নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একটি দুঃখ আছে, নাম তার \'সুখ\' ! যার পেছনে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হচ্ছি আমি নিত্যি বেহুশ !!( [email protected] )

কথাকথিকেথিকথন

আমি একজন পরীক্ষার্থী...

কথাকথিকেথিকথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই ডালের চলমান বৃক্ষ খুঁড়ে একটি বহুরঙ্গি পাখির এলোমেলোয় বসবাস.....

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১



আমি বেদন এর অব্যর্থ নীল রেখাচিত্র দেখেছি অনুভবে ! সেখানে পড়ে আছে- মৃত পাখির ছড়ানো ছিটানো অসংখ্য ফেকাসে ডানা, সেখানে ভেসে আছে- পলকবিহীন ওলটপালট বহু চোখ জমে থাকা গুমট সমুদ্রের নিঃস্ব বুকে , সেখানটাকে মুড়িয়ে আছে- সময় অসময়ে বিভাজনে ব্যবহৃত অসংখ্য জং ধরা কন্টক ! এই আয়োজন হয় এভাবে অবলীলায় পালিত । এ তাদের কেড়ে নেয়ার ছল-ছুতায় সৃষ্ট পৃথিবী । তাই শুনে রাখো একটি ফেলে আসা কাহিনী....

যে কোন পাহাড়েরই ধ্বসে পড়া সেখানে নিশ্চিত ।
এভাবে বহু প্রতিনিয়ত সূর্য থেকে মুখ লুকাতে লুকাতে-
ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের আঁধার মায়ায় ।
তার উদ্দেশ হয়তো কোন মাসাকালি রাখে না
তাই এমন খবর বের হয় না- সেখানে খুন হয়েছে !
অতঃপর দুঃস্বপ্নে সেই জল পায় নোনায় স্পর্শকাতরতা-
নিঃশ্বাসের উষ্ণ ঘর্ষণে ঘূর্ণনের খেলায় ধ্বংস নেশা
ঢেউ পায় ক্রমাগত ফিরে আসার বিস্বাদময় শাস্তি ।

ভ্রান্তির বিবেচকগুলো শুধু হারিয়ে বেড়ায় অবশিষ্টের খোঁজে
অথচ ভুল কখনো বলেনি- আমায় আঁকড়ে ধরো বিশ্বাসে ।
কিন্তু এই যে খেলা- যা মানে না কোন মধ্যস্থতাকারী
ধোঁয়াশায় অভুক্ত আগ্রাসী তৃষ্ণা তাই ভ্রমে অবমাননায় লিপ্ত।

..............সময় সাজে একটি রং আছে- যা কখনো বদলায় না । আদিমতাচ্ছলে ক্রমাগত ধ্বংস করে যাওয়ার এক অমোঘ ওয়াদা আছে তার- ভূখণ্ড শেষ অবধি। শুধু এক জীবনে বহুরূপে দেখা যায় দুই ঢালের চলমান বৃক্ষগুলোকে । সময় অসময়ে তাদের ক্রমাগত রং বদলে যাওয়ার ক্ষমতাও বর্ণনাতীত । সেই দোষ হয়তো বৃক্ষদের নয় । তাদের দেহ খুঁড়ে সেখানে বাসা বেঁধে আছে বিবিধ রঙ ঢঙে সেজে একটি পাখি। যার কন্ঠ জুড়ে বসবাস জানা অজানা হাজারো সুরের- কখনো মধুরতায়, কখনো কর্কশে, কখনো এলোমেলোয় । আবার যে কোন ক্ষণে মরে গিয়েও বলতে চায়- আমি এখনো বেঁচে আছি । অতএব তুমি বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকার ছন্দ পতনে এখনো নিয়মিত চিঠি পাবে !


ছবি কৃতজ্ঞতা- নেট ।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: হুম! শক্ত লেখা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হুম !! পূর্বেরগুলো থেকে একটু সহজ মে বি ।

ধন্যবাদ । :)

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ ভাই কিরমানি লিটন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আপনি তো ভুল করে ফেলেছেন !!!!

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: পুরোপুরি বুঝার চেষ্টায় আছি... :)। বরাবরের মতোই দারুণ ভালো লাগা রইল+

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১

কিরমানী লিটন বলেছেন: ভ্রান্তির বিবেচকগুলো শুধু হারিয়ে বেড়ায় অবশিষ্টের খোঁজে
অথচ ভুল কখনো বলেনি- আমায় আঁকড়ে ধরো বিশ্বাসে । মুগ্ধ ভালোলাগার নান্দনিক কাব্য ...

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আরো দুয়েকবার পড়েই বলি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ওকে ।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: সুন্দর লেখা। যদিও দাঁতের ডাক্তারের খোঁজে আছি। মর্ম বুঝতে একটু সময় লাগছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: লেখায় কিন্তু তেমন কঠিন শব্দ ব্যবহার করা হয়নি । বেশিরভাগ পরিচিত শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে !!

ধন্যবাদ । :)

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভালোবাসাযুক্ত কবিতায় মুগ্ধ হয়ে আছি। কঠিন হলেও আবেদন সরল। তাই কবিতার মাধুর্য দিগুণ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার +++

পুনশ্চঃ আপনি কি কিরমানি লিটন ? ;)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

প্রতিপুনশ্চঃ না । ছড়াকার প্রামানিক ভাই ভুল করেছেন ।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার কবিতা! আসলে আপনার কবিতা গুলোতে একটু কঠিন শব্দের ব্যবহার থাকলেও এর ব্যাখ্যা করে পড়তে দারুন লাগে! এক কথায় বুঝে পড়তে পারলে আপনার কবিতা একদম প্রতিষ্টিত কবিদের মতই পারফেক্ট........!!

শুভ কামনা জানবেন!

বিঃদ্রঃ- আজ কোন অভিযোগ নয়। ভাবলাম সব সময় যদি অভিযোগ করি তাহলে আপনি লেখার স্প্রিহা হারিয়ে ফেলবেন। আর আমরা হারাবো একজন সুন্দর কবিকে। কথাটা কেন বললাম জানেন, অনেক সময় অভিমান থেকেও অনেকে লেখা লেখি বন্ধ করে দেয় কিনা? এমনও হতে পারে, সবাই যখন আমার কবিতাকে কঠিন বলে তাহলে আর লিখবই না কখনও! তবে যে যাই বলুক, আমি আশা করবো আপনি নিরন্তর লিখে যাবেন; আমাদের মত পাঠকদেরই জন্য!

প্লাস সহ কবিতায় ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । মুডে থাকলে অবশ্যি লিখবো । লিখে যাবো । দোয়া করবেন ।

আপনার জন্যও রইলো শুভ কামনা ।

ধন্যবাদ । :)

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

সুমন কর বলেছেন: আবার যে কোন ক্ষণে মরে গিয়েও বলতে চায়- আমি এখনো বেঁচে আছি । অতএব তুমি বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকার ছন্দ পতনে এখনো নিয়মিত চিঠি পাবে ! --

চমৎকার হয়েছে। +।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

আরজু পনি বলেছেন:

পড়তে পড়তে যেনো ডুবে যাচ্ছিলাম লেখায় !

পলকবিহীন ওলটপালট বহু চোখ জমে থাকা গুমট সমুদ্রের নিঃস্ব বুকে ...কেমন যেনো বেদনার্ত, দীর্ঘশ্বাসে ভরা !

মাসাকালি মানে কী ?

অনেক সুন্দর কথা, উপস্থাপন ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মাসাকালি ( হিন্দি শব্দ ) একধরণের ধবধবে সাদা কবুতরকে বলা হয় । এই কবুতরগুলোকে শান্তি, স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয় ।

ধন্যবাদ । :)

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

রিকি বলেছেন: বললে পারে বুলবে হানি বুলছে গো-বুঝবার হানি পারছি না কি বুলবডা কি !!!!! ;)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । লেখাটা পড়ে হাসি পেল তবে পুরোটা বুঝতে পারলাম না !!!!

ধন্যবাদ । :)

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

নেক্সাস বলেছেন: গদ্য কবিতা টুকু অনবদ্য।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,



জটিলতর ।
কবিতার কন্ঠ জুড়ে যেন বসবাস জানা অজানা হাজারো সুরের- কখনো মধুরতায়, কখনো কর্কশে, কখনো এলোমেলোয় ....

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: পাখির জায়গায় কবিতা জুড়িয়ে দিয়েছেন !! হ হা হা ।

ধন্যবাদ । :)

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গভীর ভাবধারার লেখা!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এটা কি বাকস্বাধীনতার বিলোপ নিয়ে লেখা?

কবিতাটা ব্যাখ্যা করলে সুবিধে হইতো।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: প্রথম স্তবকে একটি 'বেদনা'র পৃথিবীর কাল্পনিক বর্ণনা দিয়েছি ।

আমি বেদন এর অব্যর্থ নীল রেখাচিত্র দেখেছি অনুভবে ! - 'বেদনা' মানুষের জন্য ব্যর্থ না হওয়ার যে নীল রেখাচিত্র (ধ্বংস নকশা) তৈরি করে তা কেমন ? দেখেছি অনুভবে !

সেখানে পড়ে আছে- মৃত পাখির ছড়ানো ছিটানো অসংখ্য ফেকাসে ডানা- সেই বেদনার নীল নকশায় পড়ে থাকে অসংখ্য মৃত হৃদয়ের (পাখি) উড়তে নাপারার ব্যর্থতা ।

সেখানে ভেসে আছে- পলকবিহীন ওলটপালট বহু চোখ জমে থাকা গুমট সমুদ্রের নিঃস্ব বুকে- সেখানে ভেসে থাকে হৃদয়ের পলকবিহীন ( পলকের পাতাবিহীন ) চোখ ভুল দেখার চাহনিতে জমে থাকা গুমট সমুদ্রের( হৃদয়ে জমে থাকা কান্না ) নিঃস্ব বুকে ।

সেখানটাকে মুড়িয়ে আছে- সময় অসময়ে বিভাজনে ব্যবহৃত অসংখ্য জং ধরা কন্টক !- আর এই বেদনার জগতকে জড়িয়ে রাখে যে সব ভুলে( কন্টক) এক হৃদয় আরেক হৃদয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ।

এই আয়োজন হয় এভাবে অবলীলায় পালিত ।- বেদনার জগতে এই সব আয়োজন খুব সহজেই বসবাস করে ।

এ তাদের কেড়ে নেয়ার ছল-ছুতায় সৃষ্ট পৃথিবী ।- আর এ সব আয়োজনে তারা এই পৃথিবী তৈরি করেছে নানান কারণ অকারণে মানব হৃদয়কে মেরে ফেলতে বা সুখ কেড়ে নিতে ।

তাই শুনে রাখো একটি ফেলে আসা কাহিনী....- এই বেদনার পৃথিবীতে হৃদয় কিভাবে ভেঙ্গে পড়ে তার একটি কাহিনীর বর্ণনা শোন ।

যে কোন পাহাড়েরই ধ্বসে পড়া সেখানে নিশ্চিত ।- এই যে বেদনার পৃথিবী তাতে যেকোন পাহাড় ( মানুষ ) ধ্বসে পড়ার জন্য যথেষ্ট ।

এভাবে বহু প্রতিনিয়ত সূর্য থেকে মুখ লুকাতে লুকাতে-
ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের আঁধার মায়ায় ।- এরকম অনেক পাহাড় ( মানুষ ) ডুবে গেছে সমুদ্রের ভেতরে, সেই পাহাড় ডুবতে ডুবতে সূর্যকে আস্তে আস্তে আড়াল করে দিতে দিতে টুপ করে ডুবে গেছে আঁধারের ( সমুদ্রের গভীরে ) মধ্যে ।

তার উদ্দেশ হয়তো কোন মাসাকালি রাখে না
তাই এমন খবর বের হয় না- সেখানে খুন হয়েছে ! - সেই ডুবে যাওয়ার খবর কোন মাসাকালি ( সাদা কবুতর যাদেরকে পূর্ণাং স্বাধীনতা বা শান্তির প্রতিক বলা হয় ) হয়তো রাখে না । তাই এমন খবর কেউ শুনে না- সেখানে মানব হৃদয় খুন হয়েছে ।

অতঃপর দুঃস্বপ্নে সেই জল পায় নোনায় স্পর্শকাতরতা-
নিঃশ্বাসের উষ্ণ ঘর্ষণে ঘূর্ণনের খেলায় ধ্বংস নেশা-
ঢেউ পায় ক্রমাগত ফিরে আসার বিস্বাদময় শাস্তি । অবশেষে সেই সমুদ্র স্পর্শকাতর হয়ে লবনাক্তা ( কান্নার জল ) পায় । নিশ্বাসের উষ্ণ ( দীর্ঘশ্বাসের গরম বাতাস ) ঘর্ষণে ঘূর্ণনের খেলায় ধ্বংস করতে চায় সবকিছু ( নিজের সবকিছু, হৃদয়কে ), যেমন অতি উষ্ণ আবহাওয়ায় সমুদ্র ফুলেফেঁপে উঠে সুনামি তৈরী করে । আর এই সমুদ্রের ঢেউ (কান্না বেয়ে পড়া ) বার বার ফিরে আসার শাস্তি ভোগ করে ।

..............সময় সাজে একটি রং আছে- যা কখনো বদলায় না । আদিমতাচ্ছলে ক্রমাগত ধ্বংস করে যাওয়ার এক অমোঘ ওয়াদা আছে তার- ভূখণ্ড শেষ অবধি। শুধু এক জীবনে বহুরূপে দেখা যায় দুই ঢালের চলমান বৃক্ষগুলোকে । সময় অসময়ে তাদের ক্রমাগত রং বদলে যাওয়ার ক্ষমতাও বর্ণনাতীত । সেই দোষ হয়তো বৃক্ষদের নয় । তাদের দেহ খুঁড়ে সেখানে বাসা বেঁধে আছে বিবিধ রঙ ঢঙে সেজে একটি পাখি। যার কন্ঠ জুড়ে বসবাস জানা অজানা হাজারো সুরের- কখনো মধুরতায়, কখনো কর্কশে, কখনো এলোমেলোয় । আবার যে কোন ক্ষণে মরে গিয়েও বলতে চায়- আমি এখনো বেঁচে আছি । অতএব তুমি বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকার ছন্দ পতনে এখনো নিয়মিত চিঠি পাবে !
(এই স্তবকে একজন পূর্ণাং মানুষের কথা বর্ণনা করেছি । বলতে পারেন দুখী মানুষের । আমরা তো কম বেশি সবাই দুখী । কেউ প্রকাশ করে কেউ করে না ।)

অর্থ- এখানে সমইয়কে একটা রং দেয়া হয়েছে যে রং কখনো বদলায় না । সে তার চিরাচরিত নিয়মে চলছে বর্তমানকে ধ্বংস করে । আর এই ধ্বংস করা চলবে পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত মানে মনুষ্য জগত ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত । শুধু ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় দুই ঢালের চলমান বৃক্ষ ( মানুষ- দুই ঢাল মানে দুই হাত, চলমান বৃক্ষ মানে- মানুষ তো চলাচল করে ) । তারা সময় অসঅময়ে বদলে যাওয়ার দারুণ ক্ষমতা রাখে । অবশ্য এই দোষ বৃক্ষকে ( মানুষকে ) দেয়া যায় না । তাদের দেহ খুঁড়ে বাস করে একটি পাখি ( একটি হৃদয় ) । এই পাখির ( হৃদয়ের) কন্ঠে বহু সুর, সে কখনো সুখে বাজে, কখনো দুখে, কখনোবা এলোমেলো ভঙ্গিতে ( অচেনা রূপে ) । আবার যখন সেই পাখি( হৃদয়) মরে যায় তখনো সে বলে আমি বেঁচে আছি । সো বৃক্ষ ( দেহ ) তুমি এখনো সেই দুঃখ বয়ে বয়ে বেড়ানোর বার্তা নিয়মিত পাবে ।

আপাতত অর্থ এরকমই । কিন্তু পাঠক বেধে অর্থের ভিন্নতা থাকতে পারে । সেটা সম্পূর্ণ পাঠকের অনুভবের উপর নির্ভরশীল ।


বিঃদ্রঃ আমি গতকাল থেকে কোন ব্রাউজার দিয়ে ব্লগে ঢুকতে পারিনি । আজ দুপুরে ভিপিএন ইন্সটল দিয়ে কোনমতে এখন কাজ করছি । তাই একটু প্রবলেমে আছি । হয়তো আরও কিছুদিন ব্লগে ঠিকমত থাকবো না ।



১৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১২

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: রিকি বলেছেন: বললে পারে বুলবে হানি বুলছে গো-বুঝবার হানি পারছি না কি বুলবডা কি !!!!!

8-|

নিঃশ্বাসের উষ্ণ ঘর্ষণে ঘূর্ণনের খেলায় ধ্বংস নেশা
ঢেউ পায় ক্রমাগত ফিরে আসার বিস্বাদময় শাস্তি ।-- মনে ধরেছে

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । রিকি সংস্করণ !!!!

দুই লাইন মনে ধরেছে জেনে বেশ লাগলো ।

ধন্যবাদ । :)

১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

রিকি বলেছেন: এটার মর্মার্থ--- কি বলব ঠিক বুঝতে পারছি না, আবার বললেও যদি ফাঁপরে পড়ি!!!! ;)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । এখন পুরোপুরি ক্লিয়ার !!!

এটা কোন ব্যাপার না । মনের ভাব প্রকাশ করে চলুন । মুক্তগদ্যে পাঠকের অনুভবভেদে অর্থও ভিন্ন হতে পারে । এতো করে আমার নিজের লেখা থেকে আমিও কিছু অজানা অর্থ পাবো !!!

ধন্যবাদ । :)

২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি বোধ হয় আগেও বলেছিলাম একটা মুক্ত গদ্যের আবেশ আছে আপনার লেখায়। কিন্তু খুব মুড নিয়ে পড়তে গেলেই আসে বিপত্তি।কিছু শব্দের ব্যবহার সত্যিই আমি বুঝি না। হয়তো বলবেন - না বুঝলে পড়ার দরকার কি বা আপনি আপনার ইচ্ছেমতই লিখবেন। সেটা বলতে পারেন। কিন্তু লেখা যখন পাব্লিক প্লাটফর্মে দেবেন আর আমারা পড়বো তখন ভালো লাগা, মন্দ লাগা বা বুঝতে পারার ব্যর্থতা জানাতেই পারি।

আমি বেদন এর অব্যর্থ নীল রেখাচিত্র দেখেছি অনুভবে << বেদনা হলে ভালো শোনাবে

অসংখ্য ফেকাসে ডানা, সেখানে ভেসে আছে- পলকবিহীন ওলটপালট বহু চোখ জমে থাকা গুমট সমুদ্রের নিঃস্ব বুকে , < ফ্যাকাশে , পলকহীন হলে ভালো হয়। গুমোট হবে ।

বানান আমারও ভুল হয়। আপনার এখানে হয়তো আরও আছে। বানান ভুল ছাড়াও সামথিং কি যেন মিসিং থাকে। বাক্যের মাঝে শব্দের ব্যবহারের যথাযথ ব্যবহার হয় না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হ্যা আপনি আগেও এই কথা বলেছিলেন ।

লেখকভেদে লেখা ভিন্ন হবে এই তো স্বাভাবিক । তাই না । সে ক্ষেত্রে আমার লেখাটাও এমনি হয় । আমি যখন লেখি তখন লেখাগুলো ঠিক এভাবেই ধরা দেয় বা আমার টোনটা এভাবে আসে । এটা হয়তো আমার দূর্বলতা । তবে নিয়মিত চেষ্টা করি লেখাকে সমৃদ্ধ করার ।

ভালোলাগা, মন্দ লাগা, বুঝতে না পারা এগুলো তো পাঠকের অধিকারে । সো যে কোন পজেটিভ, নেগেটিভ মন্তব্যে আমার লেখায় সবাই সাদরে আমন্ত্রিত । হয় তো এই লেখা কোন পাঠক না বুঝল বা না ভাল লাগল । আবার অন্য আরেকটা লেখা পাঠকের কাছে ভাল লাগবে । এমনটাই তো স্বাভাবিক ।

আমি বেদন এর অব্যর্থ নীল রেখাচিত্র দেখেছি অনুভবে

২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

সুলতানা রহমান বলেছেন: লিখাটা কঠিন লাগলো আপনার নামের মতো।
এই নামটার মাঝে কিছু নেই? তাহলে নিঃশ্বাস নেওয়া যেতো।
কমেন্টে আপনার লিখাটার ব্যাখ্যা পড়লাম, ভাল লাগলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর !!!!!!!!!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: কবিতা আরো কয়েকবার পড়লাম।ব্যাখ্যাটাও পড়লাম।সুন্দর ব্যাখ্যা দিলেন :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আবার পাঠে অনেক ধন্যবাদ । :)

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আপনার ব্লগটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হৈলো।
সকালে ভালমতো দেখবো ||

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ওকে ওকে ।

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

রোদেলা বলেছেন: ভ্রান্তির বিবেচকগুলো শুধু হারিয়ে বেড়ায় অবশিষ্টের খোঁজে
অথচ ভুল কখনো বলেনি- আমায় আঁকড়ে ধরো বিশ্বাসে ।
কিন্তু এই যে খেলা- যা মানে না কোন মধ্যস্থতাকারী
ধোঁয়াশায় অভুক্ত আগ্রাসী তৃষ্ণা তাই ভ্রমে অবমাননায় লিপ্ত
-----------------------------------------------------------
মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন ক্ষতি নাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন ক্ষতি নাই। ভিন্নতর মন্তব্য । হা হা হা !!

ধন্যবাদ । :)

২৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিঃশ্বাসের উষ্ণ ঘর্ষণে ঘূর্ণনের খেলায় ধ্বংস নেশা
ঢেউ পায় ক্রমাগত ফিরে আসার বিস্বাদময় শাস্তি ।

কি কঠিন কবিতারে বাবা !
৩ বার পরেছি =p~

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । কি কঠিন কবিতারে বাবা !!!

তিনবার পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।

ধন্যবাদ । :)

২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

জুন বলেছেন: অতএব তুমি বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকার ছন্দ পতনে এখনো নিয়মিত চিঠি পাবে !
সেই নিয়মিত চিঠি যদি বিষ দিয়ে লেখা থাকে কথা কথি?
অনেক ভালোলাগা।
+

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সেই চিঠি বিষ দিয়েই লেখা হবে যা করবে ছন্দ পতন !!!

ধন্যবাদ । :)

২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল।
কবিতা পড়েছি। আরো অনেকের মন্তব্য দেখলাম। আপনার ব্যাখ্যাও পড়লাম। সব মিলিয়ে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। ভাল থাকুন। শুভকামনা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কবিতা, মন্তব্য, ব্যাখ্যা সব মিলিয়ে পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো ।
আপনিও ভাল থাকুন ।
ধন্যবাদ । :)

২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

প্রামানিক বলেছেন: ভাই, ভুলটা কি করলাম তা তো কইলেন না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ ভাই কিরমানি লিটন। - আমি কিরামানি লিটন নই !!!

৩০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: কি অবস্থা? কেমন আছেন......?? জিনিয়াস কবির নতুন কোন কবিতা নেই কেন.....?? শীতে ধরছে নাকি?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:

হা হা হা । মন্দ বলেন নি । আসলেও শীতে ধরেছে । এই ধরাকে অভিবাদন । এমন শীতে আমি হারিয়ে যেতে চাই কুয়াশা হয়ে সকালের রৌ্দ্রে....

কিছু একটা লেখার চেষ্টা করছি !! যদি কিছু একটা হয় আর কি !!!!!

৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দূর্দান্ত একটি লেখনী।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.