![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(যখন নিঝুম রাতে, সবকিছু চুপ! নিস্প্রাণ নগরীতে ঝিঁঝিরাও ঘুমমম্ ... আমি চাঁদের আলো হয়ে, তোমার কালো ঘরে- জেগে রই সারা নিশি ! এতটা ভালবাসি. . . . .)♥
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/sozan45_1341593988_1-575701_411305745571487_829118812_n.jpg
পিরানহা
'পিরানহা' সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই হয়ত কম-বেশি জানা আছে । বিশেষ করে হলিউডের 'পিরানহা' মুভিটির ভয়ঙ্কর দৃশ্যগুলো এখনও অনেকেরই চোখে ভাসে । দানবীয় আচরন আর হিংস্রতার জন্য ইতোমধ্যেই পিরানহা আপনার কাছে পরিচিত জলের আতঙ্করুপে। এছাড়া পত্র পত্রিকার কল্যাণে আমরা এদের সম্পর্কে জানতে পারি। তাই পিরানহা মাছ আজ আর কারও অচেনা নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে এই মাছ চাষ, বিক্রয়, আমদানি ও পরিবহন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও, বিদেশী রূপচাঁদার লেবেলে দেশের অনেক স্থানেই নেই এর উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
পিরানহা দক্ষিণ আমেরিকার মাছ। মোটামুটি উষ্ণ আবহাওয়াই পছন্দ করে।নদীতে চড়ে বেড়ানো মাছদের মধ্যে পিরানহা আকারে তেমন বড় নয়,কিন্তু আকার দিয়ে তাদের বিচার করা ঠিক নয়।গড়পরতা তাদের আকার হয় ৬ইঞ্চি-১২ইঞ্চি, মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম ১৮ইঞ্চিও দেখা যায়। আট থেকে দশ বছর বাঁচে অনুকুল পরিবেশে।তাদের মুখ,চোয়ালও ছোট,কিন্তু তাতে আছে ক্ষুরের মত ধারালো দুই পাটি দাঁত।ত্রিভুজাকৃতির মত ধারালো এই দাত দিয়ে সে শিকারির দেহ ফুটো ও গা থেকে মাংশ খুবলে নিতে পারে।পিরানহারা দলবদ্ব হয়ে বিচরন করে। প্রজনন পরবর্তি সময় থাকে সবচেয়ে হিংস্র।যেকোনো প্রানীর হাড় থেকে মাংস খুলে ফেলা তাদের জন্য মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার ! ব্রাজিলের আদিবাসীরা পিরানহার দাত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
এদের দেখা যায় সাধারনত আমাজন ব্যাসিনের সর্বত্র বিশেষ করে ব্রাজিলের অরিনকো নদীতে,গায়ানা অঞ্চলের নদীতে ও প্যারাগুয়ের পারানা নদীতে।অত্যন্ত বিস্ময়কর হলেও সত্য যে বাংলাদেশের কাপ্তাই লেকে এদের পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার স্বাদুপানির রাক্ষুসে মাছ পিরানহা বাংলাদেশে বাহারী মাছ হিসেবে প্রবেশ করলেও পরবর্তীতে কিছু অসাধু হ্যাচরী মালিক ও মাছচাষীদের হাত ধরে প্রায় সারা দেশের চাষের পুকুরে চলে আসে। আশঙ্কা করা হয় এই মাছ আমাদের মুক্ত জলাশয়ে চলে আসলে তা হবে আমাদের মাৎস্য জীববৈচিত্র্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি স্বরূপ। তেলাপিয়া, নাইলোটিকা এবং সিলভার কার্পের মতো এই মাছেরও সহজেই মুক্ত জলাশয়ে চলে আসাটাই স্বাভাবিক। ঠিক এরকম একটি সময়ে এই মাছের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে উৎপাদক থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের কাছে এই মাছের নামকরণ হয় বিদেশী বা থাই রূপচাঁদা/চাঁদা যা খুবই বিভ্রান্তিকর।
সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখলে দেশী রূপচাঁদা (Pampus argenteus) এবং বিদেশী পিরানহা (Pygocentrus natteri) মাছের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও আপাত দৃষ্টিতে কিছু মিল দেখা যায়। এরই সুযোগ নিয়ে বাজারের অসাধু মাছ বিক্রেতারা পিরানহা মাছকে বিদেশী বা থাই রূপচাঁদা/চাঁদা নামে বিক্রি করে নিরীহ ক্রেতা সাধারণকে ঠকিয়ে আসছে।তাহলে সহজভাবে এই দুই প্রজাতির মাছের মধ্যে পার্থক্য করার উপায় কি নেই ? উত্তর হচ্ছে হাঁ আছে , চলুন জেনে নেই সেই উপায় গুলো।
দেশী রূপচাঁদা ও বিদেশী পিরানহা মাছের মধ্যে পার্থক্য
চিত্রঃ দেশী রূপচাঁদা (বামে) ও বিদেশী পিরানহা (ডানে) মাছের মধ্যে পার্থক্য
রূপচাঁদা পিরানহা
১। দাঁত থাকে না । ১। দাঁত থাকে ।
২। কানকুয়া (operculum) নেই । ২। কানকুয়া (operculum) আছে।
৩। এডিপোজ পাখনা (adipose fin) নেই । ৩। এডিপোজ পাখনা (adipose fin) আছে ।
৪। গায়ের রং উজ্জ্বল বর্ণের । ৪। গায়ের রং ধূসর বর্ণের।
৫। রাক্ষুসে স্বভাবের নয় । ৫। রাক্ষুসে স্বভাবের।
৬। সামুদ্রিক মাছ । ৬। স্বাদু পানির মাছ ।
আশা করি এখন আপনারা রূপচাঁদা ও পিরানহা মাছ চিনে সঠিক মাছটি কিনতে সক্ষম হওয়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
মুল লেখক = অপু "
তথ্য ও ছবি ঃ ইন্টারনেট
©somewhere in net ltd.