![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্তর্জাতিক মিডিয়া তে এতদিন আমরা শুধু আমাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ দেখেছি। আসুন কিছু ইতিবাচক সংবাদ জেনে নেই।
‘কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার রায় প্রত্যাখ্যান করে গণবিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারে লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। আবার সরকার পরিবর্তন হলে বন্দী যুদ্ধাপরাধীরা প্রায় নিশ্চিতভাবেই ক্ষমা পেয়ে যাবেন। অতীতেও তা-ই হয়েছে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির আদেশের দাবি উঠেছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিবর্তন করা সাধারণত কোনো রাজনীতিকের পক্ষে সম্ভব হয় না।
- ১৯ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ঔপন্যাসিক ও কলাম লেখক ফিলিপ হেনশারের নিবন্ধ ‘দি ওয়ার বাংলাদেশ ক্যান নেভার ফরগেট’।
ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন আসলে হতাশারই প্রতিফলন। এই বিক্ষোভকারীরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। বিচার-প্রক্রিয়ায় রাজনীতিকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রভাব তাঁরা আগে অনেকবার দেখেছেন। তাঁরা জানেন, এই বিচার কার্যক্রম বন্ধও হয়ে যেতে পারে।...ইতিহাসের নিকৃষ্টতম যুদ্ধাপরাধীদের কয়েকজনের বিচার কখনোই হবে না এবং তাঁদের নিকৃষ্টতম দোসররাও কেবল দু-এক বছর কারাভোগ করবেন—এ ভাবনা থেকেই বিক্ষোভকারীদের হতাশা বেড়েছে।
- লন্ডনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট
‘১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সহিংস ঘটনার মুখোমুখি এখন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে আদালত শাস্তি দেওয়ায় দলটি সহিংসতা শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশও তাদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। আর দেশকে আরও সন্ত্রস্ত করে তুলতে ইসলামপন্থীদের পাশাপাশি তাদের মিত্র দলগুলো দেশজুড়ে হরতাল দিচ্ছে।’
-- যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল 4th march
তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশিরা ভয়ে লেজ গুটিয়ে বসে থাকেনি। দেশটির দ্রুত বিকাশমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী জামায়াতের এই মৌলবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তারা বিচার চাচ্ছে ৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের বিরুদ্ধাচারণ করে হত্যাযজ্ঞে অংশ নেওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসরদের, যাদের অনেকেই জামায়াতের সদস্য।’
--যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ( 4th march)
‘জামায়াত কখনোই ভোটের রাজনীতিতে বড় দল নয়। তারা নিয়মিতভাবে মাত্র ৪ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়ে থাকে। তবে বিএনপির সঙ্গে জোট করে তারা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোট জয়লাভ করার পর দলটি মন্ত্রিসভায়ও স্থান করে নেয়। এ ছাড়া যদিও জামায়াতের সহিংস ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইতিহাস রয়েছে, তার পরও দলটি দেশের দরিদ্র লোকজনের প্রতি মনোনিবেশ করে একটি অনুগত ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছে। দলটি অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও শত শত মাদ্রাসা পরিচালনা করে। তারা বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আনুগত্য অর্জন করেছে। এমনকি সরকারের প্রথাগত দুর্নীতিপ্রবণ অবস্থার মধ্যে সত্ ব্যবহারের মাধ্যমে দলটি তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যেও সুনাম অর্জন করেছে।’
-- দৈনিক ওয়াশিংটন ( ‘ফাইrchন ফর ফিউচার অব বাংলাদেশ প্লেইজ আউট অন স্ট্রিটস অ্যাজ ভায়োলেন্স রিফ্লেক্টস পলিটিক্যাল ম্যানুভ্যারিং’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন) 7th march
‘ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন, তাঁরা তাঁর ফাঁসির দাবি জানান। সেই তারিখ থেকে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করে অসাম্প্রদায়িক জাতিগঠনের পক্ষের শক্তি ও ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শক্তির মধ্যে এক অস্বস্তিকর স্থিতাবস্থা। এই অবস্থার মুখে শাহবাগ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কঠিন অধ্যায়ের একটি যৌক্তিক, বিচারিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরিসমাপ্তি টেনে দিতে উদ্যত হয়েছে।
---- হিন্দুস্তান টাইমস-‘কিপিং দ্য ফেইথ’শিরোনামে 5th march
দলের নায়েবে আমির সাঈদীর মুক্তির দাবিতে এদিনও সকাল থেকে হরতালের ডাক দিয়েছিল জামায়াত। কিন্তু কোথাও তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। হরতালকারীদেরও কোথাও সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।...দুপুরে রায় ঘোষণার পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন মানুষ। স্কুল-কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে এসে “জয় বাংলা” ধ্বনি দিতে থাকে। শাহবাগের তরুণেরা আন্দোলনের জয়ধ্বনি দেন।... কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকার নামার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। উল্লাসের বাংলাদেশ পরিণত হয় সন্ত্রাসের বাংলাদেশে।’
---দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় ১ মার্চ ‘ফাঁসির রায়ে তপ্ত বাংলাদেশ, নিহত ৪৪’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে
‘জামায়াত যে আচরণ করছে, তা যতটা না রাজনৈতিক দলের মতো, তার চেয়ে বেশি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মতো। তারা শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে হামলা করছে, পুলিশকে আক্রমণ করছে। ঝিনাইদহে একজন পুলিশ সদস্যকে খুন করার পর তার চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের অদূরে পুলিশের ১৯ সদস্যকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে পুলিশের এক সদস্যকে। শিবির সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয় সাঈদীর মুখ চাঁদে দেখা যাচ্ছে। এই গুজব ছড়ানো হয় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে এটা বিশ্বাস করানোর জন্য যে, সাঈদী নির্দোষ। চাঁদে তাঁর মুখ দেখা এটারই প্রমাণ। এই গুজব ছড়িয়ে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
--- লন্ডনের দি ইকোনমিস্ট ৯ মার্চ
‘জামায়াত প্রথম থেকেই শাহবাগ আন্দোলনকে ইসলামবিরোধী এবং অংশগ্রহণকারীদের অনুভূতিকে ধর্মদ্রোহ হিসেবে চিত্রায়িত করতে জোর প্রচেষ্টা চালালেও বাংলাদেশিরা ইসলামপন্থীদের এই সংকীর্ণ মানসিকতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরে দলটির আরেক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিলে দলটি সব ধরনের সহিংসতা ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শাহবাগের তরুণেরা তাদের দাবির প্রতি অটল থেকে জামায়াতের ইসলামি দেশ গড়ার উচ্চাভিলাষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কথা বলা অব্যাহত রেখেছে।’
----দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
‘তিউনিসিয়া, লিবিয়া ও মিসরের গণঅভ্যুত্থানের মতো সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন করছেন না শাহবাগের তরুণেরা। শাহবাগ আন্দোলন ইসলামি রাজনীতিকে একটা বাক্সের মধ্যে ভরে সেই বাক্স বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার আন্দোলন। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলনকারী, উদারপন্থী ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের “ধর্ম-বিদ্বেষী”, “ইসলাম-বিদ্বেষী” হিসেবে তুলে ধরার জামায়াতি কৌশলের ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যপট বদলে গিয়েছে। “ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম ধর্মীয় মৌলবাদের” লড়াইকে রূপ দেওয়া হয়েছে “নাস্তিক বনাম মুসলমানের” লড়াই হিসেবে।
----হিন্দুস্তান টাইমস
‘এই অবস্থায় বাংলাদশ সরকার ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পশ্চিমারা আরব বিশ্ব ও পাকিস্তানের নিপীড়িত মধ্যপন্থীদের সহায়তায় খুব সামান্যই কাজ করেছে। তবে বাংলাদেশ হচ্ছে এমনই একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যেখানে মূলধারার লোকজন একটি মধ্যপন্থী রাজনীতির জন্য সোচ্চার হচ্ছে। জামায়াতের মতো গোষ্ঠীগুলো সহিংসতার হুমকি দিয়ে গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রাখবে—এটা হতে দেওয়া যায় না।’
---দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-
‘পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম ইতিহাসের শুধু কিম্ভূত কেরিক্যাচারই দেখে এসেছে, তাই তাদের পক্ষে ১৯৭১ সালকে বোঝা অসম্ভব। কিন্তু আমি কী করে তাদের দোষ দেব? আমরা যারা গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বড় হয়েছি, আমরা মনেপ্রাণে জানতাম যে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলে একটা দেশ হয়েছিল বটে, কিন্তু সেটা কোনো জাতি হয়ে ওঠেনি। পাকিস্তানে আজকের তরুণ প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারবে না, সেই সময় পশ্চিম পাকিস্তানিদের মধ্যে বাঙালি-বিদ্বেষ ছিল কত ব্যাপক। গভীর লজ্জার সঙ্গে আমি নিজেও আজ স্বীকার করি, ছোট্ট অবুঝ বালক বয়সে আমিও অস্বস্তি বোধ করতাম বাঙালিদের দেখে; ভাবতাম, এই ছোট ছোট, কালো মানুষগুলো আমার দেশের লোক হয় কী করে! আমরা এমনই এক বিভ্রমের শিকার ছিলাম যে মনে করতাম, ভালো মুসলমান আর পাকিস্তানিরা সবাই হবে লম্বা-চওড়া, সুন্দর, তারা কথা বলবে চোস্ত উর্দুতে। রেডিও পাকিস্তানে যখন বাংলা সংবাদ পড়া হতো, অদ্ভুত উচ্চারণের ভাষাটি শুনে আমার স্কুলমেটদের কেউ কেউ হাসাহাসি করত।’
‘ইতিহাস উল্টানো যায় না, কিন্তু এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। বাংলাদেশের এই দাবি সঠিক যে, পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা এ যাবত্ ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছি। আসুন, এখন আমরা বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাই; আমাদের দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচনা করি
---ইসলামাবাদের কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ও কলাম লেখক পারভেজ হুদভ( পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করে)
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চ, আন্দোলনে যা পেলাম।
পড়ুন
Click This Link