নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেন মৃত্যু হচ্ছে লোকালয়ে প্রতিদিন,মরে যাচ্ছি আজাবে সুদহীন...

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলে-মেয়েকে ভাল জায়গায় পড়ানোর জন্য বাপ-মায়ের চাপ আর বর্তমান বাস্তবতা....

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

আশেপাশের সিক মেন্টালিটির বাপ-মা গুলা দেখলে সহানুভূতি লাগে... :/



একেক জন বাপ-মা যেম্নেই হোক তার ছেলেরে ভাল কোনো প্রতিষ্ঠানে ঢূকানোর জন্য নিচ থিক্কা ক্যাম্নে ক্যাম্নে গুতা দেয় তাকায় তাকায় দেখি.... :(



আমার মামাত বোন,অন্বেষা যথেষ্ট ব্রেনী একটা মেয়ে।অথচ মাইয়্যাটারে পুরাই অসুস্থ বানায় ফেলতেছে পড়ায়তে পড়ায়তে।সারাদিন ১২ ঘন্টা র বেশি ও পড়তেছে।টিভি দেখতে বইলে উডায় দ্ব্য।এট্টু খাবে তাও আইসে ঘুমানোর কথা বলবে।ঘুমের তে উইঠেই পড়া।উদ্দেশ্য গার্লস স্কুলে ভর্তি করানো....



ক্লাস থ্রির একটা বাচ্চা এত্ত চাপ দেয়ার দরকার কি....???



যাক চাপ নয় চাপাচাপিতে সহ্য করলো।এখন তারা দেখলাম পরামর্শ করতেছে তারা তাদের মেয়েরে প্রতিবন্ধী কোটায় এক্সাম দেওয়াবে....(মায়েরে-বাপ) :|



সম্প্রসারিত অংশ আমার ব্লগে আপ করা হল।১ম কমেন্টে লিনক আছে :)



যাই হোক খালি একটা জিনিস ই ভাবতেছি বাবা+মা তার ছেলেমেয়ের সেই প্রতিষ্ঠানে ঢুকানোর জন্য কতটা নিচুতে নামতে পারে।এইটা যে শুধু আমার মামা-মামীই চিন্তা করছে তাই ঈ না।তারা যার কাছ থেকে শুনে আসছে সেও একই ভাবে তার ছেলে-মেয়েরে ঢুকাইছে (-_-)



এরকম বাপ-মা র সং্খ্যাই দেশে বেশি কেউ কাগজে কলমে বাচ্চাদের প্রতিবন্ধী করে তুলছে আর বাকীরা সবাই মানষিক ভাবে পড়ার চাপ দিয়ে তাদের মানষিক প্রতিবন্ধী করে তুলছে।



একটা বাচ্চা তখনই দুধ খেতে চায়না যখ আপনি তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়াবেন।অনেক মেধাবী ছেলেও মেধা শুণ্য হয়ে পড়ছে এ কারণেই।



কারণ একটা বাচ্চা পাখি কখনোই উড়তে চাইবে না যখন আপনি তাকে মুখে তুলে খাবার এনে দিবেন প্রতিনিয়ত।কিন্তু তাকে একটু নিজে খাবার আনতে দিন দেখুন সে খেতে পারছে কিনা আর সাথে সাথে সে উড়তেও পারছে।এটাই বাস্তবতা।বাট এখনকার বাবা মা তা কখনোই বোঝে না।ফল টা মারাত্বক খারাপ।সারাদিন বাসায় একের পর এক টিচার এনে পড়া গেলানোর মাঝে স্বার্থকতা কখনোই নেই।



এক ভাইয়ার কথা শুনলাম তার মা অসুস্থ হয়ে পড়ছে সে ঢাকা ভার্সিটি তে চান্স পায়নি বলে। (ওয়েটিং এ আছে)



আচ্ছা দুনিয়ায় কি ঢাকা ভার্সিটিই সব???



আমার মা তো এককজন ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রী।কই সেতো সামান্য একটা বেসরকারি কলেজের টিচার মাত্র।আমার খালু তো ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র ছিল অথচ যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি (বোর্ডের প্রধান গোছের কি জানি ও ছিল।পোষ্ট টার নাম মনে নাই)।



আমার বিষয়গুলো অনেক এলোমেলো লাগে।সব বাবা-মা ই বলেন তোদের ভালোর জন্যেই করি।আমাদের কোনো স্বার্থ নেই।স্বার্থ যদি নাই বা থাকে তবে আমাদের বুঝটা আমাদের বুঝতে দিতে প্রব টা কই তোমাদের??? আমরা কি বড় হই নাই?? আমরা ভালো-মন্দ বুঝতে শিখি নাই??? না শিখলে না শিখলাম তাও তোমাদের ওই কথা কথিত ওই ভাল থাকা থেকে মুক্তি দাও প্লিজ।



সবাই সব পারে না।সবাইকে দিয়ে সব হয় ও না। যাদের ভাগ্যে থাকে ওই একটু পড়াতেই অনেক উপরের লেভেলে উঠে যায় যাদের থাকে না তারা ওই ঢাকা ভার্সিটি,বুয়েট,মেডিকেলে গিয়েও বিবেকের সতীত্ব হারায়...... :/

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.