![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" এপ্রিল ফুল বা অল ফুলস ডে " সামনেই আসছে আর তা নিয়ে ফেইসবুক এ আজকে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গবেষণা ! এটা কি আদৌ ইসলাম সম্মত নাকি নয় ? এটা কি হারাম নাকি হালাল !! এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা , বিভিন্ন ফতোয়া !! যারা এই দিনটা মজা করে পালন করছে তাদের কে সতর্ক করা হচ্ছে বিভিন্ন পেইজ থেকে !
এই দিনের ব্যাপারে একটা ঘটনা বিভিন্ন পেইজ এ দেয়া হচ্ছে যে ৫০০ বছর আগে কিভাবে খ্রিস্টান রা মুসলিমদের বোকা বানিয়ে তাদের স্পেন থেকে পরাজিত করে এবং অনেক মুসলিম মেরে ফেলে !
এখন থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে স্পেন ছিল মুসলিমদের দেশ । এই দেশটি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রনে ছিল প্রায় আট শত বছর । ক্রসেডরা দীর্ঘ
দিন ধরে স্পেনকে নিজেদের দখলের নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এজন্য তারা ধর্ম যুদ্ধের নামে বিভিন্ন সময় স্পেনে আক্রমন করত । কিন্তু স্পেনের মুসলিমদের সাথে যুদ্ধকরে তারা বরাবরই
পরাজিত হত । মুসলিমরা এই দেশটাকে এতটাই আধুনিক ভাবে সাজিয়ে ছিল যা ছিল সত্যিই
অসাধারন । আজও স্পেনের সেই শহরগুলো এক একটি অপূর্ব ঐতিহাসিক নিদর্শন । যা মানুষকে এখনও মুগ্ধ করে । মুসলিমরা ভালই ছিল স্পেনে । কিন্তু একটা পর্য়ায়ে মুসলিমরা ইসলাম হতে দুরে সরে যেতে লাগল । তার ইসলাম প্রচার প্রসার ও ইসলাম ধর্ম পালনের প্রতি অনিহা বাড়তে লাগল এবং তারা দুনিয়া মুখি হয়ে গেল । এবং এক পর্যায়ে মুসলিমদের ঈমানের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ল । ঠিক এমন এক সময় খ্রিষ্টানরা মুসলিমদের উপর আবারও আক্রমন করল । যদিও কিছু মুসলিম বীর ও তাদের সাথীরা চরম ভাবে আক্রমনকে প্রতিহত করল এবং ক্রসেড বাহিনীকে প্রায় পরাজিত করে ফেলেছিল।কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না । এক্ষেত্রে খ্রিষ্টানরা (ক্রসেড) মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করল । তারা প্রচার করতে লাগল যে স্পেইন এখন তাদের দখলে ।
এবং তারা ঘোষনা দিয়ে দিল যে সকল মুসলিমরা মসজিদে আশ্রয় নিবে এবং সমুদ্র গামী জাহাজে আশ্রয় নিবে তারা নিরাপদ । দুর্বল
ইমানের মুসলিমরা শত্রুদের কথা মতো কাজ করল । তারা মসজিদ ও জাহাজে আশ্রয় নিল । পরে ক্রসেড বাহিনী সকল মসজিদকে তালা বদ্ধ করল, এই বলে যাতে মুসলিমরা নিরাপদে থাকে ।
পরে তারা সকল মসজিদ গুলোতে আগুন ধরিয়ে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করল । আর জাহাজ গুলোকে তারা ডুবিয়ে দিল । এভাবে স্পেন
থেকে মুসলিমদের পরাজিত করল । এবং সেখানে এমন একজন মুসলিমও ছিল না যে কিনা আযান দিবে । বিগত ৫০০ বছর স্পেনে কোন আজান হয়নি । মাত্র বছর ০২ আগে আযানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে । আর এভাবে এপ্রিল মাসে মুসলিমদের বোকা বানিয়ে পরাজিত করেছিল । মুসলিমদের এই পরাজয়কে স্বরন করে খ্রিষ্টানরা এপ্রিল ফুল পালন করে থাকে । এবং বলা হয় ১৪৯২ সালের ১ লা এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা সবকিছুই ঠিক , সালটা ১৪৯২ ছিল কিন্তু সেটা ছিল জানুয়ারির ২ তারিখ। ইতিহাসবিদরা সেটাই বলে এবং এটাই স্বীকৃত। এছাড়া মুসলিমদের অনেক বছরের শাষনের এর পতন এ যে বোকা বানানোর গল্প প্রচার করা হয়ে থাকে সেই গল্পের কোনো সত্যতা আমি পাই নাই। যুদ্ধ হয়েছিল ঠিক কিন্তু বোকা বানিয়ে লক্ষাধিক মানুষকে মসজিদে আর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া গল্পের সত্যতা নেই। কারো জানা থাকলে জানাবেন। স্পেন এ সেই দিনগুলোর যুদ্ধ "গ্রানাডা যুদ্ধ " নাম পরিচিত। এই ব্যাপারে বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন লিঙ্কে।
আমি ইন্টারনেট ঘেঁটে Britanica Encyclopedia থেকে যা পাইলাম-
"ইরানে পার্সি ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষের ১৩তম দিনে আনন্দ মজা করা হয়। এই দিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিল ও ২রা এপ্রিল সদৃশ্য। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল ডে'র সুচনা হয়। ঐ ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিলের পরিবর্তে ১লা জানুয়ারীকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কিছু লোক তার বিরোধিতা করে। যারা পুরনো ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ১লা এপ্রিলকেই নববর্ষের ১ম দিন ধরে দিন গণনা করে আসছিল, তাদেরকে প্রতি বছর ১লা এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হতো। ফ্রান্সে পয়সন দ্য আভ্রিল(poisson d'avril) পালিত হয় এবং এর সাথে সম্পর্ক আছে মাছের। এপ্রিলের শুরুর দিকে ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয়। এই শিশু মাছগুলোকে সহজে বোকা বানিয়ে ধরা যায়। সেজন্য তারা ১ এপ্রিল পালন করে পয়সন দ্য এভ্রিল অর্থাৎ এপ্রিলের মাছ। সে দিন বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের পিঠে কাগজের মাছ ঝুলিয়ে দেয় তাদের অজান্তে। যখন অন্যরা দেখে তখন বলে ওঠে পয়সন দ্য আভ্রিল বলে চিৎকার করে। কবি চসারের ক্যান্টারবারি টেইলস(১৩৯২) বইয়ের নানস প্রিস্টস টেইল এ এই দিনের কথা খুজে পাওয়া যায়।"
এছাড়াও এই দিনটি নিয়ে আরও নানা গল্প আপনি খুঁজে পেতে পারেন কিন্তু মুসলিম বোকা বানানোর যে গল্প সেটা কোথাও পেলাম না ! তবে কিছু ইস্লামিক পেইজ এবং ওয়েবসাইট আছে যেখানে এই দিনটির পিছনে এই কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। আর এর জবাবে আর একটি ইসলামিক ওয়েবসাইট ( ইসলামিক জিজ্ঞাসা নিয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট)এসব ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরোধিতা করে। লিঙ্ক নিম্ন্রুপঃ
Click This Link
আমার "এপ্রিল ফুল " নিয়ে এত চুলকানি নাই। যার ভাল লাগে মজা করবে যার বিরক্তি বা ফাউল লাগবে সে পরিহার করবে। কিন্তু দয়া করে ইসলামের নামে ভুল তথ্য দিবেন না; ভুল তথ্য গিলবেন না। আর আমাদের দেশে কেউ এটা উদযাপন করে না। বন্ধুদের মধ্যে মজা করাতেই এটি সীমাবদ্ধ। আর এসবে হালাল বা হারামের কোনো সম্পর্ক নাই। আর মুসলিমদের বোকা বানানোর গল্প সত্যি হলেও তারিখটা বানিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: সেটা প্রতিদিনের ব্যাপার , একদিনের নয়
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: cunning ar clever ek jinish na ছলনা আর বোকা দুইটা দুই কিছু বুঝায়.
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: যদি ছলনা করে থাকে তবে সেটার সত্যতা জানতে চাই।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: নিজে মজা পাইতে যদি অন্যের সাথে মিথ্য বলতে হয় তা্হলে সেটা যার যার নৈতিক ব্যাপার!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: বুঝলাম না !
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
কে. এম. মাহদী হাসান বলেছেন: সব জায়গাতেই fake islamic siteেএর বরাত দিয়া লেখা হইতেছে দেখতাছি...
হোয়াট এ লিংক......
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: http://www.answering-islam.org
এটা মূল ওয়েবসাইট
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
ফরিদ আলম বলেছেন: এই বইগুলো পড়তে পারেন-
সৈয়দ আমীর আলী: দ্য স্পিরিট অব ইসলাম অ্যান্ড সারাসিল, সম্পাদনা-মাসউদ হাসয়ান,
স্পেনে মুসলিম কীর্তি—এমদাদ আলী,
ইউরোপে ইসলাম— তালিবুল হাশেমী,অনুবাদ—আমীনুর রশীদ,
ক্রুসেডের ইতিবৃত্ত- ড. আশকার ইবনে শেখ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: তালিকার জন্য ধন্যবাদ। উপকৃত হলাম অনেক। তবে এই বইগুলোতে কি মুঅল্মান্দের সাথে ছলনা করার গল্প টি উল্লেখিত আছে ? আর মুসলমানদের পতন কবে হয় ?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
মেংগো পিপোল বলেছেন: কেনো এমন একটি দিন হতে পারেনা যে দিনটিতে কেউ কাউকে ঠকাবেনা, কেউ মিথ্যা বলবেনা, ছলনা করবেনা, এরকম একটা দিন বানানো কি খুবই কষ্টের?
View this link