নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা এবং মহামারি

২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

আসলে "করোনা" কোনো মহামারী নয়। আমাদের আগে জানতে হবে, "মহামারী" কী? এবং তারপরে ভেবে চিন্তে দেখতে হবে এটা করোনার সাথে যায় কিনা!

মহামারী- যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শতকরা মৃত্যুহার ১০০%, সে রোগকে মহামারী বলে। অর্থ্যাৎ মহামারী তাকেই বলে, যেটাতে আক্রান্ত হলে ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জনই মারা যায়, পথে ঘাটে লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়, মহল্লার পর মহল্লা মানুষ মারা যেতে থাকে।

এখন দেখুন, করোনায় কি সেটা হচ্ছে? ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জন মারা যাচ্ছে? রাস্তাঘাটে লাশ পাচ্ছেন? পাচ্ছেন না। সুতরাং এটা মহামারী নয়। এটা একটা সাধারণ ফ্লু। আসুন বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি এবং করোনা নিয়ে কিছু মিডিয়া আপনাদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি করেছে, সেটা দূর করছি।

করোনা আসলে কোনো মহামারী নয়। বরং এটা একটা সাধারণ ফ্লু। যা সর্দি-কাঁশি, জ্বর, ঠাণ্ডার মধ্যে থাকে। আমরা আসলে মিডিয়ার কথায় নাচি, গাই। কিন্তু কখনো সেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখি না যে, তারা আমাদেরকে আসলে সঠিক তথ্যই দিচ্ছে? নাকি আমাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করছে! করোনা নিয়ে আপনাদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেটা দূর করা একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তবে দূর হবেই ইনশাল্লাহ।

করোনার উপসর্গ: জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট। এই উপসর্গে বাংলাদেশে আরো অনেক রোগ আছে। যেগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর লোক মারা যায়। যেমন- নিউমোনিয়াতে বাংলাদেশে বছরে মারা যায় ১৭ হাজার, টিবিতে বাংলাদেশে মারা যায় বছরে ৪৭ হাজার লোক, সিওপিডিতে মারা যায় বছরে ৬৭ হাজার, অ্যাজমায় মারা যায় ১৪ হাজার। হিসেব করে দেখুন, এই ৪টি রোগে দৈনিক ৪০০ লোক মারা যায়। তাহলে কি এ মৃত্যুগুলোকে বলবেন করোনা উপসর্গে ১০ গুন বেশি লোক মারা যাচ্ছে ? সমস্যা হচ্ছে, অনেক আগে থেকেই এসব উপসর্গে দৈনিক অনেক লোক মারা যায়, কিন্তু সেটা আপনি জানতেন না। আর এখন এই গুজব মিডিয়া আপনাকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় জানাচ্ছে, আর সেটাও আবার ভুল পদ্ধতিতে।

আমার এলাকায় কয়েকজনের সর্দি-কাঁশি হলো। আমি বললাম, আপনার করোনা হয়েছে। লোকগুলো তো আতঙ্কে শেষ। তারা বললেন, ধুর মিয়া কী বলেন এসব?
আমি বললাম, কী বলি না বলি সেটা পরীক্ষা করলেই টের পাওয়া যাবে।
পরদিন কয়েকজন হাসপাতালে গিয়ে চেকআপ করিয়ে জানতে পারলো তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস রয়েছে। তারা বাড়ি এসে আমাকে বললেন, ভাই এখন উপায়?
আমি বললাম, ডাক্তার কী বললেন?
লোকগুলো জানালেন ডাক্তার নাকি তাদের ঘরে বন্দি থাকতে বলেছেন। আমি লোকগুলোকে বললাম, ওসব কিছুই না। আপনি সর্দি-কাঁশির ঔষুধ খান। দেখবেন একদিন যেতে না যেতেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

দু'দিন পর লোকগুলো ঠিক হয়ে গেল। ফেসবুকে এক ভাই জানালেন, ভাই আমার করোনা পজেটিভ এসেছিল। কিন্তু আমার সামান্য সর্দি-কাঁশি ছিল। আমি ভয় না পেয়ে আগের মতোই দিন কাটাতে লাগলাম। কোনো ঔষুধ লাগেনি। বরং আমি এখন এমনিতেই সুস্থ আছি। এখন করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ।

মানুষের শরীরে একটা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে। যা যেকোনো ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু ঘরে বন্দি হয়ে থাকলে সেটা হ্রাস পেয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। এতে করে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সুতরাং লকডাউন কখনো কোনো রোগের প্রতিকার বা প্রতিষেধক হতে পারে না।

একটু ভেবে দেখুন, লকডাউন যদি করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তবে ঘরে বন্দি থাকার পরেও কেন মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করছে? আপনাদের মাথায় এটুকু ঢোকে না যে, যেকোনো রোগ কখনো লকডাউনে তথা ঘরে বন্দি থাকলে প্রশমিত হয় না। বরং চিকিৎসা করালে প্রশমিত হয়। লকডাউন কোনো রোগের চিকিৎসা নয়। বরং সেটা আরো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হ্রাস করে।

গুজব মিডিয়া নাচছে কিছু দালালদের ইশারায়। তারা ঘণ্টায় ঘণ্টায় করোনা ভীতি ছড়াচ্ছে। আর লকডাউন চাচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত আয় করা মানুষদের। ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক-ব্যবস্থা।

সুতরাং করোনাকে মহামারী না ভেবে সাধারণ ফ্লু ভাবুন। যেটা অনেক আগে থেকেই পৃথিবীতে ছিল। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। গুজব মিডিয়ার দেখানো খবরে কান দেবেন না। তারা এক মৃতের সংখ্যাই বারবার রিপিট করে। আবার খেয়াল করলে দেখবেন, এরা কোরবানি হাটের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। সিরাজগঞ্জ সদরবাসী এটার দরুণ সেদিন এক সাংবাদিককে দারুণভাবে পিটিয়েছে। আপনাদের এলাকায় এমন সাংবাদিক গেলে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করুন, পিটিয়ে হাট ছাড়া করুন।
.
#করোনা_কোনো_মহামারী_নয়।
#শ্রাবণ_আহমেদ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: ব্লগে এত জ্ঞানী লোক থাকতে সরকার বাইরে থেকে হেলথের ডিজি নিয়োগ দিলো বড়ই আফসোস

২| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হাওয়া হাওয়া,গান শূনি আর নাকে এক নং সরিষার তেল দিয়ে ঘূম যাই

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২২

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বলেন কি!!! আপনার মাথা কি ঠিক আছে নাকি!!! আজকের তথ্য মতো ইতিমধ্যেই করোনার ঘ্রাসে ৬৫২,৩৪৩ জন মারা গেছে। শুধু মাত্র আক্রান্তের শতকরা হার একশত না হবার কারনে তা মহামারি হবে না এই ব্যাখ্যাটা যুঁতসই মনে হচ্ছে না। আর এই করোনার ধকল তো এখনো চলছে। এখনো ঠিক বলা যাচ্ছে না আরো কতো লোক মারা যাবে। স্পেনিশ ফ্লুর মতো দ্বিতীয় দফা আক্রমন করবে কিনা তাও নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেনা বায়লজিক্যাল বিজ্ঞানীরা।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামনে কোরবাণী, এখন ছাগলামী করা আনন্দের হবে না।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা খুবই খারপ ভাইরাস। তাই প্রতিটা মুহুর্ত সাবধান থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.