নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ যখন পড়ালেখা করে তখন তার ধ্যান জ্ঞান হওয়া উচিত তার পড়ালেখা, যতটুকু পড়ুক, মন দিয়ে পড়তে হবে। এমন না যে বই খুলে কবি হয়ে গেলাম আর বইয়ের দিকে কোনো ভিউ নেই, সব ভিউ কেড়ে নিয়েছে পাশের ঘরের পড়শী, তাহলেই সেরেছে, পড়ালেখা কি করে হবে, হবে না। তেমনি গানের ক্ষেত্রেও গান যখন গাইবে তখন সিরিয়াসলি গান প্রথমে শিখতে হবে তারপর গাইতে হবে, সরগম ছাড়া গান গাওয়া মানে উপরওয়ালা গলা দিয়ে থাকলে আলাদা কথা না দিয়ে থাকলে গান হবে না। সেইভাবে নাচ, খেলাধুলা আর যা যা আছে সব কিছুতেই একই বিষয়। আমি যখন স্কুলে যেতাম, ক্লাস নাইনে পড়ি তখন আকরাম খানদের দেখতাম আউটার ষ্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলছে, আমরা ভাবতাম ক্লাস ফাকি দিয়ে ভালোই তো তারা খেলছে, বুঝিনি কিছুই, তখন ক্রিকেট এতটা উন্মাদনা হয় নি। কিন্তু তারা মনোযোগ দিয়ে করে গেছে।
যেমন বডি বিল্ডিং এ নাম লিখিয়েছিলাম, কঠোর পরিশ্রম, ডামবেল আলগানো কম কথা না। তারপর একটু যখন হয়েছে মাসল অমনি শার্টের হাতা গুটিয়ে মাসেল দেখানো শুরু করে দিতাম, তাহলে আমার কি করে আর বডি বিল্ডিং হবে? মনোযোগ দিয়ে না করলে সেটা কখনও ফুলফিল হবে না। ইভেন প্রেম করতে ও মনোযোগের দরকার হয়। কিন্তু যারা প্রেম করে না। খারাপ কিছু করার মানষিকতা পোষন করেন তাদের আমি আমার লেখায় আনবো না। কেননা আমার লেখা হলো মনোযোগী মানুষের জন্য।
আমি আমার ছাত্রকে শিখাতাম ‘এইটা পেট কাটা মদ্ধিনার ষ দেখো পেট কাটা আরেকটা তেমনি আছে যেটা পেট কাটা নেই। এইভাবে শিখাতাম, কারণ আমি তখন শিক্ষক ছিলাম। তখন আমি মনোযোগী শিক্ষক।
আজ আমরা করোনা নিয়ে চিন্তিত। স্বাভাবিক। চিন্তা না করেও উপায় নেই, কিন্তু একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি, আমরা মনোযোগ দিয়ে কোন কাজটা ঠিক মতো করেছি..আমার লেখা কিন্তু সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে ঘিরে..অন্যান্য কোনো দেশকে আমি টানবো না। আমাদের দেশের মানুষের কথা আমি বলবো। আমরা সিনিয়র সিটিজেনশীপ বিষয়টা কতটুকু বুঝি? বয়স্ক অভিভাবকদের বা পড়শীদের যারা রিসপেক্ট দিয়েছেন তারা এগিয়েছেন বেশী, যে পরিবারে বয়স্কদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হবে সেই পরিবার কোনো দিনও উন্নতি লাভ করবে না, অভাব অনটন লেগেই থাকবে, কেননা উপরওয়ালা সব দেখছে, যে আমাকে জন্ম দিয়েছেন তার প্রতি আমি কতটুকু কৃতজ্ঞ সেটা উপরওয়ালা দেখছেন এবং সেইভাবে আমার বেলায় ও উপরওয়ালা আমাকে সেভাবে শাস্তি দিবেন।
আসুন একটু আলাপ করা যাক, এই যে একটা শিশু ছোটো থেকে বড় হলো বড় হয়ে বিয়ে করলো তার ঘরে সন্তান হলো তারপর কি হলো? সে বয়স্ক মানুষটি সকলের অবহেলার পাত্র হয়ে গেলো..এবং একটা সময় মরে গেলো। তারপর কান্নাকাটি। তারপর আবার ভুলে যাওয়া, আবার ধরে বাচার চেষ্টা করা..না, বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের বন্ধন গুলো এতো করুণ কেনো হলো সেটা আমি ভেবে পাচ্ছি না। বয়স্ক মানুষদের সবার আগে দরকার মেডিকেল বেক-আপ আমরা পারছি কি ঠিক মতো দিতে, আমরা খামাকাই বলছি দেশ এ পর্যায়ে এসেছে, মধ্য আয়ের দেশ হয়েছে, সব আবোল তাবোল কথা, কাজের কাজ কিছুই হয় নি, সামান্য সর্দি কাশি হলেও ঠিক মতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। তাহলে কিসের এই হাসপাতাল? মেডিসিন, ডাক্তারী বিদ্যা, কেনো এতো এতো হাসপাতাল, কোনো এত এতো আই সি ইউ? কেন? কেন?
অনেক সময় শুনতে হয় হাসপাতালের মাটিতে রোগী গড়াগড়ি খাচ্ছে শুনছি কি, নিজের চোখেই দেখছি, কেবিন না থাকার কথাও শুনতে হচ্ছে? ইভেন এমন ও শুনতে পাচ্ছি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ও রমরমা বিজনেসের গল্প। কি আজব বিষয়। মানুষ না মরে যাবে কোথায়? তাকে অক্সিজেন দিতে হলে অফর্কোস তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেটা দিতে হবে..আইসিইউ বাড়াতে হবে বৈকি? আরও আছে, সরকারী হাসপাতাল গুলোর দিকে তাকালে মুখ তেতো হয়ে যায়..কি অবস্তা করে রেখেছে, মনে হচ্ছে জাস্ট করার জন্ন করছেন। কেনো এমন হবে?
যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের কি কোনো বন্ডিং নেই? কি হবে যদি বন্ডিং না থাকে, বয়স্ক মানুষকে যদি প্রকৃত সন্মান দেওয়া না যায় তাহলে কোনোদিনও সেই জাতি ভালো জাতি হতে পারে না। সিনিয়র সিটিজেন মানেই হলো তেমন, যারা বয়স্ক, তাদের প্রায়োরিটি দিতে হবে, যেকোনো ভাবেই হউক। একজন বয়স্ক মানুষকে সন্মান না দিলে যে গুনা হয় তা কি কেউ কখনো ভেবে দেখেছে? আমরা বয়স্ক মানুষকে সন্মান দিতে তো পারিই না বরং বয়স্ক মানুষকে আমরা হেলাফেলা করি। এটা সবচাইতে বড়ো পাপ, আগে এই পাপ কমাতে হবে, দেশের নাগরিকদের মাঝে যারা বয়স্ক আছেন তাদের জন্ন প্রথমেই মেডিকেল বেক আপ তৈরী করতে হবে। আগেও বলেছিলাম আমার এক লেখায় যে আপনি যত কিছু করেন না কেনো বয়স্ক মানুষকে রিসপেক্ট করতে হবে দেন আপনি রিসপেক্ট পাবেন। একটা কথা বলার সময় আগেই হয়েছিলো যে পাপ যেমন বাপকে ছাড়ে না তেমনি পাপ ছেলেকে ও ছাড়বে না। যে যেমন করবে তাকে তেমন মূল্য দিতেই হবে। যে জাতি বয়স্কদের সন্মান করতে শিখেছে তারাই উন্নত জাতি। আমার কথা ভালো লাগলে ভালো না লাগলে ও ভালো। ধন্যবাদ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৩
সভ্য বলেছেন: নতুন ভাই, আমার মনের কথা তো বলেই দিয়েছেন, আর কি বলবো, শুভ কামনা সব সময়। পাশে চাই।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা আমার পছন্দ হয় নি।
করোনা অভিশাপ নয়। অনেকে করোনাকে আল্লাহর গজব বলে, সেটাও আমি মানতে রাজী না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৫
সভ্য বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, আপনিই বলে দেন তাহলে কি বলবেন, এটা অভিশাপ বা আল্লাহর গজবই যদি না বলবেন তাহলে আর কি বলবেন? মানুষের সৃষ্ট বলতে চান, আমি মনে করি না। তবে মানুষ চেষ্টা করছে এর থেকে পরিত্রানের, এটা কখন পরিপূর্ণ ভাবে আমরা জয় করতে পারবো তা কেউ বলতে পারবে না। আপনার কমেন্টের জন্ন ধন্নবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
নতুন বলেছেন: যেই জাতি ভন্ডামী করেছে তারদের অধপতন হয়েছে। যেই জাতি জ্ঞানী হয়েছে, বিনয়ী হয়েছে তারা উন্নতি করেছে।