার ছেলের ওই রাতের অবাঞ্ছিত ঘোরাফেরায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং শেখ কামালকে হাসপাতালে দেখতে যেতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। পরে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে যান।
জেনারেল মইনকে এখানে উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শেষে তিনি লিখেন, “এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষীরা এই ঘটনাকে ভিন্নরূপে প্রচার করে। ‘ব্যাংক ডাকাতি’ করতে গিয়ে কামাল পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তারা প্রচারণা চালায় এবং দেশ-বিদেশে ভুল তথ্য ছড়াতে থাকে। যদিও এসব প্রচারণায় সত্যের লেশমাত্র ছিল না।”
ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালীদের ছেলেমেয়েরা সব সময়েই রাজনীতিতে নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে। শেখ কামালকে আমি কখনো দেখিনি। তবে কেন যেন অল্প বয়স থেকেই তার সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণা আমার হয়ে আছে। সত্য জানার পরও সে ধারণা পুরো দূর হয়নি। তবে এটা বুঝতে পারছি, শেখ কামাল সম্পর্কে বিরূপ প্রচারও প্রচুর হয়েছে। ইতিহাসের সত্যানুসন্ধানে এসবের অনেকই মিথ্যাচার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবে প্রমাণ হচ্ছে এবং হয়তো আরো হবে। আমার এই কথার স্বপক্ষে আমি চার জন স্বাক্ষী রাখলাম।
কারো যদি আমার কথায় সন্দেহ হয়, দয়াকরে এই চার জনকে জিজ্ঞাসা করলে আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। চারজন হলেন-
১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম (বীরবিক্রম)। যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব নামে চিনে। যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল।
২) সেই সময়কার ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা। যিনি ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে ধরেছিলন।
৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু। যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন।
তৃতিয় স্বাক্ষী নিয়ে একটা কথা: গত কিছু আগে খালেদা জিয়া ঢাকার এক জনসভায় ভাষনে আ:লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘’ব্যাংক ডাকাতিতো তাদের রক্তে মিশে আছে।“ ম্যাডাম আর কত মিথ্যা বলবেন? একটু নিজের দলে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকুর কাছে খোজ নেন সত্যটা আপনার চোখের সামনে প্রতিনিয়ত।
৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও, কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৪
শয়ন কুমার বলেছেন: শাকে তাইলে মাছ ঢাকে নাই। টুকুরে আরও বেশি কইরা শাক খাওয়াইলোনা কেন হাসুমতি?
জনাব ভূইলা গেলে চলবো না, বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকুরে কিন্তু বেশি কইরা শাক খাওয়াইয়া মন্ত্রী বানাইছে ম্যাডাম খালেদা জিয়া নিজেই ।
প্রায়ই কথাটা শুনি শেখ মুজিবের আমলকে গালি দেবার সময়ে। শেখ কামাল নাকি মেজর ডালিমের বউকে হাইজ্যাক করছিল। ছেলেবেলা থেকে এই সব গাজাখুড়ি গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । অথচ বছরের পর বছর এই মিথ্যাটা জাতির মাথার মধ্যে ঢুকিয়েদেয়া হয়েছে। দেশে র বিরাট যে অংশের মানুষ আওয়ামীলীগকে পছন্দ করে না। তারা চোখ বুঝে এটাকে সত্য বলে জেনেছে। বাকী অংশের মধ্যেও সংশয় আছে অনেকের, এমনকি আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মধ্যেও এ গুজবটি নিয়ে মারাত্বক দ্বিধা আছে। একদল মানুষ নিজের মতার্দশকে অন্ধের মতো অনুসরন করতে গিয়ে এই ধরনের গল্পকে পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করেছে।কিন্তু সমস্যা হলো মিথ্যাচারগুলো বছরের পর বছর জিইয়ে রেখে এক ধরনের বায়বীয় ইতিহাস রচনা করা হয়েছিল ।কিন্তু হিটলারের সেই বিখ্যাত উক্তিই কিন্তু এই ক্ষেত্রে ঠিক হল মিথ্যাকে দশবার বললে তা সত্যি হয়ে যায়। ঘটনার বর্ননা মেজর ডালিম (পরে লে. কর্নেল) এর লিখিত গ্রন্থ
"যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি "আছে । ডালিম নিজেই তার লেখা বইতে এই বিষয়ে স্পস্ট করে গেছে, সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল। ইচ্ছে করলে ডালিমের লেখা "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি " বইটি পড়ে নিতে পারেন।সে সুত্র মতে, ঘটনার সাথে শেখ কামাল জড়িত নন । এখানে তার বই থেকে ঘটনা তুলে দিচ্ছি
-১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি ঘটে এক বর্বরোচিত অকল্পনীয় ঘটনা।আমার খালাতো বোন তাহ্মিনার বিয়ে ঠিক হল কর্নেল রেজার সাথে।বিয়ের দু’দিন আগে ঢাকায় এলাম কুমিল্লা থেকে। ঢাকা লেডিস ক্লাবে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।পুরো অনুষ্ঠানটাই তদারক করতে হচ্ছিল নিম্মী এবং আমাকেই। আমার শ্যালক বাপ্পি ছুটিতে এসেছে ক্যানাডা থেকে। বিয়েতে সেও উপস্থিত।রেডক্রস চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার পরিবারও উপস্থিত রয়েছেন অভ্যাগতদের মধ্যে। বাইরের হলে পুরুষদের বসার জায়গায় বাপ্পি বসেছিল। তার ঠিক পেছনের সারিতে বসেছিল গাজীর ছেলেরা। বয়সে ওরা সবাই কমবয়সী ছেলে-ছোকরা।হঠাৎ করে গাজীর ছেলেরা পেছন থেকে কৌতুকচ্ছলে বাপ্পির মাথার চুল টানে, বাপ্পি পেছনে তাকালে ওরা নির্বাক বসে থাকে। এভাবে দু’/তিনবার চুলে টান পড়ার পর বাপ্পি রাগান্বিত হয়ে ওদের জিজ্ঞেস করে,
-চুল টানছে কে?
-আমরা পরখ করে দেখছিলাম আপনার চুল আসল না পরচুলা। জবাব দিল একজন। পুচঁকে ছেলেদের রসিকতায় বাপ্পি যুক্তিসঙ্গত কারণেই ভীষণ ক্ষেপে যায় ও বাপ্পিকে যে ছেলেটি চুলে টান দিয়েছিল তাকে ধরে ঘর থেকে বের করে দেয় ।এ ঘটনার কিছুই তখন আমি জানতাম না।বিয়ের আনুষ্ঠিকতার প্রায় সবকিছুই সুষ্ঠভাবেই হয়ে যায়।হঠাৎ দু’টো মাইক্রোবাস এবং একটা কার এসে ঢুকল লেডিস ক্লাবে। কার থেকে নামলেন স্বয়ং গাজী গোলাম মোস্তফা আর মাইক্রোবাস দু’টো থেকে নামল প্রায় ১০-১২ জন অস্ত্রধারী বেসামরিক ব্যক্তি। গাড়ি থেকেই প্রায় চিৎকার করতে করতে বেরুলেন গাজী গোলাম মোস্তফা।
-কোথায় মেজর ডালিম? বেশি বার বেড়েছে। তাকে আজ আমি শায়েস্তা করব। কোথায় সে?ঘটনার আকস্মিকতায় আমিতো হতবাক!আমি অত্যন্ত ভদ্রভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
-ব্যাপার কি? এ সমস্ত কিছুর মানেই বা কি?তিনি তখন ভীষণভাবে ক্ষীপ্ত। একনাগাড়ে শুধু বলে চলেছেন,
-গাজীরে চেন না।আইজ আমি তোরে মজা দেখামু। তুই নিজেরে কি মনে করছস?তার ইশারায় অস্ত্রধারীরা সবাই তখন আমাকে টানা-হেচড়া করে মাইক্রোবাসের দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।ইতিমধ্যে বাইরে হৈ চৈ শুনে নিম্মী এবং খালাম্মা বেরিয়ে এসেছেন অন্দরমহল থেকে।আমাকে জোর করে ঠেলে উঠান হল মাইক্রোবাসে।আমাকে গাড়িতে তুলতেই খালাম্মা এবং নিম্মী দু’জনেই গাজীকে বলল,
-ওদের সাথে আমাদেরকেও নিতে হবে আপনাকে। ওদের একা নিয়ে যেতে দেব না আমরা।
-ঠিক আছে; তবে তাই হবে। বললেন গাজী।গাড়ি চলছে সেকেন্ড ক্যাপিটালের দিকে।আমি তাকে বললাম,
-গাজী সাহেব আপনি আমাদের নিয়ে যাই চিন্তা করে থাকেন না কেন; লেডিস ক্লাব থেকে আমাদের উঠিয়ে আনতে কিন্তু সবাই আপনাকে দেখেছে। তাই কোন কিছু করে সেটাকে বেমালুম হজম করে যাওয়া আপনার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হবে না।আমার কথা শুনে গাজী অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ে ।এরপর কি যেন ভেবে , গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি চললেন ৩২নং ধানমন্ডি প্রধানমন্ত্রীর বাসার দিকে।ইতিমধ্যে গাজী যে আমাদের অপহরন করেছে এখবর প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব মহলেই পৌছে যায়। সমস্ত শহরে হৈচৈ পড়ে গেছে। গাজীকে এবং তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরও খুঁজছে আর্মি তন্নতন্ন করে সম্ভাব্য সব জায়গায়।প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে পৌছানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই রেহানা, কামাল ছুটে বাইরে এসে আমাদের ভিতরে নিয়ে যায়।
-হারামজাদা, এইডা কি করছস তুই?
গাজীকে উদ্দেশ্য করে গর্জে উঠলেন শেখ মুজিব।ডালিম আর নিম্মীর কাছে মাফ চা ।আর আমারে উদ্দেশ্য কইরা শেখ মুজিব বললেন তুই গাজীরে মাফ কইরা দে। আর গাজী তুই নিজে খোদ উপস্থিত থাকবি কন্যা সম্প্রদানের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত। অনেকটা মোড়লী কায়দায় একটা আপোষরফা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম ঠিক সেই সময় শেখ সাহেব বললেন,
-আমার গাড়ি তোদের পৌঁছে দেবে।
-তার প্রয়োজন হবে না চাচা। বাইরে লিটু-স্বপনরা রয়েছে তাদের সাথেই চলে যেতে পারব। মেজর ডালিম তার নিজের লেখা বইতে স্পষ্ট করেই লিখেছেন এ ঘটনায় রেডক্রস চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা জড়িত ।তার এই বইতে এ ঘটনার সাথে কোথাও শেখ কামালের জড়িত থাকার কথা নেই। তার এই বইতেই স্বয়ং মেজর ডালিম কোথাও বলেনি শেখ কামাল তার বউকে নিয়ে ভেগে গিয়েছিল,আছে গাজী গোলাম মোস্তফার অথচ শেখ কামাল নাকি মেজর ডালিমের বউকে হাইজ্যাক করছিল। ছেলেবেলা থেকে এই সব গাজাখুড়ি গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । অথচ শেখ কামালৱের এখানে কোন ভুমিকা ছিলো না ।অথচ বছরের পর বছর এই মিথ্যাটা জাতির মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৬
টাইলুং বলেছেন: কাহিনী তো লিখছেন বিশাল। কাহিনী কি!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৪
শয়ন কুমার বলেছেন: কারো যদি আমার কথায় সন্দেহ হয়, দয়াকরে এই চার জনকে জিজ্ঞাসা করলে আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। চারজন হলেন-
১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম (বীরবিক্রম)। যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব নামে চিনে। যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল।
২) সেই সময়কার ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা। যিনি ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে ধরেছিলন।
৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু। যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন।
তৃতিয় স্বাক্ষী নিয়ে একটা কথা: গত কিছু আগে খালেদা জিয়া ঢাকার এক জনসভায় ভাষনে আ:লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘’ব্যাংক ডাকাতিতো তাদের রক্তে মিশে আছে।“ ম্যাডাম আর কত মিথ্যা বলবেন? একটু নিজের দলে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকুর কাছে খোজ নেন সত্যটা আপনার চোখের সামনে প্রতিনিয়ত।
৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও, কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
কলির কৃষ্ণ বলেছেন: করলেও কোনো ব্যাপারনা!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:১৩
শয়ন কুমার বলেছেন: করলেও কোনো ব্যাপারনা!হায় হায় এইডা কন কি ???
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬
কলির কৃষ্ণ বলেছেন: করছে-তাতে আপ্নের কোনো অসুবিধা আছে?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯
শয়ন কুমার বলেছেন: কারো যদি আমার কথায় সন্দেহ হয়, দয়াকরে এই চার জনকে জিজ্ঞাসা করলে আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। চারজন হলেন-
১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম (বীরবিক্রম)। যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব নামে চিনে। যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল।
২) সেই সময়কার ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা। যিনি ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে ধরেছিলন।
৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু। যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন।
তৃতিয় স্বাক্ষী নিয়ে একটা কথা: গত কিছু আগে খালেদা জিয়া ঢাকার এক জনসভায় ভাষনে আ:লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘’ব্যাংক ডাকাতিতো তাদের রক্তে মিশে আছে।“ ম্যাডাম আর কত মিথ্যা বলবেন? একটু নিজের দলে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকুর কাছে খোজ নেন সত্যটা আপনার চোখের সামনে প্রতিনিয়ত।
৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও, কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন।
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৯
াহো বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে টাকার মালিক হওয়ার জন্য ব্যাংক ডাকাতির প্রয়োজন হয় না। দু'নম্বর অনেক রাস্তায় কাড়িকাড়ি টাকার মালিক হওয়া যায়
+++++++++++++
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৫
শয়ন কুমার বলেছেন: একমত ।প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে টাকার মালিক হওয়ার জন্য ব্যাংক ডাকাতির প্রয়োজন হয় না। দু'নম্বর অনেক রাস্তায় কাড়িকাড়ি টাকার মালিক হওয়া যায়
৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০১
সাবু ছেেল বলেছেন: এই ইনু,চিনুরাও আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করেছিলো স্বাধীনতা পরবর্তীতে।তবে আর যাই হউক,রাজাকার ছাগুদের চাইতে এরা অনেকগুন বেশী ভালো।এরা দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৯
শয়ন কুমার বলেছেন: ছাত্রলীগ -ছাত্রদল ভূল করে হঠাৎ করে সৃষ্ট মূহুর্তের উত্তেজনায় বশবর্তী হয়ে ( যেমনঃ বিশ্বজিৎ এর ঘটনা) ।অন্যদিকে শিবির অপকর্ম করে আগে থেকে প্লান করে ( যেমনঃলেখক হুমায়ুন আজাদের ঘটনা)
একারনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল ভূলের তুলনায় শিবির অপকর্ম অনেক বেশি সূদূরপ্রসারী এবং মারাত্বক
ছাত্রদল কিছুটা ছাত্রলীগের মতই , যদিও ইদনিং ছাত্রদল ও জামাতিদের ভাষা একই রকম হয়ে পড়ছে । যাই হোক ছাত্রদলের কোপাকুপিতে নিহত বুয়েটের মেধাবী ছাত্রী ছনির কথা কিন্তু এখনও আমরা ভূলি নাই ।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫০
শয়ন কুমার বলেছেন: প্রায়ই কথাটা শুনি শেখ মুজিবের আমলকে গালি দেবার সময়ে। শেখ কামাল নাকি মেজর ডালিমের বউকে হাইজ্যাক করছিল। ছেলেবেলা থেকে এই সব গাজাখুড়ি গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । অথচ বছরের পর বছর এই মিথ্যাটা জাতির মাথার মধ্যে ঢুকিয়েদেয়া হয়েছে। দেশে র বিরাট যে অংশের মানুষ আওয়ামীলীগকে পছন্দ করে না। তারা চোখ বুঝে এটাকে সত্য বলে জেনেছে। বাকী অংশের মধ্যেও সংশয় আছে অনেকের, এমনকি আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মধ্যেও এ গুজবটি নিয়ে মারাত্বক দ্বিধা আছে। একদল মানুষ নিজের মতার্দশকে অন্ধের মতো অনুসরন করতে গিয়ে এই ধরনের গল্পকে পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করেছে।কিন্তু সমস্যা হলো মিথ্যাচারগুলো বছরের পর বছর জিইয়ে রেখে এক ধরনের বায়বীয় ইতিহাস রচনা করা হয়েছিল ।কিন্তু হিটলারের সেই বিখ্যাত উক্তিই কিন্তু এই ক্ষেত্রে ঠিক হল মিথ্যাকে দশবার বললে তা সত্যি হয়ে যায়। ঘটনার বর্ননা মেজর ডালিম (পরে লে. কর্নেল) এর লিখিত গ্রন্থ
"যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি "আছে । ডালিম নিজেই তার লেখা বইতে এই বিষয়ে স্পস্ট করে গেছে, সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল। ইচ্ছে করলে ডালিমের লেখা "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি " বইটি পড়ে নিতে পারেন।সে সুত্র মতে, ঘটনার সাথে শেখ কামাল জড়িত নন । এখানে তার বই থেকে ঘটনা তুলে দিচ্ছি
-১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি ঘটে এক বর্বরোচিত অকল্পনীয় ঘটনা।আমার খালাতো বোন তাহ্মিনার বিয়ে ঠিক হল কর্নেল রেজার সাথে।বিয়ের দু’দিন আগে ঢাকায় এলাম কুমিল্লা থেকে। ঢাকা লেডিস ক্লাবে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।পুরো অনুষ্ঠানটাই তদারক করতে হচ্ছিল নিম্মী এবং আমাকেই। আমার শ্যালক বাপ্পি ছুটিতে এসেছে ক্যানাডা থেকে। বিয়েতে সেও উপস্থিত।রেডক্রস চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার পরিবারও উপস্থিত রয়েছেন অভ্যাগতদের মধ্যে। বাইরের হলে পুরুষদের বসার জায়গায় বাপ্পি বসেছিল। তার ঠিক পেছনের সারিতে বসেছিল গাজীর ছেলেরা। বয়সে ওরা সবাই কমবয়সী ছেলে-ছোকরা।হঠাৎ করে গাজীর ছেলেরা পেছন থেকে কৌতুকচ্ছলে বাপ্পির মাথার চুল টানে, বাপ্পি পেছনে তাকালে ওরা নির্বাক বসে থাকে। এভাবে দু’/তিনবার চুলে টান পড়ার পর বাপ্পি রাগান্বিত হয়ে ওদের জিজ্ঞেস করে,
-চুল টানছে কে?
-আমরা পরখ করে দেখছিলাম আপনার চুল আসল না পরচুলা। জবাব দিল একজন। পুচঁকে ছেলেদের রসিকতায় বাপ্পি যুক্তিসঙ্গত কারণেই ভীষণ ক্ষেপে যায় ও বাপ্পিকে যে ছেলেটি চুলে টান দিয়েছিল তাকে ধরে ঘর থেকে বের করে দেয় ।এ ঘটনার কিছুই তখন আমি জানতাম না।বিয়ের আনুষ্ঠিকতার প্রায় সবকিছুই সুষ্ঠভাবেই হয়ে যায়।হঠাৎ দু’টো মাইক্রোবাস এবং একটা কার এসে ঢুকল লেডিস ক্লাবে। কার থেকে নামলেন স্বয়ং গাজী গোলাম মোস্তফা আর মাইক্রোবাস দু’টো থেকে নামল প্রায় ১০-১২ জন অস্ত্রধারী বেসামরিক ব্যক্তি। গাড়ি থেকেই প্রায় চিৎকার করতে করতে বেরুলেন গাজী গোলাম মোস্তফা।
-কোথায় মেজর ডালিম? বেশি বার বেড়েছে। তাকে আজ আমি শায়েস্তা করব। কোথায় সে?ঘটনার আকস্মিকতায় আমিতো হতবাক!আমি অত্যন্ত ভদ্রভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
-ব্যাপার কি? এ সমস্ত কিছুর মানেই বা কি?তিনি তখন ভীষণভাবে ক্ষীপ্ত। একনাগাড়ে শুধু বলে চলেছেন,
-গাজীরে চেন না।আইজ আমি তোরে মজা দেখামু। তুই নিজেরে কি মনে করছস?তার ইশারায় অস্ত্রধারীরা সবাই তখন আমাকে টানা-হেচড়া করে মাইক্রোবাসের দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।ইতিমধ্যে বাইরে হৈ চৈ শুনে নিম্মী এবং খালাম্মা বেরিয়ে এসেছেন অন্দরমহল থেকে।আমাকে জোর করে ঠেলে উঠান হল মাইক্রোবাসে।আমাকে গাড়িতে তুলতেই খালাম্মা এবং নিম্মী দু’জনেই গাজীকে বলল,
-ওদের সাথে আমাদেরকেও নিতে হবে আপনাকে। ওদের একা নিয়ে যেতে দেব না আমরা।
-ঠিক আছে; তবে তাই হবে। বললেন গাজী।গাড়ি চলছে সেকেন্ড ক্যাপিটালের দিকে।আমি তাকে বললাম,
-গাজী সাহেব আপনি আমাদের নিয়ে যাই চিন্তা করে থাকেন না কেন; লেডিস ক্লাব থেকে আমাদের উঠিয়ে আনতে কিন্তু সবাই আপনাকে দেখেছে। তাই কোন কিছু করে সেটাকে বেমালুম হজম করে যাওয়া আপনার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হবে না।আমার কথা শুনে গাজী অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ে ।এরপর কি যেন ভেবে , গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি চললেন ৩২নং ধানমন্ডি প্রধানমন্ত্রীর বাসার দিকে।ইতিমধ্যে গাজী যে আমাদের অপহরন করেছে এখবর প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব মহলেই পৌছে যায়। সমস্ত শহরে হৈচৈ পড়ে গেছে। গাজীকে এবং তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরও খুঁজছে আর্মি তন্নতন্ন করে সম্ভাব্য সব জায়গায়।প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে পৌছানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই রেহানা, কামাল ছুটে বাইরে এসে আমাদের ভিতরে নিয়ে যায়।
-হারামজাদা, এইডা কি করছস তুই?
গাজীকে উদ্দেশ্য করে গর্জে উঠলেন শেখ মুজিব।ডালিম আর নিম্মীর কাছে মাফ চা ।আর আমারে উদ্দেশ্য কইরা শেখ মুজিব বললেন তুই গাজীরে মাফ কইরা দে। আর গাজী তুই নিজে খোদ উপস্থিত থাকবি কন্যা সম্প্রদানের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত। অনেকটা মোড়লী কায়দায় একটা আপোষরফা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম ঠিক সেই সময় শেখ সাহেব বললেন,
-আমার গাড়ি তোদের পৌঁছে দেবে।
-তার প্রয়োজন হবে না চাচা। বাইরে লিটু-স্বপনরা রয়েছে তাদের সাথেই চলে যেতে পারব। মেজর ডালিম তার নিজের লেখা বইতে স্পষ্ট করেই লিখেছেন এ ঘটনায় রেডক্রস চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা জড়িত ।তার এই বইতে এ ঘটনার সাথে কোথাও শেখ কামালের জড়িত থাকার কথা নেই। তার এই বইতেই স্বয়ং মেজর ডালিম কোথাও বলেনি শেখ কামাল তার বউকে নিয়ে ভেগে গিয়েছিল,আছে গাজী গোলাম মোস্তফার অথচ শেখ কামাল নাকি মেজর ডালিমের বউকে হাইজ্যাক করছিল। ছেলেবেলা থেকে এই সব গাজাখুড়ি গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । অথচ শেখ কামালৱের এখানে কোন ভুমিকা ছিলো না ।অথচ বছরের পর বছর এই মিথ্যাটা জাতির মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ।
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:০১
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: যেই চারজনের নাম বললেন, তারা কি আপনের মামু লাগে? টুকু কি আপনারেই এইগুলা বলছিল? রনি রসময় একটা গল্প করল ওইটাই সত্যি হইয়া গেল? এক ধামরা পোলা গাড়িতে কইরা এডভেঞ্চারের শখ হইছে, অস্ত্রধারী গণবাহিনীর পিছে ধাওয়া করে খালি হাতে। গপ্পো বানানোর আর জায়গা পান না?
আর ডালিমের বৌরে কামাল কিডন্যাপ করে নাই বুঝলাম, তাইলে ডালিম শেখ সাবরে মারল কেন?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫৯
শয়ন কুমার বলেছেন: রনি রসময় একটা গল্প করল ওইটাই সত্যি হইয়া গেল?
তাহলে রনির গল্পটি বানোয়াট হলে বিএনপির বর্তমান নেতা ইকবাল হাছান টুকু রনির এই বানোয়াট মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করলো না ক্যান ?????? (
(
(
(
ডালিমের বৌরে কামাল কিডন্যাপ করে নাই এ প্রসঙ্গে তো ডালিমের নিজের লেখা বই থেকেই উদ্ধৃতি দিছি ।তারপরেও আপনে এই প্রসঙ্গেই টানছেন !!!ডালিমের নিজের লেখা বই থেকেই এ ঘটনার উদ্ধৃতি দেবার পরও গ্যাজাইতেছেন!!!
ঘটনার বর্ননা মেজর ডালিম (পরে লে. কর্নেল) এর লিখিত গ্রন্থ
"যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি "আছে । ডালিম নিজেই তার লেখা বইতে এই বিষয়ে স্পস্ট করে গেছে, সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল। ইচ্ছে করলে ডালিমের লেখা "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি " বইটি পড়ে নিতে পারেন।সে সুত্র মতে, ঘটনার সাথে শেখ কামাল জড়িত নন ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০০
শয়ন কুমার বলেছেন: ডালিম শেখ সাবরে মারল কেন?
এইটা বোঝেন না, ??ক্ষমতা দখলের জন্য মারছে ।এমনকি ৭ বছরের শিশু রাসেলরেও মারছে ?? কি দোষ ছিল শিশু রাসেলের ??
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:২৩
মুফতি বাবা বলেছেন: শেয়ার বাজারের লুট-পাট, ডিস্টিনির লুট-পাট, তেল-গ্যাস-ভিওআইপি'র লুট-পাট, পদ্মা সেতু লুট-পাট সব মিছা কথা, গল্প?? কম্বল চুরি মিছা কথা??বিশ্বজিৎ খুন মিছা কথা
তোর শরম নাই?? চোর লীগের দালালী করস দালালের বাচ্চা কোথাকার??
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫৫
শয়ন কুমার বলেছেন: দেখুন আপনি কিন্ত ভদ্রতা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ।
আমি কি কোথাও বলেছি -শেয়ার বাজারের লুট-পাট, ডিস্টিনির লুট-পাট, তেল-গ্যাস-ভিওআইপি'র লুট-পাট, পদ্মা সেতু লুট-পাট সব মিছা কথা, গল্প?? কম্বল চুরি মিছা কথা??বিশ্বজিৎ খুন মিছা কথা ।
বড় বড় দলের অনেকের নামেই তো দূর্নিতীর অভিযোগ বিদ্যমান। আমি কি কোথাও এটা অস্বীকার করেছি !!!
আপনি অভদ্রের মতন ব্যক্তি আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন কেন ?? আজব তো ।
@মুফতি, ব্যবহার ভালো করেন ।পোষ্টের প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে আমার যুক্তি যদি ভালো না লাগে তাইলে পালটা শক্ত যুক্তি দেন , আপনাকে কি আমি পালটা শক্ত যুক্তি তুলে ধরতে নিষেধ করেছি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪
শয়ন কুমার বলেছেন: দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছিলেন আপনাদের প্রিয় নেত্রী খাঃল্যাদা জিয়া , সেকথাটা কি ভুইলা গ্যাছেন !!
দূর্নীতিতে বাংলাদেশরে পর পর তিন বার হ্যাট্রিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান বানাইছিলো খাঃল্যাদা জিয়া সে কথাটাও একটু বলুন !!!!!!!
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:২৬
মুফতি বাবা বলেছেন:
কম্বল চুরির কথা কি মিছা?? শেয়ার বাজার লুট-পাট, ডেসটিনি লুট-পাট, কুইক রেন্টাল লুট-পাট, ভিওআইপি লুট-পাট, সোনালী ব্যাংক লুটা-পাট কি মিছা কথা??? বিশ্বজিৎ খুন ও তোরা অস্বীকার করস, তাই না??
আম্লীগের লুট-পাটের পক্ষে দালালী করলে লাথি মাইরা ব্লগ থাইকা বাির কইরা দিমু, চোরের দালালী করবি না| যা ভাগ!!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫৫
শয়ন কুমার বলেছেন: দেখুন আপনি কিন্ত ভদ্রতা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ।
আমি কি কোথাও বলেছি -শেয়ার বাজারের লুট-পাট, ডিস্টিনির লুট-পাট, তেল-গ্যাস-ভিওআইপি'র লুট-পাট, পদ্মা সেতু লুট-পাট সব মিছা কথা, গল্প?? কম্বল চুরি মিছা কথা??বিশ্বজিৎ খুন মিছা কথা ।
বড় বড় দলের অনেকের নামেই তো দূর্নিতীর অভিযোগ বিদ্যমান। আমি কি কোথাও এটা অস্বীকার করেছি !!!
আপনি অভদ্রের মতন ব্যক্তি আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন কেন ?? আজব তো ।
@মুফতি, ব্যবহার ভালো করেন ।পোষ্টের প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে আমার যুক্তি যদি ভালো না লাগে তাইলে পালটা শক্ত যুক্তি দেন , আপনাকে কি আমি পালটা শক্ত যুক্তি তুলে ধরতে নিষেধ করেছি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪২
শয়ন কুমার বলেছেন: দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছিলেন আপনাদের প্রিয় নেত্রী খাঃল্যাদা জিয়া , সেকথাটা কি ভুইলা গ্যাছেন !!
দূর্নীতিতে বাংলাদেশরে পর পর তিন বার হ্যাট্রিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান বানাইছিলো খাঃল্যাদা জিয়া সে কথাটাও একটু বলুন !!!!!!!
১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৩
মুফতি বাবা বলেছেন:
কিরে আমার কমেন্ট কই??
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:১৪
শয়ন কুমার বলেছেন: আপনি অভদ্রের মতন ব্যক্তি আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন কেন ?? আজব তো ।@মুফতি, ব্যবহার ভালো করেন ।পোষ্টের প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে আমার যুক্তি যদি ভালো না লাগে তাইলে পালটা শক্ত যুক্তি দেন , আপনাকে কি আমি পালটা শক্ত যুক্তি তুলে ধরতে নিষেধ করেছি।
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪৪
াহো বলেছেন:
১৮ ই ডিসেম্ভর ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধা সমাবেশে কাদের সিদ্দিকীর সাথে শেখ জামাল।
Click This Link
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০৪
শয়ন কুমার বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪৭
শয়ন কুমার বলেছেন: ঘটনার বর্ননা মেজর ডালিম (পরে লে. কর্নেল) এর লিখিত গ্রন্থ
"যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি "আছে । ডালিম নিজেই তার লেখা বইতে এই বিষয়ে স্পস্ট করে গেছে, সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল। ইচ্ছে করলে ডালিমের লেখা "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি " বইটি পড়ে নিতে পারেন।সে সুত্র মতে, ঘটনার সাথে শেখ কামাল জড়িত নন ।
১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৩
গ্যাম্বলার বলেছেন: কোন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে টাকার জন্য ব্যাংক ডাকাতি করা লাগে না। টাকা তাদের দরজায় কড়া নাড়ে, এযুগে তারেক- জয়ের দরজায় যেমন নাড়ছে।
সালমান রহমান রা সর্বদা শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুট করেই চলেছে, তবে তা ভল্ট ভেঙে নয়, নিয়ম ভেঙে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫
শয়ন কুমার বলেছেন: কোন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে টাকার জন্য ব্যাংক ডাকাতি করা লাগে না। টাকা তাদের দরজায় কড়া নাড়ে, এযুগে তারেক- জয়ের দরজায় যেমন নাড়ছে।
সালমান রহমান রা সর্বদা শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুট করেই চলেছে, তবে তা ভল্ট ভেঙে নয়, নিয়ম ভেঙে।
সঠিক বলছেন
১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
লোনলিফাইটার বলেছেন: গুড পোস্ট +++
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬
শয়ন কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ । মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবেই
১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৪
এ্যাড.নাজমুল হাসান বলেছেন: আপনি লিখলেন সালমান এফ রহমান ভক্স ওয়াগনের নতুন গাড়ি কিনেছেন তাই তারা সবাই সেই গাড়িতে রাতে এ্যাডভাঞ্চারে বের হয়েছে। আবার লেখা শেষ করলেন গাড়িটি ছিল টুকু সাহেবের এবং তিনি নিজেই ড্রাইভ করছেন। তালগোল পাকিয়ে ফেললেন কেন। জিয়া পরিবারের দূর্নীতির কথা বলেলেন কিন্তু তার কোন প্রামান দিলেন না। বর্তামনে শেয়ার বাজার ও ব্যাংগুলো থেকে এমনি কি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা হাসিনা গংরা পাচার করলো সেটা মনে হয় আপনি ভুলেই গেছেন। দালালি বাদ দিন
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩
আহসান২০২০ বলেছেন: ওহ এই কথা। শাকে তাইলে মাছ ঢাকে নাই। টুকুরে আরও বেশি কইরা শাক খাওয়াইলোনা কেন হাসুমতি? বঙ্গবন্ধুর পরিবারে যে ব্যাংক ডাকাত ছিলো তা আগে জানতাম না। এই মাত্র জানলাম। আগে শুধু জানতাম যে ওরা লুচ্চা আছিলো। মেজর ডালিমের বউ ভাগায়া নিছিলো। হাসুমতি কি টুকুর সাথে পিরিত পিরিত খেলত নাকি এই তথ্যটাও উদঘাটন করা উচিত ছিলো।