![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলমান #বিসিএস কোটা প্রসঙ্গ নিয়ে তুমুল সমালোচনা, প্রতিবাদ, সমাবেশ এবং এসব কে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য তুলে ধরলাম।
সবাইকে পড়ার অনুরধ করছি ।
"আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অত্যান্ত অসশ্তিকর পরিস্থিতিতে এবং মনবেদানায় সময় আতিবাহিত করছি। মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করবার জন্য এবং জনগণের মুক্তির জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাছিলো। কোন পুরস্কার এর জন্য নয়। জনগনের চাইতে বেশী সুযোগ পাওয়ার জন্য নয়। কোটার জন্য নয়। কোটা আমাদের জন্য কোন পুরস্কার নয়। জনগনে্র ভালোবাসা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার। “স্বাধীন বাংলাদেশ” সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভাড়াটিয়া যোদ্ধা নই, দেশপ্রেমিক যোদ্ধা । ৩০লাখ মানুষের জীবন আর ৩ লাখ নারীর সমভ্রম এর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের সকল সন্তানদের জন্য। নতুন প্রজন্মের জন্য। মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা বিভাজন নয় । সকলের সমান অধিকার চাই। ৪২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা রাখার কোন যুক্তি নাই। প্রায় সকল যোদ্ধার সন্তানদের বয়স অতিক্রান্ত। চাকুরি বিহীন দরিদ্র জীবন যাপন করছে। সে খবর কে রাখে না মানুষ, না রাষ্ট্র!! যদি কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এখনো চাকুরি বিহীন থাকে তবে তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় চাকুরী দেয়া যায় । মুক্তিযোদ্ধার দোহিত্র এর জন্য কোটা আমি সমরথন করতে পারিনা। শহীদ পরিবারের সদস্য দের জন্য, নারীদের জন্য,আদিবাসিদের জন্য সল্প #কোটা রাখা উচিত, তবে তা সবমিলিয়ে ২০% এর বেশী নয়। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার - আলবদর বা ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অনুসারিদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এ নিষিদ্ধ দেখতে চাই।
সকল রাজনিতিবিদ, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তার কাছে আমার অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধাদের নূতন প্রজন্মের মুখোমুখি দাড় করাবেন না । ওরা আমাদের সন্তান। ওদের সম অধিকার আছে এই দেশে। তবে যারা আন্দলনের নামে ১লা বৈশাখ এর মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণে আগুন দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য । তাদের শাস্তি দাবি করছি। তারা বাঙালি সংস্ক্রিতি, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের সন্তান।
আমরা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা সকল মানুষের সমধিকার, গনতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশে বিশ্বাস করি।
জয় বাংলা ।"
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
ইট্টুস কথা বলেছেন: “স্বাধীন বাংলাদেশ” সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভাড়াটিয়া যোদ্ধা নই, দেশপ্রেমিক যোদ্ধা
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
আলস্যের আনন্দে আমি বলেছেন: ওরা কেউই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে কোন স্লোগান দেন নাই। "পিএসসির আলেগালে, জুতা মারো তালেতালে" শ্রেফ এই শ্লোগানটাকে বিকৃত করা হয়েছে। প্রায় পুরা সময়টাই আমরা ওখানে ছিলাম, আমর জানামতে এটা একটা অপপ্রচার। যদি কারো কাছে প্রুফ থাকে তো দেখান।
"কোটা বিরোধী আন্দোলন করার জন্য ৭বছর ছাত্রলীগ করা হিন্দু ছেলেকও যারা শিবির বলে, তারা মৃতকেও জীবিত বলে দাবি করতে পারে"
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০০
অসীম মুহূর্ত বলেছেন: এই অপপ্রচার নিয়ে সবার মাঝেই কম বেশি ঘোলাসা আছে। তবে চারুকারু কলার ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা,মঙ্গল শোভাযাত্রায় আগুন দেয়া, প্রজন্ম চত্বর নাম বদলে দিয়ে মেধা চত্বর নাম দিয়ে দেয়া, এগুলা কি সমর্থন যোগ্য মেধাবি দের কাছ থেকে যারা কিনা দেশের প্রতিনিধি হবে ?
আপনার মত কি এই ব্যাপারে ?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভালো পোস্ট ++++ রইল।