নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগ: জনস পাসে সান্ধ্যভ্রমণ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

এবার সামার ভ্যাকেশনে আমেরিকা এসেছি বেশ কিছুদিন হলো। আমেরিকা বলতে নির্দিষ্টভাবে আমার প্রিয় জায়গা সানশাইন স্টেট খ্যাত ফ্লোরিডা রাজ্যের ট্যাম্পা বে এলাকায়। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আজকের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৬ ডিগ্রী সে.। আমি থাকি কানাডা'র ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়। অথচ ফ্লোরিডা'র এই প্রাণ ওষ্ঠাগত গরমে মানুষ কিভাবে থাকে, আমি ভেবে পাইনা! তাই ভ্যাকেশনে এসেছি ঠিকই, কিন্তু পারত:পক্ষে দিনের বেলায় বাসার বাইরে বের হইনা।

আজ বিকেলে ভাবলাম কাছাকাছি কোথাও ড্রাইভ করে ঘুরে আসি। আমার প্রিয় ওয়েবসাইট ট্রিপঅ্যাডভাইজরকে জিজ্ঞেস করতেই জানিয়ে দিল সেন্ট পিটারর্সবার্গ এলাকার পাইনালেস পার্ক কাউন্টিতে 'জনস পাস' বলে একটা জায়গা আছে যেখানে মানুষজন মাছ ধরে, বোটিং করে আর ফাটাফাটি কিছু রেস্টুরেন্টও আছে ওই জায়গাটাতে। কাজেই দেরী না করে ফোনের জি.পি.এস-এ ঠিকানা লিখে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলাম। পড়ন্ত বিকেলে চলে এলাম 'জনস পাস বোর্ড ওয়াক' এলাকায়।

গাল্ফ অব মেক্সিকোর পাশেই ম্যাডেরিয়া সমুদ্র সৈকত। আর তার পাশের ছোট্ট ভিলেটির নাম 'জনস পাস'। আজ শনিবার বন্ধের দিন। গিয়ে দেখি বেশ জমজমাট অবস্থা। ঘোরাঘুরির ফাঁকে সুযোগ বুঝে কিছু ছবি তুলে নিলাম যার কিছু অংশ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো:


গাড়ি পার্ক করে রওনা দিলাম জনস পাসের উদ্দেশ্যে। আজ শনিবার ছিল বলে অনেক কষ্টে পার্কিং পেলাম। একঘন্টার জন্যে ২ ডলার।

এবার পায়ে হাঁটা পথে জনস পাসের উদ্দেশ্যে

আর অল্প একটু গেলেই ডেস্টিনেশন

যাবার পথে দেখি এই মহিলা কিছু পক্ষীকুলকে কি যেন একধরণের খাওয়া দিচ্ছেন।

পাখীগুলোও বেশ আগ্রহভরে ভদ্রমহিলার চারপাশে ভিড় জমিয়ে খাদ্যগ্রহণে মনোনিবেশ করেছে

এই পাখিগুলোর নাম কি সারস? আমার জানা নেই ঠিক; পাখি বিষয়ে আমি একেবারেই আনাড়ি।

ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে থাকলে শুধু শাটার চাপতে ইচ্ছে করে।

এইবার চলে এসেছি জনস পাসে ঢোকার মুখে

জনস পাসে ঢোকার রাস্তায়

জনস পাসে ঢোকার রাস্তায়

এরপরের ছবিগুলো বোর্ড ওয়াক অর্থাৎ কাঠের পাটাতনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাবার রাস্তায় তোলা।










এই ফেরিতে করে ডলফিন ওয়াচ এলাকায় ঘুরতে যাওয়া যায়। আজ সময় ছিলনা বলে যাওয়া হলোনা। নেক্সট টাইম মিস দেওয়া চলবেনা। কি বলেন?

এবার দেখবো গাল্ড অব মেক্সিকো আর বোটিং অর্থাৎ স্পিড বোট/ নৌকা ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায় এমন কিছু দোকানের ছবি:








ম্যাডেরিয়া বিচ অথবা জনস পাসে যাবার পথে এই ড্র-ব্রিজের ওপর দিয়েই এসেছিলাম। নিচ দিয়ে কোন জাহাজ বা বড় নৌকা গেলে এই ব্রিজটি সময়মতো দু'ভাগ হয়ে যায়:




এবার দেখবো পাইরটে বা জলদস্যুর জাহাজ! সত্যি জাহাজ কিন্তু! কিন্তু আমি আপনিও চড়তে পারবো। অবশ্য টাকা খরচ করতে হবে সেজন্যে!




মাছের গন্ধ পেয়ে পাখীকূল আশে পাশেই ঘুরঘুর করছিল। এরা মানুষদেরকে খুব একটা ভয়-ডর করেনা!





এই যে দেখেন, ব্রিজের কাছেই এক ভদ্রলোক পানিতে নেমে মাছ ধরছেন! আর কিছু ছেলে-মেয়ে পানিতে দাপাদাপি করছে:



এবার চলুন, ব্রিজের নিচ দিয়ে হেঁটে যাই:





ব্রিজের আশেপাশে সবাই মাছ ধরায় চরম ব্যস্ত!

ওদেরকে ডিস্টার্ব না করে চলুন আমরা ম্যাডেরিয়া বিচের দিকে এগুই:







এবার বাসায় ফেরার পালা। পার্কিং লট থেকে গাড়ি নিতে হবে:


আজ তাহলে এ পর্যন্তই। খুব শীঘ্রই আবার ঘুরতে যাবো অন্য কোথাও। আর ব্লগে শেয়ার করার চেষ্টা করবো আমার আনাড়ি হাতের তোলা ছবিগুলো। সবাইকে শুভেচ্ছা।

সূত্র: http://www.johnspass.com/

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওখানে এত গরম? তাহলে বাংলাদেশে আমরা গরমের জন্য আক্ষেপ করি কেন? ছবিগুলো ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ পয়গম্বর।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

পয়গম্বর বলেছেন: ফ্লোরিডার আবহাওয়া অনেকটা বাংলাদেশের মতোই। প্রচণ্ড গরম, ঝড়-বৃষ্টি। তবে পরিবেশ দূষণ চোখে পড়লোনা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: ম্যাডেরিয়া নয় ম্যাডেয়্‌রা বিচ হবে। এত কিছু থাকতে জনস্‌ পাসে কেন ঘুরতে গেলেন বুঝলাম না। ক্লিয়ারওয়াটারে গিয়েছেন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পয়গম্বর বলেছেন: সমুদ্রের গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করে। ক্লিয়ার ওয়াটার - আমার অন্যতম পছন্দের সমুদ্র সৈকতগুলোর একটি।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ছবি ব্লগ দারুণ লাগল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগে সাথে থাকার জন্যে।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

পথহারা মানব বলেছেন: আপনার ট্রিপ এডভাইজর মনে হয় আপনাকে মিস গাইড করেছে....বাই দ্যা ওয়ে ছবিগুলো খারাপ না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: নাহ্। ট্রিপ অ্যাডভাইজারের ওপরে আমার অগাধ আস্থা। আসলে গতকালের বিকেলটা অলস কাটছিল। তাই হঠাৎ বেড়িয়ে পড়া। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে নীলপরিকে ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ছবিগুলো দারুণ। +

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

সুমন কর বলেছেন: কিছু কথা আর ছবি মিলিয়ে পোস্টটি ভালো লাগল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

পয়গম্বর বলেছেন: সুমন কর কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভালই লাগলো পোস্টটা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

পয়গম্বর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

মো: সাকিব আহমদ মুছা বলেছেন: দেখে বেশ আনন্দ পাইলাম

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ছবি এবং লেখা দুটোই অসাধারন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: দারুণ সব ছবি।

অনেক অনেক ভালোলাগা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০

পয়গম্বর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রতি ইত্তর করায় ধন্যবাদ।

আপনার প্রতি রইলো পবিত্র ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৫

পয়গম্বর বলেছেন: আপনাকেও পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ। সেই সাথে দারুণ বর্ণনা।
গরম ব্যাপারটা আমার এক্কেবারেই অসহ্য, তারপরো কি আর করা, প্রকৃতির নিয়ম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৫

পয়গম্বর বলেছেন: রুহীকে ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৫

দিয়া আলম বলেছেন: দারুন উপকার হয়েছে আমার, সামনের সপ্তাহে আমি আমার আত্মীয় বাড়ি যাবো,তারা সেখানেই থাকে,ততদিনে ওখানে তাপ কি কমবে? আমিও কানাডায় থাকি,তাপ একদম সহ্য হয়না, তোমার দেয়া ছবির জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখে ছবি তুলে আবার তোমাকেই দেবো, অনেক মজা হবে :)

ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোষ্টের জন্য,
ভালো থেকো ভাইয়া

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৬

পয়গম্বর বলেছেন: তাপমাত্রা কমার তো কোন সম্ভাবনা দেখছিনা। ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৯

নাইম রাজ বলেছেন: সুন্দর ছবিগুলো ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

পেজা তুলো বলেছেন:
মাছের গন্ধ পেয়ে পাখীকূল আশে পাশেই ঘুরঘুর করছিল। এরা মানুষদেরকে খুব একটা ভয়-ডর করেনা
#বাংলাদেশে পাঠাইয়া দ্যান। সব বার বি কিউ কইরা খাইয়ালাইবো লোকজন। ওরা ভয় পাইবো, অগোর ফরটিন জেনারেশন ভয় পাইবো।
:(

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

পয়গম্বর বলেছেন: বলেন কি?! B:-)

১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.