![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিখ্যাত হবার স্বপ্ন নেই।রঙিন তাসের ঘর পৃথিবীতে আমিও তোমাদের মতো খেলছি।কবিতা ভালোবাসি। সুখ-দুঃখ যাই আসুক স্বপ্ন বুনে যেতে চাই শেষ পর্যন্ত।গোপন বিরহের কিছু মিষ্টতা একান্ত করেই রাখতে চাই। কেহ যদি দেয় মোরে যাতনা,সে আমার প্রাপ্য অন্যরকম ভালোবাসা।
শুভ বিজয়া দশমী। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের বার্তা নিয়ে মর্ত্যে আসেন দেবী। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে দেবী কৈলাস পাড়ি দেন। সেই কারণেই ‘বিজয়া দশমী’ নাম। বিজয়া দশমী আর দশেরা সম অর্থেও ব্যবহৃত হয়। কেউ বলে দশেরা, কেউ দশহারা, কেউ বা বলে নবরাত্রি দুর্গোৎসব। দুর্গা পূজার অন্ত চিহ্নিত হয় বিজয়া দশমীর মাধ্যমে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনেই পিতৃ-আবাস ছেড়ে দেবী পাড়ি দেন স্বামীগৃহ কৈলাসের দিকে। এই দিনেই তাই দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
পুরাণ মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পরে দশম দিনে তার বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেন দেবী দুর্গা। শ্রীশ্রীচণ্ডীর কাহিনি অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবী আবির্ভূত হন এবং শুক্লা দশমীতে মহিষাসুরকে বধ করেন। বিজয়া দশমী সেই বিজয়কেই চিহ্নিত করে। বিজয়া দশমী তিথিতে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং সারা বছরের জন্য আমাদের আনন্দে ভরিয়ে রেখে যান দেবী দুর্গা।
দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের উদ্দেশ্য ছিল মর্ত্যলোকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। মহামায়া-মহাশক্তি দেবী দুর্গা হিংসা-নাশকতা ও সব অন্যায় অপকর্মের প্রতীক অসুরের নিধন সাধন করে মানব সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ও স্বস্তি আনেন। ‘মাতৃরূপেণ’ ও ‘শক্তিরূপেণ’ দেবী তার পতি মহাদেবের বাসগৃহ কৈলাস পর্বত হতে প্রতিবছর সন্তানদের সঙ্গে করে পিত্রালয় মর্তে আসেন প্রতিবছর আশ্বিন মাসের পঞ্চমী তিথিতে। মূলত মহালয়া থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা। পাঁচদিনব্যাপী মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে দেবীর পূজা করা হয়। বিজয়া দশমীতে দেবী স্বামীর গৃহে কৈলাসে ফিরে যান !
দুর্গতিনাশিনী দেবীর এই ফিরে ফিরে আসা আর যাই হোক বিসর্জন নয়। বিসর্জনের বিষাদের তীব্রতা এতে নেই। এতে আছে অপেক্ষার মতো মধুরতা। মর্ত্যে দেবীর এই আগমন আর কৈলাসে প্রস্থান আবহমানকালের, শ্বাশত, সুন্দর। বিষাদের তিক্ততায় নয়, সুখের স্মৃতিতে অমলিন হোক বিজয়া দশমী। সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.