![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজে ধর্মান্ধতা থেকে নাস্তিকতা ঢের ভাল !
জানি এখনই আমাকে অনেকে নাস্তিক বলে গালিগালাজ শুরু করে দিবে। দিতে পারেন তাতে আমার কোনো ক্ষতি নাই তবে পক্ষান্তরে আপনি নিজেই নিজেকে ধর্মান্ধ হিসেবে প্রতিপাদন করবেন আপনারই কাছে।
আমি নাস্তিকতা মোটেও সমর্থন করি না।কোনো মুসলমানই তা করে না এবং বরং এর উল্টোটা করে। আর সেটা হল ঘৃনা। আমিও ঘৃনা করি যখন নাস্তিক অপরের বিশ্বাস নিয়ে গালিগালাজ করে।কিন্তু প্রতুত্তরে তাদের গালিগালাজ করি না কারণ আল্লাহ তা করতে বলেন নাই। আল্লাহ বলেছেন-
(হে মুহাম্মদ (দঃ) তুমি সহনশীল (ক্ষমাশীল) হও, সৎকাজের আদেশ দাও ও মুর্খদের এড়িয়ে চলো।
সুরা - আল আরাফ , আয়াত ১৯৯
দয়াময় আল্লাহর বান্দা তো হচ্ছে তারা যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন জাহেলরা (অজ্ঞরা) তাদের (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করে, তারা প্রশান্তভাবে তাদের সালাম দিয়ে উত্তর দেয়
সুরা আল ফোরকান - আয়াত ৬৩
“‘তারা আল্লাহ তায়ালার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি দিয়ো না, নইলে তারাও শত্র“তার কারণে না জেনে আল্লাহ তায়ালাকেও গালি দেবে, আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের কার্যকলাপ সুশোভনীয় করে রেখেছি, অতঃপর সবাইকে একদিন তার মালিকের কাছে ফিরে যেতে হবে, তারপর তিনি তাদের বলে দেবেন, তারা দুনিয়ার জীবনে কে কী কাজ করে এসেছে’ (সূরা আল আনআম-১০৮)। ”
বরং আমি তাদের সাথে যুক্তি তর্ক করি যতটুকু আমার জ্ঞান আছে এবং সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করি না। কারণ আল্লাহ বলেছেন -
হে নবী, আপনি মানুষকে আল্লাহর পথে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে আহ্বান করুন েএভং কথনো তর্কে যেতে হলে তাদের সংগে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বিনয়ের সাথে যুক্তি তর্ক করুন, আপনার মালিক (আল্লাহ) ভালো জানেন কে বিপথগামী ও যে হেদায়েতের পথে রয়েছে তার সম্পর্কে তিনি সবিশেষ অবহিত আছেন
সুরা আন-নাহল, আয়াত ১২৫
একইভাবে কোনো ন্যায়বিচার এর সময় যদি আমার পাশে কোনো নাস্তিক দাড়ায় তাহলে আমি সেই ন্যায়বিচার থেকে সরে আসব না যেরকম শিবিরা অপপ্রচার চালাচ্ছে শাহবাগের আন্দোলন থেকে সরে আসার প্রতি।কারণ আল্লাহ বলেছেন-
কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতা যেন তোমাদের কখনো প্ররোচিত না করে ন্যায়বিচার বর্জন করতে । ন্যায়বিচার করবে । ন্যায়বিচার করাই তাকওয়ার নিকটতম ( সুরা মায়িদা ; আয়াত ৮ ) ”
“‘যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং কখনো তোমাদেরকে তোমাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতারিত করেনি তাদের প্রতি দয়া দেখাতে ও ন্যায় আচরণ করতে আল্লাহ তায়ালা কখনো নিষেধ করেনি, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন’ (সূরা আল মোমতাহেনা-৮)
কিন্তু প্রশ্ন হল আমি কেন বললাম সমাজে ধর্মান্ধতা থেকে নাস্তিকতা ভাল ?
একজন নাস্তিকের ব্লগ কয়জন পড়ে? ১০ জন বা ২০ জন বা উর্দ্ধে ১০০ জন। তাতে কি বা আসে যায় সমাজের ধর্মীয় মূল্যবোধের? আর যখন সেই নাস্তিকতা কে এক শ্রেনীর সুবিধাভোগী মিডিয়া ফলাও করে এবং পারলে আরো বানিয়ে প্রচার করে (যেমন করেচে আমার দেশ পত্রিকা এবং জামাতি ছাগু ) আর এর ফলে ধর্মান্ধ মুসল্লীরা নাশকতা করতে থাকে তখন কাদের দোষ আপনি বেশি দিবেন ? নাস্তিকতার ব্লগে ইফেক্ট কতটুকু আর ধর্মান্ধতার ইফেক্ট কতটুকু তা তো সবাই দেখলে শুক্রবার। মসজিদে নামাজের গালিচায় আগুন দিল, ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়িয়ে দিল, ককটেল পকেটে নিয়ে নামাজ পড়ল, মসজিদের ভিতর ইট জড়ো করে মসজিদ কে রণক্ষেত্র বানাইল, পতাকা পুড়িয়ে দিল, শহীদ মিনার ভাঙ্গল আর অথচ তারা ভুলেই গেল যে "ফিতনা ফ্যাসাদ হত্যার চেয়ে জঘন্য". তারা ভুলেই গেল যে "দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।" আর এভাবেই ছাগুরা সাধারণ মুসল্লিদের ব্যবহার করে বোকা বানায় ছেড়ে দিল !
তাই আমি বলব ধর্মান্ধতা সমাজের অনেক বড় শত্রু।
এবার আসি আবার ব্লগার রাজীব হত্যার পর কিছু বিষয় নিয়ে। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে তাই বেশি কিছু বলব না। বলব শুধু যখন দেখি অনেক আন্দোলনকারী রাজিবের জানাজা পড়াতে তারা শাহবাগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাদের জন্য আফসোস হয় এবং দুঃখ হচ্ছে এটা বলতে যে আপনারাও তবে তাদের মতই ধর্মান্ধতার পরিচয় দিলেন।
একটিবার যদি ইতিবাচক ভাবে ভাবেন তাহলে বুঝতে পারবেন। আরে ভাই কয়টা নাস্তিকের সারা জনমের ভাগ্য হয় যে জানাজা পড়ানোর ? তাও এত মানুষের? ১ বার না বরং ২ বার ? এটাকে এভাবে দেখুন যে হয়ত এটা আল্লাহর একটা নিদর্শন নাস্তিকদের জন্য। এটা হয়ত ছিল তার তাকদীরে? তা না হলে একটা নাস্তিকের জানাজায় কিভাবে এত মানুষ হয় যদি আল্লাহর ইশারা না থাকত ? হয়ত সে নাস্তিক ছিল কিন্তু তাকে নির্মম ভাবে ৭ বার কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আর তাই হত আল্লাহ তার তকদিরে এটা রেখেছে। নিশ্চই আল্লাস সবিশেষ অবহিত। আমি জানি না কিন্তু এটা নিয়ে যারা বিতর্ক করে আন্দোলন থেকে সরে এল তাদের সিদ্ধান্ত এবং চিন্তায় গলদ আছে।
পবিত্র কুরানে আল্লাহ বলেছেন-
"যদি কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় তাহলে সেই ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয় এবং তার পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহ হত্যাকারীর উপরে বর্তাবে এবং নিশ্চই সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুক যদি আমি ভুল কিছু বলি কিন্তু এতটুকু জানি যে ধর্মান্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে যে আন্দোলনে নেমেছি তা শুধু একজন নাস্তিকের জানাজা পড়ানোতে ভেস্তে যেতে পারে না।
আর একটি ব্যাপার অনেকে বলেন। এটা আরো বড় ধর্মান্ধতার পরিচয় বলে আমি মনে করি। অনেকে বলেছেন- হিন্দু , বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিয়ে কিভাবে জানাজা হয় ?
আমি জানি না সেই সমাবেশে কোনো হিন্দু বা অন্য ধর্মের কেউ জানাযায় দাড়িয়েছিল কিনা। কিন্তু যদি দাড়িয়েও থাকে তাহলে তো সেটা আমাদের মুসলমানদের জন্য গর্ব! এভাবে কেন দেখেন না আপনারা যে একটা হিন্দু আল্লাহর কাছে প্রাথর্না করছে , সে তো আর জানত তা যে মৃত ব্যক্তি আস্তিক না নাস্তিক। সেসব চিন্তা না করে সে অন্য ধর্মের হয়েও মুসলমানের সাথে নামাজ পড়তে দাড়িয়ে গেছে। আর এটা নিয়ে ধর্মান্ধরা কাদা মারামারি করে। হায়রে মুসলমান ! অন্য ধর্মের কেউ তোমার কুরআন পড়লে, কথায় কথায় ইনশাল্লাহ আর ভগবান না বলে আল্লাহ বললে তোমাদের ভাল লাগে অথচ জানাজায় দাড়াইলে তোমাদের যত আপত্তি ! আসলে ছাগুদের খপ্পরে পড়ে শেষ পর্যন্ত নিজের মগজটাই তোমাদের ছাগুদের মতই হয়ে গেছে আর তাই তাদের প্ররোচনায় ফাদে পা দিলা !
আর পুরুষের সাথে নাকি নারী ছিল তাই জানাজা হবে না !! নারী তো আর জানাজায় অংশগ্রহণ করে নাই, তাদের উপস্থিতি ছিল সেই ময়দানে আর এতে জানাজা হবে না এটা কোথায় লিখা আছে শুনি ? মন গড়া ফতোয়া কাদের সিদ্দিকীর মত? ওই লোক তো এক মুখে দু'কথা বলে।এই লোকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এপিক যে কথাটি সাজে তা হল: ( 'একজন রাজাকার সবসময়ই রাজাকার কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়'- হুমায়ুন আজাদ)
আর একটি ব্যাপার বুঝলাম না ! সবাই বলছেন ৩ তাকবির ৩ তাকবির ! সবাই কি কাদের সিদ্দিকীর কথায় কান দিয়ে বসে আছে নাকি ? আরে ভাই আজকাল ফেসবুকে কতকিছু অপপ্রচারিত হয়।আমাদের উচিত যাচাই করে দেখা। এ লিংক এ দেখুন কয় তাকবির দিল !
https://www.youtube.com/watch?v=CZGXOkHmfE0
যে জানাজা পড়িয়েছে সে একজন ড: এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম। তার থেকে কি ছাগুদের জ্ঞান বেশি হয়ে গিয়েছে ? না আমার আপনার ? তাই যারা এসব কে ইস্যু বানিয়ে আন্দোলন পন্ড করতে চাইছে বা সরে এসেছে তারা শিবির এর অপপ্রচারে পা দিয়েয়্ছে।
তাই সবশেষে বলব ধর্মান্ধতা নিপাত যাক কারণ ধর্মান্ধতা সমাজে নাস্তিকতার জন্ম দেয়।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: ওলাইকুমাস সালাম
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
আহলান বলেছেন: জানাজায় অনেক মানুষ আসে নাই, অনেক আগে থেকে বসে থাকা মানুষের মাঝে তার লাশ আনা হয়েছে। জানাজার নামাজ পড়া হয় ৪ তকবির দিয়ে। তার টা পড়া হয়েছে তিন তকবিরে। নারী পুরুষ পাক পবিত্রতার তোয়াক্কা না করে এক সারিতে সব দাড়ালেই যদি জানাজা আদায় হতো , তাহলে তো হৈছিলোই। .....
এবার আসল কথায় আসি। রাস্তায় আপনি ও কুকুর পাশাপশি হাটতেই পারেন। কিন্তু কুকুর যদি আপনাকে আক্রমন করে, তবেই বাধবে সমস্যা। তেমন আস্তিক নাস্তিক সমাজে সহাবস্থান করুক, সমস্যা নাই, কিন্তু নস্তিক্যের কারনে আপনি আল্লাহ, রাসুল সব কিছুকে নোংরা ভাষায় আক্রমন করবেন, সেটা তো সবাই সহ্য করবে না ...
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: একই কথা আমিও বলেছি যে নাস্তিকতা কেউ সহ্য করে না। কিন্তু আজ যখন সে মারা গিয়েছে তখন এসব তুলে আন্দোলনের ১২ তা বাজিয়ে লাভ কি ? জীবিত থাকতে করতে পারল না এই আন্দোলন ? আর কিছু কিছু খবরে তো দেখাইল ২ তাকবীরে শেষ করসে ! আসলেই কি তাই ? হয়ত পুরো অংশ দেখানো হয় নাই।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: আর আপনি বললেন ৩ তাকবীরে নামাজ পড়া হয়েছে। কোথায় পেলেন ? বোধহয় কাদের সিদ্দিকী বলেছে আর আপনি বিশ্বাস করে বসে আছেন !! এই লিঙ্ক এ ভাল করে দেখে নিন কয় তাকবীরে নমাজ পড়া হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=CZGXOkHmfE0
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
ডা. হাসান বলেছেন: apnar moto low quality lekha pore somoy nosto hoy bole ami samu te kom ashi,ki sob jukti den vai ei gula
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: আমার লিখা নীচু শ্রেনীর মনে হলে আপনি এর থেকে দূরে থাকতে পারেন। আপনার আস্তিকতা যদি আপনাকে সঠিক পথে রাখে তবে সেটা অবশ্যি আপনার জন্য উত্তম।আর আমি কোনো মন গড়া যুক্তি দেই নাই। আল্লাহ যা বলেছেন তাই লিখেছি।আর আপনার কাছেও যদি যুক্তি থাকে তো দিন না ! ধন্যবাদ
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নাস্তিকান্ধদের ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: বুঝলাম না ! আপনি নাস্তিক বান্ধব বুঝতে চেয়েছেন ? যদি তাই হই তবে নাস্তিক দের ব্যাপারে যা লিখেছি নাস্তিক বান্ধবদের ক্ষেত্রেও তাই।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ধর্মান্ধতাকে ঘৃণা করি, উগ্র নাস্তিকতাকেও ঘৃণা করি। উভয়ই ক্ষতিকর!
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: যথার্ত
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধর্মান্ধতা সমাজের অনেক বড় শত্রু।তারচেয়ে বড় শত্রু এই নাস্তিক নামধারী ইসলাম বিরোধীগুলো।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: এই নাস্তিক নামধারী ইসলামী বিরোধী দলগুলোর জন্মের কারণ ধর্মান্ধতা !
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
অামিও সুখী বলেছেন: ami dormaonddo buji na, kaw ke aktu bolben ki korle dormonddo ta dur hoy ???????
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আপনি একজন " নাস্তিকান্ধ "র নাম দেখান যিনি আপনার এবং আপনার দেশের প্রত্যক্ষ ক্ষতি করেছে ,ব্যক্তিগত কারণ ছাড়া ।
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: @*কুনোব্যাঙ*
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নাস্তিকান্ধ বলতে আসলে আমি বুঝাতে চেয়েছি নাস্তিকতা চর্চার নামে যারা যাচ্ছেতাই নোংরামী করে বেড়ায়। যার প্রত্যক্ষ ফলাফল এই সময়ে মাঠ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে। এখন তাদের নাস্তিকান্ধ বলার কারণ, ধর্মান্ধরা যেমন অধিকাংশই শুনে শুনে ধার্মিক তেমনি এই নাস্তিকান্ধরাও শুনে শুনে নাস্তিক। শুনে শুনে নাস্তিক হওয়াতেও আপত্তি নাই কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন তারা নাস্তিকতা প্রচারে ব্যাস্ত থাকে। স্রষ্টার অস্তিত্ব, আত্নার অমরত্ব বা ইচ্ছার স্বাধীনতা যে তিনটি বেসিক জিনিষের উপর চলমান ধর্মগুলো দাঁড়িয়ে আছে তাদের ব্যাপারে এই নাস্তিকান্ধদের ধারনা কতটুকু আছে তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ হয়। স্পেস এন্ড টাইম, কজ এন্ড ইফেক্ট ইত্যাদির পরষ্পর বিরোধী মতবাদ গুলোর কথা নাহয় বাদই দিলাম। আজ পরিস্থিতির বিচারে নাস্তিকতার পক্ষে যে সাফাই গাইতে হচ্ছে তার কারণও কিন্তু সেই নাস্তিকান্ধরাই। ইন্টারনেটে নাস্তিকতা বিষয়ক বা ধর্মের অসাড়াতা বিষয়ক যেসব মুক্ত এবং যৌক্তিক আলোচনা হয়েছে সেগুলো কিন্তু মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ফোকাস করেনি কারণ সেগুলো দিয়ে উন্মাদনা ছড়ানো যেত না। এবং ভার্চুয়াল জগতে সেসব নিয়ে উন্মাদনা তৈরী হতে দেখিনি (বিতর্ক হয়েছে)। তারা যেগুলো প্রকাশ করেছে সেগুলো সেই ধর্মান্ধদের মতই উগ্র। ফ্যাক্টটা এখানেই। এদের উন্মাদনা দেখলে মনেহয় মেজরিটি পেলে এরাও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের মত "জামাতে নাস্তিকী" বা "নাস্তিক সেনা" নামে সংগঠন খুলে বসবে!!!
যাই কিছু হোক, আদর্শিক অবস্থান যাই হোক সবার আগে মানুষের সৌহার্দ্য সুন্দর সামাজিক ঐক্য একটি সুন্দর সমাজ। অল ইনফরমেশন নট ফর অল। অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছু বিষয়ের প্রক্রিয়া হতে হয় ধীর। তা নইলে তা বিপরীত ফল আনতে পারে।
@সিদ্ধার্থ
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ নাস্তিকরাই এই নাস্তিকতা কে একটা ফ্যাশনের লোগো ভেবে বসে আছে আর নিজেদের মুক্তমনা ভাবছে! হাস্যকর ব্যাপার হল এরা নিজেদের মুক্তমনা বলে আবার অন্যের বিশ্বাস নিয়ে গালিগালাজ ও করে ! বুঝলাম ঠিক আসলে এটা কেমন মুক্তমনা !! হয়ত এটাই একধরনের মুক্তমনান্ধ !!!
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
নাজমুল হাসান তারেক বলেছেন: ভাই SS, কিছু প্রশ্ন। Just জানার জন্য।
১। আস্তিক ও নাস্তিক কাকে বলে?
২। "আস্তিক হতে হলে আগে নাস্তিক হতে হবে ! কারণ খাটি আস্তিক হবার পূর্ব শর্তই নাস্তিক হওয়া।" কথাটির রেফারেন্স দেবেন কি?
৩। একজন লোক নাস্তিক হতেই পারে তাই বলে কি সে অন্যের ধর্মকে আঘাত করতে পারে? আর যদি করে তাহলে আমাদের কি করনীয়?
৪। আমার মনে হয় রাজীবের নাস্তিকতা বা জানাজার কারণে কেউ আন্দোলন থেকে সরে আসেনি বরং তার জানাজ পড়া বা না পড়া নিয়ে মতবেদ তৈরি হয়েছিল। আপনি কি বলেন?
৫। একজন বিধর্মী মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত সে কি জানাজা পড়তে পারবে?
৬। জানাজার নামাজ কি লাশ সামনে রেখে পড়া হয় নাকি লাশ কে চারদিক থেকে ঘিরে জানাজা পড়া হয়?
৭। জানাজার নামাজ তো যে কেউই পড়াতে পারে এজন্য কি তাকে ড. ডিগ্রীধারী বা জ্ঞানী হতে হবে?
৮। একজন ব্যক্তি হুজুগে বাঙ্গালী হয়ে হুজুগে ধর্মান্ধদের সমালোচনা করে কি করে? কোনটি খারাপ? নাকি দুটোই?
৯। আন্দোলনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ধর্মান্ধরা নিপাত যাক এর সাথে কি বলতে পারি হুজুগে বাঙ্গালীরা নিপাত যাক?
১০। ধর্ম এবং দেশ সাংঘর্ষিক নয়। সেক্ষেত্রে আমদের কি দেশের স্বার্থ আদায়ের ক্ষেত্রে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে (সহবস্থান) আগানো উচিত নয়?
(শুধু এতটুকু বুঝি, আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। অপপ্রচারে সারা দিয়ে কোন দলের ব্যানারে নয়, হুজুগে বাঙ্গালী হয়ে নয়, হুজুগে ধর্মান্ধ হয়ে নয়। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত, নাস্তিকতা, স্বার্থন্বেষী, বেহায়াপনাকে যেমন ঘৃণা করি ঠিক তেমনি মানুষ হত্যা, মসজিদ, পতাকা, শহীদ মিনারের প্রতি অবমাননা, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা, বিশৃংখলা/ফাসাদ সৃষ্টিকারী বর্বরদেরও ঘৃণা করি।)
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: ১) আপাতত গুগল সার্চ করতেই থাকুন। তাতে আপনার যা মনে হয় হবে।আমার এই পোস্ট এর সাথে এই প্রশ্নের উত্তর প্রাসঙ্গিক নয়। নাকি আপনা আমাকে আল্লামা ভাবেন যেরকম ছাগুরা ভাবে সাইদী কে ?
২)এই কথাটি এখানে কোনখানে বলা হয় নাই। তারপর আপনি যেহেতু ফেসবুক কে টেনে এনে ব্লগে নিয়ে এলেন তাই এতটুকু বলব যে এই কথার রেফারেন্স কালেমাতেই আছে !! কিভাবে ? তা আপনি নিজেই ভাবতে থাকুন।নিশ্চই আল্লাহ চিন্তাশীলদের অধিক পছন্দ করেন।
৩) এর উত্তর উপরেই আছে। এটা কি উচিত এবং না হলে কি করনীয়। আরেকবার দেখে নিবেন।
৪)ওই একই কথা।ঘুরে ফিরে বটরতল ! সবই জানাজার কারণ নিয়ে।
৫) এখানে বিধর্মী জানাজা পড়েছে কিনা সে ব্যাপারে আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন ? আর বিধর্মী যদি জানাজা তে দাড়িয়েই যাই তবে সে ক্ষেত্রে কি জানাজা কবুল হবে না ? না হলে কেন হবে না? অনুগ্রহ করে রেফারেন্স দিবেন।
৬)একটি লিংক দিয়েছি উপরে। দেখে নিন কিভাবে জানাজা পরানো হয়েছে লাশের সামনে যারা ছিল তারা বাদ পরেছে।
৭)অবশ্যই না। জানাজা কিভাবে পড়াতে হয় সেটা জানলেই হবে। তাই যিনি জানাজা পড়িয়েছেন নিশ্চই কিভাবে পড়াতে হয় সেটা জেনেই পড়িয়েছেন।
৮)হুজুগে বাঙালি আর হুজুগে ধর্মান্ধ এক জিনিষ নয়। এর থেকে বড় কথা হল হুজুগে কেউ ধর্মান্ধ হয় না !! জ্ঞানের এবং চিন্তাশক্তির অভাব থেকে হয়।
৯)ধর্মান্ধরা নিপাত যাক আমি বলি নি। বলেছি ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
১০) ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা রেখে কি কেউ আগাচ্ছে ? আর এখানে যুদ্ধ দেশ নিয়ে; ধর্ম নিয়ে নয়। ধর্ম যার যার- রাষ্ট্র সবার।
পরিশেষে আমরা সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।আসুননা সেই প্রার্থনা করি স্রষ্টার কাছে।লক্ষ্য যদি থাকে অটুট তবে এড়িয়ে যায় সকল অপপ্রচার, মোকাবেলা করি সহিংসতা।
জয় বাংলা।
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭
রুদ্র মানব বলেছেন: নাস্তিক ও উগ্র ধর্মান্ধ উভয় নিপাত যাক । আপনার যুক্তিগুলো বেশ গুছালো বলে বলে ভাল লাগলো
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
বোকামন বলেছেন: সম্মানিত লেখক,
“ধর্মান্ধতা সমাজে নাস্তিকতার জন্ম দেয়।” খুবই খাটি কথা .....
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন
আস সালামু আলাইকুম