![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়
নয়া পল্টন ঢুকতে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট। আমি সামনে এসে দাঁড়ালাম, ভেতরে যাবো। সাথে মোস্তফা ভাই। এসআই কার্ড চেক করে বললো আপনি একা যাবেন। দুজন যাওয়া যাবে না। মোস্তফা ভাই কৌতুহলী মানুষ। সংঘর্ষ, মারামারি এসব লাইভ দেখতে পছন্দ করেন। আমি উনার দিকে তাকালাম। বেচারার মনটা খারাপ হলো। আমরা দুজনই যাবো, রিকোয়েষ্ট করতেই তিনি ওসি'কে দেখিয়ে দিলেন। আমি ওসির সাথে কথা বললাম। তিনি ব্যাস্ততা দেখালেন, বললেন- তুমি এতো সুন্দর একটা ছেলে।আমি যা বলি শোন, ইউ ক্যান গো এলোন।
কি আর করা! আমি নির্জন রাজপথে একা হাঁটছি আর ভাবছি কোথাও যেন দেখেছি দৃশ্যটা। ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে। সাইলেন্ট হিল মুভিতে দেখেছিলাম। বিশাল রাজপথ। পথের দুপাশে বড় বড় ইমারত, অফিস, ব্যাংক, বীমা, বাড়ি। রাস্তার উপর সন্ধ্যা বাতি, স্কুল, দোকান, মার্কেট সবই আছে শুধু মানুষ নাই। শুন্য শহর। শুন্য রাজপথ। আমি যেন সাইলেন্ট হিল মুভির সেটে হাঁটছি। কেমন জানি ভূতুড়ে এক পরিবেশ।আমি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গেলাম।
শ'খানেক লোক এলোমেলো ভাবে অলস সময় কাটাচ্ছে। এর বেশিরভাগই সাংবাদিক। বাকিরা পুলিশ। গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও আছে। কয়েকজন মহিলা পুলিশ ফুটপাতে চেয়ারে বসা। হাস্যরস করছে সহকর্মী পুরুষদের সাথে। কয়েকজন ক্যামেরাম্যানও তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। ছবি তুলতে নয়, ভাব জমাতে। কাজ নাই। সময়তো কাটাতে হবে।
বিএনপির অফিস ভবনের গেটে বড় তালা ঝুলছে। ভিতরে শুধু স্টাফ তিনজন। কোন নেতাকর্মী নাই। আসেনি কেউ। নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে না কাউকে। সরকারি অবরোধ চলছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ। নেতারা তো আবার গাড়ি ছাড়া চলতে পারেন না। তার উপর দামি গাড়ি। অবরোধে ভাংচুরের সম্ভাবনা আছে। একজন অবশ্য রাজশাহী থেকে বিমানে উড়ে এসেছেন। কিন্তু বিমান নামার ব্যাবস্থা না থাকায় তিনি পল্টনে আসতে পারেননি।
আশপাশের সব কিছু বন্ধ। রাস্তার চা দোকান পর্যন্ত। পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা। এলাম গুলিস্থান। আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ব্যাপক আয়োজন। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে বিরানীর প্যাকেট। বাতাশে কি মিষ্টি ঘ্রান। আমি সুরভী হোটেলে ঢুকে তিন তিনটি চমুচা খেলাম। দুই গ্লাস পানি খেলাম। বাহিরে এসে চা নিয়ে বসলাম, সিগারেট ধরালাম। চা দোকানীর মুখে হাসি। ব্যাবসাপাতি ভালো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ'র এই রাস্তাটা বেশ জমজমাট। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে সারাদিন। তাই বেচা বিক্রি ভালো। দোকানীও খুশি।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত হাইকোর্ট এলাকা। বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করছে। পুলিশ পানি ঢেলেছিলো। ঠান্ডা হয়নি। বিকালে আওয়ামী কর্মীরা এলো ঠান্ডা করতে। ফলাফল, ব্যাপক সংঘর্ষ। দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে। আগুন দেওয়া হলো ভেতরে। ঠান্ডা হলেন আইনজীবিরা।
২৯/১২/২০১৩
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
মাহামুদ রোমেল বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যাবাদ।
তবে কুকুরের মোকাবেলায় কুকুর হওয়া ছাড়া উপায় নাই।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
শহুরে কাউয়া বলেছেন: ভাল হইচে। ফিরি ফিরি মুভির হিরো পিলিংচ। আমারও যাইতে মুঞ্চায়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
মাহামুদ রোমেল বলেছেন: মন চাইলে যাবেন
মনের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতে হয়
না হলে মনের আকাশে কালো মেঘ জমে
মনের আকাশে কালো মেঘ খুব খারাপ জিনিস
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: বাকশালী কুকুরের বাচ্চাদের জন্য দেশটা আজ বিরাট এক কারাগার,
আপনের ভ্রমন কাহিনী ভালো লাগছে