নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার_ছেলে

শাহেদ সুলতান মহিউদ্দিন

জীবনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দাও।

শাহেদ সুলতান মহিউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন্ত আর্তনাদ…

১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

সময় দুপুর ৩ ঘটিকা,



কমলাপুর রেলষ্টেশনে হঠাৎ ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠলো



সাথে আড়মোড়া ভেঙ্গে চকিত হলো কুলিমজুরের দল।



চোখ মেলল অনাহারক্লিষ্ট এক বালক



এতক্ষণ যে শুয়েছিল হ্যাংলা কুকুরটির পাশে



ট্রেনের হুইসেলের সাথে সাথে শুরু হল তার কর্মব্যস্ততা।



ট্রেন থেকে মাটিতে পদার্পণ করতে লাগলো অচেনা যাত্রীসব



ছেলেটি হেঁকেই চলল, “স্যার, কুলি লাগব স্যার”



একসময় বোঝা সে পেয়েও গেল।



দুহাতে দুই ব্যাগ ও মাথায় সুটকেস চাপিয়ে



পিঠ বাঁকিয়ে এগিয়ে চলল বারো বছরের শীর্ণ দেহখানি,



চলা শেষ হল একসময়।



মালপত্র নামিয়ে ছেলেটির আর্তনয়নে ভিক্ষা,



লোকটির উপেক্ষিত জিজ্ঞাসা, “কত দেব রে?”



ছেলেটির সবিনয় প্রার্থনা, “ইনসাফ কইরা দেন স্যার।“



লোকটির দয়ার শরীর থেকে বাতাসে উড়ল দুটি টাকা।



ছেলেটির কাতর আহবান –



“স্যার, আর কয়টা টাকা দেন স্যার, সারাদিন কিছু ……”



এক প্রচণ্ড চপেটাঘাতে মুখের কথা তার মুখেই রয়ে গেল



ক্ষোভে, দুঃখে অভিমানী হৃদয় আর্তনাদ করে উঠলো



কুকুরটিও খাবার মত আবর্জনা পেয়েছে



তবে আমি কি দোষ করলাম?



আমি হয়তো মানুষ না,



কিন্তু, যারা মানুষ তারা এমন নিষ্ঠুর হয় কেমন করে?





– শাহেদ সুলতান মহিউদ্দীন



লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.