নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু মানুষের মৃত্যু চাই...

হে ঈশ্বর, তোমারও কি আমার মতো এতোই! উচ্চতা ভীতি......

স আ ন শ্রাবণ

হে ঈশ্বর, তোমারও কি আমার মতো এতোই! উচ্চতা ভীতি.....

স আ ন শ্রাবণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন নাস্তিকতার না পতাকার

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

ঢাকার যে এলাকায় আমার বসবাস সেখানে প্রায় প্রতিদিনই একদল স্থানীয় ধর্ম-ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়াজ মাহফিল বসে। রাজনৈতিক সমাবেশের মতোই তারা কখনো মূল রাস্তা বন্ধ ক’রে দিয়ে, কখনো আবার কোন বাজার দখল ক’রে নিয়ে, শরীরের সর্বশক্তি নিয়ে চিৎকার ক’রে মাইকে মনগড়া সব ধর্মের অপ-ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে সহিংস ও জিহাদি হবার আহবান জানিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মসজিদ গুলোতেও শুক্রবারের জুম্মার নামাজের সময় খুৎবার নামে তারা একই কাজ করে। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হোলও ২২ ফেব্রুয়ারি জামাত-শিবিরের সাথে একাত্ম হ’য়ে কিছু ধর্মান্ধ মানুষের বীভৎস উন্মত্ততা।



মাহমুদুর রহমান গং সহ কিছু কোণঠাসা কু-বুদ্ধিজীবী আর রাজনীতিকদের উস্কানিতে তারা ‘৭১-এর মতো আবারো আঘাত হান’ল আমাদের পবিত্র শহীদ মিনারে, অবমাননা করলো জাতীয় পতাকার। নিজেদেরকে পূর্বের মতোই প্রমাণ করলো পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া অপবিত্র পাকি-হায়েনার রক্তের যোগ্য! উত্তরসূরি হিসেবে। পুনরায় প্রতীয়মান হোলও- এদেশের মাটি ভাষা শিক্ষা সংস্কৃতির সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। তারা আজীবন আদলে মগজে মননে পুরাদস্তুর পাকিস্তানী।



শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর- কোন ধর্মযুদ্ধ ক্ষেত্র নয়, এটা এ-প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের হাত ধ’রে সকল বয়সের, শ্রেণী-পেশার এবং সকল ধর্মের মানুষদের সম্মেলিত আন্দোলন। ব্যক্তিগত জীবন দর্শন থেকে ধর্মের ব্যাপারে অনেকেরই ভিন্নমত ও বিশ্বাস থাকতে পারে, কিন্তু তার সাথে এ আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই। আর আমার কাছে- একজন সহিংস আস্তিকের চেয়ে বরং একজন অহিংস দেশ-প্রেমিক নাস্তিকের সম্মান অনেক বেশী।



জামাত-শিবির সহ অন্যান্য সকল ধর্মান্ধদেরকে বলছি- যারা এদেশে জন্ম নিয়েও এদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, যারা আমাদের মায়ের সম্ভ্রম তথা জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে; তারা ঐ মুহূর্তে এ দেশে থাকার যোগ্যতা হারায়। আমাদের পূর্বসূরিরা ওদেরকে পরাস্ত করে যেমন ‘৭১-এ বিজয়ী হয়েছিল, একইভাবে আবারো আমরাই বিজয়ী হবো। আমরা এদেশের বিজয়ী সন্তান হয়ে বেঁচে আছি এবং থাকবো। যেখানে ওদেরকে পরিচয়-হীন হয়ে শুধুই পাকিস্তানের জারজ সন্তান হিসেবে পরিত্যক্ত অবস্থায়, একান্তই করুণার পাত্র হয়ে এদেশে বেঁচে থাকতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.