নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগ: সানকেন গার্ডেনে কিছু সময়

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৭



আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের ট্যাম্পা বে এলাকাতে সামার ভ্যাকেশনে এসেছি কিছুদিন হলো। কাজেই ঘরে বসে থাকাটা কোনভাবেই যৌক্তিক নয়। ঘোরাঘুরির জন্যে আমার প্রিয় ওয়েবসাইট ট্রিপ অ্যাডভাইজরকে জিজ্ঞেস করতেই সে জানিয়ে দিল যে, 'সানকেন গার্ডেন' নামে একটি বাগান আছে যেটি আসলেই দর্শনীয় এবং সেখানে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আসা যায়। গাছ-গাছালী, প্রকৃতি -এগুলো আমার সবসময়ই প্রিয়। কাজেই দেরী না করে বেরিয়ে পড়লাম সানকেন বাগান দেখার উদ্দেশ্যে। আজ রবিবার ছিল। গাার্ডেন খোলা থাকবে দুপুর বারোটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।


দুপুর দেড়টা নাগাদ 1825 4th St N, St Petersburg ঠিকানায় যখন পৌঁছালাম মাথার ওপরে গনগনে সূর্য্যের প্রখর আলো। দরদর করে ঘামছি আর ভাবছি, আসাটা বোধহয় উচিত হয়নি। রিসেপশন ডেস্ক থেকে যখন ১০ ডলার দিয়ে টিকিট কাটলাম তখনও চিন্তা করছিলাম, বাসায় ফিরে যাবো কিনা। এইসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে যখন বাগানে প্রবেশ করলাম, মুহূর্তের মধ্যে চারপাশের পরিবেশ বদলে গেল। চারিদিকের অসংখ্য গাছ আর বাগানের ঠাণ্ডা একটা শীতল আবহাওয়ায় প্রাণ যেন জুড়িয়ে গেল।

রিসেপশন ডেস্ক, যেখান থেকে বাগানে ঢোকার টিকিট কাটলাম







এই ফাঁকে ছোট্ট করে সানকেন গার্ডেনের ইতিহাস বলে ফেলি।

সময়টা ১৯৩৫ সাল। ফ্লোরিডা'র সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে টার্নার সানকেন গার্ডেন নামে একটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন বাগান সবার জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। জর্জ টার্নার নামের জনৈক ভদ্রলোক ১৯০৩ সালে প্রায় ৪ একর জমির ওপরে এই বাগানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভদ্রলোক যদিও একজন প্লামার ছিলেন, কিন্তু তাঁর বাগানের শখও ছিল মারাত্মক। টার্নার সাহেব পুরো জায়গাটাতে একটি লেক খনন করলেন। যার ফলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে পুরো এলাকাটি প্রায় ১৫ ফুট নিচে অবস্থিত। উর্বর এ জমি বিভিন্ন ফলের গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের বাসস্থানে পরিণত হলো। মূলত: ১৯২৪ সাল থেকেই দর্শনার্থীগণ ২৫ সেন্টের বিনিময়ে এই দুর্লভ গাছগাছালীর বাগানটি দেখার সুযোগ পান।









পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে লোকাল হিস্টোরিক্যাল ল্যাণ্ডমার্ক হিসেবে এই সানকেন গার্ডেনটি পরিচিতি লাভ করে এবং ১৯৯৯ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ সিটি এই বাগানটি কিনে নেয়। চলুন তাহলে আমার কাঁচা হাতের তোলা ছবিতে বাগানের ভেতরের সৌন্দর্য্য দেখে নেয়া যাক:

















এই যে দেখুন কাঠবিড়ালী:











বাগানের ভেতরে একটা এম্ফিথিয়েটার দেখলাম:





সানকেন গার্ডেনের ফ্লেমিঙ্গো পাখিগুলোর কিছু ছবি:



বিকেল চারটার দিকে যখন বাগান দর্শন শেষ হলো, পেটের মধ্যে তখন হাজারটা ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। দেরী না করে দ্রুত গাড়ি স্টার্ট দিলাম চাইনিজ ফুড খাবার আশায় পাণ্ডা এক্সপ্রেসের উদ্দেশ্যে।




সূত্র: Click This Link

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো লাগে এমন ভ্রমণ এবং ছবি পোষ্টগুলো........শুভেচ্ছা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২০

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো দেখে ভেতরে সিগ্ধ আর মায়াবী পরিবেশ মনে হচ্ছে।

ইতিহাস, লেখা আর ছবি মিলিয়ে সুন্দর হয়েছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

পয়গম্বর বলেছেন: সানকেন গার্ডেন দেখে অনেকটা পুরনো ঢাকার বলধা গার্ডেনের কথা মনে পড়ে গেল। বহু বছর আগে একবার বলধা গার্ডেনে গিয়েছিলাম।

সানকেন গার্ডেনের নির্জন পরিবেশের ভেতরে কোন পান-বিড়ি, ঝালমুড়ি বিক্রেতা হকারের উৎপাত নেই, ভিক্ষুক নেই, উচ্চস্বরে কেউ মাইক বাজিয়ে পরিবেশ দূষণ করছেনা, ছিনতাইকারী নেই, কোন অসামাজিক কার্যকলাপকারী নেই। কেউ চকোলেটের খোসা, চিপস, কোকের ক্যান বাগানের রাস্তায় ফেলে পরিবশে নষ্ট করছেনা।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ছবিগুলো ভাল লাগলো।


+

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ইতিহাস জানানো আর সানকেন গার্ডেন ঘুরিয়ে আনার জন্য ডাবল ধন্যবাদ। :-B

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: সবগুলি ছবিতে ক্যাপশন থাকলে কী দারুন হত!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০২

পয়গম্বর বলেছেন: সময় করে দিয়ে দেব মৌ। : )

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

পেজা তুলো বলেছেন: কাঠবেড়ালের ড্যান্সিং পোজ আর মিনিয়োন্স টাব গুলো সেইরকম ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

পয়গম্বর বলেছেন: কাঠবিড়ালীগুলোর কোন ভয়-ডর নেই। যখন তখন সামনে এসে নাচানাচি শুরু করে দেয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.