![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা প্রশ্ন আমাদে মাঝে প্রায় আসে; বেহেস্তের ৭০ টা হুর বা পরী। আসলে কি তাই? তবে কি পুরুষ জান্নাতে গেলে ৭০ টা হুর পাবে? আর তবে সে সব স্ত্রীরা কি তা মেনে নিবে? অথবা মহিলাদের জন্য তবে কি থাকবে জান্নাতে? অথবা দুনিয়াতে যেখানে শুধু স্ত্রীর সাথে সবকিছুর অনুমতি আছে তবে কি জান্নাতে ৭০ টা হুর নিয়ে লিলা করা যাবে? এটা কি অদ্ভুত না ? এইরকম আরও নানা প্রশ্ন আমাদের আছে এই ৭০ হুর নিয়ে। এই নিয়ে ছোট একটা গবেষণা করলাম।
হুর শব্দটা "বিশেষ্য" পদ না। এটা একটা "বিশেষণ" পদ। হুর শব্দটা আসলে বহুবচন। এর একবচন দুইটি আছে। একটি হল "আহ-ওয়ার" (পুংলিঙ্গ) এবং আর একটি হল "হাওয়ার" (স্ত্রীলিঙ্গ।) অর্থাৎ হুর একটি বহুবচন শব্দ যার দুইটি একবচন আছে। এর মধ্যে একটি পুরুষদের বুঝায় এবং অন্যটি নারীদের।
আগেই বলেছি হুর শব্দটি একটি বিশেষণ। আমরা জানি বিশেষণ মানে একটা বৈশিষ্ট্য বুঝায়। এটা একটা চরিত্র। এই চরিত্র পুরুষেরও যেমন হতে পারে তেমনি নারীর ও হতে পার।
আবার আসি হুর শব্দের অর্থ কি ?
হুর শব্দটি একটা চরিত্রকে বিশেষিত করে যে চরিত্রের ডাগর এবং বড় সুন্দর দুটি চোখ আছে, ঘন কাল ভ্রু বা চোখের পাতা এবং যার শরীরের রঙ হবে উজ্জ্বল সাদা।
একিরকম আর একটি শব্দ পবিত্র কুরআনে আছে যা হল "আজয়াজে মুতাহ-হেরিন" যা সুরা বাকারার ২৫ নং আয়াতে এবং সুরা নিসার ৫৭ নং আয়াতে আছে। এই শব্দটার অর্থ হল সঙ্গী বা সাথী বা জোড়া সঙ্গী। তাই হুর এর তাৎপর্য হল স্বামী-স্ত্রীর জোড়া; অর্থাৎ জান্নাতের একজন পুরুষ বড় সুন্দর চোখের একজন সঙ্গিনী পাবে এবং একিভাবে একজন নারী বড় সুন্দর চোখের একজন সঙ্গী পাবে। আগেই বলেছি হুর একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গী বা সঙ্গিনী জান্নাতবাসীদের দেয়া হবে যারা হবে বিনয়ী এবং যাদের দৃষ্টিতে থাকবে অনেক নমনীয়তা।
এখন প্রশ্ন হল যদি একজন পুরুষের স্ত্রী থেকে থাকে এরপরেও কি তাঁকে হুর দেয়া হবে ? সেক্ষেত্রে সেই স্ত্রী থেকে কি হুরের মর্যাদা বেশি হবে ? একিভাবে একজন নারীর স্বামী থাকলে সেও কি হুর পাবে ?
এই ব্যাপারে ঘাটতে গিয়ে একদি হাদিস পেলাম। উন্মে সালমা (রাঃ তাঃ) একদিন নবী (সঃ) কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- " হে রাসুলুল্লাহ, কে বেশি মর্যাদাপূর্ণ ? এই দুনিয়ার নারীরা নাকি স্বর্গের হুর ? তখন নবীজি বললেন- দুনিয়ার নারীরা স্বর্গের হুর থেকেও বেশি মর্যাদাপূর্ণ হবে। কারণ মনুষ্য স্ত্রীরা নামায পড়ে, রোযা রাখে, দুনিয়াতে আল্লাহ্র ইবাদাত করে। তাই মনুষ্য নারী বেহেশতের হুর নারীদের থেকে বেশি মর্যাদাপূর্ণ হবে।"
এই হাদিস থেকে বুঝা যাই যে যে স্বামী-স্ত্রী বেহেস্তে যাবে তারা একে অপরের জন্য খুবই মর্যাদাপূর্ণ হবে হুর থেকেও এবং যেসব নারী বা পুরুষ অবিবাহিত অবস্থায় জান্নাতে যাবে তাদের কে হুর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গী বা সঙ্গিনী দেয়া হবে।
আসলে আমরা হুর সম্পর্কে যে নানা অদ্ভুত বিষয়গুলো জানি তার কারণ হল উর্দুতে এর ভুল অনুবাদের কারণে। এবং কুরআন শরীফের কোনখানে "৭০টা হুর" বলতে কিছু নেই। এই ৭০ সংখ্যাটি এসেছে ইবনে খাতির নামক একজন কুরআন ভাষ্যকারীর কাছ থেকে।
তবে এই হুর ব্যাপারে আর একটি মজার এবং অর্থবহ ব্যাখ্যা শুনেছিলাম একজনের কাছ থেকে। তাকে বলেছে অন্য একজন। ব্যাখ্যাটা ছিল এমন যে-
আমরা সাধারণ মানুষরা কখনও জান্নাত কেমন তা কল্পনা করার সেই শক্তি নাই। জান্নাতে কেমন সুখ তা ধারণা করার উপায় নাই। আমরা দুনিয়াতে মানুষরা সুখ বলতে সরবচ্চ যা বুঝি তা হল অর্থ এবং নারি বা পুরুষ সঙ্গ। পুরুষের খেত্রে নারী এবং নারীর খেত্রে পুরুষ। আমাদের মস্তিষ্ক এর বাহিরে সুখের বেশি কিছু কল্পনা করতে পারে না। তাই জান্নাতে বান্দাদের জন্য কেমন সুখ থাকবে তা আল্লাহ্ বুঝাতে এই হুর শব্দটা ব্যাবহার করেছেন। কারণ আল্লাহ্ জানেন মানব মনের সুখ উপলব্ধির দৌড় এতটুকুই।
২| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেছেন: শেষের ব্যাখ্যাটা দূর্দান্ত লেগেছে...।
১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: আমারও। যে বলেছে সে একটা জিনিয়াস।
৩| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
যোগী বলেছেন: যার শরীরের রঙ হবে উজ্জ্বল সাদা
ব্যাপারটা কি রেসিজম কে উষ্কে দিলনা বা ব্লাকদের হিউমিলেট করা হলনা?
আফ্রিকান ব্লাকরাও কিন্তু অনেক সুন্দর।
১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: আসলে এখানে আমার বুঝাতে ভুল হয়েছে। এটা একটা রুপক ! আমার মনে হয় পবিত্রতা বুঝানো হয়েছে এটা দিয়ে। আমরা যখন কোন দৈব অস্তিত্ব কল্পনা করি তখন যেমন সবকিছু সাদা দেখতে পাই বা চারপাশ একধরনের ঐশ্বরিক সাদা ব্যাপারটা তেমন।
৪| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
মুদ্দাকির বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল, পড়তে পারেন, "আমার মৃত্যুতেই সব শেষ"
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
আলবিরুনী বলেছেন: +++