নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার_ছেলে

শাহেদ সুলতান মহিউদ্দিন

জীবনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দাও।

শাহেদ সুলতান মহিউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্বোরানের আলোকে সন্তানের উপর পিতা-মাতার হক…

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

ইসলাম ধর্মে আল্লাহ একক এবং সর্বোচ্চ, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। কিন্তু তাঁর পরেই যাঁদের সবার উপরে স্থান দেয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন মাতা এবং পিতা। আমরা যারা মুসলিম, তাদের সবারই জানা থাকা উচিৎ এবিষয়ে ক্বোরানে কি বলা হয়েছে।



সুরা লোকমান, আয়াত ১৪-১৫



(১৪) আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। (১৫) পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।



সুরা আল-আনকাবুত, আয়াত ৮



(৮) আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।



সুরা আল-আহক্বাফ, আয়াত ১৫



(১৫) আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থ্যের বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম।



সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৩-২৪



(২৩) তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা। (২৪) তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছে।



সুরা আল আন-আম, আয়াত ১৫১



(১৫১) আপনি বলুনঃ এস, আমি তোমাদেরকে ঐসব বিষয় পাঠ করে শুনাই, যেগুলো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন। তা এই যে, আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না, পিতা-মাতার সাথে সদয় ব্যবহার করো স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্রের কারণে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই, নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন, তাকে হত্যা করো না; কিন্তু ন্যায়ভাবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা বুঝ।



সুরা আন নিসা, আয়াত ১



(১) হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি কর্তব্য পালন কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝ্বা করে থাক, এবং রক্তের সম্পর্ক (ছিন্ন করো না)। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।



সন্তানের উপর পিতা-মাতার হক ১৪টি



৭টি জীবদ্দশায়



০১. সন্মানঃ পিতা মাতার সম্মান ও ইজ্জত করা।



০২. মুহাব্বতঃ তাঁদের সাথে মুহাব্বত ও ভালবাসা রাখা।



০৩. ইতাআতঃ তাঁদের আদেশ পালন করা।



০৪. খিদমতঃ তাঁদের সেবা করা।



০৫. আরামের চিন্তাঃ তাঁদের আরাম ও শান্তির দিকে খেয়াল রাখা।



০৬. প্রয়োজন মেটানোঃ তাঁদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য চেষ্টা করা।



০৭. সাক্ষাত করাঃ যখনই সুযোগ হয় তাঁদের সাথে বার বার দেখা করা।



৭টি মৃত্যুর পর



০১. মাগফিরাত দোয়াঃ তাঁদের জন্য বেশী বেশী গুনাহ মাফ চাওয়া ও দোয়া করা।



০২. ইছালে সওয়াবঃ তাঁদের জন্য ইবাদত করে ও দান খয়রাত করে সওয়াব পৌঁছানো।



০৩. তাঁদের আত্মীয় স্বজনের সন্মানঃ তাঁদের আত্মীয় বন্ধু-বান্ধবগণদের সন্মান করা।



০৪. ঋণ ও আমানত পরিশোধ করাঃ ঋণ থাকলে অথবা তাঁদের কাছে কারো আমানত থাকলে তা পরিশোধ করা।



০৫. তাঁদের আত্মীয় স্বজনের সাহায্যঃ তাঁদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবগণদের সন্মান করা।



০৬. অছিয়ত পুরো করাঃ শরিয়ত সম্মত তাঁরা যদি কোনও অছিয়ত করে থাকে তা পূরণ করা।



০৭. কবর যিয়ারতঃ কোন কোন সময় তাঁদের কবর যিয়ারত করা ও তাঁদের গুনাহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা।



আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে পিতা-মাতার সাথে একসাথে থাকার এবং তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করার সামর্থ্য ও সদিচ্ছা দান করুন এই কামনা করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.