![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকজন পিটুনে খেয়ে আধামরা শুয়ে আছে। আশেপাশে মানুষের ভিড় তাদের ঘিরে। কিছু বীরপুরুষ হাতে লাঠি আর গাছের ঢাল নিয়ে স্লোগান দিল জোরে-
নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর...
বলে বলে মারতে থাকল। ভেঙ্গে যেতে লাগল এক একটা হাড্ডি; হাতের, পায়ের, আঙ্গুলের, হাঁটুর, কোমর, বুকের এক একটা পাঁজর, মুখের চোয়াল আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ। মাথার একবার একপাশে পড়ল লাঠির বারি। শেষ হতে না হতেই আর এক পাশ থেকে মাথার অন্য পাশে আবার বারি। চলতেই থাকল বীরপুরুষদের হত্যাজজ্ঞ। আশেপাশের ভিড়ে সবাই দাড়িয়ে উপভোগ করছে এই দৃশ্য। এ যে লাইভ ! টিকিট কেটে হলে যাওয়া লাগছে না দেখতে !
এরপর বীরপুরুষেরা এগিয়ে গেল আর একটা পড়ে থাকা নিথর দেহের দিকে। আবার শুরু হল ধর্মীয় স্লোগান, তালে তালে চলতে থা্কল হাড্ডি ভাঙ্গার খেলা, পাঞ্জাবি টুপি পড়া একজন সেখানে এসে শামিল হল। যোগ দিল মুখ, চোখ থেতলে দেওয়ার তামাশায় !!
এভাবে চলতেই থাকল একের পর এক............
আরও শুনতে চাও? ভাল লাগছে গল্প ? এ তো গল্প না। এ হেফাজত জামাতের শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার আর হেফাজতের নমুনা। ইতিমধ্যে সবার হোম এ ভিডিও টি হয়ত চলে গিয়েছে। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না !! ৭১ এর পর মনে হয় এইরকম বর্বরতা আর হয় নাই।
একটা কুকুরকে অন্য কুকুর মারতে দেখলে সেও ঘেউ ঘেউ করে। একটা কাকের বাচ্চা রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য সব তাঁকে ঘিরে কা কা করতে থাকে যাতে কেউ সেই বাচ্চাকে আঘাত করতে না পারে। আর এখানে মানুষ মারা যেন একটা তামাশা। সবাই যেন শো দেখছিল ! হায়রে মানবতা !! সেইদিন পত্রিকায় দেখলাম এক ছাগল শাবক একটি মা কুকুরের দুধ পান করছে অন্য আর একটি কুকুর ছানার সাথে । ছবিটা দেখে ভাবছিলাম আমাদের মানুষদের অবস্থান তাহলে কোথায় গেল !!
কোথায় আসলে আমাদের অবস্থান ? কোথায় আছি আমি ? সেইদিন পহেলা বৈশাখ পালন করার আগে ঘর থেকে বের হবার সময় ভাবছিলাম আজকে কোনও বোমা ফুটবে না তো ! এখন ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে মানুষ হত্যা দেখে ভাবছি-- আচ্ছা যে ইমামের পিছনে দাড়িয়ে আমি নামায পরছি সেও কি এইরকম ? যে হুজুর বাসায় এসে কুরআন শিক্ষা দেয় সেও কি এইরকম ? আমি যে এইরকম ভাবছি সেটা কি আমার দোষ ? এর জন্য দায়ী কারা ? তাদের কে রুখে দেওয়া কি আমাদের কর্তব্য নয় ?
তাদের বিচার চাই। বিচার করা হোক এদের। আর হেদায়াত হোক তাদের অন্তরের ভিতরে যেন তারা বুঝতে পারে তারা কতটা জঘন্য কাজ করেছে আল্লাহর নাম মুখে নিয়ে।
আমার বিশ্বাস কে, আমার ধর্ম কে তারা কলুষিত করেছে, হাজার হাজার কিশোরের মন তারা কলুষিত করেছে।
কিন্তু যে শিশু আগামিকাল বড় হবে তার বিশ্বাস কে কলুষিত হতে দিব না। মানবতাবধ কে আর কলুষিত হতে দিব না। সবার সোচ্চার হওয়া উচিত যার যার অবস্থান থেকে। সেটা যদি ফেইবুক এ একটা স্ট্যাটাস দিয়েও হয় তাও উচিত। সেটাও কিন্তু কম না। আরিফ ভাই একটা স্ট্যাটাস এ প্রসঙ্গে বলেছে-
"দেশের যেকোনো সংকটে আমরা একসাথে ছিলাম।“এই সরকারের সময়েই; লীগ যখন বিশ্বজিতকে মারলো, তখন সবাই আমরা এর বিচার চেয়েছিলাম... এবং সবাই একসাথে বিচার চেয়েছিলাম দেখেই সরকার, তাদের দলীয় লোকদেরকেও গ্রেফতার করতে পিছপা হয়নি”... বা... “একটি মুসলিম গরিষ্ঠ দেশ হওয়ার পরেও, রামু ঘটনায় আমরা সবাই একসাথে জেগে উঠতে পেরেছিলাম; প্রত্যেকে, প্রত্যেকের জায়গা থেকে”... বা ... “লগি বৈঠা নিয়ে যখন তাণ্ডব শুরু হয়েছিলো, তখনও কিন্তু আমরা জেগেছিলাম। বেশ ভালো ভাবেই জেগেছিলাম... এমনকি, ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত জেগে উঠেছিলো”
আসুন জেগে উঠি। উগ্র ধর্মান্ধদের সমাজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। উগ্র নাস্তিক থেকে উগ্র ধর্মান্ধ ব্যাক্তি ক্ষতিকর। কারণ উগ্র নাস্তিক কিন্তু আপনাকে মেরে ফেলবে না ! আর যারা রাজনীতির স্বার্থে এসব করে তাদের রাজনীতিকে ধিক্কার দিয়ে বেরিয়ে আসুন। সময় এসেছে আদর্শের রাজনীতি করার। আর না ভোটের রাজনীতি।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
চোরাবালি- বলেছেন: মোল্লারা এমনই। দীর্ঘদিন তারা মার খাচ্ছে। খেয়েই যাচ্ছে। হঠাৎ আজ প্রতিবাদী হয়ে উঠল তাতে প্রাণ গেল অনেকের। মাদ্রাসায় ছাত্রদের যখন পেটাচ্ছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন, কোথায় ছিল মানবতা? কোথায় দরদ? আমাদের সমাজ সন্ত্রাসীদের মানবতার দোহায় দিয়ে লালন পালন করে বলেই পরে নিজে বিপদে পড়তে হয়। সন্ত্রাসী যেখানে সেখানে বধ করা উচতি সবার দল মত নির্বিশেষ। কারণ যে আজ অন্যের ছেলেকে পেটাচ্ছে আগামীকাল সে আপনার ছেলেকে পেটাতে পারে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: আমি তো কোন অন্যায় কে এখানে প্রশ্রয় দিয়ে কিছু লিখি নাই। বেশি উত্তেজিত হলে সমস্যা। উত্তেজিত হবেন না।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
শান্ত কুটির বলেছেন: @চোরাবালি! লেখক কিন্তু প্রত্যেকটা নৃশংসতারই প্রতিবাদ করেছেন। তো আপনার শুধু মাদ্রাসা ছাত্র দের প্রতিই কেন দরদ হলো। আপনার মনে কি একবারও ভেসে উঠেনা পুলিশকে পিটিয়ে মাথা থেতলে দেয়ার ছবি, একটা মেয়েকে রাস্তায় সাপের মত পিটিয়ে আধমরা করার ছবি, চক্ষু হারানো স্কুল গামী অসহায় মেয়েটির ছবি কিংবা আরও নাম না জানা আরও অনেকের ছবি। একজনের প্রতি দরদের জন্য অন্য নৃশংসতা গুলোর কিভাবে আপনি সাফাই গাইছেন? আপনার মানবতা কোথায়? কোথায় আপনার দরদ?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: উনি চোরাবালির মধ্যে পড়েছেন। এখন বুঝবেন না। চরাবালি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারলে তখন বুঝবেন।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫১
মুহসিন বলেছেন: প্রতিটি নৃশংসতাই নিন্দনীয়। ভিডিওটির লিংক দিলে ভালো হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
bakta বলেছেন: এসব কি বাংলাদেশেই হ্য় । কেন কোন প্রতিবাদ নেই । দাড়িয়ে দেখছে আর মজা করছে । ছি: ছি; । ছোট ছোট শিশুদের সামনে এই মারন কারবার - কি শিক্ষা দেবে সমাজ কে ? ওদের মানষিক চরিত্র গঠন করার কে দায়িত্ব নেবে ? সমাজের কাছে কারও কি দায়বদ্ধতা নাই ? জানি না এ প্রশ্নের উত্তর আছে কি না ।
মাথায় টুপি-মুখে দাড়ি । এই পিটাইকারিরা ইসলামের লজ্জা । অমানুষিক পৈশাচিক লীলাখেলায় উন্মত্ত নরকের কীটের দল । ওপরওয়ালা ওদের ক্ষমা করবেন না । জানিনা ঐ ব্যক্তি কি অপরাধ করেছিল - তবু তার শাস্তি এরকম হতে পারে না । মানুষ কোন শাস্তি দাতা হতে পারে না ।
ঘটনাটি আজিকার হউক আর কালিকার হউক - উহাতে স্পষ্ট যে কিয়ৎ নরপশু - এক অসহায়ের উপর পাশবিক ক্রিয়ার রত ও উল্লাসিত ।
এ কোন সভ্যতায় বসবাস করছি ? কোন মানুষ এ ভাবে জনসমক্ষে কোন মানুষ কে পিটিয়ে মারতে পারে ? অপরাধ যা ই করুক - পিটিয়ে মারার কোন ক্ষমতা- অধিকার কারো'র নাই। তার জন্য আইন-আদালত আছে। সর্বোচ্চ বিচারালয় আছে - খোদার আদালত । তুমি তার বিচার করার কে হে ?
ভাত দেবার ভাতার নয় - কিল মারার চাচা " -
এখানে এক অসহায় কে পিটিয়ে মেরে ক্ষমতা কা্য়েম করছে - নিজেদের সমাজে প্রতিস্ঠা করছে -
কোন মানুষ কোন পশুকে এমন ভাবে মারে না - সেখানে এতগুলি মানুষ এক মানুষকে মারছে কোন প্রতিবাদ নাই । লেখক এই জিনিষটাই জনসমক্ষে তুলে ধরতে চেয়েছেন । - এতে ভিডিও নতুন - পুরানোর কোন ব্যাপার নাই । এই ভিডিও টি ফটিকছড়ির হোক বা না হোক - কোন একটা জায়গার তো বটে ।
এক অমানুষিকতার নমুনা কে জনসমক্ষে পেশ করতে গিয়ে রাজনীতির কথা - আসছে কেন ? কেউ কেউ দলের কথাও উল্লেখ করেছেন ।
ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা থেকে সকলে বিরত থাকুন - প্রতিবাদ করুন । সকলকেই ভালবাসুন - সমান চোখে দেখুন-সকলের সমানাধিকার প্রতিষ্টা করুন । তাই কবির ভাষায় বলি " ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্ন-পান" ।
চোখ বুজলেই অন্ধকার - কে কোথায় আছে, কত দুরে আছে কেমন আছে কিছুই জানতে পারবেন না - সবাই সেখানে - সমান। এইতো ব্যাপার ।
তাই রাজনৈতিক দলাদলি না করে - সকলকেই ভালবাসুন - সমান চোখে দেখুন-সবাই এগিয়ে আসুন - এ কাজে ।
চাই এদের বিচার ।
আমার তরফ থেকে ওদের জন্য রইল -চরম ঘেন্না । ঈশ্বর যেন ওদের এই শাস্তিই দেন
হে ঈশ্বর-আল্লা এদের বিচার কি হবে ???