![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেতো আর ভীতু বাঙালি বলে একসময় পাকিসত্দানীদের কাছে বাঙালির অবস্থান ছিল একেবারে নিম্নতম সত্দরে। তারা বাঙালিকে মুসলিম বলে মনে তো করতোই না, বরং তারা বলতো যে, অনেক বাঙালির নাকি মুসলমানীই হয় না। এসব বলে বলে বাঙালীকে কোন্ঠাসা করে শাসন ও শোষণ করে দীর্ঘ 25 বছর। এই পঁচিশ বছরে যে শ্রেণীটিকে পাকিসত্দানীরা তাদের কোলের কাছে পায় তারা আর কেউ নয় আজকের মইত্যা রাজাকার, গো আজম, মুজাহিদ্যা আর একটি ফড়ে দালাল শ্রেণী, যারা ব্যবসার নামে বাঙালিরই সম্পদ লুন্ঠন করতো।
ফলে একাত্তরে যখন বাঙালি অস্ত্র হাতে পাকিসত্দানী বাহিনীর মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে, এমনকি জীবন দিতে পর্যনত্দ দ্বিধা করে না তখন পাকিসত্দানী বাহিনী পর্যনত্দ অবাক হয়ে গিয়েছিল, মাছলিখোর বাঙালি এতো সাহস পেলো কোত্থেকে? (পড়ুন 1971 সালে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিসত্দানী সামরিক গোয়েন্দা আইএসআই-এর চীফ সিদ্দিক সালিকের বই উইটনেস টু সারেন্ডার এবং জেনারেল আসগর এর জেনারেল এ্যান্ড পলিটিঙ্)।
শেষ পর্যনত্দ তারা যে সিদ্ধানত্দটিতে উপনীত হয় তা হলো, এই সাহসের উদ্গাতা হচ্ছে শেখ মুজিব, তাই তাকেই শায়েসত্দা করতে হবে। কিন্তু ততোদিনে শেখ মুজিব তার পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকি-খেদানোর সমসত্দ আয়োজন সম্পন্ন করেছেন, যে কারণে যুদ্ধ এগিয়ে নিতে বাঙালিকে কোনও বেগ পেতে হয়নি। 1965 সালে শেখ মুজিব গোপনে ভারত সফর করেছিলেন একাত্তরের পটভ্থমি তৈরির জন্য, যাতে বাঙালি ভারতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনায় কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয় (বিশদ জানতে পড়ুন মুজিবুল হক খোকা'র অসত্দরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল, মাসুদা ভাট্টির বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ঃ ব্রিটিশ দলিলপত্র এবং এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখেছি এবং এ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাসের রেপ অব বাংলাদেশ)। আসলে আমার পিএইচডির বিষয় এটা বলেই আমি এখন এগুলো নিয়ে লেখাপড়া করছি এবং আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চাইছি। আশাকরি আপনারা কেউ আপত্তি করবেন না?
আসলে আমি বলতে চাইছি যে, একাত্তরে যদি মইত্যা, ময়লানা সাঈদীর বা গো-আজমদের মতো কতিপয় কুলাঙ্গার বাদে আপামর বাঙালি সাহসী না হতো তাহলে বিজয় অর্জন ছিল অসম্ভব। পাকিসত্দানীরা ভয়াবহ গণহত্যার মতো ধ্বংসলীলা সাধন করেও বাঙালিকে সাহস-চু্যত করতে পারেনি। কিন্তু দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে একুশ শতকে এসে বাঙালি বোধ করি অনেক ঝিমিয়ে পড়েছে, সাহসহীন হয়ে পড়েছে, একটা ভয়ের সংস্কৃতি চালু করে সুক্ষ্মভাবে কাজটি করেছে জামায়াতিরা, কখনও রগ কেটে, কখনও খুন করে, কখনও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা হলো দেশের দু'দু'জন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করাও এই ভয়ের সংস্কৃতি চালুর অন্যতম নিদর্শন। এখানে এ বিষয়ে বিসত্দারিত লেখার অবকাশ নেই বলে বাদ দিচ্ছি। কিন্তু আমি একথা বলতে চেয়েছি যে, এই ভয়ের সংস্কৃতি বিকাশের কারণেই আজ আমাদের এই দুরবস্থা, আমাদের ঘাড়ের ওপর খড়গ উঁচিয়ে আছে তালেবানী হায়েনা আর আমরা খাচ্ছি-দাচ্ছি-বংশবৃদ্ধি করছি।
আপনারা কি খুব বিরক্ত হবেন যদি আমি এই মহান মার্চ মাসে প্রায় প্রতিদিন ধরেই বিভিন্ন ডকুমেন্ট আর বই থেকে একাত্তরে বাঙালির সাহসীকতা আর বীরগাঁথা তুলে ধরি? তুলে ধরি সেই সব ঘাতকদের অপকর্মের কথা? তুলে ধরি তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতির হালচাল?
আপনাদের অনুমতির অপেৰায় রইলাম। সবার জন্য দিনটি সুন্দর হোক, আজ উত্তাল মার্চের প্রথম দিন, সবাইকে অগি্ন-শুভেচ্ছা।
২| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ মি. চৌধুরী। আশাকরি সবাই আপনার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হবেন।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: লিখুন যত খুশি । আমিও আপনার লেখার একজন সাক্ষী হয়ে থাকতে চাই । চাই বাংলার সত্যিকারের বীরদের বীরগাথা শুনতে । তবে কারও ধর্মএবং বিশ্বসকে আঘাত না করে লিখলেই ভাল লাগবে ।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
হাসান বলেছেন: আমারও মনে হয় আমরা দিন দিন ভীতুহয়ে পড়ছে। এতে দোষ আমাদের না, প্রতিদিন আর কতই বা লড়াই করা যায়, দূনীর্তির সাথে লড়াই, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে লড়াই, পথে-ঘাটে, রাজপথে, কর্মক্ষেত্রে, বাড়িতে, সর্বত্র লড়াই আর লড়াই। আমরা বোধ হয় চরম ক্লান্ত।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
হাসান বলেছেন: তীর্যকঃ স্রেয়শী মানেই কি বাঁকা বাঁকা কথা। মজা পেলাম আপনার অনুরোধের ধরন দেখে, হা হা হা হা.....
৬| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
অতিথি বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১:০৩
অপ বাক বলেছেন: আমিও অপেক্ষায় আছি, বাংলা আর বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে সৃজনশীল গবেষনা হচ্ছে এটা ভাবতেই ভালো লাগছে, আরও ভালো লাগছে এটা জেনে যে সেই ইতিহাসের প্রথম পাঠক হয়ে যাবো আমরা।
৮| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:০৩
ভূত বলেছেন: বসু,
মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা উচিৎ। যেখানে '71 এর 25 মার্চের রাতেও শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখছিলেন সেখানে আপনি তাকে '65তেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে চালিয়ে দিলেন! আপনার পিএইচডি জাতিকে কি দেবে সেটা নিয়ে আমি শঙ্কিত। আপনি কার অধীনে পিএইচডি করছেন জানালে আমি তাকে আপনার মিথ্যাচার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে পারতাম।
ভবিষ্যত প্রজন্মকে রেহাই দিন মিথ্যার বেসাতি থেকে।
৯| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: ভূত ভাই,
বসু হয়তো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা বলতে চেয়েছেন। এ নিয়ে কারো ভালো জানা থাকলো আলোকপাত করবেন কি, ইতিহাসের বিকৃতি না করে ?
১০| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: ভূত, আপনার জানা থাকা উচিত স্বাধীন বাংলাদেশের দাবী ভারত, পাকিস্তানের জন্মের সময়ই তোলা হয়েছিল। অর্থাৎ 1946-47 সালে। যখন প্রস্তাব করা হয়েছিল পূর্ববঙ্গকে 11 হাজার মাইল দূরের পাকিস্তানের সাথে জুড়ে পূর্ব পাকিস্তান বানানো হবে তখন বাঙালিরা পূর্ববঙ্গকে বরং একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা দেয়ার অথবা দুই বাংলা মিলিয়ে একটি দেশ তৈরি করার দাবী তুলেছিলেন। সে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আতাউর রহমান খান। ছাত্র হিসেবে সে আন্দোলনের সাথেও যুক্ত ছিলেন শেখ মুজিব। 48-এ জিন্নাহ'র কার্জন হলের সভায় যে প্রতিবাদ হয়েছিলো তা কি আর এমনি এমনি। এই জোর করে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ববঙ্গকে জুড়ে দেয়াকে সচেতন বাঙালি কখনও মেনে নেননি। (স্বাধীনতার পেছনে অনেক দীর্ঘ ইতিহাস থাকে। শুধু অস্ত্র হাতে ঘোষণা দিলেই স্বাধীনতা চলে আসে না।)
১১| ০১ লা মার্চ, ২০০৬ রাত ১০:০৩
অতিথি বলেছেন: আপনি দেখছি নামেও ভূত, কাজেও ভূত। আর ভূত শব্দের অর্থটা তো আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে, না জানা থাকলে অভিধান দেখে নেবেন।
যাহোক, শেখ মুজিব 65-এ ভারতে গিয়েছিলেন কি জাননি সেটা আপনি পাবেন আসামের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের সরকারী নথিতে। কারণ গভীর রাতে শেখ মুজিব সেখানে পেঁৗছুলে করিমগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ তাকে গ্রেফতার করে এবং থানায় নিয়ে যায়। সেখানকার নথি এবং তারপর কংগ্রেসের একজন প্রভাবশালী এমপির মাধ্যমে নেহরু সরকারের সঙ্গে শেখ মুজিবের যোগাযোগের ঘটনা সম্পর্কে। সুতরাং এ বিষয়ে তর্ক করার প্রয়োজন বোধ করছি না, কারণ সত্য বদলানো যায় না, অনেক মিথ্যে দিয়ে তাকে ঢাকা যায় মাত্র, যা জামায়াতি ভূতরা করছে।
যাহোক আপনি দয়া করে 7ই মার্চের ভাষণটা আরেকবার পড়ে দেখবেন। এমনকি পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার বইটিও পড়ে দেখবেন, সেখাবে পঁচিশে মার্চ রাতে শেখ মুজিবের গোপন ঘোষণার কথা নথিবদ্ধ রয়েছে। এমনকি ব্রিটিশ ও আমেরিকান দলিলপত্রে রয়েছে। আপনার কী ধারণা এসব দলিলপত্র মিথ্যে?
দয়াকরে গায়ের জোরে সত্য বদলাতে যাবেন না, তাহলে ভূতের ভৌতাবস্থা আরও হারাবেন, শেখ মুজিবের দোষ ধরতে চাইলে অনেক পাবেন, সেগুলো খুঁজে বের করুন কিন্তু তার অবদান, কীর্তিকে কেন সে জন্য খর্ব করতে হবে। আপনারাতো শুধু খর্ব করেই খান্ত নন, তাকে ইতিহাস থেকেই মুছে দিতে চাইছেন।
দুঃখ লাগে এই ভেবে যে, শেখ মুজিবকে ইতিহাস থেকে সরাতে গিয়ে আপনারা আজ গোটা জাতিটাকেই বোমা বিস্ফোরণে মারতে চাইছেন....
আর আমার পিএইচডি গাইড আপনার চেয়ে কম জ্ঞানী নন, সত্য-মিথ্যে যাচাইয়ের জন্য তার কারো উকিল ধরার প্রয়োজন নেই, তাও আবার এক ভূতের...হা হা হা...যার অস্তিত্বেই আধুনিক মানুষের বিশ্বাস নেই। আগে অস্তিত্ব নিয়ে সামনে দাঁড়ান তারপর তর্ক করবেন, তার আগে নয়।
১২| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ ভোর ৬:০৩
ভূত বলেছেন: বসু,
আমি বলিনি যে মুজিব '65তে ভারত যাননি। আমি বলেছি '65তে তিনি বাংলাদেশ কায়েম করার কাজগুলো আগেই সেরে রেখেছেন বলে আপনার যে দাবী সেটা মিথ্যা।
7 মার্চে ভাষণ দরকার হলে আপনি আরেকবার পড়েন। ইতিহাস থেকে মুছে দেয়া "জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান" চিৎকারটি সহকারে। তখনও মুজিব বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে পরিচিত হতে চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়ে বলেছিলেন নির্বাচনে বিজয়ীদের হাতে অতিসত্বর ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য। যদি তাকে সেদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করা হতো তাহলে আজকের বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার খেতাবটা (অথবা গ্লানিটা) মুজিবকে বহন করতে হতোনা।
১৩| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ ভোর ৬:০৩
ভূত বলেছেন: "জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান" এর স্থলে পড়তে হবে "জয় বাংলা, জিয়ে পাকিস্তান"।
১৪| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:০৩
ভূত বলেছেন: চৌধুরী,
1940 এ লাহোর প্রস্তাবেও পূর্ববাংলা এবং পশ্চিমবাংলা নিয়ে আলাদা প্রদেশের কথা ছিলো। সেজন্য কি আপনি শেরেবাংলাকেও বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বলবেন?
১৫| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:০৩
অতিথি বলেছেন: ভূত, স্রেয়শী কিন্তু দলিল দেখিয়ে কথা বলেছে । আপনার প্রতিবাদের সাথে দলিল কই । খুব হালকা হয়ে গেল না ? যুক্তি দেখান সহজ, প্রমান করাটা বোধহয় একটু কঠিন । তাই না ?
১৬| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:০৩
ভূত বলেছেন: তীর্থক,
কোন কথাটার প্রমান দরকার? "জয় বাংলা, জিয়ে পাকিস্তান" এর তথ্যটা হুমায়ুন আহমেদের "জোছনা ও জননীর গল্প"তে পাবেন। লাহোর প্রস্তাবের অনুলিপি অনেক বইতেই প্রকাশিত হয়েছে। এই মুহূর্তে কোনোটির নাম মনে পড়ছেনা। অগ্রজদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন?
১৭| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:০৩
ভূত বলেছেন: ও হঁ্যা! বাংলাপিডিয়ার লাহোর প্রস্তাব এন্ট্রিটি দেখতে পারেন।
১৮| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩
অতিথি বলেছেন: হু-আ'র জ্যোছনা ও জননীর গল্প থেকে দয়া করে তথ্যা না নেওয়াটাই শ্রেয়, ওটা একটা উপন্যাস, প্রামাণ্য কোনও দলিল নয়। প্রথম কথা, আর দ্্বিতীয় কথা একানও তথ্যই শুধুমাত্র একটি উপন্যাস থেকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। পাকিস্তানী কতর্ৃপক্ষ পর্যন্ত চটে গিয়েছিল 7ই মার্চের ভাষণে কেন শেখ মুজিব জিয়ে পাকিস্তান বলেনি সে জন্য। আর আজকে একজন বাঙালি (অবশ্য ভূত বাঙালি) বলছেন যে, তিনি বলেছেন জিয়ে পাকিস্তান এবং সেটা নাকি আবার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে!! হাহ হা হাহ
আবারও বলছি জ্যোছনা ও জননীর গল্প ইতিহাস হিসেবে আকর গন্থ হতে পারে না, বিশেষ করে যেখানে হুমায়ূন আহমেদের বাবাকে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণের জন্য পিরোজপুরে বসে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ, অথচ সত্য হলো 20 কিলোওয়াট-এর যন্ত্রে কালুরঘাট থেকে জিয়ার ঘোষণা মাত্র কয়েক মাইল দূরেই যেতে পারে, মোটামুটি একটা সাগর পারি দিয়ে পিরোজপুরে তা শোনা যাওয়ার কথা নয়। কেউ যদি চান তাহলে এরকম বহু অসঙ্গতি বের করে বইটি থেকে এই ব্লগেই আমি তা মিথ্যে প্রমাণ করতে পারি।
ভূত দয়া করে ইতিহাস পড়ুন, পড়ে তারপর আসুন। আপনি এক কাজ করুন না, পাকিস্তানীদের লেখা বইগুলোই পাঠ করুন না, সেখানে শেখ মুজিব সম্পর্কে কী বলা হয়েছে তা তো আপনার বিশ্বাস করার কথা, কারণ তারা আর আপনি তো একই পথে হেঁটেছেন, হাঁটছেন।
আর লাহোর প্রস্তাবে পশ্চিমবাংলা আর পূর্ব বাংলাকে নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের কথা আপনি কোন ইতিহাসে পেয়েছেন একটু জানাবেন, সেখানে যে স্বায়ত্তশাসিত স্টেটস-এর স্থলে আপনাদের পেয়ারের জিন্না স্টেট বসিয়ে দিয়েছিলেন 47-এ এসে। সেখানে কোথাওই কোনও স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা নেই, হঁ্যা সেক্ষেত্রে শের-এ-বাংলার প্রস্তাবটা কিন্তু অন্যতম পাইনীয়র, অন্ততঃ স্বাধীন বাংলার জন্য, কিন্তু তিনি তো সেই উদ্দেশ্যে এটা করেননি, তাই তাকে কেউ সেই ক্রেডিট দিচ্ছেও না। তবে স্বাধীনতা অর্জনের প্রক্রিয়ায় তার অবদানও অনেক, অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।
আবারও বলছি ভূত, দয়া করে খান্ত দিন, আপনার এসব উদ্ভট দাবী খণ্ডানোর জন্য আমার মূল কাজ থেকে দূরে যেতে হচ্ছে বার বার।
ভালো থাকুন।
১৯| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
মলি বলেছেন: ছাগল নাকি??
ভূত তো বলছে পূর্ববাংলা-পশ্চিমবাংলা নিয়া আলাদা প্রদেশের কথা । আপনে স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা পাইলেন কই??
"জোসনা ও জননীর গল্প" উপন্যাস হলেও এখানে যে ঐতিহাসিক দলিলগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো কোট করা আছে এবং ঊৎসের নাম, পৃষ্ঠা নাম্বার দেয়া আছে ।
পিরোজপুরে বসে হূ.আহমেদের পক্ষে জিয়ার ভাষণ শুনা অসম্ভব কিছু না । কারন জিয়ার ভাষণ কালুরঘাট বেতারে সম্প্রচারের পর আরেকটি বিদেশী বেতার কেন্দ্র থেকেও সম্প্রচারিত হয়েছিল , এই তথ্যটি বোধহয় আপনার জানা নাই । অন্যদেরকে ইতিহাস জানার পরামর্শ দেয়ার আগে নিজে ভালমতো ইতিহাসটা জেনে নিন ।
২০| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
ভূত বলেছেন: বসু,
দ্যাখেন, আপনে কি পড়তে গিয়ে কি পড়েছেন সেটা আমাকে ক্রমশই ভাবিয়ে তুলছে। আমি স্পষ্ট লেখলাম প্রদেশ। আপনি বানিয়ে দিলেন স্বাধীন রাষ্ট্র। এর আগেও আমি মুজিবের ভারত যাওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি, আর আপনি মুজিবের ভারত অভিযানের সত্যতা প্রমান করতে যুদ্ধে নেমে গেলেন। এরকম আরো কত জায়গায় কত ভুল পড়েছেন আল্লাই জানেন।
বাচ্চারা আপনার ইতিহাস জ্ঞানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে দেখে ভালো লাগলো। হুমায়ুন আহমেদের রেফারেনস ভালো না লাগলে 2/3 দিন অপেক্ষা করুন। আরো শক্ত রেফারেনস দেবো। আপনি পিএইচডি করবেন আর বাঙ্গালী হয়ে আমি এতে সহযোগিতা করবোনা তা কি হয়!
২১| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
অতিথি বলেছেন: মলি দয়া করে ভাষা সংযত করুন, আমি আপনাদের কোনও ভুলের জন্য কিন্তু গালি দিই নাই।
আর ভূত যে পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব বাংলা নিয়ে আলাদা প্রদেশের কথা বলেছেন বটে, কিন্তু আমি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলেছি আমার আলোচনায়, সে জন্যই আমি তার জবাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের কথাটি উল্লেখ করেছি। আপনি না বুঝলে তো আমার করার কিছুই নেই।
আর জিয়ার ঘোষণা কোন বিদেশি রেডিওতে প্রচার করা হয়েছিল নামটি ও তারিখটি দিন, আমি সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানবো। প্রমাণ ও যুক্তি ছাড়া কোনও তথ্য হাজির করলেই তো হবে না।
আমি আপনার কথার কোনও জবাব দিতাম না কারণ আপনি শিষ্টাচার জানেন না, কিন্তু আপনার মতো নীচু মন নিয়ে এখানে আসিনি বলেই উত্তরটা দিলাম। আমার লেখা ও ভূতির পালটা যুক্তি খুঁটিয়ে পড়ে তবেই আপনার মন্তব্য করা উচিত ছিল।
স্বাধীনতার শ্রষ্ঠা আর আলাদা প্রদেশের বিতর্ক সম্পর্কে আগে আপনি জানুন, তারপর নাক গলাবেন।
২২| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩
মলি বলেছেন: ব্লগে এসে আমি একটা জিনিস শিখেছি আর তা হল, যুক্তিতে হেরে গেলে আপনারা শিষ্টাচার সম্বন্ধীয় জ্ঞানদান শুরু করেন ।
২৩| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
নতুন বলেছেন: আমি আমাদের ইতিহাসের কিছু ভর্াসান পড়ে একটি ধারনা তৈরি করেছি দেখেন কারো সেটা পছন্দ হয় কিনা!!! ( এটা একে বারে ই আমার নিজেস্ব মতামত এর জন্য কর্তিপক্ষ কোন ভাবে নতুন দায়ী না):::::
আমার বিশ্বাস
বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান পর্ববাংলার স্বয়ীত্বশ্বসনই চাইছিলেন 25মার্চ পযন্তকারন তিনি প্রথমেই পাকসেনা বাহিনীর সাথে যুদ্ধে যেতে চাননি, এবং তার না চাওয়া টাই খুব সাভাবিক ছিলো, কিন্তু তার কিছু অনুসারী রা সম্পূর্ন স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো, এবং তখন আর্মি অফিসার মেজর জিয়া দেশে র স্বাধীনতা ঘোষনা দেওয়ার মত অবস্থায় ছিলেনা এমনকি 25শে মার্চরাত পযন্ত। যদি মেজর জিয়া আগে থেকে দেশের স্বাধীনতার স্পন দেখতেন তবে আমাদের যুদ্ধের গল্পটা আলাদা হতো কারন তা হতো সেনা বাহিনি হতে প্রখম চেস্টা ওদের দেশথেকে তাড়াবার জন্য । পাকিস্থানিরা 25 তারিখে প্রথম আক্রমন করে, এটা যদি বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান জানতেন তবে তিন অবস্যই কোন ব্যবস্থা নিতেন, এবং তিনি ঘোষনা দিয়েছেন বা দেননাই তাতে দেশ স্বাধীন এর পেছনে তার অবদান একটুাকন্তু কমেনা।কারন তার ভুমিকাই পাকিস্থান সরকারকে 25 শে মার্চ এর ঘটনা ঘটাতে বাধ্য করেছিল। 25মে মর্াচে মেজর জিয়া এবং উপস্থিত অফিসার রা পরিস্থিতির বিচারে তারা এই ঘোষনা দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় এবং মেজর জিয়া সেটা পাঠ করেন, সেটা যে কোন অফিসার ই সেদিন হতে পারতো সেটা নির্ভর করেছে সেখানে উপস্থিত অফিসার দের উপরে। যদি মেজর জিয়া পাকিস্থানের বিরূদ্ধে দেশ স্বাধীনতার কথা বলতো তা বাইরের বিশ্বে সামরিক কু হিসাবে গৃহিত হতো তাই, পরে তা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান কে এই যুদ্ধের নেতা বলে ঘোষনা করা হয়............. তার পর আমরা সময়ের প্রযোজনেই যুদ্ধ করে আমাদের বীর মুক্তিযাদ্ধাদের রক্ত , হাজার ও মা বোনের কস্ট, এবং ভারতীয় সরকার ও সেনাবাহিনি র সাহাজ্যে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি।................ আর বর্তমানে 12ভুতে লুটেপুটে খাচ্ছে আমাদের সোনার দেশ............... রাজাকার রা পতাকা ওয়ালা গাড়ি হাকায় আর পাশে ট্রাফিক পুলিশ হাত দেখায় রিক্সা চালক মুক্তিযুদ্ধাকে পথ ছেড়ে দেবার জন্য ........... হা হা হা হা হা হা....
২৪| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১২:০৩
নতুন বলেছেন: স্রেয়শী লিখতে লিখতে কখন যে অনেক কথা লিখে ফেলেছি খেয়াল করিনি.........মনে হয় এই সাইটে এটই আমার সবচেয়ে বড় লেখা..........
২৫| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ২:০৩
অতিথি বলেছেন: নুতন, আপনার বক্তব্য অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য কারণ মানুষ যা দেখে না তা শুনে কিংবা অন্যের দ্্বারা প্রভাবিত হয়ে সত্যের অনেকগুলো গ্রহণযোগ্য ভার্সন জেনে তা থেকে একটা ধারণা তৈরি করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের।
আপনি লিখুন না, আরও লিখুন দয়া করে। প্রয়োজন মনে করলে এবং সময় থাকলে আপনি আপনার বক্তব্য ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করুন, আগ্রহী পাঠকের অভাব হবে না আশা করি।
২৬| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ দুপুর ২:০৩
অতিথি বলেছেন: বর্তমান সময়ে ইতিহাস বিশেষ করে বর্তমান সময়ের ইতিহাস বিশ্লেষন অপেক্ষাকৃত সহজ হওয়ার কথা, মানুষ এখন স্মৃতিনির্ভর নয়, কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ করা আছে সব, কিছু কিছু বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে, থাকবে, এমন একটা বিষয় স্বাধীনতার ঘোষনা, এটা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে, তার কোনোটাই ইতিহাসের প্রয়োজনে নয়, এসব কথিত ইতিহাসচর্চার মূল লক্ষ্য ছিলো রাজনৈতিক।
শেখ মুজিব ব্যাক্তি হিসেবে কি করেছেন, তার অবদান কি, এসব নিয়ে মানুষের বিভিন্ন অনুভব থাকতে পারে, তার প্রতইটা আচরন এবং উচ্চারনের নিজস্ব অর্থ করতে পারেন সবাই, যা মানুষের সহজাত অভ্যাস, স্রেয়শী বসু কিছু বলতে চাইছেন, তার কাছে পর্যাপ্ত তথ্য আছে বলেই তিনি প্রকাশ করতে চাইছেন, এখানে কোনো রাজনৈতইক উদ্দেশ্য নেই বলে আমার বিশ্বাস,
ভুত কিংবা মলি তাদের জ্ঞাত ইতইহাসের সাথে খাপ না খেলেই এটা বানোয়াট এমনতো না,
ইতিহাসের মূল বিষয়টা একদিন আচমকা ঘটে যায় না, 71 বা 52 এসব বড় মাপের আন্দোলন বা হালের 90 এর স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলন, সবগুলোই অতীতের ক্ষুদ্্র ক্ষুদ্্র ঘটনার সংমিশ্রনে চুড়ান্ত একটা জায়গায় পৌছেছে।
স্রেয়শী আমাদের সেই পশ্চাৎপটের তথ্য নির্ভর ভাষ্য দিতে পারে,
২৭| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:০৩
নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রেয়শী, আমার লেখা আপনাদের তেমন খারাপ লাগেনি হয়তো, আশা করি লিখবো............. একটা জিনিস আশা করবো সবার কাছে তা হলো , সবার প্রতি সহনসিলতা এবং সন্মান করা যেন সবাই বজায় রাখে..............
২৮| ০২ রা মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
ভূত বলেছেন: রাসেল,
বসু ইতিহাস পুন:লিখনের কাজ করছেন। আমি জানি যথার্থ ঐতিহাসিক দলিল না থাকলে কেউ এ কাজটি করবেনা। বসুর রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কি নেই সেই বিতর্কে যাচ্ছিনা। তবে প্রিজুডিস ওয়ালা মানুষদের কাজ নিয়ে আমার সমস্যা আছে। ইতিহাস সাক্ষী, তাদের কাজ কোনো উপকারে আসেনা ডিগ্রীটুকু অর্জন ছাড়া।
সমস্যা আরো আছে সময়ের। প্রথমে এই বাঙ্গালী জাতিকে বলা হয়েছিলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাটি মিথ্যা। তাই তারা মুজিবকে ছিনিয়ে এনেছিলো জেল থেকে। আজ বলা হচ্ছে যে, না, আসলে মুজিব ভারতে গিয়েছিলেন ষড়যন্ত্র করার জন্যই। বাংলাদেশ কায়েম করার কাজ যে মুজিব আগে ভাগেই সেরে রেখেছিলেন সেই দাবীটাকে পোক্ত করার জন্য এখন মুজিবকে ষড়যন্ত্রকারীর দায়ও দেয়ার চেষ্টা চলছে। এই চেষ্টাকে আমরা কি বলবো? যখন যেমনভাবে দরকার ইতিহাসকে তেমনভাবে ব্যবহার করার এই অপচেষ্টা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বা কোনো প্রাপ্তিযোগ না থাকলে কেউ করেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: আপনি না বললে মনেই পড়তো না আজ 1 মার্চ। উত্তাল মার্চ! অবশ্যই তুলে ধরুন। নিজের গৌরব গাঁথা যারা পড়েছি তারা আবার পড়লাম, যারা পড়িনি তাদের পড়ার সুযোগ হলো। নতুন বিশ্লেষণে, নতুন আলোক প্রক্ষেপনে আপনি নিশ্চয়ই ইতিহাসের বিভিন্ন ক্ষণগুলোকে আরো মূর্ত করে তুলবেন। অপেক্ষায় রইলাম।