প্রেম অনেক বার এসেছিলো জীবনে

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

মানুষের জীবনে প্রেম একবার আসে এ কথাটি আমি বিশ্বাস করিনা। কারন জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে ব্যাপার টি পরিষ্কার। আমি নিজেকে একটি ভালো ছেলে বলে গর্ববোধ করি কিন্তু আমার জীবনে, জীবন চলার পথে, কতবার যে প্রেমে পড়েছি তার হিসাব আমার কাছে নাই। তাহলে অন্যদের কথা নাইবা রিফারেন্স টানি..

অবশ্য যদি ভালোলাগা আর ভালোবাসাকে আলাদা ভাবে দেখা হয় তাহলে আমি জীবনে একজনকেই ভালোবেসেছি। আজ আমি আমার জীবনের বাকে বাকে লুকায়িত ভালোবাসার গল্প বলব...

যারা এই লেখাটি নোংরা মনে পড়া শুরু করেছেন তাদেরকে আর না এগুবার জন্য অনুরোধ করব। শুধু মাত্র উদার মনের বাস্তবতা প্রত্যক্ষকারী/ অনুধাবনকারী পাঠকদের জন্য এই লেখা...

এই না বলা কথা গুলো হয়ত কালের অতলে হারিয়ে যাবে...প্রত্যেক টা মানুষের একটি করে হৃদয় আছে..আর সেইসব হৃদয়ের হাজার ও অপ্রকাশিত গল্প..

আমি জন্ম গ্রহন করেছিলাম আজ থেকে অনেক বছর আগে, বাবা-মা য়ের মনে আনন্দের প্লাবন নিয়ে। আমার ধারনা আমি জন্মের পরই কারো না কারো প্রেমে পড়ে ছিলাম smile বড় হতে লাগলাম, শিশু থেকে বালক, বালক থেকে কিশোর, কিশোর থেকে যুবক.... কিন্তু আমার ভালোবাসা ও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলল...। সে ভালোবাসা, এক তরফা... দেয়া পাওয়ার নয়... হৃদয়ের... মস্তিস্ক থেকে নি:সৃত কেমিক্যালের.... স্রেফ ভালোবাসা।

ছোট বেলা থেকেই কঠোর শাসনের মাঝে বেড়ে উঠেছি। বাবা মা সবসময় শাষন করতেন, কড়া শাষন..। তাই শুধুই বেড়ে উঠে ছিলাম, বড় হতে পারিনি... হতে পারিনি স্বাবলম্বি। হয়নি কারো সাথে বন্ধুত্ব, সৃষ্টি হয়নি কোনো সামাজিক যোগ্যতা। মানুষের সাথে ভাবের আদান প্রদান ও করা শিখিনি। মেয়ে বন্ধু তো দুরে থাক ছেলে বন্ধু ও ছিলো হাতে গোনা। তাই পরিবেশ থেকে কিছু ই শিখতে পারলাম না, শুধুই বেড়ে উঠতে লাগলাম বড় আর হোলাম না।

এভাবে ই চলতে লাগলো... সৃষ্টি গত কারনেই বয়সের সাথে সাথে মেয়েদের প্রতি আকর্ষন বেড়ে চলল। প্রেম এসেছিলো প্রকৃতির নিয়মে। আমি যখন প্রথম প্রেমে পড়ি তখন আমি ক্লাস টু এর ছাত্র। বয়স আর কত হবে! আট বছর। আস্তে আস্তে পরিবেশে মিশতে শুরু করলাম... আর আমার প্রমিকার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে /exponentially বেড়েই চলল...। এভাবে ক্লাস ফাইভ-এ এসে প্রেমিকার সংখ্যা দাড়াল পাচঁ-এ। তাদের নাম আমার আজো মনে আছে: জ্যামি(ইজ্ঞিনিয়ারের মেয়ে), পলি, পপি, সেতু, রুম্পা (ইউ.এন.ও-র মেয়ে)। আসলে তাদেরকে আমার ভালো লাগত।

ছোটো বেলা থেকে মেয়েদের সাথে মিসতে অভ্যস্ত না হওয়ার কারনে তাদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব গড়তে পারিনি। আজো আমি মেয়েদের সাথে ইজি হতে পারিনা। এটা খুবই একটা খারাপ বিষয়। সকল বাবা-মা কে অনুরোধ করি, সন্তানদের সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে দিন। তাদের একটা সুন্দর শৈশব দিন। সামাজিক ভাবে গড়ে তুলুন।

... এর পর প্রেমে পড়লাম.... জুইঁ, মিতু, রিক্তা, শম্পা, টুম্পা, লাবনী,রনি, সাদিয়া (জীবনে ৩ জন সাদিয়া-র প্রেমে পড়েছি), শাম্মি, মৌসুমি, জিনিয়া, ঝুমুর সহ আরো অনেকে... যাদের নাম আজ আর মনে নাই।

এগুলা সবই ছিলো ভালোলাগা অথবা এক তরফা বন্ধুত্ব, তবে সত্যিকারে একজনের প্রেমে পড়েছিলাম। তার নাম ছিলো সেতু। মেয়েটি ছিলো অনেক স্মার্ট। শুনেছি সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পড়ত। এটাও ছিলো বাল্যকালের প্রেম। যৌবনে এসে আরো ৩ বার প্রেমে পড়েছি।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সাদিয়া, সাদিয় এবং সাদিয়ার প্রেমে পড়লাম। যতদুর সম্ভব সাদিয়া ও আমার প্রেমে পড়ে ছিলো। ছোটো বেলা তেকেই প্রচন্ড লাজুক আর ভীতু হওয়ার কারনে এই প্রেম পরিপূর্নতা পেলনা। আসলে মেয়েটি আমাকে ভালোই বাসত। এখন সে অন্যের ঘর করছে ....

এখন আর আমি প্রেমে পড়িনা। বরং প্রেম আমার উপর পড়ে... আমি বরং সরে যাই তাই রক্ষা...ব্যথা পাই না... কিন্তু সত্যি বলতে কি... বাল্যকালের প্রথম প্রেম (সেতু) আর যৌবনের প্রথম প্রেম (সাদিয়া- ডি.এম.সি) কে একে বারে ই মন থেকে মুছে ফেলতে পারিনা। কেনো যানি আমার মনে হয় তারা দুজন ই আমাকে অনেক ভালোবাসত।

শুধু আমার দুর্বলতা আমার প্রেমকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে... আসলে প্রথম প্রেম ভোলা জায়না। আমার চোখে তারা দুজন ই ছিলো পরির মত সুন্দর...

[আমি সব সময় স্মার্ট, মেধাবী, আর সুন্দর মেয়দের প্রতি দুর্বল... তবে আমাকে লুচ্চা ভাবার কারন নাই কারন আমি তা নই]

[গায়ের রং নয়, যে সব মেয়ের হাত, পা, চোখ, দাঁত, হাসি আর ঠোট সুন্দর আর স্লিম, তারাই আমার চোখে সুন্দরী]

৯ টি +২/-০