নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিথিল হচ্ছে কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইন

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৫১


কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইন সহজ করতে জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। স্টিফেন হারপারের নেতৃত্বাধীন সাবেক রক্ষণশীল সরকার বেশী দক্ষ কর্মী আকৃষ্ট করার নামে ২০১৫ সালে বহুল আলোচিত ‘এক্সপ্রেস এন্ট্রি’ কর্মসূচী চালু করে। কিন্তু শীর্ষ ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচী তাদের কাজে আসছে না জানিয়ে আইন পরিবর্তনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

এ প্রসঙ্গে অভিবাসন মন্ত্রী জন ম্যাককালাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, দ্রুতই এ কর্মসূচীর মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি গত অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় থাকাকালে হারপার অভিবাসন আইন কড়াকড়ি করার কারণে, দেশটি এখন অর্থনীতি সচল রাখতে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও মেধাবী কর্মী আনতে সমস্যায় পড়েছে।

কানাডিয়ান চেম্বার অব কমার্স সম্প্রতি ‘এক্সপ্রেস এন্ট্রি’ কর্মসূচীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ‘কানাডার প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির জন্যই অভিবাসনঃ দক্ষ আন্তর্জাতিক কর্মীরা কেন ঝুঁকির মুখে?’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন তৈরি করে। চেম্বারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পেরিন বেটটি বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। অন্য দেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনার ব্যাপারে আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছি। এ ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অবিলম্বে সেগুলোর সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’


কানাডা'র প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

তিনি বলেন, ‘নিয়োগদাতাদের বাড়তি সুবিধা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে যে কর্মসূচী চালু করা হয়েছিলো তা একেবারেই পূরণ হচ্ছে না। বড় বড় নিয়োগদাতাদের ক্ষেত্রে এটা যে একেবারেই কাজে আসছে না প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।’

বিদেশী ছাত্রদের সহজে স্থায়ী অভিবাসী করার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। ম্যাককালাম জানান, লিবারেল সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম কয়েক মাস সিরিয়ার শরণার্থী পুনর্বাসনের বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়টা নিয়েই বেশী সময় কেটেছে।

এ প্রসেঙ্গ মন্ত্রী ম্যাককালাম বলেছেন, ‘এ বছরই ‘এক্সপ্রেস এন্ট্রি’ কর্মসূচীর বিস্তারিত মূল্যায়ন করা হবে। এখনও আমরা এ কর্মসূচীর পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করিনি। যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন এ কর্মসূচী কতটা সফল হয় তা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এ কর্মসূচী আসলেই কতটা সফল খুব শিগগিরই সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এটা ভালো ফল দেয়নি। মূল্যায়ন করার সময় সেটাও বিবেচনায় নেয়া হবে।’ এদিকে, কানাডার নাগরিকত্ব পরীক্ষায় ইংরেজী অথবা ফরাসী ভাষায় দক্ষতা অর্জনের বাধ্যতামূলক শর্ত প্রত্যাহার করারও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার।

বিদ্যমান নাগরিকত্ব আইনে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার কথা উল্লেখ করে ম্যাককালাম বলেছেন, লিবারেল সংসদ সদস্যরা সব সময়ই স্থায়ী অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ভাষায় দক্ষতা অর্জনের বাধ্যতামূলক বিধি উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব পরিবর্তনের বিস্তারিত ঘোষণা আসতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।


অভিবাসন মন্ত্রী জন ম্যাককালাম

কানাডা'র সিটিজেনশীপের প্রস্তাবিত নতুন নিয়ম:
বাংলাকাগজ ডটকম এবং মর্নিং টেলিগ্রাফ সূত্রে জানা যায় যে, নাগরিকেত্বর আবেদনের যোগ্যতার জন্য কানাডায় বসবাসের সময়সীমাকে কমিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে নতুন বিলে (Bill C-6)। সাবেক কনজারভেটিভ সরকারের সময় ১১ জুন, ২০১৫ তে পাশকৃত নাগরিকত্ব আইনে (Bill C-24) নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনের আগের ৬ বছরের মধ্যে ন্যূনতম ৪ বছর স্বশরীরে কানাডায় বসবাসের বাধ্যতামূলক বিধান করা হয়েছিলো। চার বছরের মধ্যে অাবার প্রতি বছর অন্তত ১৮৩ দিন কানাডায় থাকতে হতো। লিবারেল পার্টি ক্ষমতায় এসে এই নিয়ম পরিবর্তন করে আবেদনের পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর স্বশরীরে কানাডায় বসবাসের বিধান করা হয়েছে। প্রতি বছরের ১৮৩ দিনের বিধানটি বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলটি হাউজ অব কমন্সে উঠলেও এখনো পাশ হয়নি। ফলে নতুন নিয়মটি আইনে পরিণত হয়নি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রস্তাবিত বিলটি হাউজ অব কমন্সের সংশ্লিষ্ট কমিটি দ্বিতীয় পাঠ শেষ করে সিনেটে পাঠিয়েছে। সিনেট পর্যালোচনা করে তাদের মতামতসহ বিলটি পূুনরায় হাউজ অব কমন্সের কাছে পাঠাবে। সংশ্লিষ্ট কমিটি পূণরায় পর্যালোচনা শেষে বিলটি অনুমোদনের জন্য হাউজ অব কমন্সে তুলবে। এই ব্যাপারে ইমিগ্রেশন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য, স্কারবোরো সেন্টারের এমপি সালমা জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রস্তাবিত বিলটি গত শুক্রবার হাইজ অব কমন্সে সেকেন্ড রিডিং এ অনুমোদন পেয়েছে। বিলটি এখন সিনেটে রয়েছে।আগামী ‘ফল’ এ সিনেট বিলটি তাদের বিবেচনার জন্য গ্রহন করবে। সালমা জাহিদ বলেন, কতো দ্রুত বিলটি পাশ হবে সে ব্যাপারে আমি কোনো পূর্বাভাস করতে পারছি না।

সুতরাং নাগরিকত্বের জন্য আবেদনে পরিবর্তিত নতুন নিয়মের সুফল নিতে চান, তাদের চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

সূত্র:
১. প্রবাস কথা
২. বাংলা কাগজ ডট কম ভল্যুম ১৫, ইস্যু ৬৭, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬
৩. মর্নিং টেলিগ্রাফ
৪. news.gc.ca

আমার ফেসবুক আইডি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.