![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে বেড়ানো শেষে শনিবার রাতে ঢাকায় ফিরেন আদিলুর রহমান খান। এ সময় তার বাসার সামনে একদল লোককে অপেক্ষা করতে দেখেন তিনি। বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর জানতেন এমন দিন আসবে। কিন্তু কোন ধরনের পরোয়ানা ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তাকে আটক করা ছিল বিস্ময়কর।
মে মাসের হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মৃতের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদিলুর রহমান এখন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আদালতে তার ব্যাপারে শুনানির কথা রয়েছে। পরিচয়ের সংকটে ভোগা বাংলাদেশের জন্য আদিলুর রহমানের গ্রেপ্তার একটি গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। ইসলাম এবং গণতন্ত্রের নামে এখানে এরইমধ্যে মানবাধিকার লংঘনের মত বহু ঘটনা ঘটেছে। এ বছর বাংলাদেশে বহু গণবিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালের শুরুতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কি পদ্ধতিতে সে নির্বাচন হবে তা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এ বছর আরও অনেক বিক্ষোভ হবে। এবং হয়তো এসব বিক্ষোভের সমাপ্তি হবে আরও হত্যার মাধ্যমে।
জামায়াতে ইসলামী ইসলামপন্থী দল। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম এর চেয়েও কট্টরপন্থী। তারা ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। ৫ই মে’র সমাবেশ ছিল এ দাবি পূরণের জন্য। সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে কি ধরনের আচরণ করা হবে এ ব্যাপারে সরকার বিভ্রান্ত। একটি বাংলাদেশি আদালত সম্প্রতি আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিরোধীদের নিয়মিত হরতাল, অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশকে বিশৃঙ্খলা এবং আইনহীনতার ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। এটা এড়াতে সরকারের উচিত সভা-সমাবেশ এবং মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা। ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের রক্ষা করতে হবে। রাজপথে রক্তপাতের ঝুঁকি কমাতে সরকারকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। এরপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা সম্ভব।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০০
ৈসকত ইসলাম বলেছেন: @ হাকা..
আপনাদের দাবীমতো ১ জনও মরে নি? মানলাম। এখন বলেন-
>>তো, তবে ব্লাক আউট হয়েছিল কেন?
>>কেন প্রকাশ্যে দিনের আলোয় অপারেশন করতে পারলেন না?
>> কেন পরদিন পত্রিকায় মিতিঝিলের যে ছবি ছাপা হয়েছিল তা নিউইয়র্কের ধোয়ামৌছা রাস্তার মতো চকচকে ভেজা ছিল?
>> কেন দিগন্ত বন্ধ করে দিলেন?
>> েকন পরদিন ১৪৪ ধারা জারি করতে হল???
এরকম শত শত কেনর উত্তরেই সত্য লুকানো!!!
আর প্রপাগান্ডা চালীয়ে যে সত্যকে মিথ্যা করা যায় না তা সিটি িনর্বাচনের ফলাফলেই প্রাকাশ্য।
@অধিকার’র শর্ত তিনটি বিষয় হলো;
১. নিহতদের তালিকা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যেসব মানবাধিকার সংগঠন কাজ করছে তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা।
২. তথ্য প্রদানকারী, ভিকটিম/তাদের পরিবার এবং সাক্ষীদের জন্য সুরক্ষার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩. এই তথ্য প্রদানকারী, ভিকটিম/তাদের পরিবার এবং সাক্ষীদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে না সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া।
তথ্যমন্ত্রনালয় 'অধিকার'এর চিঠির জবাব না দিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে ১০ আগস্ট। ১১ তারিখ পুলিশ তার বিরোদ্ধে আজগুবি তথ্য বিকৃতি অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পুরো ঘটনা ক্রমে বুঝাই যাচ্ছে আসলে কারা তথ্য বিকৃতি বা গোপন করতে চাচ্ছে।
তাদের ৩টি শর্তের কোন বিষয়টি আপনার অন্যায় বা অন্যায্য মনে হচ্ছে?
ও মানবাধীকার কি শুধু হাম্বাদের? বাকী আমজনতার কোন অধিকারই থাকবে না। সেটা খোলামেলা বলেন না। তারপর আমজনতা ভাবুক তারা কি করবে!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিরামহিন নির্লজ্জভাবে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর দায়ে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানের কঠিন শাস্তিই কাম্য
Click This Link
৩০০০ লাশ গুম! যেভাবে?
Click This Link