নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান আমেরিকার কিছু মহান মানুষের মহান কিছু কীর্তিকলাপ

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫০


আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মুসলমান পরিবারে বেড়ে ওঠা আহমেদ মোহামেদ -এর সাথে আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর পার্থক্য হলো, আহমেদের নতুন যন্ত্রপাতি তৈরির প্রতি ঝোঁক। তার বাসা ভর্তি বিভিন্ন কলকব্জা যেগুলো দিয়ে সে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র তৈরিতে সচেষ্ট থাকে।

গেল সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের মতো সেদিনও ১৪ বছরের ছোট্ট ছেলে আহমেদ স্কুলে গেল নিয়ম করে। সাথে করে নিয়ে গেল তার সদ্য তৈরি অ্যালার্ম ঘড়ি। খুবই স্বল্পমূল্যে তৈরি এই ঘড়িটি তৈরি করে আহমেদ খুবই উৎফুল্ল ছিল। তাই ক্লাসে যাবার পরেই সে তার শিক্ষককে ঘড়িটি দেখালো। কিন্তু বিধি বাম। শিক্ষক আহমেদের তৈরি সেই ঘড়িটি দেখে বললেন, এটি একটি বোমা'র মতো দেখতে এবং এই ধারনা শিক্ষকের মনে বদ্ধমূলভাবে প্রোথিত হলো যে, ১৪ বছরের ছোট ছেলে আহমেদ একটি 'হোক্স বোমা' বা নকল বোমা ক্লাসে নিয়ে এসেছে।

অতএব, আর দেরী না করে শিক্ষক মহোদয় দ্রুত টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আরভিন শহরের পুলিশ ডাকলেন। পুলিশ এলো, ঘড়ি দেখলো এবং ১৪ বছরের মুসলমান বালক আহমেদ মোহামেদকে অ্যারেস্ট করে সোজা থানায় ধরে নিয়ে গেল। তারপর চললো 'ইন্টেরোগেশন'। পুলিশ অফিসাররা যতই প্রশ্ন করে চললো, আহমেদের উত্তর একটাই, এই ঘড়িটা সে নিজে বানিয়েছে এবং এটির সাথে বোমা থাকার প্রশ্ন অবান্তর।

হাতকড়া পড়া অবস্থায় আহমেদ

এখন প্রশ্ন হলো, সুদােনের বংশোদ্ভূত আহমেদ মোহমেদ নামের মাত্র ১৪ বছরের ছেলেটি যদি মুসলমান না হয়ে অন্য কোন ধর্মাবলম্বী হতো, তাহলে কি তাকে এ ধরনের মানসিক বিড়ম্বনায় পড়তে হতো?

আজকে বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দেওয়া এ ঘটনায় বিশ্বের মোড়ল আমেরিকার টেক্সাস পুলিশের এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কি আবারও খোদ আমেরিকায় মুসলমানদের প্রতি 'রেসিজম' বিষয়টি নগ্নভাবে প্রকাশিত হলোনা?

আজ যদি মিডিয়ার কল্যাণে প্রকৃত সত্য উন্মোচিত না হতো, তাহলে এই ছোট শিশুটিসহ তার পরিবারে যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ নেমে আসতো তার জন্য দায়ী কে হতো?

যদিও পরবর্তীতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টুইটারে বলেছেন: "Cool clock, Ahmed. Want to bring it to the White House? We should inspire more kids like you to like science. It's what makes America great." view this link

ফেসবুকের সি.ই.ও জুকারবার্গ, নাসা'র বিজ্ঞানীসহ অনেকেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আহমেদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আরভিন পুলিশ চীফ ল্যারি বয়েড এই ঘটনার ব্যাখ্যায় বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তারা আহমেদকে অ্যারেস্ট করেছেন এবং পুলিশ চীফ মুসলমান কমিউনিটির সাথে তাদের সহাবস্থান পুনর্ব্যাক্ত করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আসলেই কি পুলিশ চীফসহ আমেরিকান অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মুসলমানদেরকে সহাবস্থানের চোখে দেখে?


সূত্র:
view this link
view this link

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৯

পয়গম্বর বলেছেন: মুসলমানরা আজ প্রতি পদে পদে মার খাচ্ছে। এর কারণ কি?

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৯

কাগজের নাও বলেছেন: মুসলমানদের আজ দুর্দিন!

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: মুসলমানরা আজ প্রতি পদে পদে মার খাচ্ছে। এর কারণ কি?
অনৈক্য

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ব্যাপারটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। মুসলিম শিশুকেও আজকাল কেউ বিশ্বাস করেনা। আমাদের অবস্থা আজ এতটাই নিচে নেমে গেছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

পয়গম্বর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: :(

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

পেজা তুলো বলেছেন: ঘটনাটা বিস্তারিত জানা ছিল না, ধন্যবাদ।
ধর্ম ভেদাভেদ দূর হোক। বিশ্ব হোক সকল পবিত্র হৃদয়বানদের আবাস্থল ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

সুমন কর বলেছেন: খুব দুঃখজনক ব্যাপার। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

পয়গম্বর বলেছেন: সহমত।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা মোকাবেলার জন্য সর্বচ্চ সতর্কতাই কাম্য।
ওরা সেভাবেই করছে। যে কারনে যুক্তরাষ্ট্রে ৯-১১ র পর কোন বড় হামলা করা সম্ভব হয়নি।
এটা সত্য যে আমেরিকায় ধর্মিয় স্বাধীনতা ও ধর্মপালনের স্বাধীনতা যে কোন দেশের চেয়ে উত্তম, এমকি আরব ও মুসলিম দেশগুলোর চেয়েও।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের স্কুলছাত্র আহমেদ মোহাম্মদ। স্কুলে এনেছিল একটি বোমাসাদৃশ্ব ঘড়ি। স্কুলশিক্ষকরাই পুলিশ ডেকে এনেছিল। শিক্ষকদের ভুল বোঝাবোঝি অবস্য দ্রুতই সামাল দেয়া হয়।
ডালাস সিটি পুলিশ বিভাগ সংবাদ সম্মেলন করে জা্নিয়েছে, আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

পয়গম্বর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা মোকাবেলার জন্য সর্বচ্চ সতর্কতাই কাম্য।
ওরা সেভাবেই করছে। < এ কেমন শিক্ষক এবং পুলিশ যারা ঘটনার সত্যতা বিশ্লেষণ/ যাচাই না করেই একটা ১৪ বছরের বাচ্চাকে হাতকড়া পড়ালো, থানায় ধরে নিয়ে গেল? আহমেদ মুসলমান বলেই কি তার সাথে এ ধরনের আচরণ করা হলোনা?

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকে বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দেওয়া এ ঘটনায় বিশ্বের মোড়ল আমেরিকার টেক্সাস পুলিশের এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কি আবারও খোদ আমেরিকায় মুসলমানদের প্রতি 'রেসিজম' বিষয়টি নগ্নভাবে প্রকাশিত হলোনা?


মুসলমানদের আত্ম পরিচয়ে মাথা উচু করে দাড়াতে শিখতে হবে। বিশ্বাসের সাথে সাথে জ্ঞানে বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহন করতে হবে। অবশ্য এ পথ মসৃন নয়! তবু হাল দৃঢ় হাতে ধরতেই হবে। সবার আগে চাই সত্য বিশ্বাসের সুদৃঢ় ঐক্য!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

পয়গম্বর বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

আলেক্সান্ডার বলেছেন: জ্বি না ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

পয়গম্বর বলেছেন: কোন বিষয়টি 'জ্বি না' এর অন্তর্ভুক্ত আলেক্সাণ্ডার?

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

নতুন বলেছেন: এখন প্রশ্ন হলো, সুদােনের বংশোদ্ভূত আহমেদ মোহমেদ নামের মাত্র ১৪ বছরের ছেলেটি যদি মুসলমান না হয়ে অন্য কোন ধর্মাবলম্বী হতো, তাহলে কি তাকে এ ধরনের মানসিক বিড়ম্বনায় পড়তে হতো?
আজকে বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দেওয়া এ ঘটনায় বিশ্বের মোড়ল আমেরিকার টেক্সাস পুলিশের এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কি আবারও খোদ আমেরিকায় মুসলমানদের প্রতি 'রেসিজম' বিষয়টি নগ্নভাবে প্রকাশিত হলোনা?


এটা অবশ্যই আমেরিকার তৌরি ইসলামফবিয়াতে আক্রন্ত শিক্ষকের কাজ।

কিন্তু এই ছেলের জন্য আমেরিকার প্রসিডেন্ট তার পক্ষ বলেছে এবং তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রন জানিয়েছে।

ফেসবুকার/হেলারী এবং অনেকেই তাকে সমথ`ন করেছে... এদের কিন্তু মহান আমেরিকানই বলা যায়।

এবং শেষে সমাধান ভালই হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.